স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জোরালো তাগিদ বাংলাদেশের
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ ‘বিএসজিআই’ -এর মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর নবায়ন না করলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হবে। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো এই পরিস্থিতিতে অনেকটা ‘উদ্বিগ্ন’৷
এবতাবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ সরকারকে বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জোরালোভাবে তাগিদ দিচ্ছে। কারণ, এটি বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
মঙ্গলবার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি, মো. সমীর সাত্তার, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম,সিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এই আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকে বিএসজিআই আজ অবধি তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে তিনটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। যার অনুপাত কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফল এটি। সেইসঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিবেদন করেছে যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আবারও ইউক্রেন থেকে ২০২১ সালের মতো একই পরিমাণে গম সংগ্রহ করছে। আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টন গম ক্রয় করছে।
তারা বলেছে, ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা এইভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিতকরণের মাধ্যমে, বিএসজিআই-এর যে কোনও ত্রুটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতি যা সত্যিকার অর্থে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক পরিণতিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্কিন ডলার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে আশাবাদ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতি সম্পর্কিত একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। এতে বলা হয়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়াসহ বহিরাগত প্রভাবের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিষয়টি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পরিস্থিতি রাতারাতি সমাধান হবে না। সুতরাং, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনায় সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি তিন মাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্যসহ এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের চাপে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব এখনো অর্থনীতিতে পড়েনি। কিন্তু অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থনীতির একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বেশির ভাগই আসে এসব অঞ্চল থেকে। রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশ যায় এসব দেশে।
অন্যদিকে, আমদানির ৭২ শতাংশ আসে ভারত ও চীন থেকে। এখন সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে আমেরিকা থেকে। বর্তমানে যে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ সামনে এসেছে। এই দুই দেশের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ এর সমালোচনা মানতে রাজি নয়, যদিও বলা হয় যে বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নীতি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কিছু বিধিনিষেধ ও সাম্প্রতিক ভিসা নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আকারে বাংলাদেশিদের অর্থ দেশে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশ এরই মধ্যে মোকাবিলা করছে। এর প্রভাব এখনও আছে।
যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানছে। আর্থিক খাতে অস্থিতিশীলতা ছিল। এখন তা সহজ হতে শুরু করেছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সরবরাহ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে আগামী দিনগুলোতে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) একটি 'বাজার-ভিত্তিক' মার্কিন ডলারের বিনিময় হার চালু করে, নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪-এর এইচ-১ এর জন্য সর্বোচ্চ হারের ওপর একটি সীমা নির্ধারণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সায় বিক্রি করছে, আগের হার থেকে ২ টাকা ৮৫ পয়সা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাজারভিত্তিক হারে ডলার বিক্রির নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দামও সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির।
এদিকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে ব্যাঙ্কগুলো বিভিন্ন হারে মার্কিন ডলার বিক্রি করছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির এবং মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে বিভিন্ন হারে ইউএস ডলার বিক্রি করছে, আমদানিকারকরা এলসির জন্য প্রতি ডলারে ১১২ টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার সূত্রের বিরুদ্ধে।
রপ্তানিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে মঙ্গলবার মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে এলসি খুলতে যাওয়া ব্যবসায়ী রুবায়েত হোসেনকে এলসির জন্য ডলারপ্রতি ১১২ টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে জানান, উচ্চহার সত্বেও রুবায়েত তার প্রয়োজনের অর্ধেক ডলার পেয়েছিলেন এবং এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসার জন্য বিরক্তিকর বলে বর্ণনা করেন।
এর আগে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ অর্থবছর থেকে ছাড়ের হারে ব্যাংকগুলোর কাছে আর ডলার বিক্রি করবে না। তাই আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সর্বোচ্চ মূল্যে ডলার বাজারভিত্তিক হারে বিক্রি করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারের অধীনে ডলারের সর্বোচ্চ দর ১০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বিএএফইডিএ অনুযায়ী, এখন থেকে ডিলার ব্যাংকগুলো যে হারে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে এক টাকা যোগ করবে এবং বিসি (সংগ্রহের জন্য বিল) বিক্রির হার দেবে। তবে এই হার ১০৯ টাকার বেশি হতে পারবে না। ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি বিল ১০৭ দশমিক ৫০ টাকায় এবং রেমিটেন্স ১০৮ দশমিক ৫০ টাকায় কেনে।
বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গড় ডলার ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
খুলনায় স্থায়ীভাবে কোনো মার্কেট গড়ে না ওঠায় এবারের ঈদেও সড়কের ওপরেই চামড়া কেনা-বেচা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নগরীর চামড়াপট্টি খ্যাত শেখপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাথ জুড়েই ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন চামড়া কেনা-বেচা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, মার্কেট না থাকায় চামড়া সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আপাতত ক্রয়কৃত চামড়া সড়কের পাশেই লবণ লাগিয়ে জড়ো করে রেখেছেন ব্যবসায়য়ীরা। যদিও কয়েকদিন পর সেখান থেকে চামড়াগুলো নিয়ে নগরীর জিরো পয়েন্টের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
খুলনায় এবার ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার গরুর চামড়া ট্যানারির নির্ধারিত মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪৭-৪৮ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
চামড়া ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম পিয়ারু জানান, এবার তিনি ২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তার চামড়া জিরোপয়েন্টের একটি গোডাউনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-২০ দিন রাখার পর ট্যানারীতে বিক্রি করা হবে।
অপর ব্যবসায়ী মো. আবু মুসা বলেন, তিনি এবার ৭০-৮০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
ব্যবসায়ী মো. আজিজুলও জানান, তিনি ২০০-২৫০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার মো. বাবর বলেন, এবার চামড়ার দাম গত বছরের মতোই আছে। আমি ৪০০ পিস গরুর চামড়া কিনেছি। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া রয়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন। যার পিস প্রতি গড় মূল্য পড়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, সরকার ঘোষিত মূল্য ট্যানারি মালিকরা তাদের প্রদান করলে তারা লাভের মুখ দেখবেন। আর যদি না দেয় তাহলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, এ বছর শেখপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তবে এর বাইরে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিভিন্ন মাদরাসা থেকে কিছু চামড়া কিনেছেন। কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট না থাকায় খুলনায় ফুটপাতে, সড়কের ওপরই চামড়া কিনতে হয়।
তিনি জানান, গেল ঈদে খুলনার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮-১০ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এবার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কয়েকজন সারা বছর জবাই হওয়া গরু-ছাগলের চামড়া কিনে নগরীর জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী এলাকায় তাদের গোডাউনে নিয়ে লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণ করেন। তবে ঈদের ৩ দিন সড়কের উপরেই সব কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ইউএস-বাংলার ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট শুরু
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দ্বাদশ আন্তর্জাতিক গন্তব্য ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ঢাকা-দিল্লি রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য দিল্লিতে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি পর্যটক, উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহী যাত্রীরা দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে ইউএস-বাংলা। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও বেশী সুদৃঢ় করবে। রাজধানী দিল্লি হবে ইউএস-বাংলার সরাসরি ভারতে পরিচালিত তৃতীয় গন্তব্য।
বর্তমানে ভারতের কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট আছে। আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যে ইউএস-বাংলার বহরে প্রথমবারের মতো দু’টি এয়ারবাস ৩৩০ যোগ করতে যাচ্ছে। যা দিয়ে চলতি বছর ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চেন্নাই, কলকাতা ছাড়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই, শারজাহ, মাস্কাট, দোহা, প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মালে, পর্যটক বান্ধব অন্যতম গন্তব্য ব্যাংকক ও চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সম্প্রতি স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সাউথ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে।
আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সকল গন্তব্য বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ২ দিন ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট বন্ধ
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীতে বেড়েছে ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ঈদ উপলক্ষে এই পণ্যগুলোর চাহিদা এই সময়ে বেশি থাকবে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে গিয়ে ইউএনবি এমন তিনটি আইটেমের দাম খুঁজে পেয়েছে - পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজির তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে এদিন চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা তাদের কেনাকাটা শেষ করতে বিকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে,।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত পোলাও চাল বিক্রি করছি, কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি এখানে লস না, লাভ করতে এসেছি।’
একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাজারদর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গুঁড়ো দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা ও ফ্রেশ মিল্ক ৮৪০ টাকা কেজি এবং মার্কস দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বন্যা: ঢাকার কাঁচাবাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম
বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
বাংলাদেশ এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ২৭৭ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)ঋণ সুবিধা চুক্তি (সিএফএ) সই করেছে।
২২ জুন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশের জন্য এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোইট চ্যাসাটে সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।
ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় এএফডি, বিআরটি প্রকল্পের জন্য ৬২ মিলিয়ন ইউরো, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো এবং বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন(বিইএসটি) প্রকল্পের জন্য ৪০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি কোম্পানি কম্পোনেন্ট) নামে পরিচিত প্রথম প্রকল্পটির লক্ষ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে (জিসিসি) একটি টেকসই নগর পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রকল্পটি একটি ২০ কিলোমিটার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) করিডোর প্রবর্তন করবে — যা সমন্বিত শহুরে গতিশীলতার জন্য একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদানের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ করছে।
দ্বিতীয় প্রকল্প হলো উত্তর কাট্টলীর জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প। এটি পোর্ট সিটির বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাহিদা পূরণ করে। এটি চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বর্জ্যপানি পরিশোধন অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি) প্রকল্প নামে তৃতীয় প্রকল্পটি এএফডি এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টা। এর লক্ষ্য বাংলাদেশে পরিবেশগত বিধিবিধান এবং প্রয়োগ বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি দেশের কারিগরি ও প্রশাসনিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে দূষণ রোধ এবং পরিবেশের গুণগতমান উন্নত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এএফডি ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী একটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এএফডি’র সহায়তায় নগর উন্নয়ন এবং পানি ও স্যানিটেশন, গণপরিবহন, এবং নগর পরিষেবার মতো পরিকাঠামোগত উদ্যোগসহ বিস্তৃত উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা বিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোতেও অগ্রাধিকার দেয়, যার মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা এবং নবায়ণযোগ্য বিদ্যুত, নিরাপত্তা মান এবং পরিবেশগত এবং সামাজিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্পোরেট এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টা।
আজ পর্যন্ত এএফডি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্পে ২ হাজার ১০১ মিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট সহায়তা ঋণ প্রদান করেছে, যা দেশের উন্নয়নে তার টেকসই প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন আইএমএফ’র ডিএমডি
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর
ব্র্যাক ব্যাংককে বাণিজ্য অর্থায়ন, চাকরি সংরক্ষণে সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন ডলার দিল আইএফসি
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডকে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগকে (এসএমই) সহায়তার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।
এই বিনিয়োগটি চাকরি সংরক্ষণে অবদান রাখতে এবং ব্যাংকের এসএমই আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকদের কার্যকরী মূলধন এবং বাণিজ্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তাকে সহযোগিতার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য আনবে।
আইএফসি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে প্রাইম ব্যাংকের অনুরূপ ঋণের সঙ্গে এই বিনিয়োগটি বাজারে একটি ইতিবাচক সংকেত পাঠাবে এবং স্থানীয় ব্যাংক ও এসএমইগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার অর্থায়নের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএফসি’র ৩২.৫ মিলিয়ন ডলার
অর্থায়ন প্যাকেজটি চলমান জনস্বাস্থ্য সংকটের সময় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য আইএফসি’র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈশ্বিক কোভিড-১৯ প্রথম অগ্রাধিকার অর্থায়ন সুবিধার অংশ। এই নতুন বিনিয়োগটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশনস (ডব্লিউসিএস) প্রোগ্রামের অধীনে আসে, যা উদীয়মান-বাজারের ব্যাংকগুলোকে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে, তাদের সংগ্রামী সংস্থাগুলোকে সমর্থন করতে সক্ষম করে।
এই প্রকল্পটি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডো ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি দ্বারাও সমর্থিত হবে, যা আইএফসি’র ডব্লিউসিএস প্রোগ্রামে সহায়তা প্রদান করছে।
ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক এবং দেশের একমাত্র এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আরএফ হুসেন বলেছেন, ‘আমাদের এসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকরা কোভিড-১৯ এর বিঘ্নিত প্রভাব থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার অপর্যাপ্ত প্রাপ্যতা তাদের নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে’।
আরও পড়ুন: খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যা ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাসহ একাধিক কারণেও প্রভাবিত হয়েছে।
আইএফসি-এর দক্ষিণ এশিয়ার পোর্টফোলিও ম্যানেজার জুন ইয়ং পার্ক বলেছেন, ‘আইএফসি বাংলাদেশের মতো রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়তা করছে, যেগুলো বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে’।
‘আইএফসি বাংলাদেশের প্রধান ব্যাংকিং অংশীদারদের অবিচল সহযোগিতা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাদের উল্লেখযোগ্য এসএমই পোর্টফোলিও রয়েছে, যেমন ব্র্যাক, যাদের সঙ্গে আইএফসি গত ১৯ বছরে ইক্যুইটি এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আইএফসি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।, যার ফলে দেশের নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সংকটের শুরু থেকে আইএফসি বাংলাদেশের ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশন এবং তারল্য সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেন, ‘মহামারির প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করার দীর্ঘ তিন বছর পর, বাংলাদেশে ব্যবসাগুলো চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার প্রচেষ্টা এবং একটি স্থিতিস্থাপক মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: আইএফসি’র সঙ্গে পিপিপি’র চুক্তি স্বাক্ষর
এফবিসিসিআই নির্বাচন ২০২৩-২৫: পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুল আলমের নাম ঘোষণা করলেন সাবেক সভাপতিরা
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর পরবর্তী সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এর সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মো. মাহবুবুল আলমের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এফবিসিসিআই এর সাবেক কয়েকজন সভাপতি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই এর পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মো. মাহবুবুল আলমের নাম ঘোষণা করেন তারা।
‘ডেভেলপিং স্মার্ট লিডারশিপ টু ক্রিয়েট স্মার্ট ইকোনমি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এমপি এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন: এফবিসিসিআই
এসময় মঞ্চে উপস্থিত থেকে এফবিসিসিআই এর পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মো. মাহবুবুল আলমের প্রতি সমর্থন জানান সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ, সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মীর নাসির, আব্দুল আওয়াল মিন্টু।
এসময় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারাও দাঁড়িয়ে মো. মাহবুবুল আলমের প্রতি সমর্থন জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে যে অবস্থানে এসেছে, সেটা প্রশংসনীয়। বেসরকারি খাতের কারণে এ অবস্থায় আসা সম্ভব হয়েছে। তবে, বর্তমানে ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি এগুলো সারাবিশ্বে আছে। বাংলাদেশেও কিছুটা আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
সিআইএস-বিসিসিআইয়ের ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত
কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২২ শনিবার (১৭ জুন) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সিআইএস-বিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন ২০২২ সালে সংগঠিত চেম্বারের যাবতীয় উন্নয়ন কার্যক্রম বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন এবং তার নির্বাচিত বোর্ডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন।
এরপর চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী দ্বীন ২০২২ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন।
সভায় উপস্থিত চেম্বারের পরিচালকবৃন্দসহ উপস্থিত সদস্যদের প্রাণবন্ত আলোচনা-পর্যালোচনার পর পঠিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং উপস্থাপিত আর্থিক প্রতিবেদন সকলের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
উপস্থিত সদস্যবৃন্দদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূচক বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সহ-সভাপতি যাদব দেবনাথ।ৎ
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআই নেতাদের বৈঠক
সভা শেষে চেম্বারের সদস্যবৃন্দকে রাতের খাবার পরিবেশন করানো হয়।
উল্লেখ্য, সিআইএস-বিসিসিআই বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ অনুযায়ী একটি নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন।
সিআইএস-বিসিসিআই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্যের তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সিআইএস দেশগুলো বাজার অন্বেষণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে চলেছে।
এছাড়াও, সিআইএস-বিসিসিআই সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক মিশনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বিনিময়ের মাধ্যমে রাশিয়া ও অন্যান্য সিআইএস দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন: এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই