উন্নয়ন
উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ায় আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ১২ তলা জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘তার সরকার নারীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে। সুতরাং এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার দল ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ গণতন্ত্র প্রত্যক্ষ করছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার এখন নিশ্চিত হয়েছে, অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত হচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সরকার সর্বত্র নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি দেশের নারীদের অধিকারের জন্য অপেক্ষা না করে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘শুধু বলবেন না, আমাদের অধিকার দাও, আমাদের অধিকার দাও। নারীদের নিজেদের অধিকার নিজেরাই অর্জন করতে হবে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং জয়িতা টাওয়ারে জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা মার্কেট প্লেসের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড এভিয়েশন নেভিগেশন সার্ভিসের জন্য আইসিএওর সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে নতুন সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে রাস্তা-ঘাট জনসাধারণের জন্য খুলে করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ৪৪-৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে উত্তরখানের বালুর মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
এসময় মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন ঢাকার এই ওয়ার্ডগুলো অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার এগুলোকে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের মর্যাদা দিয়েছে। আমরা বসে নেই, কাজ শুরু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকাগুলোতে পানি উঠে যায়। দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে জনভোগান্তি বাড়বে। সবাই যার যার মতো ডোবা-নালা, নিচু জমি, জলাশয় ভরাট করে বিল্ডিং করেছে। পানি বের হবার উপায় নেই। ফলে ভোগান্তি চলছেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
আতিকুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার মূল রাস্তার প্রশস্ত হবে ৭২ ফিট এবং গলির রাস্তার প্রশস্ত হবে কমপক্ষে ২০ ফিট। ফলে রাস্তার ধারে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে হবে। জনগণের জায়গা জনগণকে ফেরত দিতে হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগে ২৪ ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র জানান, ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু রাস্তা করে ফেলেছে। ড্রেনেজের জন্য ভূগর্ভে ৬ফিট ডায়ার রিং বসানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা আর থাকবে না।
গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই এলাকায় জীবনমানের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এসময় রাস্তায় কারো ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থাকলে জনস্বার্থে তা দান করতে আহ্বান জানান মেয়র আতিক।
পরে তিনি যারা রাস্তার জন্য স্বেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ফলে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, ভবন নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না।
তিনি বলেছেন, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে বৃক্ষরোপণ করছি। দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি শহরের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিটি বাড়িতে অন্তত ২টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান করছি। এ বিষয়ে রাজউক একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করলে বাস্তবায়ন সহজ হবে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ওয়েস আয়োজিত টেকসই নগর ও জনপদের জন্য সবুজায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আতিক এসব বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
মেয়র আতিক বলেন, ঢাকা শহরকে অক্সিজেন হাবে পরিণত করতে হবে। পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করায় আজ পরিবেশ তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। কোথাও কোনো গাছ কাটতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যেখানেই সুযোগ আছে গাছ লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডিএনসিসি থেকে ছাদবাগানের জন্য ১০ শতাংশ কর ছাড়ের আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ছাদ বাগান করলে ১০ শতাংশ কর ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। ডিএনসিসিতে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের সময় একটি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, শহরটাকে আপন করে নিতে হবে। আমরা এই শহরের উপর নির্ভরশীল। এখান থেকেই আমরা উপার্জন করি, এখানেই আমরা বসবাস করি। অতএব এই শহরকে আপন করে নিতে না পারলে শহর রক্ষা করা কঠিন হবে। সবাই সচেতন হলে শহরের অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। প্রতিজ্ঞা করতে হবে কোথাও গাছ কাটা যাবে না। শহরের সবুজায়ন বাড়াতে গাছ লাগাতে হবে, গাছের পরিচর্যা করতে হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র কার্যক্রম সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা ও সফলতা বিচারের ভার জনগণের হাতে। জনগণ দেখছে ডিএনসিসি সক্রিয় অবস্থানে আছে। কোথাও অবহেলা পেলে অভিযোগ করুন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা বসে নেই।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসি’র ওয়েবসাইটে, সবার ঢাকা অ্যাপসে ও ফেসবুক পেজে এলাকাভিত্তিক মশক কর্মীদের তালিকা দেওয়া আছে। সবাই সরাসরি মশক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সবাই সচেতন হলে, পানি জমিয়ে না রাখলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব। অভিযানের বা জেল জরিমানার ভয়ে নয় বরং শহরটাকে ভালোবেসে পরিষ্কার রাখুন। সবাই যার যার আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। কোথাও পানি জমতে দিবেন না। তাহলেই আমরা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাব।
আরও পড়ুন: মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ঘোষণা মেয়র আতিকের
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অপতৎপরতা, নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির সেই ধারায় বিএনপি-জামায়াতের আবারও ফিরে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি মোটেই দেশের জন্য ইতিবাচক নয়। এই সময়ে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ অনুদান ও আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার সমস্ত কিছুই ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা। কারণ শিক্ষার্থীদের করোনার কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে। এখন আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নভেম্বরের মধ্যে এ বছরের পাঠ্যসূচি, পরীক্ষা সব শেষ করতে চেষ্টা করছি। এখন এই রকম অরাজকতা সৃষ্টি করলে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম আবারও ব্যাহত হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি যে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের নতুন প্রজন্ম, আগামী প্রজন্মের বিষয় ও স্বার্থকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।
দীপু মনি বলেন, রাজনীতির মাঠে রাজনীতি থাকবে। রাজনীতি মানে অরাজকতা, ধ্বংসলীলা নয়। সামনে নির্বাচন আসছে নির্বাচনে সবাই গণতান্ত্রিক ভাবে অংশগ্রহণ করুক।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই একমাত্র এসব প্রশ্নের মীমাংসা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশের জনগণকে ‘দেশ ধ্বংস করার মিশনে নিয়োজিতদের’ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে আহ্বান জানাই যে দেশ ধ্বংস করার তালে যারা আছে, আপনারা তাদের বর্জন করুন।’
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করলে কোনো লাভ হবে না।’
এর আগে, সফররত জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গ্রপের (এসডিজি) চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য বিশ্বব্যাপী পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনা করেননি বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন - এইগুলো আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ।’
দুঃখ করে মোমেন বলেন, অনেক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
আরও পড়ুন: অন্যের প্ররোচনায় বিপথগামী না হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসা এবং জ্ঞানচর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলামি বিশ্বের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ মুসলিমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের অধিকারী। বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারি। আমি এটা বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এর ক্যাম্পাসে আয়োজিত ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইউটির চ্যান্সেলর এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম পণ্ডিতরা বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোলসহ আরও অনেক শাখায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এছাড়া সে যুগের মুসলিম পণ্ডিতরা সংস্কৃতি, জ্ঞান আহরণ, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময়ের গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানদের পতনের কারণ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির অভাব, জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অভাব।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য অনেক বিষয় মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে, আমি মনে করি আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিজ্ঞানে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এটাই এই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত চিত্র।
তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও জোরালো প্রচেষ্টা দরকার, যাতে তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য খাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ-ভারত
উদীয়মান প্রযুক্তিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সুবীর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়।
বৈঠকে তারা থ্রিডি, এআই এবং অন্যান্য ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনসহ উদীয়মান প্রযুক্তিতে সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চালু হতে পারে
বেঙ্গল চেম্বারের নেতারা বলেন, আইসিটি হচ্ছে নলেজ বেইজড ইন্ডাস্ট্রি। তাই যৌথভাবে কাজ করলে সুদূরপ্রসারী সুফল পাওয়া যাবে। নেতারা স্টার্টআপ, এগ্রিটেক, সাইবার সিকিউরিটি, হেলথ ডেলিভারি সিস্টেম, আইটি ইনোভেশন সেন্টারসহ ডিজিটাইজেশনে যৌথ-সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে স্টার্টআপ ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ অথবা ইয়াং অন্টারপ্রেনিয়র সামিট এবং স্টার্টআপ হ্যাকাথন আয়োজন করার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, বিটুবি ম্যাচমেকিং এবং নলেজ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি ইমার্জিং টেকনোলজি বিশেষ করে মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি এরিয়াতে যৌথভাবে কাজ করতে বেঙ্গল চেম্বারের প্রতিনিধি দলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে দু’দেশের শিক্ষাঙ্গণ ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে ভারতের বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট ও সৌহার্দপূর্ণ হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের বালিয়ামারীতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট চালু ডিসেম্বরে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যণীয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই রূপান্তরের গর্বিত অংশীদার।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তারপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্যানেলে ‘মবিলাইজিং ইনফ্রাস্টাক্চার ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ এন্ড দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হাস বলেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এ ধরনের আরও অনেক সমস্যা মোকাবিলায় আট বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আরও দক্ষ লজিস্টিক সিস্টেম তৈরি করতে এবং ক্লিন এনার্জি, বন্দর এবং রেলওয়ের মতো ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে প্রযুক্তিগত সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।’
সমগ্র অঞ্চলের অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মতো বাংলাদেশেও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ।
অবকাঠামো শ্রমিকদের ভালো কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করে; ব্যবসা বৃদ্ধি ও উন্নতি লাভের সুযোগ দেয় এবং সমাজের সকল অংশের জন্য সুযোগ তৈরি করে। যার মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোও রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কিন্তু উচ্চ-মানের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কেবলমাত্র আর্থিক বিনিয়োগই না, এর চেয়েও বেশি কিছু লাগে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতি কাঠামো, নিয়ন্ত্রক পরিবেশ এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রকল্প গঠনের জন্য মানব ক্ষমতা সমর্থন করার জন্য কাজ করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ইতিবাচক প্রভাব নিশ্চিত করতে এর জন্য শক্তিশালী প্রকৌশল, পরিবেশগত, সামাজিক, শাসন ও শ্রমের মান প্রয়োজন।
হাস বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে অবকাঠামোর চাহিদা পূরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের বিকল্প প্রয়োজন।
মার্কিন দূত বলেন, ‘কোনও দেশ একা চলতে পারে না। সে কারণেই ২০২২ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষণা করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্টের অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করার লক্ষ্য নিয়েছেন।’
হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়ন অর্থায়নের শক্তিশালী সমর্থক।
আরও পড়ুন: জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
তিনি বলেন, শেভরন, জিই ও এক্সেলরেটের মতো কোম্পানির বিনিয়োগ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের জন্য ভালো চাকরি তৈরি করে এবং বাংলাদেশি জনগণকে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের জন্যও কাজ করছে।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানি সাবকম বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কাছ থেকে পরবর্তী সমুদ্রের তলদেশে যোগাযোগের তার নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ‘স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্কের মতো উদ্ভাবনী পণ্যগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে নির্ভরযোগ্য উচ্চ-গতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সরবরাহ করতে সহায়তা করতে পারে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এই প্রযুক্তিগুলো বাংলাদেশের বিশাল ডিজিটাল ব্যবহারকারীর ভিত্তিকে সমর্থন করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি সম্প্রসারণে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: র্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন। যারা আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পেছন দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ যেন জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আন্দোলনের নামে কেউ যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এবং জনগণের জীবন, জীবিকা ও সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বর্তমান সরকার গঠনের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে এই ভাষণ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী ও জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা ইতোমধ্যেই নৈরাজ্য সৃষ্টিতে তৎপর হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ২৫ মিনিটের ভাষণে তিনি বলেন, ‘তাদের লক্ষ্য একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা এবং পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা, এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতেও বাধা সৃষ্টি করা।’
প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগকে অপদস্থ করার জন্য লুটপাটের টাকা দিয়ে দেশে-বিদেশে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ও বিবৃতিদাতাদের নিয়োগ করেছে। তিনি বলেন, ‘তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
তিনি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন কোনো উদ্ভট ধারণা (পরবর্তী নির্বাচনের আগে চক্র দ্বারা চালিত) মঞ্জুরি না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছি (পরবর্তীবার অনুষ্ঠিত হবে)।’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে ওই আইনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ‘নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, যারা জনগণের শান্তি ও জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। ‘জনগণ যদি দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে তাহলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন করে যাবে। তারা আমাদের বিজয়ী না করলে আমরা জনগণের কাতারে যাব। তবে আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমরা জনগণের সেবা করব।’
প্রধানমন্ত্রী তার বর্তমান শাসনামলের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে দেশ-বিদেশের নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি তাদের ২০২৩ সালের খ্রিস্টান নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
২০০৯ সাল থেকে তার সরকারের আমলে দেশের অগ্রগতির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
‘আজকে কেউ বাংলাদেশকে বন্যা, খরা ও দুর্যোগের দেশ হিসেবে দেখে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি উদীয়মান অর্থনীতি এবং উন্নয়নের রোল মডেল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
‘আমাদের দেশ অনেক এগিয়েছে। তবে আমাদের এটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতসহ সব ক্ষেত্রে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানোটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োলজিক্যাল টেকনোলজি, স্মার্ট জনসংখ্যা এবং স্মার্ট শিল্প কারখানা এবং ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার নিশ্চিত করবে সরকার। ‘সব ক্ষেত্রেই গবেষণার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শতভাগ জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা, সড়ক ও রেল যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে তার সরকারের সাফল্যের ওপর আলোকপাত করেন। ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট, ১৬ কিলোমিটার ঢাকা বিমানবন্দর-কুতুবখালী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমা দেশ ও রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বে অস্বাভাবিক হারে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাংলাদেশেও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছু পণ্য বেশি দামে কিনছি এবং সীমিত আয়ের লোকেদের মধ্যে কম দামে বিতরণ করছি, এক কোটি পরিবার টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে ৩০ টাকা কেজিতে চাল এবং ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি কিনতে পারবে।’ এছাড়া ন্যায্যমূল্যের কার্ড দিয়ে ৫০ লাখ পরিবার এক মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবে।
বিএনপি ও জামায়াত জোট শাসনের শেষের ১৬ বছর আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্তবছরের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে এখন দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। আর দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, গড় আয়ু ৬৪ দশমিক ৫০ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জিডিপি ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪৬০.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা থেকে ৬৭৮ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ ৪ দশমিক ৮০ থেকে বেড়ে ২২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মাত্র তিন দশমিক ৫ পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এখন তা ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। তারপরও পাঁচ মাসের রপ্তানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে বাংলাদেশের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বিপরীতে বরাদ্দ ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে মাত্র ৩৭৩ কোটি টাকা থেকে চলতি অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা, যেখানে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৫৯২ কোটি টাকা থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে এখন ২৫ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের আওতাভুক্ত জনসংখ্যা একই সময়ে মাত্র ৪৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০২২ সালে শতভাগ মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমরা সব ঘর আলোকিত করেছি।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার শত শত মহাসড়ক নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি প্রধান নদীগুলোর ওপর সেতু নির্মাণ করেছে। নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, তিস্তা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। দ্বিতীয় মেঘনা সেতু দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নভেম্বরে এক দিনে প্রায় ১০০টি সেতু একযোগে চালু করা হয়েছে এবং গত ডিসেম্বরে এক দিনে প্রায় ১০০টি সড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে।
‘এটি দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি অনন্য অর্জন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রায় ৭১৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা তার উপরে লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ জনগণ আমাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার সুফল পেতে শুরু করেছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা (সোনার বাংলা) গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি একটি সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন, আসুন একটি স্মার্ট দেশ গড়তে এবং এদেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং সেই দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বাঁচানোই আমাদের প্রধান এজেন্ডা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য অতি বাম, অতি ডান মিলে-মিশে একাট্টা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভালো আছি।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকায় আমরা ধৈর্যহারা হইনি। পথ হারাইনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির মাঠে সংঘাত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
এছাড়া সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনও সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের স্বপ্ন সফল হবে না। এছাড়া আমরা বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে আসবে, সব নিবন্ধিত দলকে আমরা স্বাগত জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে বলেছি। সম্পদকে সম্ভাবনার রূপ দিতে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব সংকটকালে জ্বালানি, ডলার, রিজার্ভ নিয়ে আমরা ভাবছি। পাকিস্তানে রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
সে তুলনায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি সংকটেও দিশেহারা হইনি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি।
এসময় তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমরা অশান্তি ও সংঘাত চাইনা। কাউকে উস্কানি দিতে চাইনা। বিএনপিসহ ৩৩ দলের গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। ওই ৩৩ দল ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার অবস্থার দল।
এছাড়া নিবন্ধিত সকল দলকে আমি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য স্বাগত জানাই।
কুটনৈতিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশনের আলোকে কুটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাতে পারেন না। আমরাতো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাই না।
এছাড়া আমাদের দেশের বিষযে বলার আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের কথাটা আলাদা, সেখানে এরশাদ সাহেবের প্রভাব আছে। তাদের প্রার্থীও প্রভাবশালী। আমরা একজন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছি। দলের অনেকে তার জন্য ভালোভাবে কাজ করেনি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রার্থী কম ভোট পেয়েছে। শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। আমরা বলবো গণতন্ত্রের বিপ্লব হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।
এছাড়া রংপুরের বিষয় এনে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যতবাণী করা যাবে না। হারজিত থাকবে। এটা ভোটের প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা লাগে। তাহলে মোট্রেলের বাড়া বেশি হলো কিভাবে। আমাদের কিছু বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। আপনাদের আজিজ কমিশন এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। সেটি কেউ ভুলেনি।
তিনি জামায়াতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জামায়াত সহিংসতা করলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বসে থাকবেনা। তারা সমুচিত জবাব দেবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টার যোগে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অবতরণ করেন।
এ সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের