%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। তাদের অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, বিনাধান ১৯ ও বিনাধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারাখাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের সঙ্গে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জেষ্ঠ সহসভাপতি আমিন হেলালী।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
এফবিসিসিআই নেতারা বলেন, দেশের বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে আরও জোরালোভাবে কাজ করতে হবে।
আমিন হেলালীর নেতৃত্বে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসায়ী হোক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, কমপ্লায়েন্স নিশ্চয়তা ও তদারকির সঙ্গে জড়িত কি না; শাস্তি নিশ্চিতের জোর তাগিদ দেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডকে মনুষ্যসৃষ্ট সংকট উল্লেখ করে এফবিসিসিআই নেতা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হলো না পটুয়াখালীর জুয়েলের
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
পবিত্র রমজান সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা।
গত রমজানের আগেও রেকর্ড দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকা। এক পর্যায়ে তা কেজিতে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ২০০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমবে ৩০-৪০ টাকা: ডিএনসিআরপি’র ডিজি
সোনালি মোরগের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যেখানে সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদিও গত বছরের মতো ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো মুরগির দামও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৫ দিন আগে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগি (১ দিন বয়সী) প্রায় ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত প্রতি পিস ৩০ টাকা। এই বাড়তি দামের কারণে খামারে নতুন বাচ্চার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন চাষিরা।
যে কারণে বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বাড়ছে। গতবারের মতো এবারও শবে বরাত ও রমজানের আগে যাতে বাজারে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজরদারি করতে হবে বলে মনে করছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, সব ধরনের মুরগির দাম বাড়ছে।
মাংস ও ডিমের দাম বাড়লে সরবরাহ কম থাকায় মুরগির দামও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তিনি বলেন, ১ দিন বয়সী একটি বাচ্চার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় উঠলে ব্যবস্থা নিতে হয়। চাষের খরচ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির খাদ্য সরবরাহে অস্থিরতা দূর করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে খামারের মুরগির উৎপাদন ছিল ৩১ কোটি ৯৭ লাখ পিস।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে মুরগির উৎপাদন বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দেশে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এরপর থেকে মুরগির বাজার ওঠানামা করছে। কখনো চাষিরা লোকসান দিচ্ছেন, আবার অনেক সময় ক্রেতাদের বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে।
গত বছর রমজানের ঠিক আগে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম নির্ধারণের জন্য সরকার বড় চারটি মুরগি উৎপাদককে ডেকেছিল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তে বাজারে মুরগির দাম কমানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায় হলেও গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ থেকে ৭১ শতাংশ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা জানুয়ারি শেষ দিকে ছিল ১০০ টাকা।
এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। গতকাল (শুক্রবার) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আজ (শনিবার) খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ফলে মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
আলামিন হোসেন নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পাবনা থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাবনায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে এবং রাজধানীতে খুচরা ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা হলেও এখন পাবনায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে বলে জানান হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ পর্যায়ে। প্রায় দেড় মাস আগে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, আর এখন কৃষকের পেঁয়াজ শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় বলে জানান আলামিন।
এখন কৃষকের প্রধান পেঁয়াজ বা হালি পেঁয়াজ যা সারা বছর পাওয়া যায় সেই ফসল তুরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত বাজারে এ ধরনের বাড়তি দাম থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। কিন্তু গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৪ এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের একটি হোটেলে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জেকিউএম হাবিবুল্লাহ এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দিন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইং চিফ মো. মাকসুদুর রহমান।
মনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ১৪ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা জমা রেখে দেশব্যাপী ২ হাজার ৭৭১টি এজেন্ট আউটলেট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
২০২৩ সালে এজেন্ট আউটলেটগুলো নতুন করে জমা পড়েছে ৩ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই এজেন্ট আউটলেটগুলো প্রবাসীদের সেবা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা গত বছর রেমিট্যান্স আহরণে নিয়োজিত দেশের মোট এজেন্টের ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ব্যাংকটি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক
বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের অর্থ পরিশোধে ২৪টি ব্যাংক ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল বাবদ সরকারের বকেয়া ছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বেশি বা ২৩ হাজার কোটি টাকা।
আর্থিক সংকটের কারণে সরকার টাকা দিতে পারছে না। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। ওইসব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে দেওয়া এমন ঋণের অনেকগুলোই খেলাপি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নেওয়া ঋণের বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে।
ইতোমধ্যে ২৪টি ব্যাংক ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বন্ড ইস্যুর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হতে পারে।
এরপর ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বন্ড ইস্যু করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
'ইনসেপশন অব সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সংলাপে বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির পরিবর্তে সামাজিক বিমা চালুর সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জিআইজেড এ সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পারভীন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তারা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখলেই চলবে না।
বক্তারা বলেন, এখনই সময় সামাজিক বিমা চালুর। সরকারের অ্যাকশন প্ল্যানে বিষয়টি তুলে আনা উচিত বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন, অনেক দেশ ১০০ বছর আগে সামাজিক বিমা চালু করলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেসব দেশ এখন এই ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের উচিত সেসব দেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
মূল প্রবন্ধে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, জ্ঞানের ঘাটতি দূর করা, ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সহজতর করা, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং থিম্যাটিক ক্ষেত্রগুলোতে অগ্রগতি ট্র্যাক করার লক্ষ্যে কাজ করে এসআইএফ (সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম)।
বোধগম্যতা ও বাস্তবায়ন বাড়ানোর জন্য সাংগঠনিক ও অপারেশনাল কর্মপ্রবাহের স্পষ্টতার উপর জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, আর যাদের সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার কথা, তারা তা পায় না। যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা পায়।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
এ বাস্তবতায় সামাজিক বিমা চালু হলে এসব ফাঁকফোকর দূর করা সম্ভব হবে।
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বিমা না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন আইএলওর ঢাকা অফিসের চিফ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানি।
এর জন্য তিনি মন্থর আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। সরকার আট বছর আগে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করে। তবে তা বাস্তবায়নের গতি খুবই কম বলে জানান তিনি।
এর জন্য তিনি মূলত আমলাতন্ত্রের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেন।
‘সামাজিক বিমা সবার জন্য; এটি কেবল দরিদ্রদের জন্য নয় কারণ আমাদের প্রত্যেকে বেকারত্ব, অসুস্থতা ও বার্ধক্যের অভিজ্ঞতা হতে পারে', টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্পের (ইআইপিএস) শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান আঘাত সুরক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড সিলবিয়া পপ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা বলেন, দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিমা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং অনেক পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিমা কোম্পানিগুলোরও নিয়মিত মিনি ইনস্যুরেন্স প্রোডাক্ট থাকে।
এসব প্রকল্প ও কাজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, তাহলে সামাজিক বিমার কাজে গতি আসবে বলে জানান বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
বিদ্যুৎ খাতকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ড বিষয়ক চুক্তি করেছে সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভর্তুকির টাকা দিতে সরকারের অক্ষমতার কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তাদের দেনা শোধ করতে পারছে না। যার ফলে কেউ কেউ ঋণখেলাপি হওয়ার পথে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি'তে রাশিয়ার রোসাটম থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ
এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর, বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।
চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ১১ নভেম্বর
পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পাট ও চামড়া খাতে বিনিযোগ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
এ ছাড়া পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটোরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সব মিশনের প্রধান এবং ট্রেড বা কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান।
যেসব পণ্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানু্ফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবীতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারিত্বের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদারী খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রিডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
এছাড়া, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা সত্যিই প্রসংশনীয় উল্লেখ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
এসময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
রাজধানীর পূর্বাচলে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। বরাবরের মতো এবারও দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী