স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয়দের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত ঘটনা কিনা, তা জানার চেষ্টা করছি আমরা। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি জানান, রবিবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগ করে হিন্দুদের ২০ থেকে ২৫টি বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে।
আরও পড়ুন: রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখানে মানুষ মরেছে, মন্দির ভাঙচুর হয়েছে। প্রত্যেকটা ভাঙা মন্দিরে কাল থেকে সরকারের ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার।’
রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জনগণ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গত বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হৃদয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ও তার কবর জিয়ারত এবং ভাঙচুরের শিকার দুটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়েছে। মিসলিড করা হয়েছে। আমাদের দেশে একজন ভালো মন্ত্রী হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু তাঁকে গোয়েন্দা সংস্থা বোকা বানিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, দেশের মন্দিরের নিরাপত্তা দেয়া আছে। কিন্তু কিছু মৌলভী ও ধর্মান্ধ ব্যক্তি সেদিন ইয়ং ছেলেদের বিপদে ফেলেছে। আমরা ভিকটিম পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। কারণ আমরা ব্যর্থ হয়েছি।' তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'সরকার হিন্দু-মুসলিম সবার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ দেশে গণতন্ত্র নাই।’
আরও পড়ুন: এক আঙিনায় মসজিদ-মন্দির, সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। কারণ আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
হাজীগঞ্জের পুলিশ ও সাংবাদিককে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার পুলিশ ও সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে সংঘর্ষের ব্যাপরটি ট্যাকেল দিয়েছে। তারা বিষয়টি ভিন্নভাবে নেয়নি।’
তার এই সফরে সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ৬৯’ এর শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডা. নুরুজ্জামান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
ফেনীতে সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ৩০
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছি।’
রবিবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে এ ঘটনাগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো যারা করছেন এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কারো ইন্ধনেই করছেন।’
কারা এ ঘটনার পেছনে আছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অনুমান করে নেন কারা করতে পারে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ এলে আমরা প্রকাশ করবো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এই ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা আরও পরিষ্কার করে বলতে পারবো। কুমিল্লার ঘটনায় আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি দেখছে। আমরা একটি নির্ভুল তদন্তের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনা আপনাদের শিগগিরই জানাবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের লোক ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই ঘটনানো হয়েছে। এটা যেই করেছেন বা কার ইন্ধনে করেছেন তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। আমরা প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।’
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনায় তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুধু কুমিল্লায় নয়, রামুতে, নাসিমনগরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা করে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিই মূল উদ্দেশ্য। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কোনো দিন স্থান দেইনি। সবাই একত্রিত হয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে দূর করেছিল। তাছাড়া এ ঘটনায় আমরা অনেক কিছু দেখছি, অনেক কিছু অনুমান করছি। এখন শুধু প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকায় চারজন প্রাণ হারিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজারে ছোট ছোট ঘটনা ঘটেছে। হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীতে প্রাণহানির ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
দেশের বাইরের কারো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকেরই তো অভাব নেই। দেশের বাইরে থেকে কলকাঠি কেউ নাড়ছে কি না সেগুলোও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এর মধ্যে ফেসবুকে অনেক কিছু শুনেছেন, আমরা সবগুলো আমলে নিয়ে বিশ্লেষণ করে আপনাদের শিগগিরই জানাব।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার তাদের এজেন্সি দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কিছু বলেন যেগুলো তথ্যভিত্তিক নয়, উদ্দেশ্যমূলক, এগুলো বলার জন্য বলেন।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং উস্কানিদাতা হিসেবে কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব প্রধানসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে সেটি আমাদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এটি কিভাবে হয়েছে সেটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ইতোমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে সারাদেশে এটা চলে যায়। সে প্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি হৃদয় বিদারক কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দেখলাম চারজন নিষ্পাপ মানুষ নিহত হলো। সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘটনা একের পর এক ঘটছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী এবং যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারারাত কাজ করেছেন। এখানেও আমরা বসেছিলাম যে করণীয় কি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মনে হয়েছে এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোনো স্বার্থান্বেশী মহলের কাজ।
এ সময় তিনি জানান, কুমিল্লায় সন্দেহ ভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ আলাপের মাধ্যমে মনে করছি, অবশ্যই এটি তদন্ত সাপেক্ষ, আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই। আমরা মনে করছি, এটা কোনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো স্বার্থান্বেশী মহল, কোনো চক্রান্তকারী-ষড়যন্ত্রকারীর কর্ম এটা। এটা আমরা তদন্ত শেষে সব জানাতে পারবো। এ জায়গায় আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছি। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, যারা ধর্মকর্ম করে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন যেটা আমাদের দেশে আছে সেটা নষ্ট করার একটি প্রক্রিয়া বলেই আমরা মনে করছি। এ ধরনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন বা চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
যে সব জায়গায় এ ঘটনা ঘটছে যদি কেউ এতে উস্কানি দেন বা জড়িত থেকে ষড়যন্ত্র করেন তাকেও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত সভায় আমরা বলেছিলাম, পূজামন্ডপে সিসিটিভি বসাতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে ভলান্টিয়ার থাকবে। অনেক মন্ডপেই তা করা হয় নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
সব মন্ডপ যেন সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসেন এবং তাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার তারা যেনো নিয়োগ করেন। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সে আহ্বান করছি। সবাই যেন ধৈর্য সহকারে শান্তি বজায় রাখে। কোনো উস্কানিতে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয়।’
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয় সেগুলো যাতে কেউ না ছড়ায়। আমরা কোনো পূজামন্ডপ বন্ধের নির্দেশনা দেই নি। যারা গুজব ছড়িয়ে অপচেষ্টা করছেন তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সারাদেশেও অনেকেই যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল তাদের কয়েকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ভাংচুর হয়েছে, কয়েক জায়গায় হিন্দু বাড়িতে আক্রমণের প্রচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে।
এ সময় বিসর্জনের আগ পর্যন্ত সকল ধর্মের মানুষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা: চট্টগ্রামে ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অবশ্যই আমরা খুঁজে বের করবো। এ ঘটনায় আমরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মনে হয়েছে এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের কাজ।’
এদিকে, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় `পবিত্র কোরআন অবমাননা’, শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিভিন্ন জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ফয়জুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লা, ঢাকা বিভাগের নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জসহ ২২টি জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা থাকলে রাজধানী ঢাকাতেও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ের কাছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সাথে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
শিগগিরই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক বৈঠকে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মুহিবুল্লাহ হত্যার কারণ খুঁজতে তদন্ত চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,সন্দেহভাজনদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও ১ সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠসর উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিনি সবসময় তাদের প্রত্যাবাসনের কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন,কোন বিদেশী এজেন্ট শরণার্থী শিবিরে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে কিনা তা জানতে তদন্ত করছে সরকার।
ক্যাম্পে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া বসানো হচ্ছে যা কিছুদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এছাড়াও উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার
১৫ দফা দাবিতে ডাকা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দেশব্যাপী চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো.মনির এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মুকবুল আহমদ ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহন ধর্মঘট: চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
এসময় মালিক সমিতির মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহম্মদ, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো.মনির, জেনারেল সেক্রেটারি ওয়াজি উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মো.মনির বলেন, আমাদের সাথে মন্ত্রীর বৈঠকে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও আনন্দিত। এজন্য আমরা আমাদের ৭২ ঘণ্টার যে কর্মসূচি ছিল সেটা প্রত্যাহার করে নিলাম।
মুকবুল আহমদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য আমরা ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বাস ধর্মঘট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এতক্ষণ আমাদের সিনিয়র সচিব জন নিরাপত্তা, আইজিপি, পুলিশ প্রধান সড়ক পরিবহন সচিব, নৌপরিবহন বন্দর সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট যতো মন্ত্রণালয় হাইওয়ে পুলিশসহ সকলে বসেছি। বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির এবং বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন তাদের ১৫ টি দাবি দাওয়া আমাদের কাছে দিয়েছেন। আমরা তাদের দাবিগুলো যথাযথভাবে শুনেছি। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যে দাবিগুলো মনে করেছি এখনই করা উচিৎ সেগুলোর বিষয়ে আমরা বলেছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর যেগুলো মনে করেছি সময় লাগবে সেগুলোর বিষয়ে আমাদের সচিবরা নোট নিয়েছেন এবং তাদের মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেটা ছিল সেটা হলো বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান একটা ট্রাক্সফোর্স গঠন করে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা সমাধান করবেন। এছাড়া অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে দীর্ঘ আলাপ হওয়ার পড়ে তারা বলেছেন তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা যেসকল কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন সেগুলো ওনাদের মুখেই শোনবেন ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘চাকার হাওয়া’ ছাড়ার প্রতিবাদে দক্ষিণাঞ্চলে ৮ রুটে বাস ধর্মঘট
১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছিল।
১৫ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মোটরযান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করা, যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছেন তাঁদের সবাইকে সহজ শর্তে এবং সরকারি ফির বিনিময়ে লাইসেন্স দেয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পুনরায় হয়রানিমূলক ফিটনেস ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় রেশন-সুবিধার আওতায় আনা, সব বন্দরে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বার্ষিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দেয়া, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, যেখানে-সেখানে গাড়ি চেকিং না করা, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, প্রতি ৫০ কিলোমিটার পর পর পণ্য পরিবহনে শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক ও মহাসড়কে বিশ্রামাগার ও টার্মিনাল নির্মাণ, সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিতে ধর্মঘট ছিয়েছিলেন ট্রাক মালিক ও শ্রমিকেরা।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
আগের সকল শর্ত বহাল রেখে চতুর্থ বারের মতো বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সরকার।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিবারের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আগের সকল শর্ত বহাল রেখে চতুর্থ বারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাস গণনা করা হবে। খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা নেবার জন্য প্রথমে ছয় মাস সুবিধা দেয়া হয়েছিল। সে সুবিধা আবারও চতুর্থবারের মতো দেয়া হলো। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা সেবা যেভাবে নিতে চান সেভাবে চিকিৎসা নেবেন। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি অন্যান্য শর্ত বহাল থাকবে৷
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন এবং চিকিৎসা করাচ্ছেন। সে সময়টা বৃদ্ধির জন্য তার পরিবার থেকে আবেদন করেছেন। সে আবেদন যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সেটা অনুমোদন দিয়েছি। একই শর্তে চর্তুথবারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগের সকল শর্ত বহাল রেখে ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।’
স্থায়ীভাবে মুক্তির দাবি বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আদালত জানে। তাহলে তাদের আদালতে যেতে হবে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাদের যে ব্যবস্থা সেটা আমরা নিয়েছি। আর অন্যান্য যেগুলো সেটার জন্য আদালতে যেতে হবে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিন দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
খালেদার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশে যেতে চাইলে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: আইনমন্ত্রী
খালেদার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে একটা আবেদন এসেছিল। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয় যে অভিমত দিয়েছিল সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, ‘একটা প্রক্রিয়া চলছে কারণ সেপ্টেম্বরের কোন এক তারিখেই এর সময় ছিল। এটা আসলে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রবিবার বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশে যেতে চাইলে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: আইনমন্ত্রী
ইউএনবির সাথে আলাপকালে আনিসুল হক বলেন, ‘পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মতামত দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফৌজধারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পুনর্বিবেচনাক সুযোগ নেই। তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদন করলেই তা অনুমোদন হয়ে যাবে এমন নয়। এটি সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ
বোট ক্লাব নিয়ে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি
আলোচিত ঢাকা বোট ক্লাব প্রতিষ্ঠার অনুমোদন নিয়ে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটি কি সরকারের অনুমোদন নিয়ে নদীর তীরে স্থাপন করা হয়েছে? পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সরকারের অনুমতি নিয়ে কি এই ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন?’
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে বিরোধী সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন।
হারুন বলেন, ‘আমার জানা নাই, স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এই রকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।’
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি বিবৃতি দাবি করেন যে আইজিপি কোনো আইনের অধীনে এই ধরনের ক্লাবের সদস্য হতে পারেন কি না।
চিত্রনায়িকা পরীমণি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনার পর ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেড আলোচনায় আসে। পরে পরীমণির করা একটি মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন ও ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’
বোট ক্লাবের নির্বাহী কমিটি থেকে নাসিরকে বহিষ্কার
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে