দুদক
বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার আবারও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যেন দুদক এখন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের স্থাবর (ব্যাংক হিসাব) ও স্থাবর (জমি-সম্পর্কিত) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দুদকের দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অমূলক। যে (আদালতের) আদেশটি দেয়া হয়েছে তা প্রতিশোধমূলক এবং সরকারের নির্দেশে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করে বর্তমান ‘প্রতিশোধমূলক’ সরকার গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল বিনষ্ট ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সরকারের নির্দেশে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং আদালতের নির্দেশিত রায় বাতিল এবং তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
মোশাররফ অভিযোগ করেন, তারেকের যে সম্পত্তির মালিকানা নেই এবং এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, ‘তাকে কাল্পনিক সম্পদের মালিক দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমনকি, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে কর দেয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আদালতের এমন আদেশে সরকার তারেকের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারবে না এবং তার স্ত্রীকে হেয় করতে পারবে না। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার এবং আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে অন্য দিকে পরিচালিত বা বানচাল করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
মোশাররফ আক্ষেপ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ‘ব্যাপক’ দুর্নীতিতে লিপ্ত হলেও দুদক সরকারের দুর্নীতির দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
বিএনপি নেতা বলেন, তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ এমন সময়ে দেয়া হয়েছে যখন দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জেগে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির প্রতি জনতার ঢেউ দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চলমান আন্দোলনকে ঠেকাতে বা দুর্বল করতে সরকার এসব করছে।’
মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো দমনমূলক কর্মকাণ্ড জনগণকে দমন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনকে বানচাল করতে পারবে না।
এদিকে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।একইসঙ্গে ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্কিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’-শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আইনজীবী খুরশিদ আলম খান প্রতিবেদনটি নজরে আনলে আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইউএফএস’র ১৫৮ কোটি টাকা লোপাট: এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে।
সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি।
সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে ১৩৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমজিএইচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আনিসের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
দুদক সচিব মাহবুব বলেন, মানি লন্ডারিংসহ শত শত কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আনিস আহমেদের নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিতে কমিশন আদেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
তার দায়ের করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আসামি আনিস আহমেদ কর বছরে সাল ২০২০-২১, ২০০৮-২০০৯ থেকে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত আয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে ১৩৬ কোটি তিন লাখ টাকার আয়ের তথ্য দিয়েছেন।
সম্পদের বিবরণী যাচাইয়ের সময় অভিযুক্তকে একজন নিয়মিত আয়করদাতা হিসেবে পাওয়া গেছে কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ১৯ এএএএএ-তে উল্লিখিত মোট আয় পরিমাণকে ২০২০-২১ কর বছরের আয়কর রিটার্নে বিনিয়োগ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
দুদক জানায়, অভিযুক্ত আনিস আহমেদ ঘোষিত অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে দেখানোর পক্ষে কোনো সন্তোষজনক রেকর্ড দেখাতে পারেননি।
কমিশনও বলেছে, আনিস অসৎ উদ্দেশ্যে অসৎ উপায়ে অর্জিত এই অর্থের অবৈধ সম্পদকে বৈধতা দিতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন:আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তদন্তকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থে আর্থিক ফায়দা হাসিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চলমান তদন্তে অভিযুক্ত হওয়া এড়াতে তিনি ওই অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে কমিশন দেখতে পায়।
অর্থ আইন-২০২০ (সংশোধিত ২০২১) আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ এএএএএ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করার তারিখ বা তার আগে বা সংশোধিত রিটার্ন আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর অধীন কর ফাঁকির জন্য যে কোন কার্যধারা বা যেকোনও অধীন কোন আর্থিক কার্যক্রম অন্যান্য আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে এই বিভাগটি আর কাজ করবে না।
কমিশনের কর্মকর্তা বলেছিলেন, যেহেতু কমিশন তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তাই তার পরে এই আইনী সুবিধা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এই দম্পতি তাদের আয়ের জ্ঞাত উৎসের বাইরে প্রায় ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন - আমীর খসরুর স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম, হোটেল সারিনার চেয়ারম্যান গোলাম মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেরা সরোয়ার (নীনা), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশা অনুমোদন শাখার বিল্ডিং ইন্সপেক্টর আওরঙ্গজেব নান্নু।
রাজউক, ঢাকা কর্তৃক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭নং প্লটটি ডেভেলপ করার নামে উক্ত প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫ নং প্লট ক্রয় পূর্বক অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে যথাক্রমে ২২ তলা ও ২১ তলা ভবন নির্মাণ শেষে পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড পরিচালনা করে পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একে অপরের সহায়তায় নিজেদেরকে লাভবান করায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (২নং আইন) এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এ একটি মামলা করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
তাদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম উভয়ে ঢাকাস্থ বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ ও ২৫ নং প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। জব্দকৃত এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী মিসেস তাহেরা খসরু আলম যৌথভাবে তার ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনার সঙ্গে হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড নামক পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করে গেছেন।
এছাড়াও আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা আসামি গোলাম সরোয়ার বনানী ১৭ নং রোডের ২৫নং প্লটটি, যা বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত সেটি যৌথ নামে ক্রয় করে রাজউকের অনুমোদিত ১৫ তলা নকশার স্থলে ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন। আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিত ভাবে নানা কৌশলে প্রথমে নিজের ভায়রাকে দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) বর্ণিত ২৭ নং প্লটের ডেভলপার নিযুক্ত করে পরে সেখানে নিজে স্ত্রীসহ যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে জব্দ করা রেকর্ডপত্র এবং সংগৃহীত রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর জন্য ঢাকায় ‘সিএসই ভবন’ নির্মাণের প্রয়োজনে রাজউক থেকে ঢাকাস্থ বনানী বানিজ্যিক এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ নং প্লটটির নিলাম ক্রয় করা হয়।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
প্রায় ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: ৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
সচিব জানান, তদন্তকালে আসামি মতিউর রহমানের নামে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের নামে আট কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মতিউর রহমান ছয় কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমান দুই কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারার গত বছর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। পরে তদন্ত শেষে চলতি মাসে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে বয়কটের আহ্বান দুদক প্রধানের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান। দিবসটি বিশ্বব্যাপী ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
দুদক প্রধান বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল। যা এখন পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি রাতারাতি নির্মূল করা যায় না। এটি ধীরে ধীরে নির্মূল হবে।’
দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন দুর্নীতিবাজ কারা। তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন।’
দেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস দুর্নীতিবিরোধী এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র তুলে ধরার চেষ্টা করে। এর মূলে যে ধারণাটি রয়েছে- অপরাধ মোকাবিলা করা প্রত্যেকের অধিকার ও দায়িত্ব। শুধুমাত্র সহযোগিতা এবং প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এই অপরাধের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
রাষ্ট্র, সরকারি কর্মকর্তা, বেসামরিক কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, একাডেমিয়া, জনসাধারণ ও যুবসমাজ সবারই এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
তিন ইসলামী ব্যাংকের ৩৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বলেন, শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবেন।
ব্যাংক তিনটি হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
মাহবুব বলেন, ইসলামি শরিয়াভিত্তিক তিনটি ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কথিত অনিয়মের তদন্তের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর তিনি কার্যক্রম শুরু করবেন।
অপর এক কর্মকর্তা জানান, দুদকের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর তিন ব্যাংকের কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে তদন্ত চেয়ে দুদক ও বিএফআইইউকে চিঠি দেন পাঁচ আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের হালনাগাদ প্রতিবেদন মঙ্গলবার জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার ২০০৯ সাল থেকে ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম জানান যে মঙ্গলবার তিনি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগে ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ এনে রিটটি করেন।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সাত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছর ধরে ওয়াসার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনি তার পদে বহাল রয়েছেন।
সুমন আরও বলেন, ২০০৯ সালে তার পরীক্ষার ফলাফল পুনর্লিখন ও কারচুপি করার মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এমডি পদের জন্য ২০ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, যা তার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তার নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষা ও বিবেচনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করছে। যার অর্থ হল কিছু কারচুপি হয়েছিল, তবুও তার মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়।’
তার নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয় বলে জানান তিনি।
সুমন বলেন, ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত