কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে ৬ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে ৬ কেজি ৭৭ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে।
রবিবার বিকালে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের একটি আভিযানিক দল জেলার খোকসা থানাধীন কমলাপুর গ্রামস্থ কমলাপুর মিয়া পাড়া নতুন ঈদগাহ ময়দানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে গাঁজাসহ জালাল (৩৫) নামের ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বেগুন খেতের আড়ালে গাঁজা চাষ!
উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ট্রাক জব্দ
মাদক ব্যবসায়ী জালাল খোকসা উপজেলার কমলাপুর রুমিপাড়া এলাকার মৃত মোতালেব শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: ছাদে ফুলের টবে গাঁজা চাষ: ১৯০টি চারাসহ আটক ১
র্যাব-১২ সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানী কমান্ডার মাহফুজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গাঁজাসহ ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে খোকসা থানায় উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ভারত ফেরত দুই জনের করোনা শনাক্ত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বর্ডার দিয়ে ভারত থেকে আসা ৩৬ বাংলাদেশীর মধ্যে শিশুসহ দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
ভারত থেকে আসা ওই ৩৬ জনকে কুষ্টিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ভারত ফেরত ২ জনের করোনা শনাক্ত
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রবিবার সকালে ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনাগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রাত আটটার দিকে পাঠানো পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদনে শিশুসহ দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভারত ফেরত ৩ জনের করোনা শনাক্ত
সিভিল সার্জন আরও বলেন, দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৩৯ বছর। আরেক জনের বয়স ১২ বছর। ১২ বছরের ছেলেকে তার মায়ের সঙ্গে শহরের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) রাখা হয়েছিল। আক্রান্ত আরেক যুবক শহরের একটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। শনাক্ত হওয়ার পর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আক্রান্ত দুজনকেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ নেই।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভারত ফেরত ১১ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত
সিভিল সার্জন জানান, পিটিআইয়ের বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ২৭ জন ও শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ৯ জনকে রাখা হয়। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ভারত থেকে দর্শনা বন্দর দিয়ে আসা ৩৬ জন বাংলাদেশীকে বাসে করে কুষ্টিয়া পিটিআইয়ে আনা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাইফুর রহমান জানান, রবিবার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা আরও ৮২ জনকে কুষ্টিয়ায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়ার ৩টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১১৮ জনকে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত থেকে আরও মানুষ ফিরলে যাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা যায় সেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ছিনতাই হওয়া ট্রাক কুষ্টিয়ায় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
সিরাজগঞ্জ থেকে গো-খাদ্য বোঝাই ছিনতাই হওয়া ট্রাক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার চর রূপপুর গ্রামের খেরুমালের ছেলে নাছিম আল মাল ওরফে রাজু (২১), পাবনা জেলা সদরের তিনগাছা রাজাপুর গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা ওরফে রকিব (১৯), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার তারা সোনিয়া গ্রামের মৃত রহমত মোল্লার ছেলে ইমরান আলী মোল্লা (৫০), একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মো. রাব্বানের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৮), একই গ্রামের মৃত সেকেন প্রামাণিকের ছেলে শাহাবুল ইসলাম (৩০), গাছের দিয়ার (টলটলিপাড়া) নাসির উদ্দিনের ছেলে রোকনুজ্জামান (২৩) ও সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানগড়া জগাইর মোড় মহল্লার নূর ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ (২৮)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ১১ দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা বন্দর থেকে ৪০৫ বস্তা গো-খাদ্য বোঝাই একটি ট্রাক ১৮ মে রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কাজিপুর মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে রেখে চালক ও হেলপার ঘুমিয়ে পড়লে ডাকাতেরা ট্রাকে উঠে চালক-হেলপারকে মারপিট করে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের সার্কিট হাউজের পেছনে নামিয়ে দিয়ে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। চালক ও হেলপার ১৯ মে ভোরে বিষয়টি থানায় জানালে ট্রাকটির মালিক আব্দুল মালেক খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই দিনই তিনি থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করা হয়। এরপর বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ মে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা এলাকা থেকে ওই ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আসামি শাহাবুলের বাড়ি থেকে ৮৭ ও রোকনুজ্জামানের বাড়ি থেকে ২৩৫ সহ মোট ৩৪২ বস্তা ডাকাতি করা গো-খাদ্য উদ্ধার করা হয়।
স্নিগ্ধ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারর আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোথায় কতগুলো মামলা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী এবং ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
দৌলতপুর সীমান্তে আটকের ৪ ঘণ্টা পর কৃষককে ফেরত দিল বিএসএফ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বাংলাদেশি কৃষককে আটকের চার ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
রবিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই কৃষককে ফেরত দেয় বিএসএফ।
এর আগে ভোরের দিকে ছলিমেরচর সীমান্তে নিজ খেতে কাজে গেলে বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রৌমারী সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লা (৬৫) দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছলিমেরচর সীমান্ত এলাকার মৃত আমির মোল্লার ছেলে।
বিজিবি সূত্র জানায়, কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লা নিজ খেতে কাজে গেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাকে ধরে নিয়ে যায়। বিনা উস্কানিতে বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং তাকে ফেরত চেয়ে বিএসএফর কাছে পত্র পাঠায় বিজিবি। পত্র পেয়ে সকাল ১০টায় ৮৫/১৩(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন নোম্যান্স ল্যান্ডে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আটক বাংলাদেশি কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লাকে ফেরত দেয় বিএসএফ।
এদিকে, বিএসএফর দাবি, কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লা অবৈধভাবে ভারত সীমানায় প্রবেশ করলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফ’র গুলিতে আহত ভারতীয় কিশোরকে হস্তান্তর
পতাকা বৈঠকে বিএসএফর পক্ষে ৬ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি অমিত কুমার সাহা ও বিজিবির পক্ষে ছয় সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ চিলমারী ক্যাম্পের অধিনায়ক সুবেদার বিদ্যুৎ কুমার।
কুষ্টিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামের গোরস্থান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নদীতে ডুবে মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম ইয়ামিন (৮)। ইয়ামিন বড়ুরিয়া গ্রামের রঞ্জুর ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাড়াটিয়াকে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাড়ি থেকে একটু দূরে গড়াই নদীতে শিশু ইয়ামিন ও ইয়ামিনের মামাতো ভাই দুই জনে গোসল করতে গড়াই নদীতে নামে। এর কিছুক্ষণ পর ইয়ামিনের মামাতো ভাই দেখতে পায় ইয়ামিন নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। এ সময় ইয়ামিনের মামাতো ভাই চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, দুই সপ্তাহে ৩ শিশুর মৃত্যু
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ইয়ামিন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ঈদে কেনাকাটার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাবার ওপর অভিমান করে দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার দুপুরে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের নাওথী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রত্না খাতুন (১৪) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রত্না তার বাবার কাছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করার জন্য পাঁচ হাজার টাকা চায়। হতদরিদ্র বাবা আব্দুর রশিদ মেয়ের এই বায়না মেটাতে অপরাগতা প্রকাশ করলে অভিমান করে বুধবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে বাড়ির লোকজন এসে দরজা ভেঙে রত্না র' দেহ নামিয়ে অচেতন অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের ‘আত্মহত্যা’
নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বলেন, 'আমার বোন ঈদের কেনাকাটা বাবদ বাবার কাছে ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। বাবা সেই টাকা না দেয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, রত্নার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে মাকে হত্যাচেষ্টা
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় মাদক ও জুয়ার টাকার যোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে মাদকাসক্ত ছেলে।
উপজেলা সদরের পৌর এলাকার কমলাপুরে রবিবার দিবাগত রাতে জামির হোসেন কোরবান (২০) তার বিধবা মা সাহারা খাতুনের (৬৫) ওপর এ হামলা চালায়।
পরিবার জানায়, রবিবার সকালে জামির হোসেন তার মা সাহারা খাতুনের কাছে মাদক সেবনের জন্য কিছু টাকা দাবি করে। মা টাকা দিতে রাজি না হলে মাদকাসক্ত ছেলে প্রথমে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে। পরে সাহারা খাতুন সাহরি খাওয়ার জন্য শেষ রাতে ঘরের দরজা খুলতেই তার ওপর হামলা করে বসে কোরবান। বৃদ্ধার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর থেকে ছেলে কোরবান গা ঢাকা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা সাহারা খাতুন জানান, তার ছেলে জামির হোসেন ওরফে কোরবান মাদক ও ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত। তার ওপর একাধিকবার হামলার ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তাকে ধরেও নিয়ে গেছে আবার জুয়ারিরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। দুই মাস আগেও থানায় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বিচার পাননি।
কুষ্টিয়ায় দেয়াল ধসে নারী শ্রমিক নিহত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলায় ইটভাটার দেয়াল ধসে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সোনাইকান্দি জর্দারপাড়া গ্রামে শহিদুল ইসলাম ওলি’র ইটভাটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মদিনা বেগম (৫২) জর্দারপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী। এ সময় মিজু (৪৭) নামে অপর এক শ্রমিক আহত হন।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক কারখানার লিফট ছিঁড়ে শ্রমিক নিহত
দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন জানান, সোনাইকান্দি জর্দারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওলির ইটভাটায় কাজ করা অবস্থায় ইটভাটার দেয়াল ধ্বসে চাপা পড়ে মদিনা বেগম নামে এক শ্রমিক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত শ্রমিক মিজুকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে শহরের জুগিয়া পালপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেলার মিরপুর উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের ছামেদ মন্ডলের ছেলে সাদেক বাচ্চু ও একই এলাকার রুহুলের ছেলে মানিক।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ জানায়, নির্মাণ শ্রমিক সাদেক বাচ্চু জুগিয়া পাল পাড়ায় তার বোনের বাড়িতে কয়েকদিন আগে বাথরুমের নতুন সেপটিক ট্যাংক তৈরি করেন। শুক্রবার সকালে সাটারিং খোলার জন্য প্রথমে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নামেন নির্মাণ শ্রমিক মানিক। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর তার কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় মিস্ত্রী সাদেক বাচ্চুও ভেতরে নামেন। এরপর তারও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন সাদেক বাচ্চুর ভগ্নিপতি আমিরুল। স্থানীয়রা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নারী ও ২ শিশু নিহত
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, বৃষ্টি-বাদলের কারণে বাড়ির লোকজন সেপটিক ট্যাংক বন্ধ করে রেখেছিল। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় সেখানে মিথেন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস আর অক্সিজেন সংকটের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু
খালেদার বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্তটি আদালতের ব্যাপার: হানিফ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্তটি আদালতের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার যে আবেদন পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে এ বিষয়টি আইনগত একটা ব্যাপার। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি সেহেতু তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত ও কারা কর্তৃপক্ষ।’
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় প্রথম টিকা নেবেন হানিফ
বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়ায় অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের কাজই সরকারের সমালোচনা এবং মিথ্যাচার করা। কোন ভালো কাজই তাদের চোখে পড়ে না। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি কিছুই তাদের চোখে পড়ে না। এই করোনা দুর্যোগ শুরুর থেকেই তারা নানাভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগে যেখানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো হিমশিম খেয়ে গেছে, লাখ লাখ লোক যেখানে মারা যাচ্ছে, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সরকার, চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা মিলে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাইরের দেশগুলোর তুলনায় আমরা অনেক ভালো অবস্থায় আছি।
‘এই ভালো অবস্থা মির্জা ফখরুলদের মুখ দেখে আসে নাই, এটা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতার কারণেই সম্ভব হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
এ সময় সরকারের সমালোচনা করে জনসমর্থন পাওয়ার এই পথ বর্জনের আহ্বান জানান হানিফ।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া-৪ আসনের (কুমারখালী-খোকসা) আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদের সভাপতি ডা. এস এম মুস্তানজীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।