হাইকোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটায় ২৮৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এ বিষয়ে জারি করা রুল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্টের আজকের রায় যুগান্তকারী। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এবং ২০২০ এর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা ৪টি পৃথক রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদকে শপথ পড়াতে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
তিনি বলেন, রায়ে রিটকারী ২৮৫ জন প্রতিবন্ধী নিয়োগ প্রার্থীকে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত।
১১ ডিসেম্বর ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদকে শপথ পড়াতে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে ভোটের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
পাশাপাশি এ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে শপথ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আদালত আদেশে বলেছেন, রিটকারী সানজিদা খানম চাইলে যথাযথ নিয়মে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে পারবেন।
এর আগে সকালে গেজেট স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন আওলাদ হোসেন।
আওলাদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হয়।
ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। সানজিদা খানমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, মোতাহার হোসেন সাজু, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
আরও পড়ুন: বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসনটির ১৮টি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের ঘটনা ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নৌকার প্রার্থী আইনজীবী সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার সকালে ঢাকা-৪ আসনের ভোটের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭, ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯ ও ডেমরা উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
আওলাদ হোসেন মোট ভোট পান ২৪ হাজার ৭৭৫টি। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙল প্রতীক নিয়ে পান ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করেন নৌকার প্রার্থী আইনজীবী সানজিদা খানম।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ-৯ আসনে আ. লীগ প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
বিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’ গানটি অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া কাজী নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গান সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, আইনজীবী নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন ‘ল’ এন্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি, ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারীরা হলেন- মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, আইনজীবী শহিদুল ইসলাম, মো. শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।
আরও পড়ুন: গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যশোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী নির্বাচন চালিয়ে যেতে পারবেন: হাইকোর্ট
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বিবাদীদের এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট' গানটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন।
এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছন। এই গান নজরুলের নিজের সুরারোপিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সব বিপ্লব–বিদ্রোহ তথা আন্দোলন–সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’।
রিটে আরও বলা হয়, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। তার কবিতা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। তার কবিতার আসল সুর অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানানো হয়। বৃটিশ সরকার কর্তৃক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আটকের প্রতিবাদে কাজী নজরুল ইসলাম ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি লেখেন। ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি 'ভাঙার গান' বইয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ সালের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভাঙার গান নিষিদ্ধ করে।
পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি ফের প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া রেকর্ড এবং ১৯৫০ সালে এইচএমভিতে গিরিন চক্রবর্তীর কণ্ঠে গানটি বাণীবদ্ধ হয়। ১৯৪৯ সালে নির্মল চৌধুরী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমায় গিরিন চক্রবর্তী ও তার সহশিল্পীদের নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন সংগীত পরিচালক কালীপদ সেন। এরপর ১৯৬৯-৭০ সালে জহির রায়হান তার কালজয়ী চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেয়া' সিনেমায়ও গানটি ব্যবহার করেন।
রিটে বলা হয়, ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ শত বছরের এক অবিনাশী অমর গান। সময়ের প্রয়োজনে লেখা হলেও গানটির লোকপ্রিয়তায় সামান্য ঘাটতি হয়নি। ব্রিটিশি বিরোধী মানসে লেখা গানটি সব ধরনের অন্যায়, অবিচার ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার, ফলে এখনও সমানভাবে এটি প্রাসঙ্গিক।
নোটিশে বলা হয়, একই গান একটি কাজী নজরুলের সুরে ও আরেকটি বিকৃত সুরে থাকলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, এ আর রহমানের গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’ গানটি অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেননি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তার গান আমাদের সকল প্রকার বিপ্লব ও আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের জাতীয় কবি ও তার অমর কবিতার মূল সুর রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়েছিল।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত বিটিআরসিকে এআর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া জাতীয় কবির ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানি গ্রহণ শেষে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই। ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
গত ২৯ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাত জনকে বিবাদী করা হয়।
জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের আরজি জানানো হয় রিটে। রিটে রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশও চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ এখনো বহাল। পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তখন দুটি সংসদ হবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০।
অথচ সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে আছে যে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ রিটের উপর গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়। সোমবার রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ (সামারালি রিজেক্ট) করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
সিলেটে প্রতীকের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবের অবস্থান
হাইকোর্টের রায় মেনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে প্রতীক বরাদ্দের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তিনি সেখানে অবস্থান নেন।
অবস্থানকালে মুহিবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা প্রতীক বরাদ্দের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন।
এসময় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান অভিযোগ করেন, চার দিন আগে (২৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করার পরও ষড়যন্ত্র করে তাকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর মুহিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এরপর তিনি ইসিতে আপিল করলে ১৫ ডিসেম্বর তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
পরে ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর রহমান।
এর আগে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব। তিনি ‘ট্রাক’ প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে শুরু করেন প্রচার। এজন্য গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মুহিবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন।
সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন ও মুহিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
দেশে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত সবচেয়ে আধুনিক স্টেন্টের (হার্টের রিং) বৈষম্যমূলক দাম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যে দাম নির্ধারণ করেছে তা বৈষম্যমূলক। এর ফলে চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যদের জন্য যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তারা ওই দামে হার্টের রিং আমদানিই করতে পারবে না। ফলে বাজারে কেবল টিকে থাকবে চারটি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। আশা করছি, বিবাদীরা যথাসময়ে রুলের জবাব দেবেন।
এর আগে গত রবিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এই বৈষম্যমূলক দামে অসন্তুষ্ট হয়ে ওশান লাইফ লিমিটেডসহ ১১টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে নির্দেশনা চেয়ে মেজর হাফিজের রিট
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তিকে রিটে বিবাদী করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বাংলাদেশে হার্টের রিংয়ের দাম ঠিক করে। আর ভারতের জাতীয় ওষুধের দাম নির্ধারণ কর্তৃপক্ষ গত ৩১ মার্চ তাদের দেশে স্টেন্টের দাম ঠিক করে দেয়।
দুই দেশের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রায় সব মানের স্টেন্টের দাম বাংলাদেশে ভারতের চেয়ে সর্বোচ্চ তিন গুণ বেশি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশে ২৭টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে।
অধিদপ্তরের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় নীতিমালা বা মার্কআপ ফর্মুলা অনুসরণ করা হয়েছে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠানের বেলায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই চার প্রতিষ্ঠানের একই মানের স্টেন্টের মূল্য দাঁড়িয়েছে ভারতের প্রায় তিন গুণ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ
নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর মধ্যদিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সব আইনি পথ হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, আইনজীবী তানজিব উল আলম এবং ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপত্তি সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বৈধ ঘোষণা করেন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টিকে সমর্থন করে বলেন, বাদী তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো দলিল জমা দিতে পারেননি।
গত ৮ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদন করেন।
পরদিন শামীম হক হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এ কে আজাদের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে পাল্টা আবেদন করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আপিল গ্রহণ করে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম হক ইসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।
১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
২৮ অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা শুনানি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এসব মামলায় তার জমিন আবেদন নিষ্পত্তি না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন শুনানি ৩ জানুয়ারি: হাইকোর্ট
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিটে বলা হয়, ১০টির মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন। এ রিট দায়েরের পর একটি মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিটের পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, সিএমএম আদালতে বিচারাধীন ১০টি মামলায় মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর আদালত গ্রহণ করেননি।
এমতাবস্থায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
হবিগঞ্জের কারাগারে কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে শিশুটির থাকা এবং শিশুটির অবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কারা মহাপরিদর্শক ও হবিগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কারাগারের কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন নিশ্চিতে বিধি বা নীতিমালা বা প্রবিধান তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কারা মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ আদেশ দেন।
গত ৩০ নভেম্বর ‘ফাঁসির সেলে কেমন আছে ১০ মাসের মাহিদা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এতে বলা হয়, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় তার সঙ্গেই ফাঁসির সেলে আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে শিশুটির জন্য পর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিতে নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
রবিবার আদালতে রিটের পক্ষে তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, রুলের পাশাপাশি কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে শিশুটির থাকা এবং শিশুটির অবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করে কারা মহাপরিদর্শক ও হবিগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী আদেশের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জাহিদুল হক।
রায় ঘোষণার দিন মা হুছনা আক্তারের সাথেই আদালতে এসেছিল ১০ মাসের শিশু মাহিদা। রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে মাহিদার জায়গা হয় হবিগঞ্জ কারাগারের ফাঁসির সেলে। হবিগঞ্জ কারাগারের ওই সেলে সরাসরি পানির কোনো ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: বনানীর হোটেল শেরাটনের বিষয়ে হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ১৮ জানুয়ারি
ছোট বালতিতে করে পানি পাওয়া যায়, তাও সবসময় নয়, ওই পানিতেই চলতে হয় তাদের। একজন সশ্রম কারাবন্দি যে হারে খাবার পান ফাঁসির সেলে বন্দিদের একই নিয়মে খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দেড় ঘণ্টার জন্য ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়।
তালা খুলে দেওয়ার পর দেড় ঘণ্টার জন্য ওই কক্ষের শিশু মাহিদাসহ চার বাসিন্দার পরবর্তী গন্তব্য কক্ষের সামনের ৬ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের বারান্দা। জেল কোডের ৭৩৫ বিধিতে সেলের কথা বলা হলেও এর আয়তন কী তার উল্লেখ নেই।
তবে জানা গেছে, বিভিন্ন কারাগারে ৬ ফুট বাই ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে নারী বন্দিদের জন্য দুটি সেল রয়েছে। হবিগঞ্জ কারাগারে ফাঁসির সেলের আয়তন প্রায় ১০ ফুট বাই ১০ ফুট।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বিষয়টি উপস্থাপনের পর রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আগামী ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা।
আইনজীবী কালীপদ মৃধা জানান, হাইকোর্ট নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ১৭ জানুয়ারি তাকে তলব করেছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেছে গণ অধিকার পরিষদ।
ওই দিন দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্য ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ভিপি নুরের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দুই থানায় অভিযোগ