চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার জেলার দামুড়হুদা উপজেলা এবং জয়রামপুরে হাটকালুগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের কায়েস আলীর ছেলে রিফাত হোসেন (১৮), দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার আমডাঙ্গা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে লাল্টু মিয়া (২২) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাটকালুগঞ্জপাড়ার সালাম হোসেনের স্ত্রী তাসমিনা বেগম (৪০)।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত ৮টার দিকে জয়রামপুর কাঁঠালতলা গ্রামে আলমসাধু ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। ঘাতক আলমসাধুটি জব্দ করা হলেও চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এদিকে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাটকালুগঞ্জ নতুন মসজিদের সামনে বাস ও আলমসাধুর ধাক্কায় তাসমিনা বেগম নামের এক নারী গুরত্বর আহত হন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘সদর থানাধীন হাটকালুগঞ্জ মোড়ে শাপলা পরিবহনের একটি বাস আলমসাধুকে ধাক্কা দেয়। পরে ওই আলমসাধুর ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাস জব্দ ও চালককে আটক করেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধুর ধাক্কায় নারী নিহত
চুয়াডাঙ্গা সদরে আলমসাধুর ধাক্কায় তাসমিনা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাটকালুগঞ্জ নতুন মসজিদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷
আরও পড়ুন: ফেনীতে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি-তদন্ত) মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, সোমবার বেলা ১১ দিকে তাসমিনা বেগম হাটকালুগঞ্জ তেতুলতলা মোড়ের নতুন মসজিদের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস একটি স্যালোইঞ্জিন চালিত একটি আলমসাধুকে ধাক্কা দেয়। এসময় আলমসাধু তাসমিনা বেগমকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মার যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত
ওসি বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি জব্দ এবং চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোজিনা বেগম (৩০) একই এলাকার জিনারুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নিজ বাড়িতে কাজ করছিলেন রোজিনা বেগম। এ সময় তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন তিনি অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রোজিনা বেগমকে অচেতন অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ধামাকার ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে নববধূর আত্মহত্যা
নুডলস চুরির অভিযোগে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় নুডলস ও নারিকেল তেল চুরির অভিযোগে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম হোসেন (২২) আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার আকমল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্সের মালিক ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ বিভিন্ন পণ্যের ডিলার। মঙ্গলবার দুপুরে একটি গাড়িতে অর্ডারের পণ্য আনলোড করছিল। এসময় সাদ্দাম হোসেন ওই গাড়ি থেকে নুডলস ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে ধরে আমানুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করে। পরে আমানুল্লাহ প্রকাশ্যে দোকানের খুটিঁতে সাদ্দামের দুই হাত বেঁধে একটি পাইপ দিয়ে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ধামাকার ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমার প্রতিষ্ঠানের চুরির ঘটনা ঘটতো। এতে আমি অতিষ্ট ছিলাম। কিছুতেই চোর ধরতে পারতাম না। আজ কিছু নারিকেল তেল ও নুডলস এর প্যাকেট চুরির সময় হাতেহাতে সাদ্দামকে ধরে স্থানীয়রা আমার কাছে নিয়ে আসে। তবে তাকে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা আমার অন্যায় হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট মানি খন্দকার বলেন, ‘দোকানের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে এটা বড় অপরাধের মধ্যে পড়ে। যতই অপরাধই করুন না কেনো কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। তাকে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোর্পদ করতে হবে। নির্যাতনের শিকার ও যুবক বা তার পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে মানবতা ফাউন্ডেশন থেকে তাকে বিন্যামূল্যে তার সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশের জানা ছিল না। পরে সংবাদকর্মীদের মাধ্যেমে নির্যাতনের ভিডিও দেখেছি। এভাবে কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। চুরির ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। নির্যাতনের ঘটনায় সাদ্দাম বা তার পরিবার অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। রাতেই শেখ আমানুল্লাহকে পুলিশ জিজ্ঞাসাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাদ্দামের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি চুরি ও একটি ছিনতাই মামলা চলমান। এছাড়াও একবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল সে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে নববধূর আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে নববধূর আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গা সদরে বিয়ের নয় দিনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় বিষপান করে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত রজনী খাতুন উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের মাদরাসাপাড়ার জাহাঙ্গীর মন্ডলের মেয়ে ও সাগর হোসেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা
পারিবারের বরাত দিয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ৯ দিন আগে রজনী খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের সাগর হোসাইনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। স্বামী সাগর হোসাইনকে পছন্দ না হওয়ায় শ্বশুর বাড়ি যাবে না বলে বাবাকে জানিয়ে দেয় রজনী। শনিবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য স্বামী সাগরের আসার দিন ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর সকলের অগোচরে বিষপান করে রজনী। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের মেঝেতে রজনীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। পরে রজনীকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ওসি জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নারী নিহত
চুয়াডাঙ্গা সদরে ট্রেনের নিচে পড়ে এক বৃদ্ধ নারী মারা গেছেন। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আমিরপুর রেলগেটের অদূরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নেবারণ নেছা চুয়াডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামের রেলগেট এলাকার মৃত রহম মণ্ডলের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে নাটোরে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর ১২টার দিকে ওই নারী রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
দর্শনায় ছেলের মোটরসাইকেলে চড়ে পা হারালেন বাবা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ছেলের মোটরসাইকেল চড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন এক বাবা। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দর্শনার ডিহি কেষ্টপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ বদরুজ্জামান (৬৫) সদর উপজেলার ভেমরুল্লা এলাকার মৃত মকবুল বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে বৃদ্ধ বদরুজ্জামান ছেলে সজীবের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে হিজলগাড়ি থেকে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যে ডিহি কেষ্টপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি পাখিভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সজীব সামান্য আহত হলেও গুরুতর জখম হন বদরুজ্জামান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা দ্রæত তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান জানান, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির ডান পায়ের হাটু গুরুতর জখম হয়েছে। জখমের স্থান হাটুর নিচ থেকে সম্পূর্ণ অংশটা কেটে বাদ দিতে হবে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাপসাতালে পাঠানো হয়েছে।
দর্শনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবির জানান, দর্শনা থানাধীন মোটরসাইকেল ও পাখিভ্যানের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাঁজাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নদী থেকে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পপি খাতুন (২৬) উপজেলার ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়নের নগরবোয়ালীয়া গ্রামের তুহিনের স্ত্রী ও একই উপজেলার বেলগাছি গ্রামের ইসলামপাড়ার ভোলা শেখের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন নদীতে একটি নারীর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পড়ুন: মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
নিহতের বাবা ভোলা শেখ বলেন, ‘ছয় দিন আগে আমার জামাই তুহিনসহ পরিবারের সদস্যরা আমাকে জানায়, আমার মেয়ে পপি খাতুন কোনো ছেলের সাথে চলে গেছে। কার সাথে গেছে জিজ্ঞাসা করলে কোনো সুদুত্তর দেয়নি তারা। এরপর আমি আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করি। পুলিশ ও আমরা অনেক খুঁজেছি। কোথাও পাইনি আমার মেয়েকে। আজ আমার মেয়েটাকে জীবিত পেলাম না, পেলাম নদীর ভেতর মৃত অবস্থায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নাতী মিমের বয়স ১০ বছর। এর আগে অনেকবার তুচ্ছ ঘটনায় আমার জামাই তুহিন ও তার পরিবারের লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বাড়ি চলে এসেছিল। তাই আমার ধারণা জামাই তুহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের পর হত্যা করেছে আমার মেয়েকে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজের ছয় দিনের মাথায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পপি খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পপি খাতুনকে হত্যার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রদিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উন্মোচনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
পড়ুন: আ'লীগকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুক পোস্ট: ছাত্রশিবির নেতার ১০ বছর কারাদণ্ড
মাছ পাহারা দিতে গিয়ে বাওড়ে নৌকাডুবিতে পাহারাদারের মৃত্যু
মাছ পাহারা দিতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবিতে বাওড় পাহারাদারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেনীপুর বাওড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত বাদল গোলদার (৩৫) উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের রেজাউল গোলদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিষাক্ত দেশীয় মদ পান করে ৩ বন্ধুর মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাতে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্যা জানান, বাদল গোলদার গত বছর শেষের দিকে বেনীপুর বাওড়ের রাত্রীকালীন পাহারাদার হিসেবে চাকরি নেন। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি বাওড় পাহারা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১১টার দিকে অন্যান্য পাহারাদারদের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে বাওড়ের চারপাশে ঘুরে রাত্রীকালীন টহল দিতে থাকেন। এসময় হঠাৎ করেই নৌকাটি পানিতে ডুবে যায়। অন্যান্য পাহারাদাররা সাঁতরে ডাঙায় উঠতে পারলেও নৌকার সঙ্গে বাদলও পানিতে তালিয়ে যান। পরে তার সহকর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। প্রায় ২ ঘণ্টা পর স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সাঙ্গু নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু, ভাইবোন নিখোঁজ
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, বাওড় পাহারা দেয়ার সময় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে বাদল নামে এক পাহারাদারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, কিশোরকে কুপিয়ে জখম
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে উঠেছে অপর কিশোরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ছাগল উন্নয়ন খামারের এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত জিসান আহমেদ (১৭) চুয়াডাঙ্গা শহরের পৌর কলেজপাড়ার বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মসজিদের সামনে গান, বন্ধ করতে বলায় সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে জিসানসহ কয়েকজন কিশোর মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার (গেমস) খেলছিল। এ সময় তাদের মধ্যে খেলাকে কেন্দ্র করে জিসানের সাথে কয়েকজন কিশোরের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এর কিছুক্ষণ পর ছাগল উন্নয়ন খামার সংলগ্ন এলাকায় কিশোর জিসানকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ কিশোর ইকবাল ও বিপ্লব ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিসানের মাথায় কোপ দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় জিসানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া শারমিন বলেন, কিশোর জিসানের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ক্ষতস্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজ অধ্যক্ষকে কুপিয়ে জখম
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, মোবাইলে গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরদের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ হয়। এতে এক কিশোরকে কুপিয়েছে আরও দুই কিশোর বলে জেনেছি। এখনও অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।