���������������������-������������������-���������������������
বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
উচ্চমূল্যে মার্কিন ডলার বিক্রির জন্য ১৩টি ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
তলব করা ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতের, যার মধ্যে একটি শরিয়াহ-ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকও রয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়ে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রির দায়ে সাত মানি চেঞ্জারের ট্রেডিং লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
একই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরও ১০ জন মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।
সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আগস্টে সর্বোচ্চ আমদানি মূল্য ১০৯.৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কিছু ব্যাংক ১১৭ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করে ১১৬ টাকায় কিনেছে।
ডলারের লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এবং কাস্টমার সার্ভিস এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন বিভাগ পরিদর্শন করে।
সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় পরিদর্শনে পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য সংগ্রহের পর ডলার বিক্রির বিষয়গুলো যাচাই করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত মুনাফার কারণে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২টি ব্যাংকের মুনাফা থেকে সিএসআর খাতে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করার নির্দেশ দেয়। ওই তালিকায় বিদেশি মালিকানাধীন দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংক ছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এ সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরুতে ডলারের দাম নির্ধারণ করলেও সংকট অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন জমা বাংলাদেশ ব্যাংকে: মুখপাত্র
ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
দুর্ঘটনা এড়াতে ৮৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানাকে নজরদারির আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা: অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এ সময় ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে এখনও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা রয়েছে। ১ হাজার ৮৮৭টি কারখানা আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং ৩৫০টি কারখানাকে নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
তিনি বলেন, ৬৫৯টি কারখানা রিমেডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং মোট ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসসি ও আরসিসি'র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে মোট কারখানার প্রায় ২৩ শতাংশ বা ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো পরিদর্শনের আওতায় নেই। এসব কারখানাকে কীভাবে নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ৮৫৬টি কারখানা ব্যবসা করছে এবং রপ্তানিও চলছে, কিন্তু সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না।
নজরদারিবিহীন কারখানার এই সংখ্যা বাড়তে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে তা মোট কারখানার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এসব কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর দায় নেবে না। আমরা চাই সব কারখানাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি করুক।’
২০২৩ সালে রানা প্লাজা ধসের দশম বার্ষিকী। এই দুর্যোগপরবর্তী দশকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি সিপিডির।
বিশেষ করে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠন এবং তাদের পরিচালিত কার্যক্রম কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তদারকির জন্য জোরালো দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, নতুন ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)’ বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একীভূতকরণে অবদান রাখবে এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ পোশাক কূটনীতি উদ্যোগের অধীনে বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ক্রমাগত কাজ করছে।
তিনি বিজিএমইএ সদস্যদের একটি চিঠিতে বলেছেন, তিনি ডিসিটিএস প্রকল্প স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী পরামর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
ফারুক হাসান বলেন, যুক্তরাজ্য ছাড়াও তারা কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে ৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার; অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়কালে যুক্তরাজ্যে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, আমরা আমাদের বাণিজ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সমস্ত সমস্যা সমাধান করেছি এবং সেগুলি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার জন্য আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)’ নামে একটি নতুন ট্যারিফ স্কিম চালু করেছে।
এই স্কিমটি ইউরোপিয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের জায়গায় নিয়েছে। এর অধীনে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়।
নতুন স্কিম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর তৈরি পোশাকগুলো যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করার সময় যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ডিসিটিএস আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করবে।
ডিসিটিএস ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস স্কিমের অনুরূপ। ২০২৪-৩৪ সালের জন্য ইইউ'র খসড়া জিএসপি প্রস্তাবে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যগুলো টেক্সটাইল সুরক্ষা ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ডিসিটিএসে এ ধরনের টেক্সটাইল সুরক্ষা বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ এও বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এমনকি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোর জন্য কিছু আন্তর্জাতিক কনভেনশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিসিটিএস আরও নমনীয় বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যাইহোক আমরা সামাজিক ও পরিবেশগত মান অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আরও এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা আমাদের শিল্পকে নিরাপদ এবং টেকসই করার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছি ওকরছি। আমরা ব্রিটিশ পোশাকের ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।
যুক্তরাজ্যের বাজার নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিশেষত বাসার বাইরে পরার পোশাক, প্রথাগত পোশাক (ফরমাল) ও সব সময় ব্যবহারের উপযোগী পোশাক এবং সুতি ছাড়া অন্য কাপড়গুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে পারে।
যুক্তরাজ্যের উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) কার্যকর হয়েছে যা বাংলাদেশসহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে এবং শুল্ক কমিয়ে দেয়।
বাণিজ্য বৃদ্ধি, চাকরি বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ডিসিটিএস। এই নতুন পরিকল্পনা আধুনিক ও পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, ডিসিটিএস-এ পরিবর্তনের অর্থ হলো বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ রপ্তানির ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইরাক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আশাবাদী বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
লাখ টাকা ছাড়াল স্বর্ণের ভরি
সর্বশেষ দাম বৃদ্ধির পর অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকায় পৌঁছেছে। যা এ যাবৎকালে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি বিক্রি হবে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকায়।
বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: যশোর সীমান্তে ৪৩টি স্বর্ণের বারসহ ২ জন আটক
স্বর্ণের নতুন দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৭৭৭ টাকা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে অম্লীয় স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি।
নতুন দাম অনুযায়ী, সেরা মানের বা ২২ ক্যারেট (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের নিখাদ স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং প্রচলিত স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৫১ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেট রূপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৫০ টাকা।
গত ১৭ আগস্ট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই দাম অনুযায়ী আজ পর্যন্ত ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ৯৯ হাজার ২৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৫৯৫ টাকায়, ১৮ ক্যারেট বিক্রি হচ্ছে ৮১ হাজার ৫৯৫ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকায়।
আরও পড়ুন: র্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সোমবার ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে এবং আমদানি করা হাইব্রিড পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে।
এ প্রতিবেদক সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজার, মালিবাগ, ফকিরাপুল, হাতিরপুল, রামপুরা, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তারা মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি দেশি জাতের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় কিনেছেন।
নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বুলবুল সোমবার বিকালে কারওয়ান বাজার থেকে ৯৫ টাকায় ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন।
আরও পড়ুন: ৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
পরীবাগের বাসিন্দা মঞ্জুর আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, এদিন ২ কেজি পেঁয়াজ নিতে তাকে ২১০ টাকা দিতে হয়েছে।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুনও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, সোমবার ১ কেজি পেঁয়াজ ৯৮ টাকায় কিনেছেন।
সোমবার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, যার দাম শনিবার ছিল মাত্র ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা।
এ ছাড়া ১৯ আগস্ট ভারত তার নিজস্ব স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার বলেছেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি শুল্ক বাড়ানো খুবই দুঃখজনক।
ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পেঁয়াজের বিকল্প বাজার খুঁজবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
পেঁয়াজ ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায়। শুল্ক আরোপের পর এখন এই খরচ দাঁড়াবে প্রতি কেজি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা এখনো বেশি দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেননি। কিন্তু শুল্ক আরোপের খবর শুনে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয় তারা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ভারতের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা উচ্চমূল্যের পণ্য দেশে আসার আগেই অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব।’
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাম কমলেও পণ্য এখনো আসেনি এমন যুক্তি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে চান না বলেও জানান হোসেন।
আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের উপসচিব অমরিতা টিটুস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই কথা জানানো হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারকে কোনো শুল্ক দিতে হয়নি। এখন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করতে হবে। ফলে প্রতি কেজিতে ১০ টাকার উপরে বাড়তি খরচ হবে। এর ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা পড়বে।
আমদানিকারকরা আরও জানান, শনিবারও ভারত থেকে ৩৯ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সামনে ভারতে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। তাই আমাদের সরকারকে ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
অপরদিকে রবিবার সকাল থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এক দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৩৯ থেকে ৪৭ টাকায়।
রবিবার (২০আগস্ট) ভারতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ কারণে নতুন আরোপিত শুল্ক পরিশোধ না করা পর্যন্ত পেয়াজ আমদানি সম্ভব হবে না বলেও জানান আমদানিকারকরা।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছিল। যা শনিবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং রবিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
তারা আরও জানান, আগামী ১ মাসের মধ্যে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক গরম থাকার কারণে পেঁয়াজের মান নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
ফলে সরকার রপ্তানিতে শুল্ক বসিয়ে অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বলেও জানান রপ্তানিকারকরা।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের বাজারে শাক-সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনো অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের অসন্তোষ কমেনি।
তারা জানান, কয়েক সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ক্রমান্বয়ে ১৬৫ টাকা হয়েছে। তবে এখন ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য মসলার দামেরও একই অবস্থা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আলাউদ্দিন দেওয়ান নামে এক সরকারি কর্মচারী ইউএনবিকে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ধেক কিনছেন।
স্বল্প বেতন পাওয়া মানুষকে পরিবারের খরচ মেটাতে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই তাকে ডিম, মাছ, মাংস ও অন্য বেশি দামের জিনিস কেনা কমাতে হচ্ছে।
শুক্রবার বাজার করতে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বেসরকারি কোম্পানির নির্বাহী আলমগীর হোসেনের।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ, বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় নিয়মিত খরচের তালিকা থেকে অনেক আইটেম বাদ দিতে হয়েছে। কারণ আমার আয় একই আছে।’
দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। যদিও সবজি ও মাছের দাম বাজারের গুণগত মান ও এলাকাভেদে ভিন্ন।
কারওয়ান বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম কমার কারণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যবসাগুলো ৬১ হাজার ৩২ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠনের নেতারা বলছেন, কিন্তু, যেসব ক্ষেত্রে শুল্ক অব্যাহতি রয়েছে ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে তাদের পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন এবং মোটা অঙ্কের মুনাফা করেন।
এনবিআর প্রজ্ঞাপন ও বিশেষ বিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশের (এসআরও) মাধ্যমে আমদানি শুল্কে এ অব্যাহতি দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শুল্ক অব্যাহতি পেলেও ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমায়নি।
তিনি এটিকে সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসার সিন্ডিকেশন বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
শুল্ক অব্যাহতি অর্থবছর ২২-এর তুলনায় অর্থবছর ২৩-এ ৯ হাজার ১৫২ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয় ৫১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
অংশীজনরা মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য অব্যাহতি বৃদ্ধি বাজারে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতির একটি বড় অংশ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এরপর ডিফেন্স স্টোরের জন্য ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা অব্যাহতি পান ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থবছর শেষে কর আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করলে এবং অব্যাহতি না দিলে এনবিআর ১৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ঘাটতির সম্মুখীন হতো।
আরও পড়ুন: শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
২০২৩ অর্থবছরে মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা ৩ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, কাঁচামাল আমদানিকারকরা ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, মোবাইল প্রস্তুতকারক ২ হাজার ২৪১ কোটি টাকা এবং ডিফেন্স স্টোর ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ৮২৭ কোটি টাকা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা, বিভিন্ন খাতে ৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা (বিশেষ), ত্রাণ পণ্যে ৪০৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন সময়ে ৫ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা শুল্ক রেয়াত হিসেবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে শুল্ক অব্যাহতির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। এ খাতে ২০২২ অর্থবছরে অব্যাহতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তামাবিলসহ তিন শুল্কস্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ
এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহবুবুল আলম।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বাধীন নতুন পরিচালনা পর্ষদের (২০২৩-২৫) কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ২০২১-২৩ এর পরিচালনা পর্ষদ।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। আজ থেকে আমরা সবাই এক। আমাদের কথা এবং দাবিও হবে এক। দিন শেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী। বেসরকারি খাতের সুরক্ষা এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে জেনারেল বডি মেম্বার ছাড়া চলতে পারে না এফবিসিসিআিই। তাই এফবিসিসিআইকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাই। পুরাণ ঢাকায় একটা লেয়াজু অফিস প্রস্তুত করাসহ রাজধানী ঢাকায় একটি ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার করতে চাই, যা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করেছি আমরা।
গুলশানে এফবিসিসিআই এর শাখা অফিস খুব শিগগিরেই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এফবিসিসিআই এর বিদায়ী সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শুরুতেই আমি নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানাই। আপনারা আগামীর বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি ব্যবসায়ীকে নেতৃত্ব দেবেন।
২০২৩-২৫ এর পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ছয়জন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৮৩ সালে। গত প্রায় চার দশকে কমোডিটি ট্রেডিং থেকে শুরু করে ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা, পর্যটন সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন তিনি। বর্তমানে ৯টি খাতে ১৭টি ব্যবসা উদ্যোগ রয়েছে মাহবুবুল আলমের।
ব্যবসা-বাণিজ্যে অনবদ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ মাহবুবুল আলমকে কমার্সিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পার্সন- সিআইপি (বাণিজ্য ও শিল্প) পুরষ্কারে ভূষিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন থেকে “সার্টিফিকেট অব মেরিট” পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত
বাংলাদেশকে ২ প্রকল্পে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এডিবি
বাংলাদেশে দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার রাজধানীতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবি পৃথক দু’টি ঋণ চুক্তি সই করেছে। ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ আবাসিক মিশন) এডিমন গিন্টিং ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
এই ঋণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য ১৯০ মিলিয়ন ডলার এবং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রামের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাবে।
গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্পটি (দ্বিতীয় অতিরিক্ত অর্থায়ন) বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো- প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো উৎপাদনশীল কৃষি এলাকায় প্রবেশ করতে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ যোগাযোগের উন্নয়ন করা। একই সঙ্গে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার সঙ্গে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোকে সব ধরনের আবহাওয়ার মানদণ্ডে উন্নীত করা এবং কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশীজনদের সক্ষমতা জোরদার করা।
নগর শাসনব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর।
কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো- পরিকল্পিত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই নগরায়ন, উন্নত নগর শাসন এবং উন্নত অবকাঠামো অর্জন। বাস্তবায়নের সময়কাল হচ্ছে জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত।
উভয় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকবে ৫ বছরের অতিরিক্ত সময়সহ ২৫ বছর। রেয়াতি ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ শতাংশ।