মাদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ইয়াবা-হেরোইন উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও এক কেজি ২৮০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লাহর নেতৃত্বে বিজিবির টহল দল রবিবার রাত ৯টার দিকে আজমতপুর সীমান্তের ১৮১/৯ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে হুদমাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার
এসময় এক চোরাকারবারিকে দেখতে পেয়ে তাকে ধাওয়া করলে তিনি একটি ব্যাগ ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যান। পরে ফেলে দেয়া পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও এক কেজি ২৮০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ হোসেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আহমদের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট (পিপি) রনজিত দাশ জানান, ২০১৩ সালে ৯ হাজার ৮৫০ ইয়াবাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল মোহাম্মদ হোসেন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সাত জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
১১ বছরে ধরে পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
১১ বছর ধরে পালিয়ে থাকা খাগড়াছড়ির সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর থানার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো.আব্দুল কাদের (২৭) দিঘীনালা উপজেলার বোয়ালখালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
রবিবার র্যাব-৭ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫৩ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মো.আব্দুল কাদেরকে চার কেজি পাঁচ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়। এরপর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাকে একবছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। উক্ত মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ পলাতক থাকেন।
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষকের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
এদিকে আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে র্যাব-৭ সদর থানার সবুজবাগ এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার করা আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ সীমান্ত এলাকা থেকে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার সকালে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে বিজিবির
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৫০ গ্রাম হেরোইন জব্দ, যুবক আটক
একটি টহল দল রবিবার রাত ১১টার দিকে সোনামসজিদ সীমান্তের ১৮৪/৫ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে বাংলাদেশের প্রায় ২০ গজ অভ্যন্তরে তোহাখানা এলাকা থেকে দুই জনকে দেখতে পায়। এসময় টহল দল তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি ব্যাগ ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার সিজার মূল্য ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেরোইন-ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩১ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য সামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ কিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে-১২ লাখ ১৩ হাজার ১৭১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, সাত কেজি ৮৯৮ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, এক কেজি ৮৮৫ গ্রাম হেরোইন, তিন কেজি ১৫০ গ্রাম আফিম, ২২ হাজার ৬৭ বোতল ফেনসিডিল, ১২ হাজার ৫৮৮ বোতল বিদেশি মদ, তিন হাজার ৯৬০ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ১৪৮ কেজি গাঁজা, দুই লাখ ৮০ হাজার ৬৩৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৮৩৫ কেজি তামাক পাতা, ৫১ হাজার ১৩৭টি ইনজেকশন, পাঁচ হাজার ৬৯৬টি ইস্কাফ সিরাপ, এক হাজার ৩১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ছয় লাখ ৫২ হাজার ১৬২ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ চার হাজার ৪০০টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৬৮ হাজার ৯৬৩টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৩৯৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১৪ কেজি ৫৮৫ গ্রাম স্বর্ণ, ৩৫ কেজি ২৭৪ গ্রাম রূপা, ৭১ হাজার ৯৫৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৮ হাজার ৭৮৬টি ইমিটেশন গহনা, ৯ হাজার ৫২৬টি শাড়ী, এক হাজার ৮০০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৪৬৬টি তৈরি পোশাক, এক হাজার ৯৪২ ঘনফুট কাঠ, ২৬ হাজার ১৯২ ঘনফুট পাথর, পাঁচ হাজার ৫৩৬ কেজি চা পাতা, ৪৯ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, ১১১ কেজি কারেন্ট জাল, একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, পাঁচটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, চারটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, সাতটি পিকআপ, ২৫টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৪টি মোটরসাইকেল।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার মোট ৩১টি অস্ত্র, দুটি ম্যাগাজিন, ৮৪ রাউন্ড গুলি এবং ১১৬ কেজি বিস্ফোরক জাতীয় সালফার আটক করা হয়।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২৭ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৯জন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন আফগান নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
মার্চ মাসে ১১৮ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
রাজধানীতে আটক ২, ফেনসিডিল জব্দ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. জুয়েল (৩৬) ও মো. সাখাওয়াত হোসেন (৩২)।
গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, র্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় কয়েকটি চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি গাড়িসহ ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাঁজা জব্দ,আটক ২
শনিবার র্যাব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩৫৩ বোতল ফেনসিডিল ও তাদের গাড়িটি জব্দ করা হয়।
র্যাবের সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা শাখা) বীনা রানী দাস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা কুমিল্লা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে ঢাকায় বিক্রি করতো।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভুয়া সেনা সদস্য আটক
তিনি আরও জানান,আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাঁজা জব্দ,আটক ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। এই সময় দুজনকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে উপজেলার রহনপুর খোয়াড়েরমোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) ও একই এলাকার আইনাল হকের ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩০)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনাবগঞ্জে গাঁজা জব্দ, যুবক আটক
র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার দিকেগোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুন খোয়াড়েরমোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় দুই কেজি গাঁজাসহ মাসুদ রানা ও শাহারুল ইসলামকে আটক করা হয়।
কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকিরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ২৪ ধরনের মাদক পাচার হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক চোরাচালানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে।
শুক্রবার রামুতে বিজিবি কক্সবাজার আঞ্চলিক মাঠে মাদক নির্মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে, তারা যেই হোক না কেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাদকসেবীর ৫০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। দেশের এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। তাই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিশাল এলাকা রয়েছে এবং এর মধ্যে অনেকগুলো অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় যেখানে সীমান্তরক্ষীরা সহজে সেখানে যেতে পারে না।
তাই বিজিবি হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সীমান্ত সড়কের কাজও চলছে। যা শিগগিরই শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কক্সবাজারে গত এক বছরে জব্দ করা ৩৯৫.৭৬ কোটি টাকার মাদকও আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিজিবি কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারে ৩৯৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি
কক্সবাজারে গত এক বছরে জব্দ করা ৩৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭ পিস ইয়াবা, ২৩ কেজি ৭৫২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ছয় হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৩৩৯ বোতল অ্যালকোহল, ১৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০৫ লিটার বাংরা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা, ৪৮ হাজার ১৯ পিস বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট ও সাত অ্যামোনিয়াম সালফারের বোতল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার মাদকসহ দুই রোহিঙ্গা আটক
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটক এক হাজার ৯৭৯ জন মাদক ব্যবসায়ী ও বিপুল পরিমাণে মাদক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির অভিযানের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিবি কক্সবাজার আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজাম-উস-সাকিব।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আটক ২, ফেনসিডিল জব্দ
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিজিবি কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মাদক মামলায় খালাস পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান
মাদক মামলা থেকে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে অব্যাহতি দিয়েছে ভারতের মাদকবিরোধী সংস্থা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।
শুক্রবার দেশটির নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এনডিপিএস আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। দাখিল করা অভিযোগপত্রে আরিয়ান খানের নাম ছিল না।
তবে এই মামলায় মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্ট অভিযোগপত্রে খালাস পাননি। দুজনকেই মাদক মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে আরিয়ান খান ছাড়াও রয়েছেন সাহু, আনন্দ, সুনীল সেহ, অরোরা। এ কারণে তাদের সকলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ক্রুজ মাদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে আটকের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর ২৮ অক্টোবর শাহরুখপুত্র জামিন পান।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিতে আরও সময় চায় এনসিবি
এর আগে ৩ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে আটক করে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
জাহাজটিতে বলিউড এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেক সেলিব্রেটিরা ছিলেন। পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের খবর পেয়ে অভিযান চালায় এনসিবি।
এনসিবি'র সূত্র অনুযায়ী, আরিয়ান ছাড়াও মাদক সেবনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মাদক ও নিষিদ্ধ পদার্থ জব্দ করা হয়েছে।
আরিয়ানে বাবা শাহরুখ খান বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান তারকাদের একজন। ‘কিং খান’ নামে পরিচিত ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৮০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
শাহরুখ খান ১৯৯৫ সালে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল চলচ্চিত্র। ছবিটির শুটিং হয়েছে ভারত ও ইউরোপে।
তার অন্যান্য সফল সিনামগুলোর মধ্যে রয়েছে দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) এবং দেবদাস (২০০২)।
আরও পড়ুন: শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সমীর অপসারিত
জামিনের দু'দিন পর জেলের বাইরে শাহরুখপুত্র আরিয়ান