সংক্রমণ
দেশে করোনায় আরও ২৪৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২,৬০৬
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মাঝে গত দিন রেকর্ড মৃত্যুর পর গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৪৮ জনের। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১২ হাজার ৬০৬ জনের।
শুক্রবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ১৫০ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ জন।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৭ জনের
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৬.২৫ শতাংশ।
এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৭. ৮১ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, খুলনা বিভাগে ৩৬ জন, চট্টগ্রামে ৭৫ জন, ,রংপুরে ০৮ জন, বরিশালে ২০ জন, সিলেটে ১৬ জন, রাজশাহীতে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহে ০৮ জন মারা গেছেন।
জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শুক্রবার বলেছেন, যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব কমছে না, তাই দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে এই মুহুর্তে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, যেসব এলাকায় ভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি সেসব এলাকায় করোনা চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে, তাই এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের এই দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, এই ভাইরাস প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে সমগ্র দেশ করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রায় ৯০ শতাংশ শয্যা পূর্ণ এবং বেশিরভাগ হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই।
সরকার করোনা রোগীদের সামান্য জটিলতায় চিকিৎসা দেয়ার জন্য হোটেল ভাড়া নেয়ার কথা ভাবছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, অত্যন্ত সংক্রামক করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধাজনক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, চীন, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে করোনা চিকিৎসায় সাফল্য পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত: বিএসএমএমইউ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা প্রতি বছর বিভিন্ন সামরিক মহড়ার সময় তাড়াহুড়ো করে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে। ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির ক্ষেত্রে তাদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হলেই দেশ উপকৃত হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে বাংলাদেশ নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শতভাগ শিশুর দেহে ডেল্টা ধরন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ৯৮ শতাংশের শরীরেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ২০ কোটি ছাড়াল
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। বর্তামানে ডেল্টার নতুন ধরন ‘ডেল্টা প্লাস’ শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা শনাক্ত ১৩ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪১ মৃত্যু
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৮৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৯৭ জন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত মোট ৩ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৩২ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৭ জনে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ২৬ হাজার ৫৩৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: করোনা: মারা গেলেন সিকৃবির ড. আজমুল হুদা
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২৪১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৩৮ জনে।
একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩ হাজার ৮১৭ জনের। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৯ হাজার ৯১০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: একদিনে আরও ২৩৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৯ হাজার ৫১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৭.৯১ শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৪১ হাজার ১৫৭ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৬. ৮০ শতাংশ।
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১১ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত পর্যন্ত ২১১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮০ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ৩১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা শনাক্ত ১৩ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪১ মৃত্যু
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাল্লা দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় শনাক্তের সংখ্যাও হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৫৯০ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ১৫।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৫ হাজার ৫০৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৯ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৮৯ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: মারা গেলেন সিকৃবির ড. আজমুল হুদা
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৩১ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯০ জন, কুমারখালী উপজেলায় ৩১ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৬ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৪৫ জন, মিরপুর ৪৫ জন এবং খোকসা উপজেলায় ১৪ জন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৬৫ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৭৭ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৯৮৮ জন।
দেশে করোনায় মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়াল
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যু ২১ হাজার ১৬২ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার ৯৮৯ জনের। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় আরও ১১ জনের প্রাণহানি
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ২৯.৯১ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। অদ্যাবধি সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮জন। সুস্থতার হার ৮৬. ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৭৬ জন, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৬৪ জন, রংপুরে ১৪ জন, বরিশালে ১৬ জন, সিলেটে ১৪ জন, রাজশাহীতে ২২ জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
টিকা নেয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ঝুঁকি কম: আইইডিসিআরের গবেষণা
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা নেয়া ব্যক্তিরা শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে কম ঝুঁকিতে রয়েছে।
এতে দেখা যায়, টিকা না নেয়া করোনা রোগীদের ১১ শতাংশ শ্বাসকষ্টে ভুগছে, যেখানে টিকা নেয়া রোগীদের মধ্যে এই হার ৪ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে করোনায় আরও ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৫৩
এছাড়া করোনার টিকার দুই ডোজ প্রাপ্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল মাত্র ৭ শতাংশ যেখানে টিকা গ্রহণ না করা ব্যক্তিদের ভর্তির হার ২৩ শতাংশ।
মে থেকে জুনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়া ৩০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ৩৩৪ জনের উপর এই গবেষণা চালিয়েছে আইইডিসিআর।
তাদের মধ্যে ৫৯২ জন একটিও ভ্যাকসিন ডোজ নেননি এবং ৩০৬ জন সম্পূর্ণ টিকা দেয়া সম্পন্ন করেছেন।
গার্মেন্টস খোলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
কঠোর লকডাউনের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফেরায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারির মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফেরায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। একদিনের ঘোষণায় শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে, এটা আমাদের জন্য আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে।’
রবিবার (০১ আগস্ট) মহাখালীর বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে ‘প্রথমবর্ষ এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে’ তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তাই সবাইকেই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে। এনআইডি কার্ড না থাকলেও বয়স্করা টিকা পাবেন। একইসাথে গর্ভবতীদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের কম বয়সীরা বেশি বয়সীদের আক্রান্ত করছে। স্বল্প বয়সীদের মাধ্যমেই বেশি বয়সী লোক আক্রান্ত হচ্ছে। আর তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত বয়স্কদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে।
পড়ুন: মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু সোমবার
ঈদযাত্রায় ২৪০ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭৩
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেয়া কঠোর লকডাউন ঈদুল আজহার জন্য শিথিল করা হয়েছিল। বিধি নিষেধ শিথিলের মাঝে মাত্র আটদিন গণপরিবহন চালু ছিল। তবুও এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৪০ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৪৭ জন। আর সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ২৬২ দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ২৯৫ জন নিহত এবং ৪৮৮ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরে নিহত ২শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন।
দেশে করোনায় মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়াল, একদিনেই ১৬ হাজারের বেশি শনাক্ত
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে একদিনেই শনাক্ত হয়েছে আরও ১৬ হাজার ২৩০ জনের। গত দিন সর্বোচ্চ মৃত্যুর পর গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জনের। এর মাধ্যমে দেশে করোনায় মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়াল।
বুধবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৬ জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরীক্ষা করতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৮৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩০.১২ শতাংশ।
এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। অদ্যাবধি সুস্থ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৫.৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু ৩১
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, খুলনা বিভাগে ৩৪ জন, চট্টগ্রামে ৬২ জন, রংপুরে ১৬ জন, বরিশালে ৯ জন, সিলেটে ১৮ জন, রাজশাহীতে ২১ জন এবং ময়মনসিংহে ৭ জন মারা গেছেন।
দেশে করোনায় মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড , শনাক্ত ১৪, ৯২৫
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে আজও মৃত্যুতে রেকর্ড হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫৮ জনের। এসময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১৪ হাজার ৯২৫ জনের।
মঙ্গলবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯, ৭৭৯ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৮.৪৪ শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৬ শতাংশ। অদ্যাবধি সুস্থ হয়েছে ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫.৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ২১ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮৪ জন, খুলনা বিভাগে ৫০ জন, চট্টগ্রামে ৬১ জন, রংপুরে ১১জন, বরিশালে ১৩ জন, সিলেটে ৭ জন, রাজশাহীতে ২১ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন মারা গেছেন।
খুলনায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার ভোর থেকে খুলনায়ও শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। খুলনা মহানগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। তৎপর রয়েছে প্রশাসনের সদস্যরা। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোন যাত্রীবাহী পরিবহন খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে রাতে যে সকল বাস ঢাকা থেকে খুলনার উদ্যেশে ছেড়েছে তার দু’একটা দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
ঈদের ছুটির পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়নি। নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। দু’একজন চলাচল করলেও পুলিশের চেকপোস্টের কাছে এসে তাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। অকারণে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির কারণে কয়েকজনকে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আটক করা হয়েছে অনেকের গাড়ি। দূরপাল্লার বাসের কয়েকজন যাত্রীকে মালামাল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে গাড়ির জন্য। সকাল থেকে নগরীর কোথাও কোন গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ পুনরায় লকডাউনে রাজধানীর সড়কগুলোতে শুনশান নীরবতা
মূল সড়ক ফাঁকা থাকলেও নগরীর অলিগলিতে রয়েছে জনসমাগম। খোলা রয়েছে চা ও কিছু মুদি দোকান। অর্ধেক শাটার নামিয়ে সেখানে চলছে সব বয়সী মানুষের আড্ডা। পুলিশের গাড়ি দেখা মাত্র দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা জানান, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে নির্দেশগুলো দেওয়া আছে সেগুলো জনগণ মানছে কী না আমরা সেটা দেখবো। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারা ঘর থেকে বাইরে বের হবে বা আড্ডা দিবে সেখানে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করবো, এরপরও তারা না শুনলে মামলা দিবো। দু’টি টিম নগরীতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে এপিবিএনের সদস্যরা। প্রয়োজনে অন্য বাহিনীর সদস্যরাও অভিযানে যোগ হবে।‘