বন্যা
বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সারাদেশে বন্যায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৮০ জন, ময়মনসিংহে ৪৩ জন, রংপুরে ১৭ জন ও ঢাকা বিভাগে একজন।
আরও পড়ুন:বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তাদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১০৯ জন, বজ্রপাতে ১৯ জন, সাপের কামড়ে তিনজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে ৯জন মারা গেছেন।
এছাড়া এ সময়ে প্রায় ৩৫ হাজার ২৭৭ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যায় সিলেটের ৩৩টি, রংপুরের তিনটি ও চট্টগ্রাম বিভাগের একটিসহ ৩৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১ ও ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৪: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় নিহত ৯
রাতভর মৌসুমী বৃষ্টিপাতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় নয়জন নিহত হয়েছেন। তলিয়ে গেছে অনেক বসতবাড়ি, ধ্বংস হয়েছে গবাদিপশু ও ফসলি জমি।
রবিবার দেশটির প্রাদেশিক কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা এপি‘র একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী কাবুলের দক্ষিণের প্রদেশ লোগারের জেলা কুশি’র গ্রামবাসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিস্কার করছেন।
লোগার প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রধান আব্দুল্লাহ মুফাকার বলেন, কতজন মানুষ বন্যার পানিতে নিহত কিংবা আহত হয়েছেন তা এখনও অজানা, তবে এখন পর্যন্ত নয়জনের হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। মানুষ নিহতদের লাশ সরিয়ে নিচ্ছে বলে তিনি জানান।
গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তি দিল আগা বলেন, কুশিতে এর আগে এরকম বন্যা কখনো হয়নি। ‘এই বন্যা মানুষের গবাদিপশু, বাড়িঘর ও ফসলি জমি ধ্বংস করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে।’
গত সপ্তাহে ভারি বর্ষণে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ৩১ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সারাদেশে বন্যায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৭৮ জন, ময়মনসিংহে ৪৩ জন, রংপুরে ১৭ জন ও ঢাকা বিভাগে একজন।
তাদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১০৮ জন, বজ্রপাতে ১৮ জন, সাপের কামড়ে তিনজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে ৯জন মারা গেছেন।
এছাড়া এ সময়ে প্রায় ৩৩ হাজার ১৮৬ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যায় সিলেটের ৩৩টি, রংপুরের তিনটি ও চট্টগ্রাম বিভাগের একটিসহ ৩৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১ ও ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৪: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
দেশের উপকূলীয় ১৫টি জেলার নিম্নাঞ্চল, উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
প্লাবনের আশঙ্কা থাকা জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
এছাড়া ঝড়ো আবহাওয়া সামুদ্রিক বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সারাদেশে বন্যায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৭৭ জন, ময়মনসিংহে ৪৩ জন, রংপুরে ১৬ জন ও ঢাকা বিভাগে একজন।
তাদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১০৭ জন, বজ্রপাতে ১৮ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া এ সময়ে প্রায় ২৮ হাজার ৫৪০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যায় সিলেটের ৩৩টি, রংপুরের তিনটি, ময়মনসিংহের সাতটি ও চট্টগ্রাম বিভাগের একটিসহ ৪৪টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ৭ ও ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট জেলায় আরও দুজনের মৃত্যুতে দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুসারে, ১৭ মে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত মোট মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার ৮৩৮ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সর্বশেষ মৃত্যু বন্যার পানিতে ডুবে হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৭৩ জন, ময়মনসিংহে ৪৩ জন, রংপুরে ১৪ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
মোট মৃতের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১০৩ জন, বজ্রপাতে ১৬ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে নয়জন মারা গেছেন।
দেশের ১৮৫টি উপজেলা বন্যাকবলিত। এর মধ্যে ৩৩টি সিলেট বিভাগে,রংপুর বিভাগে তিনটি, ময়মনসিংহ বিভাগে সাতটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা; যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ৭ ও ৫ উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার: এনামুর
বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এ বছর বন্যায় সারা দেশে আনুমানিক ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, এ বছর মে মাসের ২য় সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অবিরামভাবে কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হয়। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে ১৩ মে থেকে পূর্বাঞ্চলের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশেপাশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্যা দেশের ১৮টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করে।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সাম্প্রতিক বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের (সম্পূর্ণ) আনুমানিক আর্থিক মূল্য এক হাজার ২৫৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ১১২ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের (আংশিক) আনুমানিক আর্থিক মূল্য ৫৫ হাজার ৯৫৭ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ৫০৮ টাকা।
আরও পড়ুন: ১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার: এনামুর
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি (সম্পূর্ণ) ৩৬৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ০৪৩ টাকা এবং (আংশিক) এক হাজার ৩৫৫ কোটি তিন লাখ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা।
তিনি বলেন, এভাবে ব্রিজ/কালভার্ট পাকা সড়ক, ইট-নির্মিত সড়ক, কাঁচা সড়ক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা, কমিউনিটি স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির এবং বাঁধের সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে আনুমানিক বন্যায় সারা দেশে ক্ষতি ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সাত হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ৪৪ লাখ নগদ টাকা, এক লাখ ৪০ হাজার ১৩২ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার , শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ, গৃহ মঞ্জুরী বাবদ দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা, এবং আট হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউ টিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার: এনামুর
সারাদেশে এক হাজার মুজিব কিল্লা (যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় কেন্দ্র) এবং বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র (বন্যা দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্র) নির্মাণ করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে গভীরতা বৃদ্ধিতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় দৈনিক কালের কণ্ঠের কার্যালয়ে “উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা: শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন” শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও কালের কণ্ঠের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম।
গোলটেবিল বৈঠকে ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান, উত্তর-দক্ষিণ জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা এবং বন্যাকবলিত এলাকার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জমি পানিতে তলিয়ে গেছে, গত ১২২ বছর জেলায় এমন বন্যা দেখা যায়নি।
এনামুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন হলে বন্যাপ্রবণ ৪০ জেলায় বন্যার ভয়াবহতা দেখা যাবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার জেলায় আরও একজনের মৃত্যুতে দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুসারে, সর্বশেষ মৃত্যু বন্যার পানিতে ডুবে হয়েছে। ১৭ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত মোট মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার ৩৯৩ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোট মৃতের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১০০ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে নয়জন মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৭৩ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বন্যা কবলিত ৪৫টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩টি, রংপুর বিভাগে চারটি, ময়মনসিংহ বিভাগে সাতটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা, যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ৭ ও ৫ উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী
বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬
বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার জেলায় আরও একজনের মৃত্যুতে দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুসারে, সর্বশেষ মৃত্যু বন্যার পানিতে ডুবে হয়েছে। ১৭ মে থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত মোট মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে প্রায় ২১ হাজার ৮৪৩ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোট মৃতের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৯৯ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে নয়জন মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৭২ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩টি, রংপুর বিভাগে ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা, যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও নয়টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী