আটক
সিলেটে ১৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ৩ চোরাকারবারী আটক
সিলেট নগরীর জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার থেকে ১৪০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
আটকরা হলো- ছাতক থানার কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে বসবাসরত মৃত শফিক উল্লাহর ছেলে সাইদুল হক, জালালাবাদ থানার মইয়ারচর গ্রামের মৃত মোক্তার আলীর ছেলে মো. সোহেল রানাও নগরীর বনকলাপাড়ার মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে জাকির হোসেন। এসময় বাবুল নামের একজন ও অজ্ঞাত ট্রাকচালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৫৭ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া কর্মকর্তা) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, জালালাবাদ থানার তেমুখী বাইপাস পয়েন্টস্থ রাস্তার মোড়ে মহাসড়কের উপর পুলিশের চেকপোস্ট দেখে দুটি মোটরসাইকেল ও ১টি হাইড্রোলিক ট্রাক গতিপথ পাল্টানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকে ভারতীয় চিনি রয়েছে বলে জানায় তারা। পরে ঘটনাস্থলে ১৪০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চিনির মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) লিটন চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় মামলা একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটক আসামিদের রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম কর্মকর্তা) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
মাগুরায় ইয়াবা জব্দ, আটক ১
মাগুরায় ৫৮০ পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খৈতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।
আটক জাহাঙ্গীর আলম একজন মাদক ব্যবসায়ী। তিনি মাগুরা সদর থানার গোড়ামারর আব্দুল হালিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ২ লাখ ৫৫ হাজার ইয়াবা জব্দ
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মাগুরা সদর থানার একটি আভিযানিক দল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর থানার খৈতলা বাজার এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে।
এসময় তার কাছে থেকে ৫৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য রয়েছে।
মাগুরা সদর থানায় এই সংক্রান্ত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি'র অভিযান: ২ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ
পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ৩ বাংলাদেশিকে আটক
বেনাপোল কাস্টমস পেরিয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি (এক কেজি) স্বর্ণের বার জব্দসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, শরীয়তপুরের চিকান্দী উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের রাজ্জাক মুন্সীর ছেলে আবু বক্কর মুন্সী, ঢাকার ওয়াদালোদী তুরাগ এলাকার রুস্তম শেখের মেয়ে পারভীন আক্তার ও মানিকগঞ্জের সদর এলাকার তারা গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোল ইমগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
পেট্রাপাল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, এই তিনজন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশ কাস্টমস পার হয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে আসে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে মেশিনে স্ক্যানিং করে তাদের পেটের মধ্যে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পায়ুপথ থেকে ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৬৫ লাখ রুপি।
আটক ব্যক্তিরা তাদের পায়ু পথে স্বর্ণের চালানটি বহন করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভারতের বনগাঁ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবির আইসিপি ক্যাম্পের কামান্ডার মিজানুর রহমান বলেন, পেট্রাপোল সীমান্তে স্বর্ণ জব্দসহ তিনজন আটকের বিষয়টি আমরাও শুনেছি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
ঢাকা বিমানবন্দরে যৌথ অভিযানে ২.১ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার ২ দশমিক ১০৪ কেজি স্বর্ণের বারসহ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ এবং ৪ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার আব্দুল কাদির (৪১) ও ইব্রাহিম খলিল (৪০), পটুয়াখালী জেলার জুয়েল হোসেন (৩৪) ও গাজীপুর জেলার খোরশেদ আলম (৪২)।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, দুবাই থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আটকদের সবাই ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে এনএসআই ও এপিবিএনের যৌথ দল ভোর ৬টার দিকে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে থামায় এবং তল্লাশি করে।
পরে তাদের কাছ থেকে সুকৌশলে নিজের দেহে রক্ষিত স্বর্ণের বার, স্বর্ণের গুঁড়া ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে দেড় কেজি স্বর্ণ জব্দ, যাত্রী আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
নওগাঁয় সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার একটি কেন্দ্রে থেকে চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
আটক পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র জমা নিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনে বহিষ্কার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সড়ে ১১টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন। ওই কেন্দ্রে ১০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৭৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার্থী ছিল।
জানতে চাইলে ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর দিকে কিছু গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ওই কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ছবিসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই শেষে প্রকৃত ভুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।
ইউএনও বলেন, এই অনিয়মের সঙ্গে কেন্দ্র সচিব, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের ১০৫০০ পরীক্ষার্থী বৃত্তি পাবে: মাউশি
বগুড়ায় কোটি টাকার তক্ষকসহ আটক ১
বগুড়ার গাবতলীতে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ লেবু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছে থাকা তক্ষকটি জব্দ করে পুলিশ।
লেবু গাবতলী উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার মৃত শামসুল ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গাবতলী মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাবতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তক্ষকসহ লেবু মিয়াকে আটক করে। এ সময় চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। তক্ষকটির দৈর্ঘ্য ১১ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম, যার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, লেবু মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- সে চোরাচালান চক্রের হোতা। তার সঙ্গে আরও সদস্য রয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তক্ষকটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৭: শেরপুর থেকে বাসচালক ও হেলপার আটক
বগুড়ায় পিকনিকের বাস থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য আটক
ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৭: শেরপুর থেকে বাসচালক ও হেলপার আটক
ময়মনসিংহের আলালপুরে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহতের ঘটনায় বাসটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের বন্ধভাটপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন- শেরপুর শহরের মীরগঞ্জ এলাকার আহসান হাবিব চাঁনের ছেলে আদিল সরকার বাসের চালক মো. সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও চাপাতলী এলাকার আনিছুর রহমানের ছেলে বাসের হেলপার মো. জাফর মিয়া জনি (৪২)।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ৭ জন নিহত
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে আদিল সরকার বাসের চালক ও হেলপারকে ধরতে অভিযান শুরু করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বন্ধভাটপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে শেরপুরের ঝিনাইগাতীগামী আদিল সরকার পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালকসহ ৭ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারী নিহত
চুয়াডাঙ্গায় পিকনিক বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শেরপুরে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছেলের হাতে বাবা খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে সাজিদ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙা বানিয়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আবুল কালাম আজাদের দুই ছেলে এক মেয়ে।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৪ দিনের মাথায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানায়, আজাদ ছোট ছেলের কাছেই থাকতেন। তিনি ১০ থেকে ১২ দিন আগে ঢাকা থেকে শ্রীবরদীর গ্রামের বাড়িতে আসেন। বুধবার রাতে তার ছেলে সাজিদও ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাজিদ বসত ঘরে ঢুকে তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং সেই হাতুড়ির আঘাতে তিনি মারা যান।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
পাটগ্রামে বিজিবির হাতে ভারতীয় নাগরিক আটক
পাটগ্রাম সীমান্তে ৪ রোহিঙ্গা আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে চার রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
আটকরা হলেন- আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী শরিফা বেগম, তাদের মেয়ে রিনুস বিবি ও আমেনা বেগম।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, শুক্রবার বিকালে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্তের করিডোর পোস্ট এলাকায় রোহিঙ্গারা ঘোরাফেরা করছিল।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষক আটক
তাদের সন্দেহ হওয়ায় ৫১টি বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। পরে বিজিবি তাদের পাটগ্রাম থানায় সোপর্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মিয়ানমারের নাগরিক ও কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছেন।
এর আগে সোমবার বিকালে পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের পানবাড়ি সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় রমিদা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে আধা সামরিক বাহিনী।
ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ আরও জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, চালক আটক
যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকেরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার মোসা. বিউটি, চাঁদপুরের নিশ্চিন্তপুরের রিয়াহ হোসেন, যশোরের অভয়নগরের মোসা. বিনা বেগম, মো. শেখ সাদী। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহিনা বেগম, জামালপুরের মেলান্দহের দুই ভাই মো. শামিম মিয়া ও মো. সুহান মিয়া। জামালপুরের ইসলামপুর থানার মো. ফারুখ হোসেন ও আসমা বেগম এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তৃষ্ণা অধিকারী তিশা।
সাজা শেষে তিশা আগড়তলার জওহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাসে এবং বাকিরা নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থান করছিলেন।
পরিবার ও সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
তিনি আরও জানান, পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমাদের জন্য খুবই আনন্দের দিন যে আমরা ১২ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করতে পারছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জনসচেতনতা আরও জোরদার করতে হবে।
এ সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা প্রদান করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি