ডিএমপি
একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, একুশে বইমেলাকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে কারও জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফারাবীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোন লেখক বা প্রকাশক নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমরা তার ওপর কড়া নজর রাখব।’
মেলায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এছাড়া মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: সেনাবহরে যুক্ত হলো তুর্কিয়ের তৈরি টাইগার মিসাইল
ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে ‘ভাঙচুর’ করার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ এবং আরও নয়জনের বিরুদ্ধে বিএনপির দায়ের করা অভিযোগ রবিবার খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এর আগে এদিন সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ‘নয়াপল্টন কার্যালয় ভাঙচুর’: ডিবি প্রধান ও আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিএনপির
তবে আদালত অভিযোগ খারিজ করে দেন বলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরমান হোসেন ইউএনবিকে জানান।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৪৭০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
নয়াপল্টনের ঘটনায় ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি বিএনপির
পুলিশের ওপর হামলাকারী জামায়াত কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজধানীর মালিবাগে শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকে রেহাই দেয়া হবে না।
শনিবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু তারা অনুমতি ছাড়াই মিছিল বের করে এবং পুলিশের ওপর হামলা করে, ডিএমপি ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র অফিসার সহ অনেক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা খবর পেয়েছি তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে মিছিল করবে। রামপুরার আবুল হোটেলে মিছিল শুরু করে মৌচাক-মালিবাগে আসলে পুলিশ বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক শনিবার বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কাউকে বাইরে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকা, আতশবাজি বা ফানুশ ওড়ানোতেও নিষিদ্ধ থাকবে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের কাউন্সিলের আগে নিরাপত্তা জোরদার, ঝুঁকি নেই: ডিএমপি
রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি প্রধান এসব তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, ৩১ তারিখ রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে। এই রাতকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তল্লাশি করবে।
ডিএমপির স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) টিম, ডগ স্কোয়াড এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান ফারুক।
তিনি বলেন, কোনও ডিজে পার্টির অনুমতি দেয়া হবে না এবং বারগুলো শনিবার থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আবাসিক হোটেলে কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এছাড়া আজ রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের প্রবেশের জন্য আমতলী ক্রসিং ও কাকলী ক্রসিং খুলে দেয়া হবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো বহিরাগতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এবং এ সময় কোনো যানবাহন সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে পরিচয়পত্র দেখিয়ে নীলক্ষেত ও শাহবাগ এলাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফায়ার ফাইটিং ইউনিট ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে এবং সন্ধ্যার পর হাতিরঝিল এলাকায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না।
সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৩১শে ডিসেম্বর রাতকে কেন্দ্র করে কোনো নির্দিষ্ট হুমকি নেই।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
মেট্রোরেল: বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
মেট্রোরেল: বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিষেবার নিরাপত্তা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই মেট্রোরেল চালু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন রাজধানী ঢাকার উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন।
মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’ নামে একটি বিশেষায়িত নতুন পুলিশ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ডিএমপি অন্তর্বর্তী সময়ে কাজটি করবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে চাকরি: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চাকরির বিজ্ঞপ্তি ২০২২
এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে সচিব কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনসহ কিছু প্রক্রিয়ার জন্য বিলম্বিত হচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) এসএম মোস্তাক আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশ ইউনিট গঠনের খসড়া প্রস্তাবটি এখন সচিবদের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। সোমবার সচিবদের কমিটিতে খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
‘কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর এমআরটি পুলিশ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে’, মোস্তাক যোগ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিএমপিকে চিঠি পাঠিয়ে এমআরটি পুলিশ ইউনিট কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার অনুরোধ জানিয়েছে। ডিএমপি বিষয়টি দেখবে বলেও জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির মিডিয়া উইংয়ের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ডিএমপি নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই মেট্রোরেল প্রকল্পের নিরাপত্তা দিচ্ছে। যেহেতু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ডিএমপিকে ২৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু থেকে নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করেছে, তাই রিজার্ভ ফোর্স সহ স্থানীয় থানা পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন হাজার পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেছে। তবে ডিএমপি স্টেশনগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক সরবরাহ করবে, ডিসি (মিডিয়া) যোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: টিকিট কাটা থেকে শুরু করে আসনব্যবস্থা: ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম ভ্রমণের আগে যা জানা দরকার
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে গণভবনে মেট্রোরেলের একটি উপস্থাপনাকালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পরবর্তীতে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) একই মাসে এমআরটি পুলিশ গঠনের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব জমা দেয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সাহস, আন্তরিকতা, দৃঢ় ইচ্ছা মেট্রোরেল বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান নতুন গঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান এ দাবি করেছেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, জামায়াতের আমির জানতেন যে তার ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িত। ‘কিন্তু তিনি নীরব ছিলেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ তথ্য জানাননি।’
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ জঙ্গিবাদে জড়ানোর পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, পরিবার আবেদন করে, তাহলে বিবেচনা করা যেতো। কিন্তু তিনি (শফিকুর রহমান) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানিয়ে পুরো বিষয়টি গোপন করেছিলেন।’
গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হাজিগঞ্জে ১১ নারী ‘জামায়াত কর্মী’ আটক
রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিলেন এবং তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেয়ার জন্য কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিলেন।
সিটিটিসি প্রধান দাবি করেছেন, সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে আসা একদল যুবক রাফাতের নেতৃত্বে বান্দরবানে যায়, সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে যায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জামায়াত প্রধানের দ্বারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে সমর্থন ও অর্থায়ন করার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান আজ (বৃহস্পতিবার) বলেন, ‘এখনও বলার সময় আসেনি। তারা এখনও দেশ থেকে পালাতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: নতুন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দিচ্ছেন জামায়াতের আমীর: ডিএমপি কমিশনার
রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪২
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ডিএমপির আওতাধীন বিভিন্ন থানা পৃথকভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭০
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৭৯৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫২টি ছোট প্যাকেটে ২৯ গ্রাম হেরোইন, ৭ দশমিক ৫ কেজি গাঁজা, ৪৬ বোতল ফেনসিডিল ও মদ জব্দ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মোট ৩৫টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৯
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭৪
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার ও অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৩ আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ২
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম এক বিবৃতিতে দাবি করেন, রাজধানীর তার বাসা থেকে রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তিনি গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এটিএম মাসুম আরও জানান, এ ধরনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার দেশে চলমান রাজনৈতিক বিক্ষোভ থামাতে পারবে না। ভয়ভীতি সৃষ্টি, হামলা ও মামলা দিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
মাসুম অবিলম্বে শফিকুরসহ গ্রেপ্তার জামায়াত নেতাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
১১ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আমির ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন, যা মূলত বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে যায় এবং বিএনপির ঘোষণার ঠিক পরেই ২৪ ডিসেম্বর একটি গণসমাবেশ ঘোষণা করে।
জামায়াতে ইসলামী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী একযোগে গণমিছিল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
বিএনপির ইভেন্ট কাভারের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কনস্টেবল প্রত্যাহার
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার ইভেন্ট কভার করতে সংসদ এলাকায় যাওয়া এক টেলিভিশন সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায়, পুলিশ কনস্টেবল শাহিনুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশ কনস্টেবল শাহিনুর রহমানকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার নাগরিক টিভির সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাঈদ আরমান সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যদের (এমপি) পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার ইভেন্টটি সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন। তখন কনস্টেবল শাহিনুর রহমান সাংবাদিকের বুম (মাইক্রোফোন) কেড়ে নেন এবং তাকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
রবিবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানান ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল।
ডিআরইউ নেতারা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
তারা সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্পিকারকে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য
২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
সোমবার ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছি।’
বিকল্প সমাবেশস্থল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হিসেবে পল্লবী, কালশী ও ইজতেমা মাঠ হতে পারে সমাবেশস্থল।
গত ২৯ নভেম্বর ২৬ শর্তে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার অ্যান্ড অ্যাডমিন) আব্দুল মোমেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
বিএনপির আবেদনের পর যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে দলটিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তে শাহবাগের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ডিএমপি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে। ২৬ শর্ত উল্লেখ করে বলা হয়- শুধু ডিএমপির অনুমতিই যথেষ্ট নয়, সমাবেশস্থল ব্যবহারে বিএনপিকে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি।
এতে আরও বলা হয়, সমাবেশস্থলে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ও বক্তব্য নিষিদ্ধ।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করে তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভিন্ন অন্য কোনও স্থানে তাদের দলের কর্মসূচির অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর