আইনশৃঙ্খলা
মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
ঢাকার হাইকোর্ট এলাকায় শনিবার মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম মো. সুমন (৩৮) এবং আহত রকি (৩৫)।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল হোসেন জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাইকোর্ট এলাকার ঈদগাহ গেটের সামনে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ১
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সুমন ও রকিকে ছুরিকাঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই জানান, গুরুতর জখম নিয়ে আহত রকি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
খুলনায় সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত তরুণের মৃত্যু
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত পৌণে ৮টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় শুক্রবার ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
মৃত লিওন শেখ (১৮) নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন মীরেরডাঙ্গা টিবি হাসপাতাল রোড এলাকার মৃত আব্দুস সোবহান শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকার জন্য নির্যাতনে আহত যুবকের মৃত্যু, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
মামলার আসামিরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার সেনপাড়া আনসার সোলার মিল রোড এলাকার রাশেদের ছেলে সালাউদ্দিন, সেলিম পাটোয়ারির ছেলে আলাউদ্দিন পাটোয়ারি, শহিদের ছেলে মানিক, শহিদুলের ছেলে মামুন, আব্দুল মান্নানের ছেলে লিটন, আক্কাসের ছেলে সাব্বির, আফজালের ছেলে শাহিন, মতির ছেলে পঙ্কজ, আকবারের ছেলে আকাশ, বাবুলের ছেলে স্বাধীন, ইসহাকের ছেলে লিমন ও মোস্তফার ছেলে রনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার জানান, লিওন শেখ গত ২ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে সেনপাড়া আনসার সোলার মিল রোড বৌবাজার এলাকায় পৌঁছানো মাত্র আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে। এসময় তারা তাকে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু
লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ মামলা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের ওসমানীনগরে এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাসে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ওসমানীনগরের সিকন্দরপুর মাইগাঁও গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩২), পূর্বব্রাহ্মনগ্রামের আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৩৪) ও সিকন্দরপুর মাইজগাঁও গ্রামের সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা (৩৮)।
ওসমানীনগর থানা জানায়, ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বাগেরহাটে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বছরখানেক আগে রুবেল নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুবেল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গত ৩ আগস্ট রুবেল তাকে বিয়ে করবে বলে ওসমানীনগর উপজেলার সিকন্দরপুর গ্রামে ডেকে আনে। তরুণী সেদিন বিকাল ৩টায় গোয়ালাবাজার পৌঁছালে রুবেল তাকে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তোলে। এর কিছুক্ষণ পরই রানা ও করিম নামে দু’জনকে নিয়ে রুবেল তরুণীর হাত পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ফজরের পর তাকে ছেড়ে দেয়।
তরুণীর অভিযোগ, আসামি রুবেল, রানা ও করিম পরস্পর সহযোগীতায় তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর জাহাঙ্গীর ও কামাল তাদের সহযোগীতা করে। এছাড়া তারা মোবাইল সেট, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের কানের দোলও কেড়ে নেয়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
তবে মামলার প্রধান দুই আসামি রুবেল ও করিমের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ বা ভুক্তভোগী তরুণী কেউই জানাতে পারেননি।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে ২৬ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার অপরাধে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহতের নাম নুরুল আমিন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বর্ণের বারসহ রোহিঙ্গা মা-ছেলে আটক
সোমবার রাতে ক্যাম্প-৪ এর মধুরছড়া এলাকায় এ কথিত অপরাধের ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, বেসরকারি সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা নিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। আমরা সন্দেহ করছি তারা তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবকের লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও সদরে শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ২৫ বছর বয়সী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কমল কিসকু উপজেলার জগনাথপুর ইউনিয়নের বড় খোচাবাড়ি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী মার্কেট এলাকার সম কিসকুর ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আবর্জনা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার জানান, গত এক সপ্তাহ আগে কৃষ্ণপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি আসেন কমল কিসকু। সোমবার রাতে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল তার। তাই তিনি ব্যাগও গুছিয়ে রেখেছিলেন। এক সময় শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা তার সেই ব্যাগটি বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ টয়লেটের দরজা বন্ধ থাকায় ও গেট ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া না পাওয়া টয়লেটের দরজা ভেঙে কমল কিসকুর সেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় ৩ মামলা, আসামি ৮০০
জেলার রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ৮০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
শনিবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. খতিবর রহমান থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু হয়। উক্ত মামলায় আসামি ৩৫০ জন। পরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ৪৫০ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে ভোট গ্রহণের পর আসার পথে মীরডাঙ্গী বাজারের দক্ষিণে পুলিশের ওপর হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই বিলাশ চন্দ্র রায় ২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় রাণীশংকৈল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহাদুল জামান আলী ২৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে আর একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসারের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিবেসে রুজু করা হয়েছে বলে জানান এসপি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। বেশিরভাগ লোক দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন।
তবে পুলিশ সুপার জানান, যারা এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত নন তাদের কোনো ভয় নেই।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশের ছোড়া বুলেটের আঘাতে রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী গুচ্ছ গ্রামের মোহাম্মদ বাদশার আট মাসের কন্যা শিশু সুরাইয়া মারা যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রামকৃষ্ণ বর্মণ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পীরগঞ্জ সার্কেল) আহসান হাবীবসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: গেটম্যান সাময়িক বরখাস্ত, মামলা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জনের নিহতের ঘটনায় আটক রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
এর আগে শুক্রবার দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরসরাই বড়তকিয়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী জানান, গেটম্যানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়,তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরণা এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সোয়া কেজি হেরোইন উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদরে এক কেজি ২৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাবলাবোনা এলাকা থেকে এই হেরোইন উদ্ধার করে র্যাব। র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ইয়াবা-হেরোইন উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাবলাবোনায় ৬নং বাঁধের মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারীরা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাগ থেকে এক কেজি ২৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজশাহী থেকে নিখোঁজ ৪ স্কুলছাত্রীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার
নিখোঁজের তিন দিন পর রাজশাহী মহানগরীর চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অপহরণকারী অভিযুক্ত নারীকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সাভারের পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলাম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, বাড়ি ফিরেই ‘আত্মহত্যা’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর মহিষবাথান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী চার স্কুলছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকালে চার কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় অভিভাবকরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ভুক্তভোগী চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযুক্ত চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে- চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। এই ঘটনায় এক কিশোরীর বাবা রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তীতে রাজপাড়া থানা পুলিশর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভার মডেল থানার ওই এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায়। তার হেফাজতে থাকা ভুক্তভোগী চার কিশোরীকে (স্কুল শিক্ষার্থী) উদ্ধার করে।
সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জঙ্গল থেকে ৫৭ বছর বয়সী এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার ভাদাস গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইয়ারজান খাতুন একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়েনের স্ত্রী।
আরও পড়ৃুন: গোসলখানা থেকে কন্যা শিশুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার, আটক ২
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে ইয়ারজান খাতুন আড়ংগাইল গ্রামে তার মেয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। ওইদিন বিকালে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ের জঙ্গলের মধ্যে একটি নিম গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে এবং মঙ্গলবার সকালে তার লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, ওই নারীর মেয়ের জামাই একটি হত্যা মামলার আসামি এবং তিনিও আসামি বলে এলাকার কিছু লোকজন তাকে ভয় দেখায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তবে তিনি কোনো মামলার আসামি নন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ফসলের খেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।