ধর্ষণ
১৩ বছরের স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ৬ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে এবং বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিশুকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষনের শিকার শিশুর স্বজনরা জানায়, ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর ছেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে খেলার কথা বলে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। (অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না)
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে রাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্তকে নিয়ে পালিয়েছে তার বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিশুটির ভাই বলেন, অভিযুক্তের বয়স যাই হোক না কেন আমি ওর শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে ওর পরিবারের লোকজন যারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরও শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নাটোরে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে আমীর হোসেন (৬০) নামে এক দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২২ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার মাঝদিঘা এলাকার একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত ১৮ অক্টোবর সদর উপজেলার মাঝদিঘা শিবপুর গ্রামের ৫ বছরের এক শিশু স্থানীয় বাজারের দোকানে চকলেট কিনতে যায়।
তিনি জানান, এসময় দোকানি আমীর হোসেন শিশুটিকে তার দোকানের পেছনের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় আমীর।
এসআই সাজ্জাদ আরও জানান, পরে ওই শিশুটি বাড়ি ফিরে তার মাকে ঘটনা জানালে পরিবারটি গ্রাম প্রধানদের জানায়। গ্রাম প্রধানরা মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্র ফয়স লেক থেকে তুলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ব্রাক্ষণবাড়িয়োর সাবেক ওসি (বরখাস্ত) মিজানুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।
একই মামলায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) অনুসারে আসামির হাজতবাস সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে বলে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।
রায়ের সময় আসামি মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে নিয়ে ফয়’স লেকে ঘুরতে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলে মেয়ে দুজনকে আলাদা কক্ষে আটকে রেখে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাথরুমের কাঁচ ভেঙে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে হোটেলের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা হুমায়ন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাকি দুই আসামি হোটেলের কর্মচারী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, হুমায়ন কবিরের দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে একটি ছিল নারী নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ ধারায়। আরেকটি মামলা ছিল, জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় দায়ের করা।
প্রথম মামলায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে ওসি মিজানসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিন মাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওসি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নাছির হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাছিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাছির জামিনে ছিলেন। গত ৩০ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিনে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাছির ঝালকাঠির কোলাবানিয়ার মদিপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসামি ও ভুক্তভোগীর পরিবার বাড্ডার সেকেন্দারবাগ এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নাছির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
বিষয়টি পরিবারকে জানায় সেই ছাত্রী। তার পরিবার বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে জানালে তিনি নাছিরকে মৌখিকভাকে সতর্ক করেন। তারপরও নাছির ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী কলপাড়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় নাছির ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ১৫ এপ্রিল বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চাকরি দেওয়ার নামে নারীকে ধর্ষণের দায়ে সাবেক এক ইইউপি মেম্বারকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, শিশুধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অপর এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবক খুন, ৩ ভাইয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
সরকারি কৌসুলী আনিসুর রহমন জানান, বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর গ্রামের তৎকালিন ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম তার গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০০৩ সালের ১৪ আক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
তিনি জানান, এলাকায় ফিরে ভুক্তভোগী মামলা করলে বিচারক সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেক ধারায় আরও ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সাজা তাকে পর্যায়ক্রমে ভোগ করতে হবে।
তিনি আরও জানান, এদিকে একই আদালত ২০০৬ সালে ২২ জুন একই উপজেলার খাটখৈর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আব্দুল কুদ্দুস নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। আব্দুল কুদ্দুস পলাতক রয়েছে।
তিনি জানান, জরিমানার অর্থ আদায় করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
চট্টগ্রামে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি ভাড়া বাসায় ঢুকে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চান্দগাঁও থানা সানোয়ারা আবাসিক সংলগ্ন চান্দার বাপের বাড়ি দিদার কলোনি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম মুন্না নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাবা মার অনুপস্থিতিতে খালি বাসায় ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আটক রাকিব কক্সবাজার সদর উপজেলার কক্সশাহীর টিকা পল্লী এলাকার মৃত ইউসুফের ছেলে এবং নিহত শিশু প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানায়, সকালে মেয়েকে বাসায় একা রেখে প্রতিদিনের মতো তারা কাজে চলে যায়। অভিযুক্ত রাকিব বাসায় প্রবেশ করে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁর পোরশার ইলাম গ্রামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থী নানীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার বেলা ১২টায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
অপর আরেকটি ঘটনায় জেলার পত্নীতলার কাশিপুর এলাকার এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের কাজল মালীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুপুর ১২টায় এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, পত্নীতলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী ২০২০ সালের ২৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার হন।
এই অভিযোগে প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট শেষ হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
আসামি পক্ষে আইনজীবী সোমেন্দ্রনাথ কুন্ডু মামলা পরিচালনা করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মোশাররফ হোসেন প্রকাশ লিটন (২৫), মো. আকবর হোসেন প্রকাশ (২৮) ওরফে হাত কাটা আকবর, মো. সুমন (৩০), মো. নুরুল আবছার প্রকাশ স্বপন (৩২) ও আবুল বশর ওরফে বশর (৪৭)।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জিকো বড়ুয়া জানান, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে যায়। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন দুপুরের দিকে ওই ছাত্রীর বাড়ির পশ্চিম পাশে জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলায় ইউনিয়নের পান্তাডুবি এলাকায় এক নারীকে সড়ক থেকে জোর করে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি হলেন- আমিন খান (৪২) ও সোহাগ মীর (৩৪)। তাদের পৃথক অভিযানে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কদমতলা এলাকা থেকে আমিন খান ও ইমরান খান নামের দুই ব্যক্তি ওই নারীকে অপহরণ করে। পরে তাকে একটি খালি ঘরে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে দুজনে ধর্ষণ করে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, ওই নারীকে উদ্ধার করার পর রাতেই মামলা করেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, আমরা অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি এবং মামলাটি তদন্তাধীন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
লালবাগ থেকে ৬ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গুলি জব্দ: পুলিশ
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া একই সঙ্গে কিশোরীর লাশ লুকিয়ে রাখার দায়ে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়জুন্নেসা এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি খোকন (৩৫) সিরাজদিখান উপজেলার বাবুল মিয়ার ছেলে ও একটি দর্জির দোকানের মালিক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লাবলু মোল্লা জানান, খোকন কৌশলে মেয়েটিকে তার দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এরপর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেন।
২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট চাঁন সুপার মার্কেটে পোশাক তৈরি করতে খোকনের দোকানে যায় ওই কিশোরী। এ সময় তাকে দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন খোকন। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লদীতে লাশ ফেলে দেন।
গত ৩১ আগস্ট স্থানীয়রা কিশোরীর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধারের পর সন্দেহজনকভাবে খোকনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ