আইনশৃঙ্খলা
নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদক মামলার একজনকে যাবজ্জীবন ও অস্ত্র মামলার একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার মহিশালবাড়ি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে কলিমুদ্দিন (২৫) ও মশিউর রহমান (৩৭)। এদের মধ্যে কলিমুদ্দিনকে যাবজ্জীবন এবং মশিউরকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া রায়ের সময় মশিউর আদালতে উপস্থিত থাকলেও কলিমুদ্দিন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
সরকারি কৌসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান,২০১৫ সালের ২০ আক্টোবর বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান এলাকায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ কলিমুদ্দিনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার লক্ষ্মীকোল এলাকার মশিউর রহমানের বাড়ি থেকে গুলিসহ সুটারগান উদ্ধারের পর পুলিশ পরে তাকে আটক করা হয়।
শাহ আমানতে প্রবাসী আটক, স্বর্ণ ও সিসা জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা মো. মাসুদ রানা নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আটকের সময় তার কাছ থেকে এক কেজি ২৪৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৯ কেজি সিসা উদ্ধার করার দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
আটক যাত্রী সোহেল রানার বাড়ি জামালপুর বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, দুবাই থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১৪৮ ফ্লাইট সকাল ৭টায় শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এসময় ওই ফ্লাইটের এক ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করে তার কাছ থেকে এক কেজি ২৪৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৯ কেজি সিসা জব্দ করা হয়। এরপর তাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে কাস্টম আইন ও প্রচলিত আইনে মামলা এবং স্বর্ণ ও সিসা কাস্টমস কোষাগারে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে যাত্রী আটক, ৩৪ স্বর্ণের বার জব্দ
শাহ আমানতে ২৮ স্বর্ণের বারসহ বিদেশ ফেরত যাত্রী আটক
থানায় গিয়ে তিনি বললেন, স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন!
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি।
থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলেন, বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয়নি পুলিশ। এরপর তিনি বললেন, আমাকে সঙ্গে নিয়ে চলেন, লাশ দেখাব। এরপরই টহল পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে ওই ব্যক্তির বাসায় গিয়ে লাশ পাওয়া যায়।
বুধবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রত্না খাতুনকে (৩৫) জেলার মিরপুর উপজেলার চারমাইল এলাকার নাজিম উদ্দীনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ
অভিযুক্ত স্বামী রনি হোসেন (৪২) কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল এলাকার বাসিন্দা, তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক ব্যক্তি থানায় প্রবেশ করেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে (সেন্ট্রি) জানান, তিনি বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন। প্রথমে পুলিশ সদস্য বিষয়টি বিশ্বাস করেনি। ওই ব্যক্তি নিজের নাম রনি হোসেন ও বটতৈল এলাকায় বাড়ি পরিচয় দিয়ে আবারও স্ত্রীকে হত্যা করার কথা জানান।
তিনি বলেন, লুঙ্গি পরিহিত গায়ে কোনো জামা কাপড় নেই ওই ব্যক্তি এক পর্যায়ে তার কাছে এসেও স্ত্রীকে হত্যা করার কথা বলেন। রনি এ সময় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন। এক পর্যায়ে টহল পুলিশের গাড়িতে করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রাজু আহম্মেদ সড়কের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে যায়। সেখানে শৌচাগারের ভেতরে রত্না খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। হাত দিয়ে গলাটিপে হত্যার পর লাশ শৌচাগারে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন রনি।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২ সন্তান ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা
পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার বলেন, হত্যার প্রাথমিক কারণ হিসেবে রনি বিশ্বাস দাবি করেছেন যে পারিবারিক কলহের কারণে তিনি তার স্ত্রী রত্নাকে একাই গলাটিপে হত্যা করেছেন। তারা শহরতলীর বটতৈল এলাকায় থাকেন। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের কলেজ মোড় এলাকায় রনির মায়ের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। সেখানে কৌশলে তাঁকে গলাটিপে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনি বিশ্বাসের মা লিলি বেগমকেও (৫৫) থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রনি ও তার মাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ হোসেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আহমদের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট (পিপি) রনজিত দাশ জানান, ২০১৩ সালে ৯ হাজার ৮৫০ ইয়াবাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল মোহাম্মদ হোসেন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সাত জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খুলনায় মাদক মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আর তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই মামলার অন্য একটি ধারায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আব্দুর রহমান চর রূপসা বাগমারা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর লুৎফর শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
খুলনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক তাসনিম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি রাতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, রূপসা উপজেলার জাবুসা মোড়ের জৈনক আব্দুল গনির দোকানের সামনে নেভীব্লু রংয়ের একটি ব্যাগ নিয়ে অজ্ঞাত একব্যক্তি ঘোরফেরা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে অভিযান চালালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তার ব্যাগ তল্লাশি করে ৩২ বোতল ফেনসিডিল, হুস্কি এবং ভারতীয় মদ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
এই ঘটনায় ওই দিন রাতে র্যাবের ডিএডি মো. নুর ই আলম বাদী হয়ে মাদক আইনের দুইটি ধারায় আব্দুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ করিম তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১১ বছরে ধরে পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
১১ বছর ধরে পালিয়ে থাকা খাগড়াছড়ির সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর থানার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো.আব্দুল কাদের (২৭) দিঘীনালা উপজেলার বোয়ালখালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
রবিবার র্যাব-৭ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫৩ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মো.আব্দুল কাদেরকে চার কেজি পাঁচ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়। এরপর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাকে একবছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। উক্ত মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ পলাতক থাকেন।
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষকের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
এদিকে আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে র্যাব-৭ সদর থানার সবুজবাগ এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার করা আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রামে ৫৩ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হালিশহরে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এই সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করে র্যাব-৭।
শনিবার রাতে পোর্ট কানেকটিং রোডে নবাব টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার অ্যান্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির অফিস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষকের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. ফেরদৌস আলম (৫৭), মো. দিদারুল আলম (৫০), মো. সাইফুল ইসলাম (৪১),মো. শাহাবুদ্দিন (৬২), মো. আবুল কালাম আজাদ (৬৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪০),মো. আলা উদ্দিন (৫০), মো. শহিদ উল্লাহ (৪৭), মো. জাকির হোসেন (৫৩), মো. তাওহিদুল মাওলা (৫১), গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৫২), মো. আব্দুস সালাম (৭২), মো. জাকির হোসেন (৬৪), মোসাদ্দেক (৫৮), সুধীর দাস (৭২), নোমান (৪৮), কাজী মো. জাকারিয়া (৫৬), মো. নজরুল ইসলাম (৫৮), মো.সাইফুল আজম (৪২),মো. ফজলুল করিম (৫৪), মাহফুজজুর রহমান (৪৫), মো. হেলাল উদ্দিন (৬০), মো.বাবু (২৭), মো. শামসুল ইসলাম (৫৩), উৎপল চৌধুরী (৪৬), রবি শংকর (৪৩), মো. জসিম (৩৭), মো. সোহরাফ হোসেন (৪২), কাজী মোজাহিদুল ইসলাম নওশাদ (৫২), মহিউদুল্লা কাজল (৫৭), মো. আরিফুল ইসলাম (৪২), মো. ওহিদুর রহমান (৬৩), মো. আমিরুল ইসলাম (৬২), গোলাম রসুল (৬২), আব্দুর রশিদ (৪৭), মো. নুরুল ইসলাম (৬৪), মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), মো. ফরিদ (৪২), আব্দুর শুক্কুর (৫৫), মো. আবুল হাসান (৩২), মো.শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), মো.সুমন চৌধুরী (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০), মো. ওমর ফারুক (৫২), মো. সোহাগ (১৯), মো. জসীম (২৩), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), মো. রফিকুল হাসান (৩৯), আশীষ গুহ (৫৫), মো. রেজাউল মাওলা (৪২), মো. মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫), ও মো. মঞ্জুর আলম (৫৮)।
রবিবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, রিক্রিয়েশন সেন্টার অ্যান্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিরেনার আসর বসিয়ে আসছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫৩ জনকে আটক করে। তাদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন রুম থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় তাস ১৫৫ সেট, জুয়া খেলার চিপ ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ তিন লাখ ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
ফেনীতে ৮ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
ফেনী শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আট রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর উপজেলার মহিপাল এলাকায় স্টারগোল্ট নামে আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আটজন হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের নূর আহম্মদের ছেলে আবদুল মন্নান (২০), হামিদ হাসানের ছেলে আবদুস শুক্কুর (১৮), আবুল কালামের ছেলে মো. জামাল হোসেন (২২), বদি আলমের ছেলে সফি আলম (২৫), আবু সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩০), কবির আহম্মেদের ছেলে এনামুল হক (২১), বালুখালী এলাকার আশ্রয়শিবিরের আলী হোসেনের ছেলে নবী হোসেন (১৪) ও ফজল আহম্মদের ছেলে নূর হোসেন (১৮)।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহীম জানান, তাঁরা তিন-চার দিন আগে কক্সবাজারের উখিয়া এলাকা থেকে গোপনে ফেনী আসেন। এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী শহরের মহিপাল এলাকায় পাশের গোল্ড স্টার নামের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। পুলিশ খবর পেয়ে তাদের আটজনকে আটক করে মডেল থানায় নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তাদের আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আটজন ফেনীতে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে শহরের বিভিন্ন স্পটে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, সিলেটে যুবক গ্রেপ্তার
আরএসআরএম গ্রুপের এমডি গ্রেপ্তার
শিলপাটার আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আটক
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে শিলপাটার আঘাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক আকবর হোসেন (২৬) ভোলা জেলার রামদাসপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
নিহত আঁখি আক্তার (২৩) একই এলাকায় মহাবুবুর আলমের মেয়ে ও আকবর হোসেনের স্ত্রী। তারা গাজীপুরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ সাদিয়ার মৃত্যু
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এরই জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী শিলপাটা দিয়ে আঘাত করলে স্ত্রী আঁখি আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনার দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন জানান, শিলপাটার (পুতার) আঘাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নাটোরে 'কিশোর গ্যাং'য়ের ৫ সদস্য আটক
নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার কাছিকাটা এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের আটক করে র্যাব।
এই সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আটক কিশোররা হলো- সোহেলা রানা, ইমন, মোতালেব, শাকিল ও রাকিবুল। তাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা পাবনার চাটমোহর উপজেলায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য আটক
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে চাঁদা আদায় করছিল। এমন খবরে সেখানে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এই সময় দুটি মোটরসাইকেলসহ গ্যাংয়ের চার সদস্যকে আটক করে তারা। পরে তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।