আটক
বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রবিবার (২৯ অক্টোবর) নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ দুপুরে আরেফি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডে ডিবি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার আরেফি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজেকে ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বসে আরেফি এমনকি দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ পক্ষে’।
আরেফি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার প্রতিদিন তার যোগাযোগ হয় বলে দাবি করেন। আরও দাবি করেন, মার্কিন সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিরোধীদের আন্দোলনকে সমর্থন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় নেতারা বিএনপি অফিসে বসে থাকা আরেফিকে ঘিরে রেখেছেন।
বিএনপি ও জামায়াতপন্থীরা দাবি করেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য ‘বাইডেন এর পক্ষ থেকে’ তাদের সমর্থন জানানোর জন্য বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন আরেফি।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি
মির্জা ফখরুল ইসলামকে আটকের নিন্দা জানিয়ে রবিবার বিএনপি বলেছে, সরকার জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকায় নিপীড়ন, হত্যা ও গ্রেপ্তার করে সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।
এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, যখন পুরো জাতি তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে লাখো মানুষের উপস্থিতি দেখে 'পরিকল্পিতভাবে' সমাবেশে হামলা ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুলি ও হত্যা করেও 'অবৈধ' সরকার নিরাপদ বোধ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আজ (রবিবার) সকালে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমি বিএনপি মহাসচিবের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।’
৭৫ বছর বয়সী ফখরুল গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুবদল নেতা নিহত, বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে এবং সব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর (সহিংসতা) জন্য তারাই দায়ী।’
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে (ফখরুল) আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলছে
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপির হরতালের মধ্যেই সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরে ফখরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল।
ফখরুলকে আটকের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে পারেনি পুলিশ।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, সকালে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাদের বাসায় এসে ফখরুলসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে ওই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক কেড়ে নেয়।
রাহাত আরা বলেন, ‘১০ মিনিট পর তারা আবার এসে তাকে (ফখরুল) নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ফখরুল খুবই অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মেনে নিতে পারছি না যে ৭৫ বছর বয়সী একজনকে এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়ার পরের দিন তাকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত ও কয়েকশ' আহত হওয়ার পর আকস্মিকভাবে সমাবেশ স্থগিত করে হরতাল ঘোষণা করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নরসিংদী রেলস্টেশনে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩০
ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
কেরাণীগঞ্জের কদমতলীর বাবু বাজার সেতু ও হাসনাবাদের পোস্তগোলা ব্রিজ চেকপয়েন্ট থেকে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১০ ও পুলিশের সদস্যরা শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।
এসব পয়েন্টে যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।
কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘অভিযানে অবৈধ কার্যকলাপের সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ৩২ জনকে এবং দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির সমাবেশ: ৩টি গাড়ি ভাঙচুর
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘ তল্লাশি চালানোয় এসব এলাকার যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌকা চলাচল ব্যাহত হওয়ায় মিটফোর্ড হাসপাতালের অসংখ্য রোগী এবং অফিসগামীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে হাসানাবাদ ও কদমতলী এলাকায় 'শান্তি সমাবেশ' করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশে সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে ঢাকায় হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা
কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রাজধানীর কাকরাইলে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে শনিবার বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে- আজকের মহাসমাবেশ যোগ দেওয়ার জন্য তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে এখানে জমা হয়েছিলেন।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাকরাইলে অভিযান চালায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ওই এলাকায় (নয়াপল্টন) বেশ কতগুলো ককটেল চার্জ করা হয়।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পুলিশ ও ডিবি একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন।
ডিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি গাড়ি, প্ল্যাকার্ড, খাবার রান্নার সরঞ্জাম, অনেক লাঠিসোঁটা, রড এবং অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।’
ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ১৫-২০টি বোমা চার্জ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’
হারুন বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অথবা মহাসমাবেশে কেউ যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। রাজধানীজুড়ে এরকম আরও ৭-৮টি ভবন আছে। সেখানেও এরকম সমাগম হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা সেখানেও অভিযান চালাব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ-বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আতঙ্ক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স।
এর মধ্যে নৌপুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স ৫ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌপুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌপুলিশের অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌপুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এসব ঘটনায় দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে জব্দ ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌপুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ মাছ শিকার করায় পাবনার নাজিরগঞ্জ ২৪ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি নৌকা, ১ লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নাজিরগঞ্জ নৌপুলিশ ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক
আটকরা হলেন- সুজানগর উপজেলার বিটভিলা গ্রামের তোরাব আলী খাঁ, আল আমিন, আসাদ শেখ, বাবু শেখ, মালিফা গ্রামের নুরুল মোল্লা, হৃদয় হোসেন, বাবু শেখ, রাজবাড়ীর পাংশা শামিলপুর গ্রামের আলিম শেখ, একই এলাকার নায়েব আলী শেখ, রাজ্জাক বিশ্বাস, বাবুল হোসেন, পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর এলাকার মিরাজ মন্ডল, মিরপুর এলাকার তমসের মন্ডল, ঢালারচর এলাকার আবেদ আলী সরদার, কুরবান মন্ডল, রাজবাড়ী সদরের তাজুল মন্ডল, বারাইপুরী এলাকার ওয়াজেদ মন্ডল, সুজানগরের ৪৩চর এলাকার আব্দুর রহমান শেখ, রাজবাড়ীর কালুখালী থানার হরিন বাড়িয়া চর এলাকার আফাজ শেখ, পাবনার আমিনপুরের চর কুছলা ডাঙ্গি এলাকার সবুজ ফকির, একই এলাকার মুন্নাফ মন্ডল, মনির হোসেন, রুহুল মন্ডল, কালিকাপুর এলাকার আছের উদ্দিন।
নাজিরগঞ্জ নৌপুলিশের ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, সুজানগরের রায়পুরে ও হাসামপুরের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৪ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত ৮টি নৌকা, ১ লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
কক্সবাজারে ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ, 'মিয়ানমার নাগরিক' আটক: বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ এবং এ সময় মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটকের দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ব্যক্তির নাম মো. রফিক (৩২)।
বিজিবি-২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, ইয়াবার একটি বড় চালান ওই এলাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২ এর একটি দল রাত সোয়া ১২টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ৪ জনকে সীমান্ত এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করতে দেখে।
তিনির আরও জানান, চ্যালেঞ্জের মুখে তিনজন 'চোরাকারবারি' ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে মো. রফিককে ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, আটক ১: বিজিবি
সেপ্টেম্বরে বিজিবি ১৯২ কোটি টাকার মাদক জব্দ করেছে: বিজিবি
কুমারখালীতে ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, যুবক আটক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মো. সালাউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে আটককের দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বড় মসজিদ সড়ক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. সালাউদ্দিন কুমারখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের খয়েরচারা মাঠপাড়া গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক অভিযানে ১০০ লিটার চোলাই মদসহ সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় ১৩২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ, ব্যবসায়ী আটক
কুড়িগ্রামে বিদেশি মদ জব্দ, আটক ২
চট্টগ্রামে ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য আটক
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন সাজ্জাদ হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় তার কাছ থেকে ৭৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা্ হয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলার ভূজপুর থানার চিকনছড়া এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ওই কনস্টেবলকে ফেনসিডিল জব্দসহ আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
আটক সাজ্জাদ হোসেন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। তার বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের বনরুপা আবাসিক এলাকায়।
ভূজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবককে স্থানীয়রা ৭৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দসহ আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করে।
তিনি জানান, পরে খবর পেয়ে আমাদের ডিউটি টিম সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রামগড় থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সাজ্জাদ মঙ্গলবার রাতে ডিউটির পর থেকে থানায় উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার