���������������������-������������������-���������������������
আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) নিরাপত্তা মান অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অডিট অর্গানাইজেশন আরগস প্রস, যা এয়ারলাইন্সের গ্লোবাল স্টান্ডার্ড নির্ধারণে অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
আইএটিএ নির্ধারিত সারাবিশ্বের পাঁচটি অডিট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরগস প্রস একটি অন্যতম অডিট প্রতিষ্ঠান। আরগস প্রস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আইওএসএ সার্টিফিকেট পেতে অডিটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আইওএসএ সনদ পেতে এয়ারলাইনটিকে মোট আটটি ডিসিপ্লিনের সকল সূচকের অগ্রগতি বিবেচনায় আনতে হয়েছে।
সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্লাইট অপারেশন, কেবিন সেফটি, ডিসপাচ, মেইনটেন্যান্স, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো অপারেশন, সিকিউরিটি ও অর্গানাইজেশন।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
সর্বোপরি এসএমএস (সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ও কিউএমএস (কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) কে বিবেচনায় রাখতে হয়েছে।
সকল সূচকের বিবেচনায় ইউএস-বাংলাকে আইওএসএ সনদ প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছে আইএটিএ।
আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) হল এয়ারলাইন অপারেশনাল সেফটি অডিট করার জন্য একটি গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড। আইওএসএ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে শিল্পের মানদণ্ড হয়ে উঠেছে যা উন্নত অপারেশনাল নিরাপত্তা এবং খরচ-কার্যকর ব্যবস্থায় অবদান রেখেছে।
নিরাপত্তা,কার্যকারিতা ও সততাকে কেন্দ্র করে, আইওএসএ সার্টিফিকেশন পাওয়ার অর্থ হল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিরাপত্তা সূচকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইনগুলির মধ্যে অবস্থান করছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অপারেশনাল কার্যক্রম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের ব্যাপক পর্যালোচনা এবং যাচাই-বাছাই করে যা সারাবিশ্ব থেকে পাঁচজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এভিয়েশন পেশাদারদের দ্বারা নিরীক্ষিত হয়েছিল। আইওএসএ প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনাল সেফটি সংস্কৃতির বিকাশের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সংস্থাটি এই অপারেশনাল নিরাপত্তা নীতিগুলি গ্রহণ করেছে যা আইওএসএ নিবন্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত মূল্যায়ন করা হবে।
আইওএসএ হল একটি স্ট্রাকচার্ড অডিট, যার মানদণ্ড বাণিজ্যিক বেসামরিক বিমান চলাচলে সবচেয়ে আপডেট হওয়া নিয়ন্ত্রক এবং আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলিকে প্রতিফলিত করে। স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অডিট সংস্থাগুলিকে আইওএসএ নিবন্ধনের জন্য এয়ারলাইনগুলি বিবেচনা করার আগে অডিট সম্পাদনের জন্য নিযুক্ত করা হয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আইওএসএ রেজিস্ট্রেশন হল অভ্যন্তরীণ,আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিমান চালনায় আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলো পূরণ এবং অতিক্রম করার জন্য সংস্থার কৌশলগত লক্ষ্যের প্রমাণ।
আইওএসএ সনদ প্রাপ্তিতে গতকাল ৩০ জুলাই ২০২৩ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান কার্যালয়ে এক আনন্দঘণ পরিবেশে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বেমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আইওএসএ সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভবিষ্যত অগ্রযাত্রায় সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-মাস্কাট রুটে ফ্লাইট চালাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
রপ্তানি খাতে প্রি-শিপমেন্ট ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি খাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের জন্য 'স্মার্ট' সিস্টেমে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মুনাফা যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
সুদ গণনার নতুন কাঠামো ১ জুলাই বাস্তবায়ন করেছে বিবি। এই ব্যবস্থায়, ব্যাংকগুলো 'স্মার্ট' (১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের স্মার্ট ছয়-মাসের চলমান গড় হার) -এর সঙ্গে সর্বাধিক ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ গণনা করতে পারে। তবে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের জন্য তা কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের গড় হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এতে ব্যাংকগুলো প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ২ শতাংশ যোগ করলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক পরিচালক হতে পারবেন এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৩ জন: বাংলাদেশ ব্যাংক
স্বর্ণের ভরি লাখ টাকা ছাড়াল
দেশে প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। এতে বেড়েছে সকল প্রকার স্বর্ণালঙ্কারের দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) বর্ধিত দামে ভালো মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়েছে ভরিপ্রতি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা। যা এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সেই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে অম্লীয় স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস। শুক্রবার (২১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হবে।
২১ ক্যারেট কঠিন স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা এবং প্রচলিত স্বর্ণের দাম ৬৮ হাজার ৭০১ টাকা। স্বর্ণের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানি ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। তবে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো ইইউ অঞ্চলের কিছু প্রধান বাজারে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার ও ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৯ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৩’ অর্থবছরে আরএমজি পণ্য রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার, মোট আয়ের ৮৫%
একই সময় প্রচলিত রপ্তানি বাজারের বাইরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
নিয়মিত বাজারের বাইরে আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছিল ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জোরালো তাগিদ বাংলাদেশের
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ ‘বিএসজিআই’ -এর মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর নবায়ন না করলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হবে। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো এই পরিস্থিতিতে অনেকটা ‘উদ্বিগ্ন’৷
এবতাবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ সরকারকে বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জোরালোভাবে তাগিদ দিচ্ছে। কারণ, এটি বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
মঙ্গলবার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি, মো. সমীর সাত্তার, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম,সিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এই আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকে বিএসজিআই আজ অবধি তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে তিনটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। যার অনুপাত কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফল এটি। সেইসঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিবেদন করেছে যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আবারও ইউক্রেন থেকে ২০২১ সালের মতো একই পরিমাণে গম সংগ্রহ করছে। আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টন গম ক্রয় করছে।
তারা বলেছে, ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা এইভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিতকরণের মাধ্যমে, বিএসজিআই-এর যে কোনও ত্রুটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতি যা সত্যিকার অর্থে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক পরিণতিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্কিন ডলার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে আশাবাদ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতি সম্পর্কিত একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। এতে বলা হয়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়াসহ বহিরাগত প্রভাবের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিষয়টি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পরিস্থিতি রাতারাতি সমাধান হবে না। সুতরাং, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনায় সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি তিন মাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্যসহ এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের চাপে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব এখনো অর্থনীতিতে পড়েনি। কিন্তু অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থনীতির একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বেশির ভাগই আসে এসব অঞ্চল থেকে। রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশ যায় এসব দেশে।
অন্যদিকে, আমদানির ৭২ শতাংশ আসে ভারত ও চীন থেকে। এখন সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে আমেরিকা থেকে। বর্তমানে যে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ সামনে এসেছে। এই দুই দেশের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ এর সমালোচনা মানতে রাজি নয়, যদিও বলা হয় যে বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নীতি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কিছু বিধিনিষেধ ও সাম্প্রতিক ভিসা নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আকারে বাংলাদেশিদের অর্থ দেশে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশ এরই মধ্যে মোকাবিলা করছে। এর প্রভাব এখনও আছে।
যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানছে। আর্থিক খাতে অস্থিতিশীলতা ছিল। এখন তা সহজ হতে শুরু করেছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সরবরাহ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে আগামী দিনগুলোতে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) একটি 'বাজার-ভিত্তিক' মার্কিন ডলারের বিনিময় হার চালু করে, নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪-এর এইচ-১ এর জন্য সর্বোচ্চ হারের ওপর একটি সীমা নির্ধারণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সায় বিক্রি করছে, আগের হার থেকে ২ টাকা ৮৫ পয়সা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাজারভিত্তিক হারে ডলার বিক্রির নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দামও সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির।
এদিকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে ব্যাঙ্কগুলো বিভিন্ন হারে মার্কিন ডলার বিক্রি করছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির এবং মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে বিভিন্ন হারে ইউএস ডলার বিক্রি করছে, আমদানিকারকরা এলসির জন্য প্রতি ডলারে ১১২ টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার সূত্রের বিরুদ্ধে।
রপ্তানিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে মঙ্গলবার মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে এলসি খুলতে যাওয়া ব্যবসায়ী রুবায়েত হোসেনকে এলসির জন্য ডলারপ্রতি ১১২ টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে জানান, উচ্চহার সত্বেও রুবায়েত তার প্রয়োজনের অর্ধেক ডলার পেয়েছিলেন এবং এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসার জন্য বিরক্তিকর বলে বর্ণনা করেন।
এর আগে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ অর্থবছর থেকে ছাড়ের হারে ব্যাংকগুলোর কাছে আর ডলার বিক্রি করবে না। তাই আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সর্বোচ্চ মূল্যে ডলার বাজারভিত্তিক হারে বিক্রি করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারের অধীনে ডলারের সর্বোচ্চ দর ১০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বিএএফইডিএ অনুযায়ী, এখন থেকে ডিলার ব্যাংকগুলো যে হারে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে এক টাকা যোগ করবে এবং বিসি (সংগ্রহের জন্য বিল) বিক্রির হার দেবে। তবে এই হার ১০৯ টাকার বেশি হতে পারবে না। ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি বিল ১০৭ দশমিক ৫০ টাকায় এবং রেমিটেন্স ১০৮ দশমিক ৫০ টাকায় কেনে।
বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গড় ডলার ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
খুলনায় স্থায়ীভাবে কোনো মার্কেট গড়ে না ওঠায় এবারের ঈদেও সড়কের ওপরেই চামড়া কেনা-বেচা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নগরীর চামড়াপট্টি খ্যাত শেখপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাথ জুড়েই ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন চামড়া কেনা-বেচা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, মার্কেট না থাকায় চামড়া সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আপাতত ক্রয়কৃত চামড়া সড়কের পাশেই লবণ লাগিয়ে জড়ো করে রেখেছেন ব্যবসায়য়ীরা। যদিও কয়েকদিন পর সেখান থেকে চামড়াগুলো নিয়ে নগরীর জিরো পয়েন্টের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
খুলনায় এবার ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার গরুর চামড়া ট্যানারির নির্ধারিত মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪৭-৪৮ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
চামড়া ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম পিয়ারু জানান, এবার তিনি ২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তার চামড়া জিরোপয়েন্টের একটি গোডাউনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-২০ দিন রাখার পর ট্যানারীতে বিক্রি করা হবে।
অপর ব্যবসায়ী মো. আবু মুসা বলেন, তিনি এবার ৭০-৮০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
ব্যবসায়ী মো. আজিজুলও জানান, তিনি ২০০-২৫০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার মো. বাবর বলেন, এবার চামড়ার দাম গত বছরের মতোই আছে। আমি ৪০০ পিস গরুর চামড়া কিনেছি। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া রয়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন। যার পিস প্রতি গড় মূল্য পড়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, সরকার ঘোষিত মূল্য ট্যানারি মালিকরা তাদের প্রদান করলে তারা লাভের মুখ দেখবেন। আর যদি না দেয় তাহলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, এ বছর শেখপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তবে এর বাইরে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিভিন্ন মাদরাসা থেকে কিছু চামড়া কিনেছেন। কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট না থাকায় খুলনায় ফুটপাতে, সড়কের ওপরই চামড়া কিনতে হয়।
তিনি জানান, গেল ঈদে খুলনার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮-১০ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এবার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কয়েকজন সারা বছর জবাই হওয়া গরু-ছাগলের চামড়া কিনে নগরীর জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী এলাকায় তাদের গোডাউনে নিয়ে লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণ করেন। তবে ঈদের ৩ দিন সড়কের উপরেই সব কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ইউএস-বাংলার ঢাকা-দিল্লি ফ্লাইট শুরু
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দ্বাদশ আন্তর্জাতিক গন্তব্য ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ঢাকা-দিল্লি রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারদিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য দিল্লিতে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি পর্যটক, উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহী যাত্রীরা দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে ইউএস-বাংলা। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও বেশী সুদৃঢ় করবে। রাজধানী দিল্লি হবে ইউএস-বাংলার সরাসরি ভারতে পরিচালিত তৃতীয় গন্তব্য।
বর্তমানে ভারতের কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট আছে। আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যে ইউএস-বাংলার বহরে প্রথমবারের মতো দু’টি এয়ারবাস ৩৩০ যোগ করতে যাচ্ছে। যা দিয়ে চলতি বছর ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
চেন্নাই, কলকাতা ছাড়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই, শারজাহ, মাস্কাট, দোহা, প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মালে, পর্যটক বান্ধব অন্যতম গন্তব্য ব্যাংকক ও চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সম্প্রতি স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সাউথ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে।
আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সকল গন্তব্য বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ২ দিন ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট বন্ধ
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীতে বেড়েছে ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ঈদ উপলক্ষে এই পণ্যগুলোর চাহিদা এই সময়ে বেশি থাকবে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে গিয়ে ইউএনবি এমন তিনটি আইটেমের দাম খুঁজে পেয়েছে - পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজির তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে এদিন চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা তাদের কেনাকাটা শেষ করতে বিকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে,।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত পোলাও চাল বিক্রি করছি, কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি এখানে লস না, লাভ করতে এসেছি।’
একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাজারদর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গুঁড়ো দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা ও ফ্রেশ মিল্ক ৮৪০ টাকা কেজি এবং মার্কস দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বন্যা: ঢাকার কাঁচাবাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম