মাদক
কেরানীগঞ্জে বাড়ছে মাদক বেচাকেনা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাড়ছে মাদক বেচাকেনা। এছাড়া মাদক বিক্রির স্পট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দে এক মাসের ব্যাবধানে খুন হয়েছে দুইজন।
এদিকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানা (৩০) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পারগেন্ডারিয়া ঋষি পাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
এছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মাসুম (৩০) নামের যুবককে হত্যা করা হয়।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাতপাখি কানাপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডে রবিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার রাতে থানার পারগেন্ডারিয়া ঋষি পাড়া এলাকায় রানা আহমদের সঙ্গে মাদক কারবারি সম্রাটের কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় সম্রাট তার সঙ্গে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে রানার পেট ও পিঠে বেশ কয়েকবার আঘাত করে।
খবর পেয়ে নিহতের পরিবার রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর আহত রানাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।সেখানে চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে গত ১৯ অক্টোবর মাসুম (৩৫) কে অপু পাড়গেন্ডারিয়া কানাপট্টি এলাকায় নিজ বাড়িতে ঢুকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায়ও থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এছাড়া ১৩ নভেম্বর থানার মুসলিম নগর এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ী খোকনের কাছে মাসোহারা তুলতে গেলে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা তিন পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে।
ওই ঘটনায় কেরানীগঞ্জে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নবদম্পতির মৃত্যু
সিত্রাং তাণ্ডবে কেরানীগঞ্জে দুটি ভবন হেলে পড়েছে
খুলনায় মাদক মামলায় এক নারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
খুলনায় মাদক মামলায় এক নারীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই নারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেনে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফাতেমা বেগম পিরোজপুর মাছিমপুর এলাকার জাহাঙ্গীর শেখের স্ত্রী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আদালতের সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২২জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে রূপসা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এক নারী কয়েকদিন ধরে মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা করছে। এমন সংবাদে তারা পরেরদিন সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে ৫২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তার বাদী হয়ে খুলনা থানায় মাদক আইনে মামলা করেন। একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখার এস আই মো. মোসাদ্দেক হেসেন ওই নারীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলেও জানান যায়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি পরিবারের
মাদক মামলায় বাদলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল
সিনহার কারাদণ্ড প্রমাণ করে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: আইনমন্ত্রী
জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব: মহাপরিচালক
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হয়ে র্যাব অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে র্যাব-৯। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের তরে কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৯। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।
আরও পড়ুন: জঙ্গিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সব অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার কেউ আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
র্যাব তার নীতিতে অবিচল উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বান্দরবনের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গহীন অরণ্যে শুধু নয়;জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্রগ্রামে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক ১০
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রবিবার(২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাদক রাখার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
বিকালে ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী শাহ মো. আবু জাফর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুর শহরের উত্তর আলীপুর মহল্লার পান্নু বিশ্বাস(৫৪) ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের রিপন গাজী(৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় পান্নু বিশ্বাস আদালতে হাজির থাকলেও অপর আসামি রিপন গাজী পলাতক রয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৭ মে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় র্যাবের ডিএডি মো. ফিলিপ্স আলি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ মে সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দী বেইলি সেতু এলাকায় একটি মোটরসাইকেল থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া তাদের চালিত একটি ওয়ালটন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আসামিরা ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে মাদক রাখার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এক যুবককে হেরোইন বহনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির বুধবার বিকালে এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোকছেদ আলী (২৮) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বজ্রাপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (শাহজাদপুর সার্কেল) উল্লাপাড়া উপজেলার বজ্রাপুর মধ্যপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩’শ গ্রাম হেরোইনসহ মোকছেদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এক পর্যায়ে মোকছেদ আলী জামিনে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপন করে। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার বিকালে মোকছেদ আলীর অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় দেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কক্সবাজারে ১৩ কোটি টাকার মাদক জব্দ বিজিবির
কক্সবাজারের টেকনাফে ১৩ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধারের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার উপজেলার খরংখালী এলাকা থেকে এ মাদক জব্দ করা হয়।
বিজিবির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মো.ইফতেখার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে টেকনাফ উপজেলার খরংখালী এলাকা থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে বহনকারী একটি নৌকা জব্দ করে। তারা তখন নাফ নদী পার হয়ে বেড়িবাধ এলাকার দিকে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
তিনি বলেন, সন্দেহভাজন দুই চোরাকারবারি পালিয়ে গেলেও বিজিবি সদস্যরা ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২ দশমিক ১২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে।
এদিকে, ভোর ৫টা ১০ মিনিটে টেকনাফ উপজেলার হাওয়াইকংয়ে বিজিবি-২ এর একটি দল অন্য একটি অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার জব্দ করেছে।
জব্দকৃত সামগ্রীর বাজার মূল্য এক কোটি ৫১ লাখ টাকা।
তবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে ৪০ লাখ টাকার ইয়াবা জব্দ, আটক ২
চট্টগ্রামে সাড়ে ১৭ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
‘সেপ্টেম্বরে ১২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ’
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জব্দ করা মাদকের মধ্যে রয়েছে আট লাখ ৩১ হাজার ৫৯৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট, তিন দশমিক ১৪১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১৯ হাজার ৭৯৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ হাজার ২০২ বোতল বিদেশি মদ, ৭৯৫ লিটার দেশি মদ, দুই হাজার ৬৮০ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ২০৬ কেজি গাঁজা, দুই দশমিক ১৬ কেজি হেরোইন, ২১ হাজার ৯৮টি ইনজেকশন, ছয় হাজার ৬২০ বোতল এসকুফ সিরাপ, ৭৫৫টি বোতল এমকেডিল/কফিডিল, দুই লাখ ৮৫ হাজার ২৬৭টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৯ লাখ ৬১ হাজার ৫২৪টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ৯৭ হাজার ৩৫০টি ট্যাবলেট।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৩১ দশমিক ৮৫১ কেজি সোনা, ৮ দশমিক ৪০০ কেজি রূপা, এক লাখ ৮৩ হাজার ৪৭০টি প্রসাধনী সামগ্রী, এক হাজার ৬৩টি ইমিটেশন গহনা, ১৯ হাজার ৯৫৬টি শাড়ি, দুই হাজার ৯৩০টি থ্রি-পিস/শার্টের কাপড়/বিছানার চাঁদর/কম্বল, দুই হাজার ১০৫টি তৈরি পোশাক, দুই হাজার ৩৪৭ সিএফটি কাঠ, চার হাজার ৫০২ কেজি চা পাতা, ৪০ হাজার ৮৫০ কেজি কয়লা, পাঁচটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৪৯১ কেজি কীটনাশক, ৫৬টি মোটরসাইকেল, পাঁচটি গাড়ি (কার/মাইক্রোবাস), ১০টি পিকআপ ভ্যান, ২৪টি সিএনজি/ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
জব্দ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, সাতটি বন্দুক, ১৬ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন ও ৫৮৮ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য।
এদিকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করার সময় ২২৩ জন চোরাকারবারী, ৮৬ বাংলাদেশি ও চার ভারতীয়কে আটক করেছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- হরিপুর উপজেলার মরাধর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আকমল (১৯), মাইনুল হকের ছেলে হাসেম আলী (২০) ও সাজ্জাদ আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৩৪)।
এছাড়া বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি হলেন মো. আব্দুল করিম।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় জানান,২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার চিকনি গ্রামে তিনশ’ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
আইনজীবী আরও জানান, ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
যশোরে মাদক ও মদ জব্দ, আটক ৯
বৃহস্পতিবার পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এই সময় আট ভারতীয় নাগরিকসহ ৯ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল জেলার চুড়িপোট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ছয় জনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম নজিউর রহমানের মতে, আটক ছয় জনের সবাই ভারতীয় নাগরিক।
অপর এক ঘটনায়, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল জেলার আশ্রম মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই দিনে আড়াই হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৪০ বোতল দেশি ও নয় বোতল ভারতীয় মদসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে।
আরও পড়ুন: মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
এদিকে, যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলার বারান্দিপাড়া ঢাকা ব্রিজ এলাকা থেকে ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় যশোরের কোতোয়ালি থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে আটকদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার মাদক মামলায় ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-০১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম তিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের দবির কশাইয়ের ছেলে বাবুল (৩৫), রমজান আলীর ছেলে মুসলাম আলী (৩২), লিয়াকত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (৩২), সিরাজ মন্ডলের ছেলে বকুল মন্ডল (৩০), মমিনের ছেলে জাহিদুল (২৫) এবং একই উপজেলার ডাংমড়কা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে হাবু মন্ডল (৩০)।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর, জাহিদুল এবং হাবু মন্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি পলাতক আছে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৪ সালের ২৪ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে পান বরজের পাশে অভিযান চালিয়ে ৪৬ কেজি গাঁজা এবং ৬৭১ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় জব্দকৃত মাদক ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কিশোর হত্যার অভিযোগে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খাদেমুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এস এম জাহিদ বিন আলম।
এই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন