মুক্তিযোদ্ধা
কালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখল মুক্ত করেছে পুলিশ
নড়াইলের কালিয়ার সেই মুক্তিযোদ্ধা এস এম মতিয়ার রহমানের বসতঘর দখল মুক্ত করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তালা খুলে দখল মুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মতিয়ার রহমান উপজেলার বিলধুড়িয়া গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে।
এর আগে ৩০ মার্চ বিরোধীরা তার বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে নিলে মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান গত ১০ এপ্রিল ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য থাকার সুযোগে প্রতিবেশি মো. শাহাজান শেখ এক খণ্ড জমি নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। একজন অসুস্থ্য ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে একটি বীর নিবাস উপহার দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বীর নিবাস হস্তান্তর করলে মতিয়ার তার বসতঘরটি তালাবদ্ধ করে স্বপ্নের বীর নিবাসে চলে যান।
৩০ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে শাহাজানের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজন দুর্বৃত্ত মতিয়ারের তালাবদ্ধ বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে ঘরে থাকা মালামাল লুটে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ওই দিনই সন্ধ্যায় তিনি বড়নাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির (ক্যাম্প ইনচার্জ) কাছে দখলদার উচ্ছেদসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করে। পরে তিনি অভিযোগটি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালিয়া থানায় পাঠন।
এরপর ১৫ দিন পর শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপে দখলকৃত বসতঘরটি দখল মুক্ত করে মতিয়ার রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।
মতিয়ার রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, তার বসতঘরটি অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। ন্যায় বিচার পেয়ে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শেখ নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখলের অভিযোগটি জানতে পেরে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বসতঘরটি দখল মুক্ত করা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সমস্যার সমাধান করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলে জানান।
কালিয়ার ইউএনও ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি রুনু সাহা বলেছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আইনি সহায়তা দিয়ে তার অধিকার সংরক্ষণ করাই প্রশাসনের মূললক্ষ্য।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তার সমস্যার সমাধান করায় তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
ডা. জাফরুল্লাহকে শুক্রবার সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে: পরিবার
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শুক্রবার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাবার নামাজে জানাজার আগে আলাপকালে ড. জাফরুল্লাহর ছেলে ও পরিবেশবিদ বারিক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বারিক চৌধুরী বলেন, আমার বাবা চেয়েছিলেন তার মরদেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করা হোক। এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধার কারণে কোনো হাসপাতালই তার দেহ কাটতে রাজি হয়নি। তাই তার লাশ সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল সকাল ১০টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আরেক নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে তাকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাখা হবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঙ্গলবার ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফিকে প্রধান করে রবিবার একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে ছিলেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি ক্যাপ্টেন আখতার আহমেদের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
হাসপাতালটি তখন বাংলাদেশি চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বাস্থ্যসেবায় পূর্বে কোনো প্রশিক্ষণ নেই এমন নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তাদেরকে রোগীদের সহায়তা করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি অনন্য। স্বাধীনতার পর যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্ম হয়, তখন এই বৈপ্লবিক প্রস্তাবের পেছনের ধারণাটি জনস্বাস্থ্য সরবরাহের দর্শনে বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
তিনি ১৯৮২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম জাতীয় ওষুধ নীতির স্থপতিও ছিলেন। যা এখনও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেশের সাফল্যের একটি কেন্দ্রীয় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনসংখ্যার আকারের বিচারে এটি অবিস্মরণীয় কঠিন কাজ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে কলকাতায় এবং পরে তার পরিবার বাংলাদেশে বসতি স্থাপন করে। তিনি ১৯৭২ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। 'বেসিক হেলথ কেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' (গ্রামীণ বাংলাদেশে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা) শীর্ষক একটি ধারণাপত্রে এই প্রস্তাব প্রথম উপস্থাপন করা হয়।
জাফরুল্লাহ ছিলেন তার মা-বাবার ১০ম সন্তান। বকশীবাজারের নবকুমার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং জেনারেল অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তবে যুদ্ধে ফিরে এসে তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।।
১৯৮৫ সালে তিনি ওষুধ নীতি ১৯৮২ এর ওপর তার কাজের জন্য কমিউনিটি লিডারশিপ বিভাগে র্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার জিতেছিলেন।
স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নে তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কম ব্যয়বহুল জেনেরিক ওষুধের বিকাশে অগ্রদূত ছিল। জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশে পল্লী স্বাস্থ্যসেবা বীমা ব্যবস্থা চালু করে।
২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউসি বার্কলে তাকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী অত্যন্ত সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে নিজেকে আকৃষ্ট করেছেন, তবে জনস্বার্থে নিজের বিবেকের কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।
যদিও তিনি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, তবুও তিনি অনিবার্যভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
কিন্তু তার সামগ্রিক জীবনের কাজকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে গণ্য করা যায় না এবং এমন অনেক সময় ছিল যখন তার মতামত বিএনপির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক ছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সোমবার সকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
এদিকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
সরকারের দায়িত্ব শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া: ডা. জাফরুল্লাহ
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা স্বরূপ রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফল ও মিষ্টান্ন প্রেরণ করেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস ও উৎসবে, যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ ও বাংলা নববর্ষের দিনে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের প্রন্তিক মানুষের কল্যাণ হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার ভালো থাকেন।
তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত হারে ভাতা প্রদান, চিকিৎসা এবং আবাসনের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধাগণ মনে করেন যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একদিন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ এবং আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ও উপস্থিত সকলেই প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন ত্যাগী নেতাকে হারাল।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
দিনাজপুরে ট্রাক চাপায় মুক্তিযোদ্ধা নিহত
দিনাজপুরে ট্রাকের ধাক্কায় এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টায় পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়ার পাথরখনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত আলী (৭০) পাবর্তীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকার পালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ইজিবাইকের চাপায় শিশু নিহত
স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত আলীকে একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি।
এছাড়া ঘাতক ট্রাক এবং চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন উর রশিদ বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত
চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, নারী আটক
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আহমেদ হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা তার বসতঘরে ভাঙচুর চালায় এবং লোকজন নিয়ে তার জমিতে জোর করে দেয়াল তুলে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাহিদা সুলতানা নামে এক নারীকে আটক করলেও মূল অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের ঘটনা ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ধুনটে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা
স্থানীয় সুত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায় অভিযুক্ত লোকমান ও তার স্ত্রী নাহিদা সুলতানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে লোকজন নিয়ে জোর করে মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের জমিতে দেয়াল তুলে দেয়। এই ঘটনার পর হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের ছবি পোস্ট করে নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবি করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ সচেতন মহল এর প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে থাকে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের খবরটি জানতে পেরে রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমি নিজে উপস্থিত থেকে নির্মিত দেয়ালটি ভেঙে দিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত লোকমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে আটক করেছি। লোকমানসহ তার অন্যান্য সহযোগিদের আটক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ: ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে ফিরেছে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরিসহ ভাতা বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ সব সুযোগ-সুবিধা বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলার জুড়ী উপজেলা প্রশাসন এ আয়োজন করে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। এছাড়া দেশকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী চিন্তা করেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন ও দেশের উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই বলে জানান।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন–উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, ভাইস-চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা এবং সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুলেশ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
এরপর মন্ত্রী পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের হাজী মাহমুদ আলী দাখিল ও হাফিজিয়া মাদরাসা পরিদর্শন এবং সুধী সমাবেশে যোগদান করেন, নয়াবাজারে গ্রান্ড শাপলা কনভেনশন হল উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি জুড়ী উপজেলা ওয়েল ফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে এবং আদর্শ দরিদ্র তহবিল নয়াবাজারের যৌথ উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
ডলার দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই, যুবককে গণধোলাই
সিলেটে এক মুক্তিযোদ্ধাকে কম দামে ডলার কিনে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে চার লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা।
রবিবার নগরীর জিন্দাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক ওই যুবকের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা যায়নি।
পরে ওই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করলে আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গণধোলাইয়ে ‘ছিনতাইকারী’ নিহত
প্রতারণার শিকার মুক্তিযোদ্ধার নাম গৌরাঙ্গ দেব গোপাল। তিনি সিলেট নগরীর শিববাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার মূল বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউরা উপজেলার পৃথ্বিমপাশা এলাকায়।
আটক যুবকের নাম আসাদ মিয়া মল্লিক। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আবদিয়া গ্রামের আসমত মল্লিকের ছেলে।
মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ জানিয়েছেন, স্ত্রীকে নিয়ে তার ভারতে তীর্থে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার ডলার কেনার জন্য তিনি নগরীর আম্বরখানাস্থ সোনালী ব্যাংকের নিচে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে যান। কিন্তু ডলারের দাম বেশি দেখে তিনি ডলার কেনেননি। ওই সময় আসাদ মিয়া নামে এক যুবক তাকে অপেক্ষাকৃত কম দামে ডলার দেয়ার আশ্বাস দেয়। কথা আনুযায়ী রবিবার সকালে তিনি চার লাখ টাকা নিয়ে সিলেট নগরীর লালবাজার এলাকায় আসেন।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে অপর এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে আসাদ গৌরাঙ্গের কাছে আসে। ডলার নেয়ার জন্য গৌরাঙ্গ টাকা বের করলে আসাদ ও তার সঙ্গে থাকা অপর যুবক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
গৌরাঙ্গ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জিন্দাবাজার এলাকায় ধাওয়া করা আসাদকে আটক করলে জনতা গণধোলাই দেয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, আসাদ প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার কাছ থেকে জাল ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে আটক করলে টাকা উদ্ধার করা যাবে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ