পোশাক-শিল্প
তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
পোশাক শিল্পের জন্য শুল্ক প্রক্রিয়া সহজ ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এনবিআর কার্যালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাডমিন) ফারজানা আফরোজের সঙ্গে বৈঠক তিনি এই আহ্বান জানান।
কাস্টমস, ভ্যাট ও বন্ড সম্পর্কিত সেবাসহ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা কীভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (আরএমজি) কাছ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে পারে- বৈঠকে সেই বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো.মুনির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কাস্টমস, বন্ড ও ভ্যাট সম্পর্কিত তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের বর্তমান সমস্যা, বিশেষ করে চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও উত্তেজনাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে পোশাক রপ্তানিকারকরা কীভাবে লড়াই করছে তা তিনি উল্লেখ করেন।
হোসাইন বলেন, এনবিআরের কাছ থেকে সেবাসংক্রান্ত যে কোনো জটিলতা তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অসুবিধাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
জবাবে ফারজানা আফরোজ পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনবিআরের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
‘খাদি: দ্য ফিউচার ফেব্রিক শো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের (এফডিসিবি) আয়োজনে আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯-২০ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’।
শুক্রবার ও শনিবার তেজগাঁও লিংক রোডের আলোকিতে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এই শো।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস বলে দাবি করছেন আয়োজকরা।
তারা বলছেন, পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের ভবিষ্যৎ গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
উৎসবে যা থাকছে
উৎসবে থাকছে ফ্যাশন ফিউশন রানওয়ে শো। এই শোতে শীর্ষ ডিজাইনাররা তাদের খাদি-অনুপ্রাণিত সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন।
উৎসবের প্রথম দিন ডিজাইনার জাকিয়া ও মায়শা, আবির ও তাজবীর, ফাইজা আহমেদ, তেনজিং চাকমা, ইবালারিহুন, আফসানা ফেরদৌসী, ইমাম হাসান, সাদিয়া রশিদ চৌধুরী ও অভিষেক রায়ের ডিজাইন করা পোশাক-পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়া দ্বিতীয় দিনে শৈবাল সাহা, চার্লি, মাহিন খান, শাহরুখ আমিন, কুহু, নওশীন খায়ের, সায়ন্তন সরকার, লিপি খন্দকার, চন্দনা দেওয়ানের সংগ্রহসমূহ প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
তবে এই আয়োজনে থাকছে বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। যারা বর্তমান ফ্যাশনের হাল-হকিকত, প্রভাবক, স্থায়িত্ব ও ফ্যাশন শিল্পের ভবিষ্যৎ গঠনে খাদির ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করবেন।
বাংলাদেশ ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাহিন খান বলেছেন, ‘খাদি উৎসব ২০২৪’ আয়োজনের লক্ষ্য আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপন এবং টেকসই ফ্যাশন শিল্পের প্রচার। খাদি তার গভীর আবেদনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যকেই কেবল প্রতিফলিত করে না, এটিকে ধারণও করে।’
আয়োজনটির টাইটেল স্পন্সর ‘মায়া’, পাওয়ারড বাই বিজিএমইএ, কো-স্পন্সর এইচএসবিসি, বার্জার, রূপায়ণ গ্রুপ এবং বাই হিয়ার নাউ। তবে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে ফ্যাশন শো শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সরকার নির্ধারিত মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে সরকার নির্ধারিত মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পরিশোধসহ ৬ দফা দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় নগরের কোনাবাড়ী এলাকায় মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার কয়েকশ’ শ্রমিক সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন দেওয়া, ১০ ঘণ্টা কর্মদিবসের পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হিসেবে বেতন নির্ধারণসহ ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, সকালে কিছু শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসে। পরে তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জনান, বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তাদের দাবির বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির কালো হাত আছে: কাদের
তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখতে হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে মূল্য সংযোজনের দিকে আরও মনোনিবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পে অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প মূল্য সংযোজনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং উপকরণ পোশাকের সামগ্রিক আবেদন এবং কাঙ্ক্ষিত মূল্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকায় গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং এক্সপোজিশন (গ্যাপএক্সপো) ২০২৪-এর ১৩তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য পোশাক শিল্পের মধ্যে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিংয়ে প্রযুক্তির অগ্রগতি ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান এবং বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
ফারুক বলেন, বাংলাদেশের অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে উচ্চমানের, উদ্ভাবনী ও টেকসই উপকরণ উৎপাদনের মাধ্যমে নিজেদের জন্য একটি জায়গা তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি অনন্য ও নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক আনুষঙ্গিক তৈরি করতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দেন। এটি চূড়ান্ত পণ্যগুলোর সামগ্রিক মূল্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে অ্যাকসেসরিজ শিল্প বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে শুধু উৎপাদনই নয়, সৃজনশীল ও মূল্য সংযোজন ডিজাইনের একটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
কুমিল্লায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
কুমিল্লায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ৩ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্ট নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) কুমিল্লার চান্দিনা বেলাশ্বর এলাকায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করে শ্রমিকরা। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় সড়কে।
পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যায় শ্রমিকরা।
ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্টের শ্রমিক কাকলী আক্তার বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন দিচ্ছে না। গত তিন মাস ধরে তারা আমাদের দুর্দশার কথাও শুনছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয় মহাসড়কে নামছি।
আরও পড়ুন: টেকসই ফ্যাশন: ২০২৩ সালে ২৪টি নতুন এলইইডি সবুজ কারখানা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাত নেতৃত্বে
ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্টের জরুরি নম্বরে কল করলে রিসিভ করে পরিচয় না দিয়েই বলেন, এই বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ সানজুর মোর্শেদ বলেন, গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা। এখন যানজট নেই। তবে সড়কে সামান্য ধীরগতি আছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
২০২৪ সালে প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে পারি, নতুন পণ্য ও বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি তবে আমরা কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৪ সালের গতিপথ অনুমান করা কঠিন। সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ও মুদ্রাস্ফীতির মতো কারণগুলো এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
রুবেল বলেন, উপরন্তু, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জসহ অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ওপর চাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে শিল্পের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৩ সালে পোশাক খাতের বৈশ্বিক পরিস্থিতি ২০২২ সালের মতো ভালো ছিল না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানি ৫৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
রুবেল বলেন, ‘ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে পোশাক আমদানি ইতোমধ্যে কমে গেছে। সম্মিলিতভাবে মূল্যায়ন করা হলে বাংলাদেশের প্রধান দু’টি বাজার 'আমাদের প্রবৃদ্ধিতে' কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারেনি।’
রুবেল বলেন, অপরদিকে অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপ্রচলিত বাজারের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
টেকসই ফ্যাশন: ২০২৩ সালে ২৪টি নতুন এলইইডি সবুজ কারখানা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাত নেতৃত্বে
২০২৩ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যার মধ্যে ২৪টি কারখানা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন অর্জন রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম, পরিবেশগত দায়বদ্ধতা ও জ্বালানি দক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করে এলইইডি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, সম্প্রতি সনদপ্রাপ্ত নতুন ২৪টিসহ বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২০৬টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানা রয়েছে। যা পোশাক খাতের মধ্যে সবুজ উদ্যোগের প্রতি দেশের নিষ্ঠার প্রমাণ।
৭৬টি সর্বোচ্চ প্ল্যাটিনাম রেটিং এবং ১১৬টি গোল্ড রেটিং নিয়ে রেকর্ড সার্টিফিকেশনের কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের টেকসই অনুশীলনের উপর ক্রমবর্ধমান মনোযোগের প্রেক্ষাপটে এই অগ্রগতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
২৪টি নতুন এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৬টি মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটিনাম রেটিং পেয়েছে, বাকি ৮টি গোল্ড রেটিং অর্জন করেছে।
২০২৩ সালে স্ট্যান্ডআউট পারফর্মারদের মধ্যে এস এম সোর্সিং ১০৬ পয়েন্ট এবং ১০৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেড ইউনিট-৪।
বিজিএমইএ'র তথ্য অনুযায়ী, ইন্টিগ্রা ড্রেসেস ও নিট এশিয়া লিমিটেড ৯৯ পয়েন্ট, লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড ৯৭ পয়েন্ট এবং লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ৯৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্বব্যাপী ১০০টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি দেশে অবস্থিত, এই অর্জন বাংলাদেশকে বৈশ্বিক টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিজিএমইএ'র তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বের শীর্ষ ২০টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ১৮টি রয়েছে।
বিজিএমইএ'র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের সুযোগ বৃদ্ধিতে এটিকে সম্ভাব্য অনুঘটক হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই সার্টিফিকেশনগুলোর ভৌগলিক বিস্তার স্থায়ীত্বের প্রতি তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যাপক অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করে।
২০২৩ সালের সার্টিফিকেশনগুলোর বেশির ভাগই ছিল গাজীপুরে (১৫টি কারখানা), এরপর ঢাকায় ৪টি, চট্টগ্রামে ৩টি এবং ময়মনসিংহে ২টি। এর থেকেই বুঝা যায় এলইইডি নীতিমালা দেশব্যাপীই গ্রহণ করা হচ্ছে।
বর্তমানে ৫০০টিরও বেশি বাংলাদেশি কারখানা তাদের এলইইডি সার্টিফিকেশন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সবুজ নীতি মেনে চলার শক্তপোক্ত ও চলমান প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।
টেকসই ফ্যাশনের দিকে এই পদক্ষেপ কেবল বৈশ্বিক পরিবেশগত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং সবুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি অগ্রগামী নেতৃত্ব হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করছে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি টেকসই ফ্যাশনের প্রতি শিল্পের অঙ্গীকারের একটি স্পষ্ট সূচক।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এলইইডি রেটিং অর্জনের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে এটি পরিবেশগত তত্ত্বাবধানেরও একটি মানদণ্ড এবং আরও টেকসই উৎপাদন অনুশীলনের বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় নেতৃত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কেনার জন্য ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ খুচরা বিক্রেতা কেয়ারফোরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
হংকংয়ে গ্লোবাল সোর্সিংয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিন ড্যানিয়েল গ্যাটিগনোল এবং কেয়ারফোরের গ্লোবাল সোর্সিং ডিরেক্টর অ্যালেক্সিয়া বোনেটের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক আজফার হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে পরিবেশগত টেকসই অনুশীলনের অগ্রগতি এবং উচ্চমানের পোশাকের জন্য উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে সহায়তা প্রদান, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞান, দক্ষতা ও কারিগরি দক্ষতা প্রদান এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেয়ারফোর ও বিজিএমইএ'র মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং বিজিএমইএ'র সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার এবং উচ্চমূল্যের পণ্যের নকশা উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে কেয়ারফোর কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা কেয়ারফোরের কাছে তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি। এছাড়া গার্মেন্টস ও অন্যান্য বিভিন্ন পণ্যের জন্যও এর সোর্সিং সম্প্রসারণের জন্য কেয়ারফোরকে বিবেচনারে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
ফ্রান্সভিত্তিক কেয়ারফোর ইউরোপের বৃহত্তম খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার- স্লোগান নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে সব ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২২-২০২৩) দেওয়া বক্তৃতায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভেদাভেদ ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি।
দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা।
মাহবুবুল আলম বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্যসংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন: ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভিটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত ও সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একাত্ম হয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে একটি স্মার্ট এফবিসিসিআই গড়ার ম্যানিফেস্টো নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআই নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের জানানোর জন্য প্রতি মাসে ই-বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি গতিশীল, ব্যবহারবান্ধব ও ইন্টার্যাক্টিভ এফবিসিসিআই গঠনে ডিজিটাল ওয়েবসাইট প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য স্মার্ট অফিস তৈরির লক্ষ্যে গুলশানে এফবিসিসিআইর অফিস সম্প্রসারিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় পুরান ঢাকায় নতুন শাখা অফিস খোলা ও উত্তরায় একটি ভকেশনাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, গুলশানে এফবিসিসিআইয়ের এক্সটেন্ডেড অফিস চালু, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন, পুরুষ জামানতকারী ছাড়াই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা কিস্তি প্রাপ্তি, আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই মাস বাড়ানোসহ পলিসি অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকার কথা সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন মাহবুবুল আলম।।
গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় আগত সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বান
পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প ও টেকসই ব্যবসার জন্য পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন।
তিনি লিঙ্গ সমতার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খতে আমার ভাল অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। খাতটিকে আরও টেকসই উন্নয়নে লিঙ্গ সমতা, নারীর দক্ষতা ও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’
পোশাক শিল্পে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব ও দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস: অ্যাডভান্সিং উইমেন লিডারশিপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি ইন দ্য সাপ্লাই চেইন’- শীর্ষক অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস’ বা গিয়ারের উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত গিয়ার উদ্যোগটি ২০১৬ সাল থেকে ৮০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার মধ্যে ৫২৮ জন সুপারভাইজরের ভূমিকায় উন্নীত হয়েছেন।
গিয়ার পোশাক খাতের নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের কর্মজীবনে নেতৃত্বমূলক পদে যেতে সহায়তা করে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, গিয়ারের ফলে শ্রমিকদের লাইন দক্ষতা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের থেকে নারীরা ৩৯ শতাংশ বেশি মজুরি পান গিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
বাংলাদেশের জন্য পোশাক খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ কাজ করেন। এই খাতে কর্মরত ৫৫ শতাংশই নারী। যাদের মাত্র ৫ শতাংশ সুপারভাইজর বা নেতৃত্বদানকরী ভূমিকায় আছেন। যে পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে গিয়ার।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কারখানার মালিক, ক্রেতা, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘ সংস্থা ও সুশীল সমাজসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজেন একটি অন্তভুক্তিমূলক পোশাক খাত তৈরিতে।
বাংলাদেশে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘গিয়ারেরমত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এখানে লিঙ্গ সমতার অগ্রগতি অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।’
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাচে লীনা খান বলেন, ‘গিয়ার প্রোগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন তারা নিজের উন্নতির পাশাপাশি ব্যবসায়েরও উন্নতি করছেন। পোশাক শিল্পে কর্মীদের অধিকার উন্নত করতে এবং খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রোগ্রামটি খুব ভালভাবে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পের জন্য কৌশলগত আলোচনা, সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং নীতি বিষয়ক একটি আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
গিয়ার প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে পরিচালিত একটি ফ্যাশন শো দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প