উন্নয়ন
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
জনগণের দোরগোড়ায় টেকসই স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ৮টি বিভাগীয় হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে।
এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও চলছে।
সরকারি নথি অনুযায়ী, সৌদি সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট স্থাপন শুরু করেছে সরকার।
এছাড়া জেলা সদর পর্যায়ে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যার বিশ্বমানের আধুনিক হাসপাতালে পুনর্নির্মাণ ও রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে।
এছাড়া পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ের মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
পড়ুন: জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
নারীদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব না: পলক
দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার দুপুরে নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা ও পৌর যুব মহিলা লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আগামীর বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে। আর প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের বাইরে রেখে সেটা সম্ভব না।
উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মানসি ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে স্থানীয় কোর্ট মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সংসদ সদস্য আবিদা আঞ্জুম মিতা, খোদেজা নাসরীন, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কোহেলী কুদ্দুসসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
যোগাযোগ জাতীয় উন্নয়নের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও শিল্পায়নের জন্য সারাদেশে যোগাযোগ উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারাদেশে সড়ক ও সেতু নির্মাণের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। এছাড়া আমরা নদীগুলো ড্রেজিং ও পুনরুজ্জীবিত করছি… আমরা রেল সেবা পুনরুজ্জীবিত করছি (বিভিন্ন রুটে) এবং নতুন রেল লাইন নির্মাণ করছি।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে ৪৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস ব্যাংকগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন, তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, একটি শক্তিশালী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের গতি, শিল্পায়ন ও ব্যবসা ত্বরান্বিত করার বিশাল সুযোগ তৈরি করে। ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।’
সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেতুটি ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দেবে।
তিনি বলেন, ‘বিশাল দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। কিন্তু এ অঞ্চলে শিল্পায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের স্থানীয় কৃষিপণ্য বিপণনের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং এ অঞ্চলের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ সাহস ও সহযোগিতার মাধ্যমে তার পাশে থাকায় বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ‘আমার দেশের জনগণই আমার বড় শক্তি।’
চাহিদা মূল্যায়নের মাধ্যমে ফসল ও পণ্যের স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে কুয়েতের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের জনগণের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে করোনার নতুন ঢেউয়ের প্রেক্ষিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে, বিশেষ করে মাস্ক পরতে, সকলের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে অনুদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সহায়তা বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেশের উন্নয়নে এক ‘অবিস্মরণীয় মুহূর্ত’ হতে চলেছে।
সোমবার এক বার্তায় ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে বাংলাদেশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন ইইউ দূত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপিতে এক দশমিক দুই শতাংশের বেশি যোগ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু প্রকৃত গেম চেঞ্জার: রাশিয়া
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা সেতুটি নিজেরাই ব্যবহার করতে এবং এটি জনগণ, পরিবার ও বাণিজ্যিক সংযোগের সুবিধার্থে কী করে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। অভিনন্দন, বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
আলমেরিয়ার কৃষির মডেল বাংলাদেশে প্রয়োগ করে টেকসই কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্পেনের আলমেরিয়ার কৃষির মডেল বাংলাদেশে প্রয়োগ করে টেকসই কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন সফল করা সম্ভব। স্পেনের একসময়ের দরিদ্র প্রদেশ আলমেরিয়ার কৃষির উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্য অনুরণীয় হতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্সিয়াল উইং এবং স্পেনের আলমেরিয়া চেম্বার অফ কমার্স এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ এ আলোচনা সভায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, স্পেনের আলমেরিয়া প্রদেশ কৃষি খাতকে উন্নত করার জন্য একটি মডেল নির্বাচন করে তা বাস্তবায়ন করে সফল হয়েছে এবং বিশ্বের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আলমেরিয়া কৃষির সফলতার বিশ্বের কাছে একটি মডেল।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটি খুবই উর্বর এবং কৃষির জন্য উপযোগি। কৃষিতে আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আলমেরিয়ার কৃষির এ মডেল বাংলাদেশে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সফল হতে পারি। কৃষির এ মডেল কিভাবে আলমেরিয়ায় সফলতা পেয়েছে, তা আমরা দেখেছি। এ মডেল বাংলাদেশে বাস্তবায়ন সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, এ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ রয়েছে। কৃষিতে মানুষের দক্ষতা রয়েছে। উপযুক্ত প্রযুক্তি এবং সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেকসই কৃষি ভিত্তিক উন্নয়ন করা সম্বব।
আরও পড়ুন: ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রশংসা আইসিসি চেয়ারম্যানের, উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আইসিসি প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এমএম ইমরুল কায়স গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইসিসির চেয়ারম্যানকে বলেছেন ক্রিকেটের বিশ্ব পরিচালনা সংস্থার সহায়তা পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়েই তিনি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার দাদা, বাবা এবং ভাইয়েরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশের পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দলেরই অসাধারণ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স তাকে ক্রিকেটের উন্নয়নের সাক্ষী হতে এই সফরে অনুপ্রাণিত করেছে।
গত আইসিসি নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিল নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে কোচিং, আম্পায়ারিং এবং উইকেট বা পিচ উন্নয়নে সহায়তা করব।
বৈঠকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনের সফরে বারক্লে রবিবার ঢাকায় আসেন এবং পরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ দেখতে পূর্বাচল যান।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক বারক্লে ২০২০ সালে ২৪ নভেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না মুশফিক
এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮৮ বছর বয়সী মুহিত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি করোনা আক্রান্ত হন এবং এর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।
তারপরে মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
মুহিতের প্রথম জানাজা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে এবং দ্বিতীয় জানাজা বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মোমেন।
এরপর দুপুর 1২টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এবং এরপর সিলেটে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন শনিবার তার ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মোমেন মুহিতের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মানবিক গুণাবলী, দেশপ্রেম এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে অবদানের কথা স্মরণ করেন।
পৃথক আরেক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মুহিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর সংসদে বাজেট পেশ করেন মুহিত।
তার আমলেই বাজেটের আকার প্রসারিত হয়।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সিএমএইচে ভর্তি
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মুহিত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের ধোপাদিঘীতে জন্মগ্রহণ করেন।
গৃহহীনদের ঘরসহ জমি দান বিশ্বে অনন্য নজির: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ঠিকানা বিহীনদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বে এতো বিপুল সংখ্যক গৃহহীন মানুষকে ঘরসহ জমি দান বিশ্বে অনন্য নজির।
মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার অমরপুর আশ্রায়ণ প্রকল্প প্রাঙ্গণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ কারনে ঈদের আগে গৃহহীন পরিবারে ঈদের আনন্দ পৌঁছে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনসাধারণের জন্য সকল সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় পর্যায়ে নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় ৫৪০ গৃহহীন পরিবার গৃহ ও জমি পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ-২: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৩ হাজার পরিবার
সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃষককে সার পৌঁছে দিচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
বার বার কর্মকর্তা বদলিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বারবার বদলির কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন ও ডুয়েল গেজ রেল যোগাযোগ উন্নতকরণ প্রসঙ্গে শনিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দুটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ শুরু না হলে আরও দুর্ঘটনা বাড়বে এবং উন্নয়ন ব্যয় বাড়বে।
এর আগে এদিন দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০২০-২১ সালে নতুন যোগদানকৃত নার্সিং কর্মকর্তাদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, দেশে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন নার্স। দুই হাজারের মানুষের জন্য আছেন একজন ডাক্তার। যা অত্যন্ত অপ্রতুল। মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় ডাক্তার ও নার্স আরও বাড়াতে হবে।
বহির্বিশ্বে নার্সদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি নার্সদের কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহে দ্বিতীয় ওসমানী হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এজন্য ছয় মাস আগে ওইখানে জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু শুনতে পেরেছি- সেই সরকারি জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি দুষ্টচক্র। আমি সিলেট মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বলছি- দ্রুত সেই চক্রকে চিহ্নিত করুন, যাতে বেআইনিভাবে কেউ এই সরকারি জায়গা দখল করতে না পারে এবং দ্রুত সেই জায়গা হাসপাতাল স্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হোক।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ সিঙ্গাপুর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় মুগ্ধ সিঙ্গাপুর।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি ভবন ইস্তানায় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি হালিমাহ্ ইয়াকুবের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সৌজন্য সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যূত দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবটি আসিয়ান-এর শীর্ষ পর্যায়ের সভায় উপস্থাপনসহ ইতিবাচকভাবে বিবেচনার জন্যে তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। উভয় ক্ষেত্রেই সিঙ্গাপুর সরকারের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি হালিমাহ্ ইয়াকুব বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বন্ধুপ্রতীম দু'দেশের সহযোগিতা ও যোগাযোগ আরও গভীর হবে বলে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে একটি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণ ও স্বাক্ষর, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, প্রবাসী শ্রমজীবীদের স্বার্থসংরক্ষণ, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্বালানি ও আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ড. মোমেন বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাতকালে ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর সরকারের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তিন দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান