নিহত
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা স্টেশন এলাকায় দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে মো. বেলাল (৩০) নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইন নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর টাইগারপাস থেকে ঝাউতলা রুটে চলাচল করা সিএনজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাবুল গ্রুপ এবং মিজান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে বাবুল গ্রুপ ও জুয়েল গ্রুপ মিলে মিজান গ্রুপের সিএনজি চালক মো. বেলালকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুত্বর আহত বেলালকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ঝাউতলা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় সিএনজি চালানো নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বাকবিতণ্ডায় বেলাল নামে এক সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুরুল হুদা লিটন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জোহান্সবাগে লিটনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বিয়ের জন্য বাড়িতে কনে দেখে রাখা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল।
নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ন: গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বাজারে প্রাইভেটকার, নিহত ৩
রাজশাহীতে অসুস্থ বাবাকে দেখতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে নিহত
নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
নেত্রকোণায় প্রাইভেটকারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে জেলার ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কের চল্লিশা ঝাউসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নেত্রকোণা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউল জানান।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার আজিজুল হাকিম ও সদর উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার সোলায়মান ফকিরের ছেলে মো. ফারুখ মিয়া (২১)।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহতদের মধ্যে আজিজুল নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার ফকিরের বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আর ফারুখ মিয়া অটোরিকশারটির চালক।
আহতরা হলেন- নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পাবই গ্রামের রাহাতুল (৪৫), পলাশহাটি গ্রামের পাভেল (৩০), নজরুল ইসলাম (৪০), মাহাবুব (৬৫), সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার শারমিন ( ৩৫) ও প্রাইভেটকারের চালক মাদারীপুর জেলার পানুন মিয়া (৩৫)।
তাদের মধ্যে পানুন মিয়া নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই মশিউল জানান, ওই সড়কের চল্লিশার ঝাউসী এলাকায় নেত্রকোণাগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে ময়মনসিংহগামী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রাইভেটকার উল্টে যুবক নিহত
৩০০ ফুট সড়কে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটের ফকিরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এবং সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বৈইলতলী এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
বিটুমিনবোঝাই একটি ট্রাক গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালক নিহত হন। এবং ট্রাকের সহকারী আহত হন। এসময় ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচরে যায়।
আরেকটি ধানমাইড়াই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতেও ট্রলির সহকারী আহত হন।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সদরের কাশিমপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ট্রাকচালক সোয়ায়িব হোসেন (২২) এবং সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ডিগ্রির চর এলাকার মান্নান ফকিরের ছেলে ট্রলিচালক মোন্নাফ ফকির (৩৫)।
আহত অবস্থায় নিহত ট্রাকচালকের সহকারী জাহাঙ্গীর সরদার (৩০) এবং ট্রলিচালকের সহকারী মাহাবুব হাসানকে (২২) ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফকিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজান মিয়া জানান, চট্টগ্রাম থেকে বিটুমিন নিয়ে একটি ট্রাক মোংলায় যাচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ট্রাকটি বৈইতলী এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ট্রাকটি রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে ট্রাকচালক সোয়ায়িব নিহত হয় এবং তার সহকারী আহত হয়।
তিনি আরও জানান, অপর দুর্ঘটনাটি শুক্রবার ভোরে একই এলাকায় ঘটে। ধানমাড়াইয়ের একটি ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় ঘটনাস্থলে ট্রলিচালক মোন্নাফ ফকির নিহত হয়।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
টাঙ্গাইলে বাসচাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে ঘাটাইলে শহরগোপিনপুরের চেচুয়াপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ধলাপাড়া ইইনিয়নের সরিষাআটা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোস্তফা (৪৫)। শিবেরপাড়া গ্রামের সোহরাবের ছেলে অটোচালক আবু তালেব (৪২)।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সবজি ব্যবসায়ী নিহত
আহতদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ধলাপাড়া বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি সাগরদীঘি যাচ্ছিল।
অটোরিকশাটি শহরগোপিনপুরের চেচুয়াপাড়া নামক স্থানে পৌঁছিলে পিছন যাত্রীবোঝাই অটোরিকশাটিকে পিছন চাপা দিলে যাত্রীসহ অটোরিকশাটি খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু সালাম মিঞা জানান, আহত চার জনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
কাহালুতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত
লালমনিরহাটে ট্রলির ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় নারী নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি বাজারে ট্রলির ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় (৭২) এক নারী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানান, ওই মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বালু পরিবহনের একটি ট্রলির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন অজ্ঞাতনামা এক নারী।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের ধারণা, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, অধিক রক্তক্ষরণে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে ওই নারীর কোনো নামপরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রলির ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, চালক আটক
রাজশাহীতে ইট বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মুরগি বিক্রেতা নিহত
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারধরে কৃষক নিহত, ২ নারী আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারধরে আনারুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আনারুল।
নিহত আনারুল ইসলাম উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হুদাবালা গ্রামের মরহুম তুফানু প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিনে ৪ দালাল আটক
আটকরা হলেন, হুদাবালা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৮) ও মাসুম মিয়ার স্ত্রী রুমা বেগম (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, হুদাবালা গ্রামের আবু বক্বর সিদ্দিকের সঙ্গে একই গ্রামের আনারুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এরমধ্যে গুরুতর আহত হন আনারুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আইনুল হক বলেন, এ ঘটনায় রুমা ও রহিমা নামের দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী নিহত, চালক আটক
রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
নানিয়ারচর-মহালছড়িতে ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর ও খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের দুইজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও এক সদস্য।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহালছড়ির সীমান্তবর্তী পক্ষিমুড়া এলাকার দুরছড়ী গ্রামের একটি বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন-, রবি কুমার চাকমা (৬৫) ও শান্ত চাকমা ওরফে বিমল (৫২)। এই সময় রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন (পোষ্ট পরিচালক) গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তিন ইউপিডিএফ সদস্য রবি কুমার চাকমা,শান্ত চাকমা ওরফে বিমল ও রহিন্তু চাকমা ওরফে টিপন সেখানের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। এই সময় প্রতিপক্ষের অর্তকিত হামলায় রবি কুমার চাকমা ও শান্ত চাকমা (বিমল) মারা যায়।
তিনি আরও জানান, আহত রহিন্তু চাকমা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার জন্য ঠ্যাঙাড়েরা ইউপিডিএফ সদস্যদের উপর গুলি চালালে এতে দু’জন নিহত হয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি এই হামলাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বলে নিন্দা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পুলিশ রওনা দিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
সেখান থেকে তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
গত ২২ জানুয়ারি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর এবং ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
দুইদিন পর বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের(৩৫) লাশ গ্রহণ করে যশোর ৪৯-বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাঠানো হবে।
নিহত রইস উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিজিবি
বিজিবি জানায়, যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনার সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘনকুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। এ সময় বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে যশোর ৪৯-ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেয়া হবে। পরে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানের প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মোট ৪৪ জনের মতো নিখোঁজ এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করেছেন তারা।
আরেকটি ভূমিধসের সতর্কতার কারণে দিনের শুরুতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত থাকার পর পুনরায় তা শুরু হয়েছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খননকারী, ড্রোন ও উদ্ধারকারী কুকুরের সহায়তায় ১ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে কাজ করছেন। সোমবার দু'জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) প্রশস্ত, ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উচ্চতা এবং গড়ে ৬ মিটার (২০ ফুট) পুরুত্বের একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়লে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। তবে কী কারণে প্রথম ধসের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
সিনহুয়ার পোস্ট করা উপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, একটি উঁচু পাহাড়ের অংশ পাশের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার কারণে ৯০০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টি বেইজিং থেকে প্রায় ২ হাজার ২৫০ কিলোমিটার (১,৪০০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২ হাজার ৪০০ মিটার (৭,৯০০ ফুট) পর্যন্ত এর উচ্চতা রয়েছে।
উদ্ধারকারীরা তুষারপাত, বরফে ঢাকা রাস্তা এবং হিমশীতল তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে। এমন আবহাওয়া কমপক্ষে আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের অনেক অংশে ভারী তুষারপাত হচ্ছে, যা পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে এবং জীবনকে বিপন্ন করছে।
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু