চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় নদীতে শাপলা তুলতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নদীতে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বন্দরভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির হোসেন (৮) বন্দভিটা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে ও হোসাইন (৭) একই গ্রামের রানা মিয়া ছেলে।
নিহত স্কুলছাত্র সাব্বিরের চাচা বহুলুল বলেন,সাব্বির ও হোসাইন বেলা ১১টার দিকে একবার শাপলা তুলে নিয়ে এসেছে। দুপুরের পর আবারও তারা শাপলা তুলতে যায়। এরপর বিকাল হয়ে এলেও সাব্বির ও হোসাইনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের মধ্যে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে নদীর ধারে দেখতে যায় সাব্বির ও হোসাইনের বাড়ির লোকজন। এ সময় সন্দেহের কারণে নদীর পানিতে খোঁজ করার সময় বিকাল ৪টার দিকে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর বারী বলেন, ‘মরা গাংয়ের শ্মশান ঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুর ডুবে মারা গেছে। বিকালে পরিবারের লোকজন পানির মধ্যে তাদের লাশ খুঁজে পায়। একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘বন্দরভিটা গ্রামে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেল পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা
চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশুই একে একে মারা গেল। যদিও জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে ছেলে শিশুটি মারা যায়। এরপর বেঁচে থাকা তিন মেয়ে শিশু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা জন্মের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে একে একে মারা যায়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত তিন মেয়ে শিশুই মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এক সঙ্গে চার শিশু (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) জন্ম দেন তসলিমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন সেসময় সফলভাবে কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করান।
তিনি আরও জানান, সাধারণত কোনো শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্ম গ্রহণ করে ও তার ওজন ২ থেকে ২ দশমিক ৫০ কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। এক সঙ্গে যে চারটা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের ২ মাস আগেই জন্ম গ্রহণ করেছে।
তিনি জোনান, তাদের একেরজনের ওজন ১ দশমিক ৫ কেজির মতো বা তারও কিছু কম ছিল। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিল না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থাও করেছি। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হলো না।
এদিকে শিশুদের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, আমার তিন মেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থই ছিল। হঠাৎ একজনের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও একজন অসুস্থ হয়ে মারা যায়। মৃত দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি এসে দাফন করার প্রস্তুতি নিতে নিতে আরও একজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় নারী খুন, ভাইকে মারধর
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার উপজেলার দর্শনার মোহাম্মদপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মিম খাতুন ওরফে মর্জিনাকে (৩০) হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভাই আলমগীর হোসেনকে (৩৫) মারধর করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) ভোরে নিজ বাড়ির অদূরে একটি বেগুন খেত থেকে মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিম খাতুন দামুড়হুদার উপজেলার দর্শনা পৌরসভাধীন মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আরমান আলীর মেয়ে। তার স্বামীর নাম সুরুজ মিয়া। সে স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়িরে বাস করতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দর্শনা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কমিশনার এনামুল কবির বলেন, রবিবার রাত ৮টার দিকে কয়েকজন দুর্বত্ত মিম ও তার ভাই আলমগীরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে তাদের মাও ছিলেন। ঘটনাটি স্থানীয়দের না জানালেও তারা পুলিশকে জানান।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে যান। ভোরে স্থানীয়রা বেগুন খেতে একটি রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
আহত আলমগীর হোসেন বলেন, রাত ৮টার দিকে কয়েকজন দুর্বত্তরা বাড়ির সামনে থেকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। আমার চিৎকারে আমার বোন ছুটে আসলে তাকেও ধরে ফেলে। এ সময় বোন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে। এরপর আমি আর কিছু জানি না। পরবর্তীতে আমাকে পাশের বেগুন খেতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। পরে স্থানীয় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মামলা চলছে। আমার বোন তাকে মারধর করেছিল। এ কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিতো দ্বিতীয় স্ত্রী। থানায় জিডিও (সাধারণ ডায়েরি) করেছি। আমার ধারণা- এরই জেরে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। মামলা প্রক্রিয়াধীন। লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় ফাতেমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাতেমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় তার বসত ঘরের একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর বাজারের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০৬ অ্যাম্পুল নেশার বুপেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ একই বছরের ২২ জুন ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা শহরের সংলগ্ন দৌলতদিয়াড়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধাক্কায় এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের বিএডিসি সার গোডাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মনজুর হোসেন মনজু জেলার সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের ফায়ার সার্ভিস পাড়ার মৃত মাহতাব মন্ডলের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে মনজুর হোসেন ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় বিএডিসি সার গোডাউনের সামনে একটি ইজিবাইক ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আইসিপি চেকপোস্ট দিয়ে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে মো. সোহাগ নামে একজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
এ সময় তার কাছ থেকে ৬৪ লাখ টাকার মূল্যের ৭০০ গ্রামের ৬টি স্বর্ণের জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সীমান্ত মেইন পিলার ৭৬ হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ১৯ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
আটক সোহাগ শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার মেহেরআলী মাতবর কান্দী গ্রামের গোলাম মাওলা মাতবরের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, সীমান্ত মেইন পিলার ৭৬ হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তার লাগেজ ও অন্যান্য মালামাল গভীরভাবে তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে তার কথোপকথনে সন্দেহ হলে বিজিবি জওয়ানরা দর্শনার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে তার শরীরে এক্সরে করে। এসময় ওই ব্যক্তির শরীরের মলদ্বারে ধাতব জাতীয় বস্তু দেখতে পাওয়া যায়।
পরে বিজিবি টহলদল বর্ণিত যাত্রীকে দর্শনা বিজিবি চেকপোস্টে পুনরায় গভীরভাবে তল্লাশিকালে মলদ্বারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকায়িত ৭০০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তার কাছ থেকে একটি আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মোবাইল এবং তার কাছে থাকা ৮২৪ ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি নগদ ৪ হাজার ৮০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল জলিল বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে আটক করা আসামিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত ছাত্র।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
জানা গেছে, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে থাপ্পড় মারার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনার দিন, পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক হাফিজুর। এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষককে থাপ্পড় মারে অভিযুক্ত ছাত্র।
এ ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষে রবিবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান।
অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রুজু করে আমলে নেয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
এসময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর রোডে অবস্থান নিলে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে যানযট নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
মানববন্ধনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা আর যেন চুয়াডাঙ্গায় না ঘটে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সামাজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি, এটা থেকে উত্তরণ দরকার।
তারা আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানছিল না। যে কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক তার খাতাটি নিয়ে নেন এবং বসতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক লিখিতভাবে বিচারের আবেদন করেছেন। তার আবেদন ও সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সহকারে বিদ্যালয়ের সভাপতির পরামর্শে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারিকে কর্তব্য পালনে বাধাপ্রদান, আক্রমণ, অপরাধমূলক বল প্রয়োগ এবং আঘাতসহ ভয়-ভীতি প্রদানের অপরাধে ৩৩২, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু তালেব বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ওই শিশু জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শিশুটি সংশোধনাগারে (যশোর শিশু ইন্নয়ন কেন্দ্র) পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
আলমডাঙ্গায় ব্যাংক থেকে টাকা চুরির অভিযোগ, যুবককে মারধর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইসলামি ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধর দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে ব্যাংকের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম উজ্জল হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দুধপাতিলা গ্রামের নুরু বাঙ্গালের ছেলে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. মোমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১
এবিষয়ে ব্যাংকের সহকারী কর্মকর্তা কায়সার আলম বলেন, ক্যাশ সেকশনে হঠাৎ লাল গেঞ্জি পরা অপরিচতি যুবককে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখি তার কাছে টাকার বান্ডিলের ছোট ব্যাগ রয়েছে। এ সময় সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাকে ধরে ফেলি। পরে ব্যাংকে উপস্থিত গ্রাহকরা তাকে মারধর করে। তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই।
ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক ওয়াদুদ আলী জানান, কর্মকর্তারা সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে যুবকটি ক্যাশ সেকশনে ঢুকে টাকা নিয়ে দ্রুত বের হতে চেষ্টা করে। তখন কর্মকর্তারা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে গ্রামবাসীর সঙ্গে গাছের গুঁড়ি গাড়িতে উঠানোর সময় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রোকনুজ্জামান উপজেলার মাধবপুর গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে ও মাধবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে মাধবপুর গ্রামের আজমাদ আলী নামে এক লোক একটি গাছ বিক্রি করেন। গাছের ব্যাপারি গাছটি কেটে রবিবার সকালে আলমসাধু গাড়িতে উঠানোর জন্য কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে নেন।
গ্রামবাসীর সঙ্গে রোকনুজ্জামানও গাছের গুঁড়ি উঠানোর জন্য যায়। গাড়িতে উঠানোর সময় গাছের গুঁড়িটি গাড়ি থেকে পিছলে পড়ে যায়। গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান। গ্রামবাসী দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গাছের গুঁড়িটি গাড়িতে তোলার সময় অসাবধানতায় কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
বগুড়ায় বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িতে চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িতে চাপা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাধবপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রোকনুজ্জামান (১৪) ওই গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে এবং মাধবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ওই গ্রামের আজমাদ আলী গাছের ব্যাপারি রোজদার আলীর কাছে একটি গাছ বিক্রি করেন। রবিবার সকালে গাছটি কেটে আলমসাধু গাড়িতে উঠানোর জন্য রোজদার আলী কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে নেয়। গ্রামবাসীর সঙ্গে রোকনুজ্জামানও গাছের গুঁড়ি উঠাতে যায়। গাড়িতে উঠানোর সময় গাছের গুঁড়িটি স্লিপ করে পড়ে যায়। গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান। গ্রামবাসী গুঁড়ির নিচ থেকে রোকনুজ্জামানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানের নর্দায় বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গাছের গুঁড়িটি গাড়িতে তোলার সময় অসাবধানতায় কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
রোকনুজ্জামানের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য আবেদন করেছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০