���������������������������������-������������������-���������������������
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ৬৭ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২০ জুলাই) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও এটি আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছর ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
এদিকে বছর শেষে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি।
১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
দীর্ঘ ১০ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার বিকাল থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় ৫১২ টন চালের চালান প্রবেশ করে বেনাপোল বন্দরে। আজ সোমবার সকালে চালের চালানগুলো বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়।
প্রতি মেট্রিক টন চাল ৩৪০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল হোসাইন ও মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ চিকন চাল আমদানি করে।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোটা চাল প্রতি টন ৩৮০ মার্কিন ডলারে ও চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাস প্রদান করছেন। আমদানি মূল্যের ওপর ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ককর হিসাবে প্রতি কেজিতে ৯ টাকা ৯০ পয়সা আমদানি শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মো. মতিয়ার রহমান জানান, দেশে উৎপাদিত চালের বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বেড়ে যায় চালের মূল্য। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে গত ৩০ জুন দেশের ৯৫ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৪ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান জানান, চাল আমদানির অনুমতির মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চালের এলসি খোলা সম্পন্ন ও ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানিকৃত চাল দেশে বাজারজাত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জারিন এন্টারপ্রাইজের মালিক আজিম উদ্দিন জানান, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের বঁনগা কালিতলা পার্কিংয়ে ১৭ দিন সিরিয়ালে আটকা ছিল চালের চালানগুলো। সরাসরি চালের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলে চাল দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে।
পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ
ডিজেল, জেট ফুয়েল, এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সরকার তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল, ৭৫ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১ জ্বালানি, ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) পিটি থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে। ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক পুসাকু জাপিন থেকে তিন হাজার ২৭৪ দশমিক ৩২ কোটি টাকা এবং ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে ৭৮০ দশমিক ছয় কোটি টাকায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১ জ্বালানি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির প্রস্তাব বাংলাদেশের
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৯৯১ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করবে। প্রতিটি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ২৯ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ওসিপি,এস.এ মরক্কো থেকে ২৫৯ দশমিক ৩৯ কোটি টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে এবং বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজাত থেকে ২৪০ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
কমিটি ভেরিডোস জিএমবিএইচ থেকে প্রচলিত বুকলেটের পরিবর্তে ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানি করতে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় ৩৯ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা বাড়ানোর জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস ডেনমার্কের
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
কেএসএ, কাতার ও কাফকো থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার সংগ্রহ করবে সরকার
সরকার সৌদি আরব, কাতার এবং স্থানীয় কোম্পানি কাফকো থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিপিপি) বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানিসহ ৭ প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সৌদি আরবের মাদান থেকে ৩৩৯ দশমিক ১৩ কোটি টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে এবং বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজাত থেকে ২৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
স্থানীয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ২৪১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া নেয়া হয়েছে।
বিসিআইসি ঢাকার আরকে এন্টারপ্রাইজ থেকে ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির জন্য কমিটির কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে সাতশ’ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার পাঁচশ’ স্টার্টআপ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন সরকার স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড (বিগ) এর আইডিয়া প্রকল্প মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
বুধবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশে লিমিটেডের উদ্যোগে ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইনের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে স্টার্টআপদের বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো.আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং এর সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে আইসিটি বিভাগ ‘শতবর্ষের শত আশা’ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এরই অংশ হিসেবে আজ দ্বিতীয় ধাপে আটটি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা মূলধন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন এই উদ্যোগ দেশে একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম তৈরি করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নে গতি সঞ্চালন করবে।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে সম্ভাবনাময় কোনো উদ্যোগই আর ঝরে পড়বে না ও উদ্যোগ বাস্তবায়নের আর্থিক সঙ্কট ঘুচবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব, ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোল্যুশন সেন্টার, ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার, ৩০০ স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তারাই ভবিষ্যতে একটি জ্ঞানভিত্তিক, অর্থনীতিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে হ্যালো টাস্ক, ১০ মিনিটস স্কুল, আই ফারমার, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রেশন, লুপ, যান্ত্রিক, সাটেল এবং ট্রাক লাগবে।
প্রথম ধাপে সাতটি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপ খাতের সম্প্রসারিত সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে উপকারী হবে: পলক
স্টার্টআপ শুরুর চাপ: সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থায়ন
মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের জন্য চারটি কোম্পানি ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
শনিবার রাজধানীতে কোম্পানিগুলোর সাথে জমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করে বেপজা। এর মধ্যে তিনটি বিদেশি এবং একটি দেশীয় কোম্পানি।
কোম্পানিগুলো গার্মেন্টস, গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ, ক্যাম্পিং আইটেম, জুতার অ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং টুলস তৈরি করবে। এর মাধ্যমে ২৩ হাজার ৪৫৩ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
চারটি কোম্পানি হলো-শ্রীলঙ্কান কোম্পানি ইউনিভোগ গার্মেন্টস, মার্কিন কোম্পানি ক্যাম্পেক্স (বিডি) লিমিটেড, চীনা কোম্পানি ফেংকুন কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশি কোম্পানি টেক্সট্রিম লেবেলস (বিডি) লিমিটেড।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে হচ্ছে দেশের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা
সম্ভাবনাময় আগামীর মিরসরাই: উন্নয়নের মোহনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর
করোনাকালে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে: বিজিএমইএ
করোনা মহামারির কারণে এক হাজার ১৪৫টি কারখানার প্রায় ৩১৮ কোটি ডলার মূল্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এক প্রচণ্ড বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। বিজিএমইএর জরিপ অনুযায়ী-এক হাজার ১৪৫টি কারখানার প্রায় ৩১৮ কোটি ডলার মূল্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারা রপ্তানি করা পণ্যের দাম দেয়নি। অনেকে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারপরও বিজিএমইএ’র বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও সরকারের নীতি সহায়তায় শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।’
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার বিজিএমইএ ভবনের মাহাবুব আলী হলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পড়ুন: তৈরি পোশাক নিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাবে ‘এমভি সোঙ্গা-চিতা’
পোশাক কারখানাগুলো এখনো কোভিড মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে সুতার দাম ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কনটেইনার পরিবহন খরচ ৩৫০-৫০০ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া, ডাইস, কেমিক্যালের খরচ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। গত ৫ বছরে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যথাক্রমে ৫৯ ও ১৩ শতাংশ বেড়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কারখানার উৎপাদন খরচ দিন দিন বেড়েছে। এ সময়টিতে পণ্যের দরপতন মোটেই কাম্য নয়।’
ফারুক হাসান বলেন, করোনার মধ্যেও নানা ঝুঁকি নিয়ে কারখানা মালিকরা ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে আমাদের কারখানাগুলোতে প্রচুর কার্যাদেশ বেড়েছে। দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা প্রতিটি ক্রেতার সঙ্গে আলাদা-আলাদাভাবে আলোচনা করেছি। তাদের আস্থার সম্পর্কে ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র নেতৃত্বে যে হেলথ প্রটোকল তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার সুফল হিসেবে আমরা শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে পেরেছি। এর সুফল হিসেবে ক্রেতারা আজ আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন, আমাদের রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। করোনা মাহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজটি শিল্পকে সেই কঠিন সময়ে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে।
পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনার সময় আমাদের খারাপ সময় গিয়েছে। বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় আমরা পেমেন্ট আর পাইনি। সে বোঝা আমাদের অনেক কারখানা মালিককে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের কারখানাগুলোতে প্রচুর কার্যাদেশ আসছে। এ ধারা বজায় রাখতে আমাদের সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি মো. আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আজ ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে এদিন সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরণের পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করবে না।
হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, আজ ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ কারণে সেখানে আজ সরকারি ছুটি। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়িরা হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় শুরু হবে বন্দরে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
তবে বন্দরের বাংলাদেশ অংশে বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য খালাস কাজ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে পাসপোর্ট যাত্রী আসতে পারবে। বন্ধের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী: হিলি সীমান্তে বিএসএফকে বিজিবি’র মিষ্টি উপহার
৬ মাসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ কোটি টাকা সহায়তা
পণ্য রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা
বিদেশে পোষাক পণ্য রপ্তানির নামে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ‘আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ’ নামে এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্র পথে পণ্যগুলো ফিলিপাইন রপ্তানির চেষ্টা করছিল।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) চালানটি আটক করে কাস্টমসেরঅডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে কায়িক পরীক্ষা শেষে রাতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য লোড করা হয় পাচারের উদ্দেশ্যে। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।
গত তিন মাসের ব্যবধানে ঢাকার এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানির বিপরীতে কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, চারটি পণ্য চালানের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি চার ধরনের পণ্য রপ্তানির আড়ালে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ফিলিপাইনে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চার ধরনের পণ্য চালান আটক করে শতভাগ কায়িক পরিশ্রম করা হয়।
কাস্টমস এর এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, রপ্তানি ঘোষণা অনুযায়ী ওই চারটি চালানে ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস পোশাক থাকার কথা। কিন্তু শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে সেখানে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস পোশাক পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরূদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ কর্মকর্তার মতে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রপ্তানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে চায় এক্সপো ফোম
রপ্তানি আয় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
রপ্তানি আয় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম ছয় মাসে পোশাকের মোট রপ্তানি ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পোশাক রপ্তানি প্রায় ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডার বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল শনিবার বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে পোশাকের মোট রপ্তানি ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন সমাধান নয়: এফবিসিসিআই সভাপতি
সফটওয়্যার চালুর প্রতিবাদে তামাবিল স্থলবন্দরে ৪ দিন ধরে আমদানি বন্ধ