বিল
সংসদে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন-২০২২ বিল পাস
দেশে তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ত্বরান্বিত করতে সংসদে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন বিল, ২০২২ পাস হয়েছে।
নতুন আইনটি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এর প্রতিস্থাপন করবে, যা আদালত কর্তৃক বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এটি সামরিক একনায়কের শাসনামলে জারি করা হয়েছিল।
বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিল অনুযায়ী, এই বিলের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন নামে একটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হবে। করপোরেশনকে পেট্রোবাংলাও বলা যেতে পারে।
করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় স্থাপিত হবে এবং প্রয়োজনে সরকারের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে দেশে ও দেশের বাইরে যে কোনো স্থানে এর কার্যালয় স্থাপন করা যাবে।
করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। আগে যা ছিল ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হবে ২০০ কোটি টাকা।
সরকারের অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে করপোরেশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে।
বিল অনুসারে, এটি মেয়াদী আমানত হিসাবে যে কোনও তফসিলি ব্যাঙ্কে তার তহবিল জমা করতে পারে বা কোনও সরকার অনুমোদিত সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করতে পারে।
সংসদে পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধনী) বিল পাস
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধনী) বিল-২০২২ শিরোনামের একটি বিল পাস হয়েছে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে দুটি পদের নাম পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
বিল অনুযায়ী, কমিশনে অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব নামে দুটি পদ রয়েছে, যেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ প্যানেল সভাপতি মনোনীত
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর নির্দেশনা দেয়, যদি কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীনে কোনো দপ্তরে সহকারী সচিব, উপসচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং সচিব নামে কোনো পদ থাকে; তাহলে সেই পদের নাম পরিবর্তন করতে হবে।
বিলে বলা হয়েছে,সচিব শব্দের পরিবর্তে পরিচালক শব্দটি ব্যবহৃত হবে। বিলের এ সংক্রান্ত ধারায় শব্দগত পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, সরকার কমিশনকে সহায়তা দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক একজন পরিচালক (অর্থ) ও একজন পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন শুরু
মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটি এলাকায় বড়িপাড়া বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আরিফ (৬) বড়িপাড়া এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধানখেতের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ জানান, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শিশু আরিফ বাড়ির কাছেই বড়িপাড়া বিলে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার সময় বিলের পানিতে পড়ে ডুবে যায়।
স্থানীয়রা তা দেখে তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রৌমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সংসদে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল পেশ
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএদের একটি তালিকা তৈরি করবে- মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শূন্য ঘোষণা করা আসনের উপ-নির্বাচনে এমএনএ এবং এমপিএ নির্বাচিত ব্যক্তিদের নামও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তালিকাগুলো গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
সোমবার সংসদে পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল ২০২২-এর প্রতিবেদনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
গত ৫ জুন পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল অনুযায়ী কাউন্সিলের প্রাথমিকভাবে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি করার কথা ছিল, যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং বিভিন্ন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে পাকিস্তানি দখলদার সেনাদের সহযোগিতা করে।
বিল অনুযায়ী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল থাকবে; যার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে। এটি সরকারের পূর্বানুমতি নিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা স্থাপন করতে পারে।
পরিষদের চেয়ারম্যান থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। তবে মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হবেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ভাইস চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন, উপদেষ্টা পরিষদের মহাপরিচালক মনোনীত আটজন এবং কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
কাউন্সিল প্রতি দুই মাসে অন্তর একটি সভা করবে।
কাউন্সিলের অন্যতম প্রধান কাজ হবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাসহ স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের তালিকা তৈরি করা।
উপদেষ্টা পরিষদের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা হবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও সচিব কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: উৎসবের আমেজ ফিরল সংসদে
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
ফরিদপুরে বিল থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের একটি বিল থেকে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গাবির বিলের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত শরীফ শেখ (৩৫) একই ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের নিমাই শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে কাঁচামাল ব্যবসা ও গরু কেনা-বেচা করতেন।
পরিবারের দাবি, তার কাছে গরু কেনা-বেচার কয়েক লাখ টাকা ছিল। ওই টাকার জন্যেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন তারা।
তারা আরও জানান, শরীফ শনিবার রাত ১০টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে স্থানীয়রা কলা বাগানের পাশের মরিচ খেতে গিয়ে তার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবাররের সদস্যদের ও ৯৯৯ নম্বরে জানায়।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা জানান, নিহত শরীফের মাথা কুপিয়ে তিনটি খন্ড করে ফেলে উপুড় করে রাখা হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করি।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে এবং হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে দুজনের লাশ উদ্ধার: পুলিশ
ইসি গঠন বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে একটি আইনি কাঠামো পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে আইনি কাঠামো দিতে ২৩ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বুধবার কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার মূল বিলে কিছু পরিবর্তন এনে কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলে আইনটির মাধ্যমে সার্চ কমিটির সব কার্যক্রমকে আইনি কাঠামো দেয়া হবে।
যোগ্যতা
সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর সিইসি ও ইসি হতে গেলে তাদের বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে; তাদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এ ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
অযোগ্যতা
কোনো আদালত কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করা হলে; 'দেউলিয়া' ঘোষণার পর কারাগার থেকে মুক্তি পাননি; বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে; নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হলে এবং কোনো আইন দ্বারা বা তার অধীনে এই ধরনের পদের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হলে তিনি সিইসি বা ইসি হওয়ার জন্য ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।
এছাড়া একজন ব্যক্তি একবার সিইসি পদে অধিষ্ঠিত হলে তিনি ইসি পদের জন্য যোগ্য হবেন না। কিন্তু কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার পদে অধিষ্ঠিত থাকলে তাকে সিইসি নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হতে পারে।
ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার অংশে কিছু পরিবর্তন এনে বুধবার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ সংসদে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার প্রতিবেদনটি পেশ করেন।
কমিটি বিলের ধারা ৬ (ঘ) পরিবর্তন করেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য হবেন না।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার জন্য যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
সংসদীয় কমিটি এই ধারায় সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদ ছাড়াও 'স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা' যুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটি পাস হলে বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থা-স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য পেশার ব্যক্তিরা সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য হবেন।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও আগের নির্বাচন কমিশনকে আইনে রূপ দিতে ২৩ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি পেশ করেন।
পরে বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইনটি পাস হলে সার্চ কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমকে আইনি সুরক্ষা দেবে।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে।
পড়ুন: ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কপোরেশনের মূলধন ও সুযোগ বৃদ্ধিতে বিল পাস
জাতীয় সংসদে ‘হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন বিল (সংশোধনী) ২০২১’ পাস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এটি সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে মূল আইনটি জারি করা হয়।
সংশোধনীর পর বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (বিএইচবিএফসি) অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। মূলধন বৃদ্ধির ফলে এখন থেকে বিএইচবিএফসি’র পরিষেবা আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রস্তাবিত বিলে কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেয়ার সময় মিথ্যা তথ্য প্রদানের শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে।
কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য পাঁচ বছরের জেল বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা দুই বছরের জেল বা দুই হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পেশ
লিখিত অনুমতি ছাড়া কেউ বিজ্ঞাপন বা প্রসপেক্টাসে কর্পোরেশনের নাম ব্যবহার করলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।এর আগে উক্ত অপরাধে বিদ্যমান বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন আদেশ ১৯৭৩-এ শাস্তি ছিল ছয় মাসের জেল বা মাত্র একহাজার টাকা জরিমানা।
প্রস্তাবিত বিলে 'ঋণ খেলাপি','কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান','পরিচালক'সহ কিছু শব্দ যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য আইনের তুলনায় এটিকে অগ্রাধিকার দিতে বিলে একটি ‘স্থগিতকরণ ধারা’ যুক্ত করা হয়েছে।
এটি পরিচালনায় তিন বছরের জন্য সাত সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে। কমিটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত করবে সরকার ।
আরও পড়ুন: কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল’
জাতীয় আর্কাইভে কোন রেকর্ড নষ্ট করা যাবে না, সংসদে বিল পাস
পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পেশ
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল ২০২১’ সংসদে পেশ করা হয়েছে। দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষার প্রসারে নেয়া পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।
এরপর পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে এই বিষয়ের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে নির্মিত হবে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও চ্যান্সেলর হবেন।
আরও পড়ুন: কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল’
সংসদে পেটেন্ট বিল পেশ
ডিজেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিরোধী নেতাদের অসন্তোষ
সংসদে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিল’ পেশ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০২১ বুধবার সংসদে পেশ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে আরও পাঁচ বছর বাড়াতে বিলটি পেশ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পেশ করেন। বিদ্যমান আইনের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাবে।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। প্রস্তাবিত আইনে সময় বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে: স্পিকার
সংসদে ‘হাইওয়ে বিল-২০২১’ পেশ