কোভিড-১৯
চীনা ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়াল দ. কোরিয়া
চীনে চান্দ্র নববর্ষের ছুটির পর দেশটিতে কোভিড-১৯ এর বিস্তার আরও বাড়তে পারে-এই আশঙ্কায় ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত দেশটি থেকে স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
জানুয়ারির শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়া চীনে তার কনস্যুলেটগুলোতে বেশিরভাগ স্বল্পমেয়াদী ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়। চীন ডিসেম্বরে হঠাৎ করে করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করে এবং নতুন মিউটেশনের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে দেশে ভাইরাসের বৃদ্ধির উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
চীন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের তাদের আগমনের ৪৮ ঘন্টা আগে নেতিবাচক পরীক্ষার প্রমাণ জমা দিতে এবং তারা পৌঁছানোর পরে তাদের আবার পরীক্ষা করার জন্য বাধ্যতামূলক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মূলত জানুয়ারি মাসের জন্য এই পদক্ষেপগুলো আরোপ করা হয়েছিল। যা দক্ষিণ কোরিয়ার স্বল্পমেয়াদী ভিসা আবেদন স্থগিত করে প্রতিশোধ নিতে চীনকে উসকে দিয়েছিল।
এমন একটি দেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জাগিয়েছিল যা চীনে রপ্তানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি বৈঠকের পরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ চীন থেকে স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারীদের ওপর করোনভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধ আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছবিতে চীনা নববর্ষ
চীনের প্রধান শহরগুলোতে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ধীর হয়ে যাওয়ার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে শেষ হওয়া চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে বিশাল সমাবেশ এবং ক্রস-কান্ট্রি ভ্রমণের পরে ভাইরাল পুনরুত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন।
স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে গেলে বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার সম্ভাবনাটি উন্মুক্ত রাখেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সির তথ্যানুসারে ২ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত চীন থেকে আসা ছয় হাজার ৯০০ স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারীর প্রায় ১০ শতাংশ বিমানবন্দরে পরীক্ষা করার পর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়।
বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দেয়ার সময় সরকারি প্রয়োজন, কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং মানবিক কারণ ছাড়া বেশিরভাগ স্বল্পমেয়াদী ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে চীনে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার কনস্যুলেট।
আরও পড়ুন: রাজাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় থাই যুবকের ২৮ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দশ বছর পর চট্টগ্রাম শহরে এটাই তার প্রথম জনসভা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে ও তার বক্তৃতা শুনতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কয়েক লাখ মানুষ বন্দর নগরীর সমাবেশস্থলে এসেছেন।
রেলওয়ে পলো গ্রাউন্ডে বিশাল গণসমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর ২৭ মাসেরও বেশি সময় পর ২৪ নভেম্বর যশোরে জনসভার পর এটি ঢাকার বাইরে জনসমাবেশে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় উপস্থিতি।
শেখ হাসিনার আগমন শুধু চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে আ.লীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে।
চট্টগ্রামের জনসভার মাঠে সকাল থেকেই কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এরপর জনতা আশপাশের এলাকা, রাস্তাঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে- বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা আকৃতির মঞ্চে আগমনের আগেই মানবসমুদ্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের জনসভা: বাহারি রঙের পোশাকে পলোগ্রাউন্ডে নেতাকর্মীদের ভিড়
সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বর্তমান ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিউনেশিয়ার তিউনিসে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব ফুড সিকিউরিটি (আইওএফএস)’র পঞ্চম সাধারণ সম্মেলনের শেষ দিনে ‘কান্ট্রি ডিবেটে’ অংশ নিয়ে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবিষ্যৎ কৌশল প্রণয়নের ওপরও সরকার অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পৃথিবী এখন ইতিহাসের এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মানবজাতির সংকট বেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহামারিকালে সফলভাবে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করেছে। বর্তমানের সংকট মোকাবিলায়ও সফল হবেন।
এসময় আইওএফএস’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আইওএফএস মডেল হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে পারে।
এ সময় তিনি কৃষি ও খাদ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএফএস’র সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আইওএফএস’র চেয়ারম্যান এছাড়াও কান্ট্রি ডিবেটে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও কাজাখস্তানের পক্ষ থেকে দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে ওআইসি, আইওএফএসভূক্ত সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৫০ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ১৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৬ লাখ ১২ হাজার ৬৪০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৯ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ৪০৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। উক্ত সময়ে শনাক্ত হার ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৮১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭২৩ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫ লাখের বেশি
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৫১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৬ শতাংশ।
একদিনে বিশ্বে আড়াই লাখের বেশি করোনায় আক্রান্ত
একদিকে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৫১ হাজার ৬৪৯ জনে ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার চার জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ২৯ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৩ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ৫৩৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৬৯ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ২৬ হাজার ২১২ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ৫০১
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ১০৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবী করেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান (জিএপি) মিনিস্ট্রিয়ালের উদ্বোধনী অধিবেশনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী অতিমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও মোকাবিলা (পিপিআর)-এর জন্য বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি গঠিত ফিনান্সিয়াল ইন্টারমিডিয়ারি ফান্ড গঠনের এর উদ্যোগটিকে স্বাগত জানান এবং এ তহবিল কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যখাতের চলমান বিভিন্ন বিনিয়োগের সমন্বয়কের ও পরিপূরকের ভুমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি একটি প্লেবুক তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যেখানে দেশগুলো ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন,স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো ও বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’: নিউইয়র্কে মোমেন
যার লক্ষ্য হচ্ছে, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখতে ও শক্তিশালী করতে অংশীদারদের একত্র করা।
জাপান, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহাপরিচালক বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, নরওয়ে, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দিয়েছিলেন।
এসময় ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যববস্থাপনায় অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতিঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রনোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
টিকা ও অন্যান্য কোভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত অ্যাক্ট-এ এবং কোভ্যাক্স এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপক্ষীয় উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায় নি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে ‘বৈশ্বিক গণ পণ্য’- হিসেবে ঘোষণা করা এবং বৈষম্য ছাড়াই সকল দেশের মাঝে বিতরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে জানা যায়, সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়।
বিবৃতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ৬ টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া, মহামারি চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরও উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলায় শিশুদের টিকাদান শুরু: স্বাস্থ্য সচিব
স্বাস্থ্য সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ'- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, সবমিলিয়ে দেশে দুই কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ জন শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।
সচিব বলেন, ‘আগামী ১১ তারিখ (অক্টোবর) থেকে পৌরসভা লেভেলে টিকা কার্যক্রম শুরু করবো। এতে করে কমিউনিটি পর্যায়ে আমাদের শিশুদের টিকা পৌঁছে যাবে। এরমাধ্যমে টিকা না পাওয়া বাকি শিশুরা আমাদের কভারেজে চলে আসবে।’
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দেশেই বাচ্চাদের টিকা শুরু হয়নি, আমরা শুরু করেছি। প্রথম থেকেই টিকা প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বরাবর আবেদন করে রেখেছিলাম, আমরা অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কার্যকর শুরু করে দিয়েছি। এর আগে থেকেই আমরা টিকার সোর্স নিশ্চিত করে রেখেছি।’
সচিব বলেন, ‘আমাদের মানুষের মধ্যে একটা অভ্যাস গড়ে উঠেছে, করোনা প্রকোপ বেড়ে গেলেই তাদের মধ্যে টিকা নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এমন মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার।’
আরও পড়ুন: ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
বরিশালে ২০ হাজার শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হবে
জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
জাতিসংঘের খাদ্য প্রধান বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন যে, বিশ্ব ‘অভূতপূর্ব মাত্রার একটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার’ মুখোমুখি হচ্ছে। যেখানে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং সাত কোটি মানুষকে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে অনাহারের কাছাকাছি অবস্থায় যেতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, ৮২টি দেশে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন, যা ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগের সংখ্যার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি।
তিনি বলেন, এটি অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক যে ৪৫টি দেশের পাঁচ কোটি মানুষ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং দুর্ভিক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে।
আরও পড়ুন: শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
ক্রমবর্ধমান সংঘাত, মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘পূর্বে যা ছিল তা হচ্ছে ক্ষুধার ঢেউ, আর এখন হচ্ছে ক্ষুধার সুনামি।’
বিসলি জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করার পর থেকে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ক্রমবর্ধমান খরচ সাত কোটি মানুষকে অনাহারের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
সোমালিয়ায় কোভিড-১৯-এর ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে বৃহস্পতিবার নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মামুনুর রহমান মালিক বলেন, প্রকল্পটি চলমান সমন্বয়হীনতার শূন্যতা পূরণ, পর্যবেক্ষণ, টিকাদান, কোভিড-১৯ এর কার্যক্রমে সহযোগিতা এবং দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মহামারী থেকে উদ্ধারে আরো অধিক পরিমাণ ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা।
মোগাদিসুতে এক বিবৃতিতে মালিক বলেন, সোমালিয়ার রাজধানীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে দেশটির সরকার ঊর্ধ্বগতির কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করতে পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভাইরাসটির পুনরুত্থান রোধ করবে। এটি অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে মহামারীর বিরূপ প্রভাবও কমিয়ে দেবে। এরমধ্যে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান, যা ইতোমধ্যে গত দু’বছর ধরে উল্লেখযোগ্যহারে করা হয়েছে।’
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সোমালিয়ায় ১ হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু ও ২৭ হাজার ১৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটির রোগ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি এখনও দুর্বল ও ভঙ্গুর, সুসংগঠিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমানে সোমালিয়ার মাত্র ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা সতর্কতার মাধ্যমে দেয়া হয়। দেশটির মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ পূর্ণ টিকার আওতায় এসেছে, টিকার আওতায় না আসা আরও অনেক মানুষ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মালিক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ –এর ধরণ বিস্তার রোধ, মৃত্যু হ্রাস এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অসুস্থতা কমাতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, এটি সরকার ও ফেডারেল রাজ্যের সদস্যদের সহযোগিতা ও তদারকিতে আবিষ্কার ও গবেষণাসহ সমস্যা চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষাগারের নিশ্চয়তা এবং পারস্পরিক যোগাযোগ শনাক্ত, তথ্যের অগ্রগতি ও আদান প্রদান করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি কার্যকর ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ কোভিড-১৯ দ্বারা ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ মৃত্যু থেকে জীবন বাঁচানো, রোগের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে।
সোমালিয়ার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাত দুর্বল মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ও প্রশমনে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে সেসকল দুর্গম এলাকায় যেখানে ৪৭ শতাংশ মানুষ বসবাস করে, যেখানে রোগ শনাক্ত করা দুর্বল ও অপূর্ণ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, যেভাবে প্রতিবেদন করা হচ্ছে তাতে দেশের কোভিড-১৯ মহামারী ও রোগ বিস্তারের সত্যিকার সংখ্যা ও পরিধি হয়তো তুলে ধরে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬০ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬২ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ৬২ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৮ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬২ লাখ ১৭ হাজার ৮২১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ১৯৩ জনে।
পড়ুন: করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশকে সচেতন থাকতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায় নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৬ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৮৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩২৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে প্রথম ওমিক্রন এক্সই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত