মাদক
চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে এক যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) পৌর শহরের এরশাদপুরে নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আমিনুল হক মুক্ত (৩৪) আলমডাঙ্গা পৌর শহরের এরশাদপুর গ্রামের মৃত শমসের মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ শ্বশুরবাড়ি এরশাদপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল মুক্ত। তিনি কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং প্রায়ই মাদক সেবনের জন্য শাশুড়ি ও স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিতেন।
সোমবারও মুক্ত তার স্ত্রীর কাছে টাকা চান। স্ত্রীর কাছে টাকা না পেয়ে তিনি সোমবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিকলীতে গলায় রশি দিয়ে ৬৫ বছর বৃদ্ধের আত্মহত্যা
কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কক্সবাজারে ‘মাদক বহন না করায়’ প্রতিবন্ধী কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজার সদর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় শনিবার মাদক সরবরাহে অস্বীকৃতি জানানোয় মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
নিহত হেফাজ উদ্দিন ওই এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে।
জানা যায়, মাদক বহনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম করার জন্য কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা চাপ দিতো প্রতিবন্ধী হেফাজ উদ্দিনকে।
অবৈধ কাজ করতে না চাওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হতো। এ বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরকে একাধিক বার নালিশ করা হলেও কোনো সুরাহা পাই নাই। এ নিয়ে তাকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হতো।
এর জের ধরে ৩০ জুন সন্ধ্যায় আবারও মারধর করে প্রতিবন্ধী হেফাজ উদ্দিনকে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
নিহত হেফাজ এর বাবা সালেহ আহমদ বলেন, কিশোর গ্যাং-এর মারধরের কারণে তার ছেলে মারা গেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, এর আগেও হেফাজকে নির্যাতন করা হয়। পরে সালিশে বৈঠকে হেফাজকে নির্যাতন করবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় উচ্ছৃংখল কিশোরদের কাছ থেকে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এলাকাবাসী আহত অবস্থায় হেফাজকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মানবপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদকরোধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভায় অংশগ্রহণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রক্তপাত হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সেজন্য সভায় এভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যেন ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে; সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা হবে। আরসা ও আরাকান আর্মির কেউ যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না ঢুকতে পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেজন্য প্রয়োজন মোতাবেক সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান হতে পারে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চলবে। প্রয়োজনে যৌথ অভিযান চলবে। ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হয়ে না আসতে পারেন, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি, ওয়াচ টাওয়ার হয়েছে, সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থাও আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেগুলো আরও জোরদার করা হবে। যাতে তারা বাইরে না আসতে পারেন। যৌথ টহলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
টেকনাফে মাদক জব্দ, আটক ৪
কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মিয়ানমারের চার নাগরিককে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১ দশমিক ০৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৩৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৪৩০ ক্যান বিয়ার জব্দ করার দাবি করেছে বিজিবি।
সোমবার রাতে বিজিবি এ অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন- শফিউর রহমানের ছেলে ওয়াজ করিম (২২), আমির হাকিমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (১৯), আনিস আহমেদের ছেলে মো. ফয়সাল (২০) এবং মিয়ানমারের হোসেন আহমেদের ছেলে জসিম উদ্দিন।
এদের মধ্যে ফয়সাল ও জসিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বিজিবি-২-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে বিজিবি-২ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করার সময় একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে।
পরে নৌকার ভেতর থেকে বিয়ার ও মদসহ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
টেকনাফে ১২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ
টেকনাফে মাদক জব্দ, যুবক আটক
তুরাগে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার
তুরাগ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সন্দেহভাজন শুক্রবার রাতে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- আব্দুর রউফ, মো. রাজু ও মো. ফারুক মিয়া ওরফে টুলু।
শনিবার তুরাগ থানা ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তরা বিভাগ) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, শুক্রবার তুরাগ থানার এসআই মো. শাহিনুর রহমান খানের কাছে গোপন সংবাদ ছিল যে তুরাগ থানাধীন ফুলবাড়িয়ার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে এসআই মো. শাহিনুর রহমান খান তার টিম সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও আব্দুর রউফ ব্যর্থ হয়ে ছাদে পানির ট্যাংকির আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পানির ট্যাংকির পেছন থেকে বেরিয়ে এসে এসআই শাহিনুরকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
এসআই শাহিনুরকে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডিসি (উত্তরা বিভাগ) জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ, মো. রাজু ও মো. ফারুক মিয়া ওরফে টুলুকে ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ পলাতক আসামিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে তুরাগ এলাকাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে আপনাদের সকলকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গার হাটস্থ টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সন্তানরা যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সেজন্য তিনি সকল অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই স্কেলে তুলনা করার বিষয়ে প্রবল আপত্তি করে তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে বিএনপির সঙ্গে তুলনা করেন, আবার কেউ বলেন বড় দুই দল।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং বাকি আসনে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করেছিল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কিভাবে এই দুই দল এক হতে পারে?’
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা ও পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা মানুষকে কিছুই দেয়নি, তারা শুধু জনগণের অর্থ লুট করেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের দলের গঠনতন্ত্রও মানে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে না।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপি একজন নেতাও কি পায় না যে অন্তত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন?’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে, দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘যারা নিজের দলের গঠনতন্ত্র মানে না, নিয়ম মানে না, আইন মানে না, সেই দলের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে।’
তিনি বলেন, যারা ওই ‘বড় দুই দল’ বলেন, তারা ভুল করেন।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শুধু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ বলেন, সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি।
তিনি বলেন, তবে শুধুমাত্র আমাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ মাদকের চাহিদাও বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের সমাজকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। সেকারণে মাদকের কুফল সমাজে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি দপ্তরে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- পাঁচ হাজার ৭৮১ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৪৩ কেজি গাঁজা, ১১ হাজার ৭৮৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১৭ হাজার ৭৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ হাজার ৪৬৫ পিস ভারতীয় অনাগ্রা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
মাদক ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ।
এ সময় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক অপারেশন মেজর রেজা আহমেদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার, সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার মেজর গালিব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রাইভেটকার থেকে ৯ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত
‘মাদককে না বলি’- এই শ্লোগান নিয়ে দৌড়কে সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শুক্রবার ভোর ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে হাফ ম্যারাথন শুরু হয়।
যেখানে ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৭৭ জন, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৮৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৮৯ জন।
এই প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের ২৫০ জন দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, রাশিয়া ও নেপালের ৬ জন দৌড়বিদ ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার মুজিবের বাংলাদেশ-বিমান হাফ ম্যারাথন ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া ম্যরাথন দৌড় শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা রোড, চর ইসলামপুরের গঙ্গানগর হয়ে আবার শিমরাইলকান্দি ব্রিজে এসে শেষ হয়।
পরে বিজয়ী দৌড়বিদদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদপত্র দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’ জিতেছেন কেনিয়ার কিপ্রোটিচ
পতেঙ্গায় ম্যারাথন দৌড় শেষে অ্যাথলেটিকসের মৃত্যু
মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগির জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুরের নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রামের বাঁশতলা এলাকায় কুচুরিপনা ভর্তি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত
হত্যার শিকার হাসানুর রহমান (৪১) চিরিরবন্দরের নশরতপুরের ভঘুপাড়ার মৃত মকছেদ আলীর ছেলে।
সে মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
নিহত হাসানুর রহমানের মা হাসিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রাম্য চৌকিদারের তাড়া খেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আর ফিরে আসেনি তার ছেলে। বুধবার নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রামের বাঁশতলা এলাকায় কুচুরিপনা ভর্তি পুকুরে তার ছেলের লাশ পড়ে ছিল।
লাশের পাশে হাসুয়াসহ হত্যায় ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী পড়ে ছিল।
মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মাদক বেচা কেনার টাকা লেনদেনের জের ধরেই তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেশী কয়েকজনের নামে অভিযোগ তুলছেন তিনি।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
পুলিশের সামনে থেকে যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
মাদক একেকটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মাদক একেকটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়, সেজন্য সবাইকে মাদকের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কেউ মাদকে আসক্ত হলে শুরুর দিকেই তা বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া মাদক নির্মূলে পরিবারের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবারে সন্তানদের শাসনের মধ্যে রাখা উচিত যাতে তারা মাদক থেকে দূরে থাকে।
আরও পড়ুন: ভারতের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গার্ডেন উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নতুন বাজারে আয়োজিত মাদক বিরোধী এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা যদি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হই, ঘরে ঘরে মাদক বিরোধী আন্দোলনে শামিল হই তবে আমরা মাদকের বিরুদ্ধেও জয়ী হবো।
মাদক ও নেশা বিরোধী সংস্থা ‘মানস’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এবং মানস-এর প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বরবিন্দু ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার বিন সালেহ, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান এবং বিশ্বনাথ পৌরসভার চেয়ারম্যান মো. মহিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশ্বনাথের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেট-শিলচর উৎসবে যোগ দিতে আসাম গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৯৭১ সালের পরাজয়কে ‘সামরিক ব্যর্থতা’ বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী