মুক্তিযুদ্ধ
বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী বিএনপির আয়োজিত দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইমেলা ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলা ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মেলা ও প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এবং বিকাল ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বইমেলা ও প্রদর্শনীতে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক: বিএনপি
এছাড়া জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ও চিত্রকর্ম রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরতে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বর্তমান সরকার জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাই আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
যারা মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, ‘জয় বাংলা’র মতো জাতীয় স্লোগান দিতে অস্বীকার করে তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘যারা এখনও 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয় না তারা আসলে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্সে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
সভায় সভাপতিত্ব করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান একসময় দেশে নিষিদ্ধ ছিল এবং এই স্লোগান দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর জন্য বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এই স্লোগান উচ্চারণ করেই স্বাধীনতা অর্জন করেছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্র ও খুনিরা স্লোগানটিকে নিষিদ্ধ করেছে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও প্রদর্শনী করবে বিএনপি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীসহ দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত মুক্তিযুদ্ধ বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি নেতা আমান জানান, মেলা ও প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৫টায়।
বইমেলা ও প্রদর্শনীতে থাকবে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই। এছাড়াও থাকবে আলোকচিত্র ও শিল্পীদের আঁকা ছবি।
আগামী ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বইমেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
২৪ মার্চ বিকাল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আমান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত তাদের দলের কমিটি প্রায় এক বছর আগে কাজ শুরু করে এবং ২৬ মার্চ তা শেষ হবে।
তিনি বলেন, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কমিটি এক বছর ধরে সারাদেশে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’-এর দশম আয়োজন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর আয়োজনটি আংশিক সরাসরি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে জমা হয়েছিল ২১ শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র, যার মধ্য থেকে ৪০ দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রতিদিন চারটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও নির্বাচিত ছবিসমূহ প্রতিদিন স্ট্রিমিং করা হবে। গেল দু’বছরের মতো এবারও ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অস্বীকারকারীদের কাছ থেকে জনগণ গণতন্ত্রের সংজ্ঞা শুনতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতে হলে তিনটি চেতনার (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা) প্রতি অবিচল থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সরকারকে মেনে নিতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাপ্তাহিক ‘সাপ্তাহিক দাবানল’-এর সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন বলে পিআইডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অপপ্রচার হয়েছে। অপপ্রচারকে রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও চেতনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দাবানলের মতো বেশ কয়েকটি পত্রিকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা: ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আকুতি নাবিকদের
পত্রিকাটি নতুন মাত্রা নিয়ে আবারও গৌরবময় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন খালিদ মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী ‘দাবানল’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ও পৃষ্ঠপোষক শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপনের ‘দাবানল’ পুনঃ প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এসময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন এমন মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং দাবানল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. শেহেরিন সেলিম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটকে পড়া ১১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন
'আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না', ছোট ভাইকে বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর
বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ: কোথা থেকে এলো বাংলা ভাষা
বাংলাদেশ সহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসাম রাজ্যের বারাক উপত্যকার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল সহ ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০ কোটি বাঙালির এই মুখের ভাষার শুরুটা খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরেরও আরো পেছনে। মহিমান্বিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের এই মাসে চলুন জেনে নেয়া যাক অতি প্রাচীন বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে।
বাংলা ভাষার উৎপত্তি
বাংলা ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোত্রে। সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপত্তির কিংবদন্তি থাকলেও বাংলা ভাষাবিদরা বিশ্বাস করেন, বাংলা মাগধী প্রাকৃত এবং পালির মতো ইন্দো-আর্য ভাষা থেকে এসেছে।
ইন্দো-আর্য হল ইন্দো-ইরানীয় ভাষা উপবিভাগের একটি প্রধান শাখা, যা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোত্রের পূর্বাঞ্চলীয় ধরন। প্রখ্যাত ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চ্যাটার্জির মতে, বৈদিক এবং সংস্কৃত উপভাষাগুলোকে প্রাচীন ইন্দো-আর্য যুগের প্রতিনিধি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষাগুলোর মধ্যে আছে পালিসহ প্রাকৃতের বিভিন্ন রূপ, যেগুলো পাওয়া যায় সম্রাট অশোক এবং থেরাবাদ বৌদ্ধ কাননের শিলালিপিতে।
আরো পড়ুন: বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
প্রথম সহস্রাব্দে বাংলা যখন মগধ রাজ্যের অংশ ছিল, তখন মধ্য ইন্দো-আর্য উপভাষাগুলোর বেশ প্রভাব ছিলো বাংলায়। এই উপভাষাগুলো মাগধী প্রাকৃত নামে পরিচিত আর এটিই ছিলো আধুনিক বাংলা, বিহার, ও আসামের লোকেদের কথ্য ভাষা। এই ভাষারই বির্বতিত রূপ অর্ধ-মাগধী প্রাকৃত, যেখান থেকে প্রথম সহস্রাব্দের শেষের দিকে উদ্ভব হয় অপভ্রংশের। অতঃপর কালক্রমে এই অপভ্রংশ থেকে একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে জন্ম হয় বাংলা ভাষার।
বাংলা ভাষার বিবর্তন
বাংলা ভাষার বিবর্তনের তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে; পুরাতন, মধ্য এবং আধুনিক বাংলা।
পুরাতন বাংলা ছিল ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার পুরোহিত এবং পণ্ডিতদের সাহিত্যকর্মের ভাষা। এই সময়ের সাহিত্যের খুব কম চিহ্নই এখন অবশিষ্ট রয়েছে। সবচেয়ে প্রাচীনতম নিদর্শনের মধ্যে একমাত্র চর্যাপদ পাওয়া যায়। এটি বৌদ্ধধর্মের উপর ভিত্তি করে কবিতার একটি সংকলন, যা অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
চতুর্দশ শতকে বাংলায় শুরু হয় মুসলমানদের সালতানাত। সালতানাত বাংলাকে এই অঞ্চলের সরকারী দরবারী ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এই ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাংলার স্থানীয় ভাষায় পরিণত হয় বাংলা।
ষোড়শ শতকে মুঘলরা বাংলা দখল করলে বাংলা ভাষার সাথে যোগসাজশ ঘটে ফার্সি ভাষার। বর্তমান বাংলা ভাষার আধুনিক রূপটি পাওয়া যায় ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের সময় বাংলার নদীয়া অঞ্চলে কথিত উপভাষায়। এই ভাষাটির দুটি ভাগ; শুদ্ধ এবং চলিত। এগুলোর ভিত্তি গড়েছে প্রধানত মাগধী প্রাকৃত এবং পালিসহ তুর্কি, পর্তুগিজ, ফার্সি ও ইংরেজি।
১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে সরকারী ভাষা করার দাবিতে বাংলা ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদকে লালন করে। ফলে ১৯৭১ এ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
আরো পড়ুন: একুশে বইমেলার শিকড়ের সন্ধান
বাংলার উপভাষা
কথ্য বাংলায় আঞ্চলিক ভিন্নতার রেশ ধরে গঠিত হয় উপভাষা। ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চ্যাটার্জি পূর্ব মাগধী ভাষার উপভাষাগুলোকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করেছেন; রাঢ়ি, বঙ্গিয়া, কামরূপী এবং বরেন্দ্রী। দক্ষিণ-পশ্চিমের রাড়ী বা নদীয়া অঞ্চলের উপভাষা আধুনিক প্রমিত কথ্য বাংলার ভিত্তি তৈরি করে। বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগের অনেকাংশে প্রচলিত উপভাষায় পশ্চিমবঙ্গের বচন ব্যবহৃত হয়।
বাংলার কিছু ধরন চাটগাইয়া এবং চাকমার স্বরের সাথে বিবর্তিত। রংপুরী, খরিয়া থার, এবং মাল পাহাড়িয়া পশ্চিমী বাংলা উপভাষার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হলেও আলাদা ভাষা হিসাবে ধরা হয়। একইভাবে উত্তর বাংলার উপভাষার সাথে মিল থাকলেও হাজং একটি পৃথক ভাষা।
১৯ শতকের শেষ এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে বাংলার প্রমিতকরণের সময় বাংলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল ব্রিটিশ অধীন কলকাতা শহরে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উভয় ক্ষেত্রেই যেটি প্রমিত রূপ হিসেবে গৃহীত হয়েছে, তা মুলত নদীয়া জেলার পশ্চিম-মধ্য উপভাষার উপর ভিত্তি করে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
প্রায় ১৩০০ বছরের দীর্ঘ বিবর্তনে বাংলা ভাষার সাথে যুক্ত হয়েছে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় এবং বিদেশী শব্দ। বহু শতাব্দীর পর ১৯ শতকে এসে রাজা রাম মোহন রায় ও বিদ্যাসাগরের হাতে বাংলা চূড়ান্ত রূপ পায়। আজ বাংলা মানব সভ্যতার ইতিহাসে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি স্বতন্ত্র ভাষা। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা এবং ৩৭০ লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা বাংলা। পৃথিবীর ভাষাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত মাতৃভাষা হিসেবে বাংলার অবস্থান পঞ্চম এবং শুধুমাত্র কথ্য ভাষা হিসেবে অবস্থান ষষ্ঠ।
পড়ুন: কীভাবে এল বাংলা ক্যালেন্ডার: দিনলিপি গণনার ইতিবৃত্ত
এবার বিধবাপল্লীতে ‘সৌরজায়া স্মৃতিসৌধ’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বিধবাপল্লীতে এবার নির্মিত হলো ‘সৌরজায়া স্মৃতিসৌধ’। শনিবার দুপুরে কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের বিধবাপল্লীতে স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ।
এসময় তিনি বলেন, বিধবাপল্লীর উন্নয়নে ধাপে ধাপে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হলো।
এসময় তিনি সেখানকার শহীদ পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আগামী এক বছর সদস্যদের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
এদিন তিনি প্রত্যেক বীর জায়াদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি মশুর ডাল, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, দুই কেজি চিড়া, এক লিটার ভোজ্যতেল ও নুডলস তুলে দেন।
উদ্বোধনকালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা ইয়াছমিন, জেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বছরের প্রচেষ্টায় তিন শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছে সৌরজায়া স্মৃতিসৌধটি। যার সামনের রাস্তার জন্য স্থানীয় দুই ব্যক্তি এক শতক জায়গা দিয়েছেন। স্মৃতিসৌধে স্থান পেয়েছে ৮৮ জন শহীদের নাম। এছাড়া পাশের ফলকে লেখা হয়েছে বিধবাপল্লীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হওয়ায় বিধবাপল্লীর বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোহাগপুর গ্রামে পাকহানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় ৬ ঘণ্টা তান্ডব চালায়। ওইদিন গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ১৮৭ জন পুরুষকে হত্যা করে। ওই সময় ৬২ নারী বিধবা হন এবং তাদের মধ্যে ১৪ জন নির্যাতনের শিকার হন। এরপর থেকেই সোহাগপুর গ্রামটি বিধবাপল্লী নামে পরিচিতি লাভ করে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্মরণ
ঢাকায় অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে দুটি ছবি শেয়ার করেছে।
সোমবার দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক ছবিগুলো শেয়ার করেছে দূতাবাস।
দূতাবাস এক বার্তায় বলেছে, ‘আমরা আজ ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে আমাদের আনন্দ প্রকাশ করতে চাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী
ফ্রান্সে প্রধানমন্ত্রীর ‘অত্যন্ত সফল’সফরের কথা উল্লেখ করে দূতাবাস বলেছে, এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার অভিন্ন ইচ্ছা প্রকাশিত হয়েছে।
ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৯ নভেম্বর সরকারি সফরে ফ্রান্সে যান।
উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয় পক্ষই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের সরকার ও জনগণের মূল্যবান সমর্থনের কথা স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: দ. আমেরিকার অর্থনৈতিক ব্লক ‘মার্কোসুরে’র সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী ঢাকা
গণহত্যার স্বীকৃতি: জেনোসাইড ওয়াচ, লেমকিন ইনস্টিটিউটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় জেনোসাইড ওয়াচ ও লেমকিন ইন্সটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার জেনোসাইড ওয়াচ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. গ্রেগরি এইচ স্টান্টন এবং লেমকিন ইন্সটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন-এর কো-ফাউন্ডার ও কো-প্রেসিডেন্ট মিজ এলিসা জোডেন-ফোর্জি এবং মিজ ইরিনে ভিক্টোরিয়া মাসিমিনোকে পাঠানো দু’টি পৃথক চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগে পরিকল্পিতভাবে যে ব্যাপক গণহত্যা ও অপরাধ সংঘটিত করেছিল সেটাকে আপনাদের পক্ষ হতে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে সমব্যথী হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাফল্য এখন কারও কারও চক্ষুশূল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জেনোসাইড কর্নার’ স্থাপন করেছি।’
বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের প্রতি জাতীয় সংসদের প্রদত্ত দায়িত্বের কথা চিঠিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইন্সটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন-এর প্রদত্ত স্বীকৃতি বিশেষ সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, জেনোসাইড ওয়াচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে লেমকিন ইন্সটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির উপরে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এছাড়া সংস্থা দুটি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চিঠি নয় তথ্য বিবেচনায় নেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে: খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সোমবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গ্রীন প্লাজায় 'বাংলাদেশ - ইন্ডিয়া কালচারাল মিট, রাজশাহী ২০২২ আয়োজন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায়' প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে দু’দেশের শিল্পীরা গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা -সাহস যুগিয়েছেন। পঞ্চম বাংলাদেশ- ইন্ডিয়া কালচারাল মিট নতুন করে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জাগিয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন সচেতনতা ও সদিচ্ছা: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এক সময় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী বিভাগের সংসদ সদস্যগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া কালচারাল মিট ২০২২’ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী