���������������������-������������������-���������������������
সাইবার হামলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় ব্যাংকগুলো
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সাইবার হামলা ঠেকাতে কী করা উচিত, তা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকের সব কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখতে কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পাওয়ার পর এমটিবি হুমকি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সমস্ত আমানত এবং অন্যান্য লেনদেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ অগাস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলার আশঙ্কা
ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আরএফ হুসাইনও সাইবার হামলা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একই ধরনের মতামত দেন। যে কোনো বিপর্যয় এড়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, হ্যাকারদের একটি গ্রুপ বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে এবং সম্ভাব্য হামলার তারিখ ১৫ আগস্ট।
এই হুমকির জবাবে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) সাইবার নিরাপত্তায় সতর্কতা জারি করে।
গত ৭ আগস্ট সিআইআরটি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার হামলায় স্টেট ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। ক্ষুদ্র বা মাঝারি সাইবার হামলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সাইবার হামলা প্রতিরোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২৪ ঘণ্টাই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, যাতে কেউ ডেটা অপসারণ করতে না পারে। সাইবার হামলা কমাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
এ ছাড়া নেটওয়ার্কে অনিরাপদ কার্যকলাপ শনাক্ত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ওপেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্টের (ওডব্লিউএএসপি) সর্বশেষ গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সিআইআরটি।
তারা এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ইনকামিং ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করতে এবং ক্ষতিকর অনুরোধ ও ট্র্যাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করতে ফায়ারওয়্যাল স্থাপন করছে। ডিএনএস, এনটিপি ও নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো সুরক্ষিত এবং ব্যবহারকারীর ইনপুট যাচাই করা হচ্ছে।
এতে ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখার জন্যও বলা হয়। পাশাপাশি এসএসএল ও টিএলএস এনক্রিপশনযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে এইচটিটিপিএস বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
ব্যবসায়ীরা প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের শতভাগ বাজারজাত করার জন্য এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় সরকার আরও ৬ মাস খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির অনুমতি দেবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, উক্ত ৬ মাসের পর বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খোলা সয়াবিন তেলের বিপণন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে। সোমবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, তারা খোলা সয়াবিন তেলের বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হলেও এখন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শতভাগ প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাত করতে প্রস্তুত নন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতা তৈরি করে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে চাই।’
তিনি শতভাগ প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সক্ষমতা অর্জনের বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ ৭ দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলোর কর্মপরিকল্পনা দিতে ব্যবসায়ীদের বলেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৭ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান পরিশোধনকারীরা
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতারা। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোল্ড চেইন অবকাঠানো নিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহও প্রকাশ করেন তারা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এর মধ্যে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত আইসিসির ৪৩ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। আইসিসি এর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনটির মহাপরিচালক রাজিভ সিং।
এসময় বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য অনেক ভালো অবস্থানে আছে। দিন দিন দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোল্ড চেইন অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে; যা এ খাতের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে আইসিসি মহাপরিচালক রাজীভ সিং বলেন, ভারতে অনেক দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল রয়েছে; যারা জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করে। তারা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে চায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ভুটান ও নেপালে উৎপন্ন বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে সঞ্চালন লাইন সরবরাহে কাজ করতে পারে ভারতের ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলা ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়; যা বাংলাদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী তার বক্তব্যে ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, দুই দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, মসলা, শাকসবজি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হর্টিকালচার ইত্যাদি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত
বৈদেশিক লেনদেনে ৮.২২ বিলিয়ন ঘাটতির সম্মুখীন বাংলাদেশ
আমদানিতে কঠোরতা আরোপ করা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ অর্থবছরে সেই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বিগত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ ৬৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এই সময়ের মধ্যে ৫২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এ কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছর ২০২৩-এ, আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যেখানে রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আশানুরূপ হচ্ছে না, বৈদেশিক বিনিয়োগ কমছে, এর প্রভাবে বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে পড়ছে।
২০২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি সামগ্রিক বাণিজ্য ভারসাম্যে একটি বড় ব্যবধান তৈরি করেছে। এই ঘাটতি ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সামগ্রিক চলতি হিসাবে ঘাটতি বৃদ্ধির অর্থ হলো বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে আসা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ যা পরিশোধ করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন বিক্রি করেছে। বিবি আগের অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বিক্রি করেছে। এভাবে ডলার বিক্রির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) অর্থবছর ২০২৩ ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন হয়েছে যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন।
২০২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার।
বিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, রপ্তানির চেয়ে বেশি আমদানি, রেমিট্যান্সের মন্দা এবং এফডিআই প্রবাহের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির ও এফবিসিসিআইর বর্তমান সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
এফবিসিসিআই -এর সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরও ৬ জন পরিচালক। এর মধ্যে চেম্বার গ্রুপ থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথ। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি শমী কায়সার, মেইজি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি এবং এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশ এর সভাপতি মো. মুনির হোসেন।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
বুধবার বিকালে এফবিসিসিআইয়ের অডিটরিয়ামে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, ও সহ-সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী। এসময় এফবিসিসিআইর বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ইলেকশন বোর্ডের সদস্য কে.এম.এন মঞ্জুরুল হক, মো. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই নব নির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। আজকে থেকে আমরা সবাই এক। আমাদের কথা এবং দাবিও হবে এক। দিন শেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী’।
এবছর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিট বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরেছে। তিনি আরও বলেন, বতর্মান সভাপতি জসিম ভাই যে বিজনেস সামিট আয়োজন করেছিলেন সেটি ছিল অনবদ্য একটি আয়োজন। ২০২৪ সালে একটি বিজনেস সামিট করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এজন্য বোর্ডের সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
আরও পড়ুন: আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সামনে নির্বাচন আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এফবিসিসিআই বোর্ড একটি ফ্যামিলির মতো করে চালাবে। সবাইকে আপন করে নিবে। নিজেদের মধ্যে যাতে কোন ভেদাভেদ না থাকে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে অনেক সমস্যা সমাধান করতে পারব।
এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এফবিসিসিআই হলো ব্যবসায়ীদের অনেক বড় একটি পরিবার। সাবেকরা ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন শেষ করলেও এখনও ফেডারেশনকে ধারণ করে উল্লেখ করে প্রয়োজনে যেকোন সময়ে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার কথা জানান তিনি।এর আগে গত ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের ২৩টি পদের মধ্যে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ১৫ জন এবং ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ৮ জন পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত
আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আগস্ট মাসে প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৭১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। জুলাই মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ৮৩ দশমিক ২৫ টাকা, যা এখন ৯৪ দশমিক ৯৬ টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন মূল্য ঘোষণা করে বলেছে, খুচরা গ্রাহকদের এখন ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার আগের দাম ৯৯৯ টাকার পরিবর্তে ভ্যাটসহ ১ হাজার ১৪০ টাকায় কিনতে হবে।
বুধবার ঢাকায় বিইআরসি অফিসে সংবাদ সেম্মলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই হারে বাড়বে।
বিইআরসি ঘোষিত নতুন দাম আজ বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতি লিটারে (ভ্যাটসহ) ৪৬ দশমিক ৫৯ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ দশমিক ১৭ টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম ৫৭ টাকা বেড়ে ১২৩৫ টাকা
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম একই থাকবে কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম কমেছে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত
শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) -এর ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য বোর্ড সদস্য হিসাবে দায়িত্ব ২৩ জন নতুন পরিচালককে নির্বাচিত করেছে।
নির্বাচনে সম্মিলিত ও ঐক্য নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ২৩টি পদের মধ্যে ১৫টিতে জয় পেয়ে প্রাক্তনরা শেষ পর্যন্ত আরও ভাল ফলাফল করেছে করেছে। আর বাকি ৮টিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঐক্য প্যানেলকে।
আরও পড়ুন: সার্ক চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন এফবিসিসিআই সভাপতি
এফবিসিসিআইয়ের ৮০ জনের পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে ২৩টি পরিচালকের পদে ভোট হয়।
সম্মিলিত প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন- হাফিজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ (১২৯৪ ভোট), বিএম শোয়েব (১২৭৯), মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ (১২৫৭ ভোট), সিরাজুল ইসলাম (১২৪৬ ভোট), সহিদুল হক (১২১৫ ভোট), নিজাম উদ্দিন রাজেশ (১১৯১ ভোট), মুনতাকিম আশরাফ (১১৭৫ ভোট), রকিবুল আলম দীপু (৯৯২ ভোট), মোহাম্মদ আফতাব জাভেদ (৯৬৬ ভোট), ইশাকুল হোসেন মিষ্টি (৮৯১ ভোট), আমির হোসেন নুরানী (৮৫২ ভোট), সৈয়দ মো. বখতিয়ার (৮৪০ ভোট), তপন কুমার মজুমদার (৮৩৫ ভোট), সালমা হোসেন আশ (৮৩১ ভোট) এবং হাজী আবুল হাসেম (৮১৫ ভোট)।
আরও পড়ুন: শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন: এফবিসিসিআই
ঐক্য প্যানেল থেকে নতুন পরিচালকরা হলেন কাওসার আহমেদ (১০৩০ ভোট), ট্রেড ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে খন্দকার রুহুল আমিন (৯৮৮ ভোট), মো. আমিন হেলালী (৯১১ ভোট), নিয়াজ আলী চিশতী (৯০৯ ভোট), আবু মোতালেব (৮৯৯ ভোট), শমী কায়সার (৮৫২ ভোট), রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি (৮৩৭ ভোট) এবং হাফেজ হারুন (৮১৩ ভোট)।
সোমবারের নির্বাচনে বেশ ভালো ভোট পড়েছে। ১ হাজার ৯৫৪ জন যোগ্য ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৭৪৬ জন ভোট দিয়েছে যা মোট ভোটারের প্রায় ৯০ শতাংশ।
এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ছয় সহ-সভাপতি পদে আগামীকাল (২ আগস্ট) নতুন পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন ২০২৩-২৫: পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুল আলমের নাম ঘোষণা করলেন সাবেক সভাপতিরা
আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) নিরাপত্তা মান অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অডিট অর্গানাইজেশন আরগস প্রস, যা এয়ারলাইন্সের গ্লোবাল স্টান্ডার্ড নির্ধারণে অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
আইএটিএ নির্ধারিত সারাবিশ্বের পাঁচটি অডিট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরগস প্রস একটি অন্যতম অডিট প্রতিষ্ঠান। আরগস প্রস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আইওএসএ সার্টিফিকেট পেতে অডিটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আইওএসএ সনদ পেতে এয়ারলাইনটিকে মোট আটটি ডিসিপ্লিনের সকল সূচকের অগ্রগতি বিবেচনায় আনতে হয়েছে।
সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্লাইট অপারেশন, কেবিন সেফটি, ডিসপাচ, মেইনটেন্যান্স, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো অপারেশন, সিকিউরিটি ও অর্গানাইজেশন।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
সর্বোপরি এসএমএস (সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ও কিউএমএস (কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) কে বিবেচনায় রাখতে হয়েছে।
সকল সূচকের বিবেচনায় ইউএস-বাংলাকে আইওএসএ সনদ প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছে আইএটিএ।
আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) হল এয়ারলাইন অপারেশনাল সেফটি অডিট করার জন্য একটি গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড। আইওএসএ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে শিল্পের মানদণ্ড হয়ে উঠেছে যা উন্নত অপারেশনাল নিরাপত্তা এবং খরচ-কার্যকর ব্যবস্থায় অবদান রেখেছে।
নিরাপত্তা,কার্যকারিতা ও সততাকে কেন্দ্র করে, আইওএসএ সার্টিফিকেশন পাওয়ার অর্থ হল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিরাপত্তা সূচকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইনগুলির মধ্যে অবস্থান করছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অপারেশনাল কার্যক্রম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের ব্যাপক পর্যালোচনা এবং যাচাই-বাছাই করে যা সারাবিশ্ব থেকে পাঁচজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এভিয়েশন পেশাদারদের দ্বারা নিরীক্ষিত হয়েছিল। আইওএসএ প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনাল সেফটি সংস্কৃতির বিকাশের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সংস্থাটি এই অপারেশনাল নিরাপত্তা নীতিগুলি গ্রহণ করেছে যা আইওএসএ নিবন্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত মূল্যায়ন করা হবে।
আইওএসএ হল একটি স্ট্রাকচার্ড অডিট, যার মানদণ্ড বাণিজ্যিক বেসামরিক বিমান চলাচলে সবচেয়ে আপডেট হওয়া নিয়ন্ত্রক এবং আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলিকে প্রতিফলিত করে। স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অডিট সংস্থাগুলিকে আইওএসএ নিবন্ধনের জন্য এয়ারলাইনগুলি বিবেচনা করার আগে অডিট সম্পাদনের জন্য নিযুক্ত করা হয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আইওএসএ রেজিস্ট্রেশন হল অভ্যন্তরীণ,আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিমান চালনায় আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলো পূরণ এবং অতিক্রম করার জন্য সংস্থার কৌশলগত লক্ষ্যের প্রমাণ।
আইওএসএ সনদ প্রাপ্তিতে গতকাল ৩০ জুলাই ২০২৩ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান কার্যালয়ে এক আনন্দঘণ পরিবেশে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বেমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আইওএসএ সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভবিষ্যত অগ্রযাত্রায় সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-মাস্কাট রুটে ফ্লাইট চালাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
রপ্তানি খাতে প্রি-শিপমেন্ট ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি খাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের জন্য 'স্মার্ট' সিস্টেমে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মুনাফা যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
সুদ গণনার নতুন কাঠামো ১ জুলাই বাস্তবায়ন করেছে বিবি। এই ব্যবস্থায়, ব্যাংকগুলো 'স্মার্ট' (১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের স্মার্ট ছয়-মাসের চলমান গড় হার) -এর সঙ্গে সর্বাধিক ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ গণনা করতে পারে। তবে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের জন্য তা কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের গড় হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এতে ব্যাংকগুলো প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ২ শতাংশ যোগ করলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক পরিচালক হতে পারবেন এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৩ জন: বাংলাদেশ ব্যাংক
স্বর্ণের ভরি লাখ টাকা ছাড়াল
দেশে প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। এতে বেড়েছে সকল প্রকার স্বর্ণালঙ্কারের দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) বর্ধিত দামে ভালো মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছে ভরিপ্রতি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা। যা এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সেই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে অম্লীয় স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস। শুক্রবার (২১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হবে।
২১ ক্যারেট কঠিন স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা এবং প্রচলিত স্বর্ণের দাম ৬৮ হাজার ৭০১ টাকা। স্বর্ণের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই