বন্যা
ব্রাজিলে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৭
ব্রাজিলের পেট্রোপলিস শহরে বন্যা ও ভূমিধসে বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, মৃত্যের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এখনও ১১৬ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গ এই অঞ্চলে আবারও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করছে তাদের সরে যাওয়া উচিত।
রিও ডি জেনিরো রাজ্যের পুলিশ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রায় ২০০ এজেন্ট চেকপয়েন্ট ও আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শহরের মর্গে গিয়ে জীবিত, মৃত ও নিখোঁজদের তালিকা পরীক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু
রিও পুলিশ কর্মকর্তা এলেন সুতো বলেছেন, প্রতিটি জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমরা লোকেদের শনাক্ত করতে পারি। নিখোঁজ ব্যক্তির পুরো নাম, তাদের পরিচয়পত্র, শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং ব্যক্তি যে পোশাক পরেছিলেন তা জানা জরুরি।
রাজ্যের দমকল বিভাগ বলছে, মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার মধ্যে ২৫ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা গত ৩০ দিনের সমন্বিত বৃষ্টিপাতের সমান।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পেট্রোপলিসে ১৯৩২ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত এটি।
এ ঘটনায় ৪০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন এবং ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে সপ্তাহের বাকি সময়ে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
ব্রাজিলে ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু
ব্রাজিলের পেট্রোপলিস শহরে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রিও ডি জেনিরো রাজ্য সরকার।
শহরের মেয়র রুবেনস বোমটেম্পো বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কত জন নিখোঁজ রয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ‘আমরা এখনও এর সম্পূর্ণ সংখ্যা জানি না। এটি আসলেই একটি ভয়ানক দিন ছিল।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
রিও ডি জেনিরোর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ৩৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে যাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রাজ্যের দমকল বিভাগ বলছে, মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার মধ্যে ২৫ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা গত ৩০ দিনের সমন্বিত বৃষ্টিপাতের সমান।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পেট্রোপলিসে ১৯৩২ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত এটি।
এ ঘটনায় ৪০০ মানুষ গৃহ হারা হয়েছেন এবং ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে সপ্তাহের বাকি সময়ে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি
ব্রাজিলে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস, নিহত কমপক্ষে ১৯
প্রবল বৃষ্টি কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে রবিবার কমপক্ষে ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সৃষ্ট এই দুর্যোগের কারণে প্রায় ৫ হাজার পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুসারে, এমবু দাস আর্টেস শহরে ভূমিধসে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছে। এছাড়া দমকলকর্মীরা আরও চারজনকে উদ্ধার করেছে।
সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া বলেছেন, ফ্রান্সিসকো মোরাতোতে চার শিশু মারা গেছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ফ্রাঙ্কো দা রোচায় আরও চারজন মারা গেছে। রিবেইরো প্রেটো এবং জাউতেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজ্যের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া লোকদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রাজ্যের গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ মাকিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দেন।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি সড়ক ও মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃষ্টির কারণে সাও পাওলো শহরে করোনভাইরাসের নির্ধারিত টিকাদান কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের মিনাস গেরাইস প্রদেশে ভারি বর্ষণে ১৯ জন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সিওমারা কাস্ত্রো
বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় ১৮০৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে বন্যা ও নদীভাঙনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এক হাজার ৮০৩ কোটি টাকার একটিসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ার শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় যোগ দেন এবং মন্ত্রী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যোগ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আজকের সভায় পাঁচটি সংশোধিতসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় চার হাজার ৬২১ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে তিন হাজার ৫৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা ও বাকি এক হাজার ৫৬৬ দশমিক ১৩ কোটি টাকা আসবে বিদেশি উৎস থেকে।’
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
এক হাজার ৮০৩ দশমিক ০৬ কোটি টাকার বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগ কর্মসূচি (প্রকল্প-২) সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প তথ্যপত্র অনুযায়ী, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ হিসেবে এক হাজার ৩২৯ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ১৫১ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা আসবে। এছাড়া বাকি অর্থ আসবে সরকারি তহবিল থেকে।
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বেড়া, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দৌলতপুর, হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে যমুনা ও পদ্মা নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষজনের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন; কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বন্যা ও নদী তীর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন; প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নদীভাঙন হ্রাস করা।
প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার নদী তীর সুরক্ষা, সাত দশমিক ৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ৪০ কিলোমিটার অভিযোজন কাজ, ছয় কিলোমিটার জরুরি কাজ ও তিন কিলোমিটার বাঁধ ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অর্থনীতি গড়তে একনেকে ২৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
সিলেটের চার লেন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
অন্ধ্র প্রদেশে বন্যায় ১৭ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৭ জন মারা গেছে এবং আরও ১০০ জনের বেশি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
শনিবার দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ্ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাদাপা জেলা এবং মন্দিরের শহর তিরুপতি। শুক্রবার বন্যায় আন্নামাইয়া বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় কাদাপায় আটজন মারা যান। এসময় দুটি সরকারি বাস বন্যার পানিতে ভেসে যায়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন,যদিও দিনব্যাপী অভিযানের পর ২০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে,তবে আরও কমপক্ষে ৫০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। আমরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ভারতের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা মোদির
স্থানীয় টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে তিরুপতি শহরে শত শত তীর্থযাত্রীকে বন্যায় আটকে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে চিত্তর জেলায় বন্যায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল থেকে দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এনডিআরএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ২৩ জন মানুষ মারা যায়। আর কেরালায় বন্যায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বায়োপিক’
ভারত থেকে ফিরলেন পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে প্রতিশ্রুত অর্থায়নে উন্নত দেশসমূহের গড়িমসি কাম্য নয়। এ ক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা, সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শুধু সামর্থ্যের অভাবই নয়, তহবিল দাতারও অভাব রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে এবং কার্যকর অভিযোজন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সরকার তার সক্ষমতা দেখিয়েছে। কিন্তু জলবায়ু অর্থের অর্ধেক সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে অভিযোজনে দেয়া উচিত। কিন্তু তাও দিচ্ছে না তারা।
বুধবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এক সাইড ইভেন্টে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবিলা করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে নানা বাহানায়, দীর্ঘসূত্রিতায় বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর বড় প্রমাণ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ইননোসেন্ট ভিক্টিম। এ জন্য আমাদের দায় একেবারেই নগণ্য।
তিনি বলেন, শিল্প উন্নত ও ধনী দেশসমূহ এ জন্য দায়ী হলেও তারা এর দায় নিচ্ছেনা। বরং দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময় উপযোগী পদক্ষেপের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যা ইতোমধ্যে বিশ্ব সমাদৃত ও রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ, উদ্যোগ, বিজ্ঞানীও গবেষকদের গবেষণায় জলবায়ু সহিঞ্চু বিভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। বিশেষ করে খরাসহিঞ্চু, বন্যাসহিঞ্চু, জলমগ্নসহিঞ্চু, বনসহিঞ্চু জাতের ধান উৎপাদন করছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে উন্নত বিশ্বের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার পাশাপশি প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া। একই সাথে তা প্রতিশ্রুতি, আশ্বাস, আর কথামালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবে কার্যকর ও দৃশ্যমান করা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ‘ব্যর্থ’: গ্রেটা থুনবার্গ
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এনডিসি প্রতিশ্রুতি কেবল কার্বন নি:সরণ কমাতেই নয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং গুণমান উন্নত করবে। জীবনের জন্য আমাদের বিনিয়োগ, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ক্লাইমেট চেঞ্জ সংক্রান্ত সংসদীয় দলের প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, বাংলাদেশের জন্য অভিযোজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু প্রকল্পগুলি দেশীয় ও ঐতিহ্যগত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের পরামর্শ এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে তৈরি করা উচিত। আমাদের এটাকে স্বচ্ছ, যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত করতে হবে। এটি স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বে ও বটম আপ অ্যাপ্রোচ হতে হবে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিম লিডার জেরি ফক্স বলেছেন, স্থানীয় অভিযোজন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভবিষ্যতের চাবিকাঠি হবে। বাংলাদেশে আমরা একটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেম তৈরি করছি যা স্থানীয়, জাতীয় এবং বিশ্বব্যাপী কাজ করা প্রধান সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে, সম্প্রদায়ের প্রয়োজনে সাড়া দেয় এমন অভিযোজন সমাধানগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি সদগুণ বৃত্ত তৈরি করে। এবং বৈশ্বিক তহবিলকে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় এমআরভি প্রদান করে।
পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত এই ইভেন্টে সভাপতিত্ব করেন।
৫০ বছরেও সেতু নির্মাণ হয়নি, ভেঙে যাওয়া সাঁকোই শেষ ভরসা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোয় হামাগুড়ি দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করছে মানুষ। প্রতিবছর স্থানীয় উদ্যোগে সাঁকোটি মেরামত করা হলেও সরকারিভাবে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ না নেয়ায় বিপাকে রয়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে প্রায়শই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। স্থায়ীভাবে সাঁকো নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামে নবিউলের ঘাটে বারোমাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি জরাজীর্ণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরে বন্যার তীব্র স্রোতে সাঁকোর মাঝামাঝি জায়গায় কয়েকটি খুটি ভেঙে সাঁকোটি বেঁকে হেলে পরেছে। এরই উপর দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে মানুষ। ভারি বস্তা বা সামগ্রী পারাপার করতে হিমশিম অবস্থা তাদের।
আরও পড়ুন: ধানক্ষেতের মাঝে ৪০ লাখ টাকার সেতু, ব্যবহার হয় ‘সেলফি’ তোলায়!
স্কুল-কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থীরা সাইকেলকে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করে সতর্কভাবে পারাপার করছে। ধান কাটার মৌসুমে বিপাকে পরে চাষিরা। এসময় নৌকা সংগ্রহ করে ধান,পাট,ভুট্টাসহ শাক-সবজি অতিরিক্ত পয়সা গুণে পার করতে হয়।
ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারিভাবে ১৬টি নদ-নদীর কথা উল্লেখ থাকলেও বারোমাসিয়া নামে কোন নদীর কথা উল্লেখ নেই। স্থানীয় সংবাদকর্মী অনীল চন্দ্র সরকার জানান, বারোমাসিয়া বা বাণিদহ নদীটি ধরলা নদীর একটি উপশাখা নদী। যা সরাসরি ভারত থেকে প্রবেশ করে কুড়িগ্রামে মূল ধরলা নদীতে মিশে গেছে। ধরলা নদী এবং বারোমাসিয়া নদীর পানির রঙ সম্পূর্ণ আলাদা। ফলে বারোমাসিয়া নদীটি আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করছে। নদীটি ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানার সীমান্তবর্তী মরাকুটি গ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডপ গ্রাম দিয়ে। স্থানীয়ভাবে এটিকে বাণিদহ বা বারোমাসিয়া নদী বলা হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। এই উপশাখা নদীর উপর দুটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। একটি গতমাসে নির্মাণ করা হলেও নবীউলের ঘাটের সাঁকোটি বন্যায় ভেঙ্গে পরায় শোচনীয় অবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাঁকো ছাড়া অচল সেতু!
সাঁকো পারাপার করার সময় সাঁকোর ওপারের ঝাউকুটি গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী মমিনুল (১৪) ও আজমেরী (১৩) জানায়, তারা প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে সাঁকোটি পার হয়। ভাঙা জায়গাটি পার হতে গিয়ে মনে হয় এই বুঝি সাঁকোটি ভেঙ্গে পরে যাবে।
মাথায় ধানের বস্তা নিয়ে পার হতে গিয়ে শাহাদত (৪৫) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারি জিনিস নিয়া বাঁশের হাঙ্গরাত যাওয়া আমার খুব কষ্ট হয়। একনা সাইকেল পার করা, ভার ধরি যাওয়া খুব কষ্ট হয়।’
এই গ্রামের কৃষক হামিদ মিয়া জানান, ‘ছয় বছর আগে এখানে একটা ঘাট ছিল। তখন আমরা নৌকা দিয়ে পারাপার করছি। তারপরে জনগণের কাছে বাঁশ কালেকশন করি আমরা একটা বাঁশের সাঁকো দিছি। এবার সাঁকোটি ভেঙে গেছে। এখন পারাপারে খুবই সমস্যা।’
আরও পড়ুন: আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে: সেতুমন্ত্রী
বালাহাট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক ও মৎস ব্যবসায়ী আতাউর রহমান রতন জানান, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ এই এলাকার উৎপাদিত পণ্য এই ব্রীজের ওপর খুব ঝুঁকি নিয়ে পার করতে হয়। সাঁকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ ফুট। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ পারাপার করে। প্রতিবছর আমরা নিজেদের উদ্যোগ সাঁকোটি পারাপারের উপযোগী করি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আমরা এখানে একটি স্থায়ী সেতু চাই।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ইতোমধ্যে জনদুর্ভোগ কমাতে দুটি জরাজীর্ণ সেতু আমরা ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়াও এরকম কোন বিষয় আমাদের নজরে আসলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করি। যাতে জনদুর্ভোগ কমিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।
নেপাল ও ভারতের বন্যায় নিহতের সংখ্যা ১৮০ ছাড়িয়েছে
নেপালে সোমবার থেকে কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৯ জন নিহত হয়েছে।এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ভারী বর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৮৮ জন মারা গেছেন।
নেপালের পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা অন্তত ৪০ জনকে খুঁজছেন, যাদের নিখোঁজ বলে জানা গেছে, এতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র বসন্ত বাহাদুর কুনওয়ার বলেন, বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে এই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ভারত ও নেপালে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে
তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করছে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।বৃষ্টিতে আহত অন্তত ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নেপালের ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজমত উল্লা বলেন, ফসল ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, যা ইতোমধ্যেই করোনা মহামারির ধ্বংসাত্মক পরিণতিতে জর্জরিত পরিবারগুলির জন্য একটি মারাত্মক আঘাত।রেডক্রসের দলগুলি উভয় দেশে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
বৃহস্পতিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দিকে কর্তৃপক্ষকে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন।
নেপালের পূর্বাভাসকারীরা বৃহস্পতিবারের পরে মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন কিন্তু সপ্তাহের শেষের দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে আশা করছেন।
ভারতে এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে উদ্বেগজনকভাবে বৃষ্টি বেড়েছে। সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ৪২জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হাজারো পরিবার পানিবন্দি
বন্যায় ভারত ও নেপালে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের দুটি রাজ্য উত্তরাখণ্ড ও কেরালা এবং নেপালে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ি ঢলে ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে, ভূমিধসেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে এক পরিবারের পাঁচ জনসহ কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছেন। নেপালে প্রায় ৭৭ জন মারা গেছেন, উভয় দেশের আরও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
কেরালা রাজ্যের দক্ষিণে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ৩৯ জন মারা গেছেন।
বুধবার উত্তরাখণ্ডে আরও ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুলসহ রাজ্যে ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম নেপালের সেতি গ্রামে দু’দিন ধরে আটকে থাকা মানুষ জনের কাছে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে নিহত ২১
নেপালের সরকার বন্যাকবলিত প্রত্যেক পরিবারকে ১ হাজার ৭০০ ডলার করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার লাখ রুপি এবং যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য আরও এক লাখ ৯০ হাজার রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’
কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে বন্যার আশঙ্কা, বৃষ্টি থাকবে আরও দু'দিন
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, যা আগামী দু'দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। দু’দিন থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে বিপাকে পড়েছে এখানকার খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভারি বর্ষণ, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেয়ায় তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ব্যারাজের সড়কের 'ফ্লাট বাইপাস' ভেঙে গেছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, রেড অ্যালার্ট জারি
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশা চালক আব্দুল রহিম জানান, সকালে আকাশ ভালো দেখে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে শহরে আসার পর থেকে বৃষ্টি চলছে। প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের কি হবে? কোন যাত্রী পাচ্ছি না মানুষ বাসা থেকে বাহির হচ্ছে না। এরকম সারাদিন বৃষ্টি থাকলে তো আজ বাজার নিয়ে বাড়ি যেতে পারবো না।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে ৩৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে। তারপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে। পাশাপাশি চলমান বৃষ্টির প্রভাবে কুড়িগ্রামের দিনের গড় তাপমাত্রা কমে এসেছে। বৃষ্টির প্রভাবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীতে অস্থায়ী বন্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিল ভারত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের ঢলের প্রবাহিত পানি বাঁধের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা সাময়িক সময়ের জন্য পানিবন্দি হতে পারেন। এই পানি দ্রুত নেমে যাবে বলেও জানান তিনি।