মুক্তিযোদ্ধা
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বাবু বিজয় কুমার মারা গেছেন
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বাবু বিজয় কুমার রায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘনেশ্যাম (ঝন্টুর মোড়) এলাকার গ্রামের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘ডিজিটাল সনদ’ পাবেন: মন্ত্রী
তার ছেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার রায় অজয় জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়িতে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, বেশ কয়েকমাস ধরেই বার্ধক্যজনিত অনেক রোগে ভুগছিলেন তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা বাবু বিজয় কুমার।
আরও পড়ুন: ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ কালু মারা গেছেন
অধ্যাপক বাবু বিজয় কুমার রায় বর্ণাঢ্য জীবনে দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছিলেন তিনি। এছাড়াও কর্মজীবনে তিনি জলঢাকা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপনা করেছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয়।
আর পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বাবু বিজয় কুমার রায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ।
লোহাগাড়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর এক মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জঙ্গল পদুয়ার বারৈই পাড়া খালের বাঁশ ঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা মেঘনাথ দে (৮০) একই এলাকার স্বর্গীয় আনন্দ মোহনের ছেলে।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হামিদ বেঙ্গল জানান, নিহত মেঘনাথ তালিকাভুক্ত না হলেও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৭ সালে তার নাম তালিকাভুক্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
মেঘ নাথের বৃদ্ধা স্ত্রী জানান, তিন দিন আগে তার স্বামী নিখোঁজ হয়। তারা আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে স্বামীকে খুঁজেছেন।
তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে মেঘনাথ ২-৩ দিনের জন্য কোথাও চলে যেতেন। আবার বাড়ি ফিরতেন। এবারও আমরা তাই মনে করেছিলাম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে খালের পাড়ে বাঁশবনে লাশ পাওয়ার কথা শুনে এসে দেখি এটা আমার স্বামীর লাশ। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর কারণ বের করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাই।
পড়ুন: রাজধানীতে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
সাতকানিয়া সার্কেলের এএসপি জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, এলাকার মেম্বারে দেয়া খবর পেয়ে আমরা এসে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রিপোর্ট আসার আগেই আমরা তদন্ত শুরু করবো। মেঘনাথের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পড়ুন: কক্সবাজারে হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি কেনা হবে। বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোর জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নত মানের লেডার কেনা হবে ।’
রবিবার ঢাকায় মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২১ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক মহড়া’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আগা খান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল কাশেম মোল্লা।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রাণ নির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কবার্তা প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘উপকূলে পাঁচ হাজারেরও বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।’
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসিত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সচেতনতা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও বুলবুল এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এসব ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। এবছর ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায়ও সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রশংসিত হয়েছে সারাবিশ্বে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।’
বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘ডিজিটাল সনদ’ পাবেন: মন্ত্রী
দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
তিনি বলেন, ডিজিটাল সনদ একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে ইউনিয়ন নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একযোগে বিতরণ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ নূরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসনামল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রায় ১০ হাজার সনদ যাচাই বাছাই করে বাতিল করা হয়েছে। ‘প্রকৃতপক্ষে, দেশে গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়া হবে।
প্রমাণ করতে হবে জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা: আইনমন্ত্রী
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে দেখা যায়নি। সে কারণে তাকে (জিয়াউর রহমানকে) প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কিনা সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের আইন অনুষদের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার: আইনি পর্যালোচনা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় রোববার (২৯ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আজকে দুঃখের সাথে বলতে হয়, কালকে একটি বিজ্ঞপ্তি পড়ছিলাম। এই খুনি জিয়াউর রহমান কালুরঘাটে প্রতিরোধ যদি গড়ে না তুলতো তাহলে নাকি বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমি আজকে একটা কথা বলি, কালুরঘাটের প্রতিরোধের পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিল নাকি সৈন্যরা করেছিল সেটা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা থাকতে পারে। কথা হচ্ছে, কালুরঘাটের সেই প্রতিরোধের পরেও কিন্তু ৯ মাস যুদ্ধ চলেছিল।
আনিসুল হক বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা সব দিক দিয়ে শত্রুকে পরাজিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ হচ্ছে তার কর্মকাণ্ডে ভারতে যাওয়া ছাড়া, জেড ফোর্স নামের একটা ভুয়া বাহিনী গড়ে তোলা ছাড়া তার কর্মকাণ্ডে আমরা কখনও দেখি নাই যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। সে কারণে তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কিনা সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ইতিহাস ভুলে গেলে বাঙালি পথভ্রষ্ট হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠী দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠী দিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। হরকাতুল জিহাদ ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীসহ জামায়াতের লোকজন কীভাবে সেখানে সংযুক্ত ছিল, কীভাবে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই স্বীকারোক্তিমূলক সাক্ষাৎকার এখনও পাওয়া যায়।
সোমবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
আইভি রহমান পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক প্রধান আলোচক হিসেবে সভায় বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় তখন সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় হাওয়া ভবনের পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত গ্রেনেড দিয়ে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর নিজের হাতে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল এবং এ বিষয়ে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, ফাঁসিপ্রাপ্ত উপমন্ত্রী আব্দুস সালামের উপস্থিতিতে হাওয়া ভবনের বৈঠকে কিভাবে পরিকল্পনা হয়েছে সব আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’
আরও পড়ুনঃ বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘যে সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে তালেবানদের সাথে যুক্ত ছিল, যারা এই রাষ্ট্রটাকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চায়, তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার এবং তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার জন্য তাদেরকে কাজে লাগিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. করিম, আইভি রহমান পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খোকা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, রাজনীতিবিদ রোকন উদ্দিন পাঠান, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি এম, এ ভাসানী, আইভি রহমান পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান, মাহবুব হোসেন, খালেকুজ্জামান, হোসনে আরা জলি, সমীরণ রায় প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুনঃ টিকা নিয়ে সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের পরিবর্তে এখন থেকে প্রক্রিয়া করবে সোনালী ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ভাতা বিতরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে।
আজ শনিবার এর অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বিতরণ সহজীকরণের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধানসহ সোনালী ব্যাংকের সকল শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা ভার্চ্যুয়ালভাবে যুক্ত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল সেক্টরের মত বীর মুক্তিযোদ্ধারাও ডিজিটাল সেবার আওতায় এসেছেন। ইতোমধ্যে জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রাপ্তি নির্ঝঞ্ঝাট ও সহজ হয়েছে। সম্মানি ভাতাভোগীদের প্রায় সকল ব্যাংক হিসাব সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় পরিচালনা করা হয় বিধায় একাউন্টে সরাসরি টাকা যাবে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়ায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আর যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
আরও পড়ুনঃ যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীমুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিকতার সাথে সেবা দেয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনুরোধ জানান।
অনলাইন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মতিয়ার রহমান এবং সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ যুনাইদ।
বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর শাখার কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে সমস্যা সমাধানে আ’লীগ, বিএনপি এক মঞ্চে
বিএনপির চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা ও সাবেক ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিএনপি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল দলটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার জন্য যথাক্রমে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং আব্দুল কাইয়ুমকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করেছিল।
নেত্রকোণায় অসুস্থ সাংবাদিকের পাশে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়
নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য, অসুস্থ প্রবীণ সাংবাদিক মো. আব্দুস সালামের উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি কর্তৃক চিকিৎসা সহায়তার আর্থিক চেক প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই চেক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাটে দেড় লাখেরও বেশি পরিবারকে সরকারের সহায়তা
নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খানের সঞ্চালনায় চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অসুস্থ সাংবাদিকের হাতে চিকিৎসা সহায়তার চেক তুলে দেন সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আশরাফ আলী খান খসরু।
এ সয়ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
আরও পড়ুনঃ মানিকগঞ্জে অসহায় পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ
তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য রাতদিন বিরামহীনভাবে কাজ করে চলেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের ক্যান্সার, প্যারালাইজড সহ দুরারোগ্য ব্যাক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে এবং গরীব ও অসহায় মানুষদের সুচিকিৎসার জন্য এ ধরনের আর্থিক অনুদান অব্যাহত রয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় ৬৪৮ জন ক্যান্সার রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাওয়ার হোসেন ভূঁইয়া, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাবেক প্রেসক্লাব সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান রঞ্জন, যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম আব্দুল্লাহ্, দপ্তর ও লাইব্রেরী সম্পাদক দিলওয়ার খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ আর নেই
কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক ডেপুটি স্পিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ আর নেই। শুক্রবার দুপুর ৩.৪০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি.......রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ খান শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘অধ্যাপক আলী আশরাফ তার অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চায় অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। সরকারি হিসাব কমিটিসহ বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি এবং সংসদীয় কার্যক্রমে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
আবদুল হামিদ আরও বলেন, ‘আলী আশরাফের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যকে হারিয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি।’
আরও পড়ুনঃ সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুস সামাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এদিকে, আলী আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও জনমানুষের এই নেতার মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর মৃত্যুতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক জননেতাকে হারালাম।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।