������������������
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রায় দুই ডজন মানুষ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) হিমালয়ের একটি মহাসড়ক থেকে বাসটি পড়ে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির বেসামরিক প্রশাসক হরবিন্দর সিং জানিয়েছেন, ৪২ আসনের বাসটি কিস্তওয়ার শহর থেকে দক্ষিণ জম্মু শহরের দিকে যাওয়ার পথে প্রায় ৬৬০ ফুট (২০০ মিটার) নিচে পাহাড়ি অঞ্চলের একটি পুরোনো রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫
স্থানীয়রা ও কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
সিং বলেন, আহতদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ১০ জনকে জম্মুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে দুর্ঘটনায় প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ নিহত ও আহত হয়। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, সড়কের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ ও পুরোনো যানবাহনও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
গত বছর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি শতাব্দীর পুরোনো ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ে শত শত মানুষ পানিতে ডুবে যায়। গত এক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩২ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত
ভারতের হরিয়ানায় বিষাক্ত মদ পানে ১৯ জনের মৃত্যু
উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে সন্দেহভাজন বিষাক্ত মদ পানে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় টিভি নিউজ চ্যানেল এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘হরিয়ানায় সন্দেহভাজন বিষাক্ত মদ খেয়ে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের দুই অভিবাসী শ্রমিকও রয়েছে। তারাও মদ পান করেছিল।
বুধবার হরিয়ানার রাজধানী চণ্ডিগড় থেকে প্রায় ১০৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে যমুনানগর জেলার মান্দেবাড়ি ও পাঞ্জেতা কা মাজরা নামের গ্রাম দুটি থেকে এই মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এনডিটিভি চ্যানেলের তথ্যমতে, যমুনানগরের সারান গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী আম্বালা জেলার ফুসগড় গ্রাম থেকে আরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের সিকিমে বন্যায় নিহত বেড়ে ৪৭
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ আম্বালার একটি পরিত্যক্ত কারখানায় তৈরি ২০০ ক্রেট জাল মদ বাজেয়াপ্ত করেছে। এগুলো যমুনানগরে সরবরাহ করার জন্য রাখা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘পুলিশ ১৪টি খালি ড্রাম এবং অবৈধ মদ তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ জব্দ করেছে। পুলিশ বিষাক্ত মদ উৎপাদনকারীদের গ্রেপ্তারে এবং উৎপাদনের সময় খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।’
ভারতে প্রায়ই নকল মদ পানে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। দেশটির বহু মানুষ এখনও সস্তায় দেশীয় মদ পান করে।
আরও পড়ুন: ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংকে র্যানসমওয়্যার হামলা, ট্রেজারি মার্কেটের লেনদেন ব্যাহত
চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংকের একটি আর্থিক পরিষেবা ব্যবসা বলছে, র্যানসমওয়্যার হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি মার্কেটে বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (আইসিবিসি) ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ট্রেড এবং অন্যান্য পরিষেবাগুরো পরিচালনা করে। শুক্রবার(১০ নভেম্বর) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে র্যানসমওয়্যার হামলায় তাদের কিছু সিস্টেম বিঘ্নিত হলেও হামলার প্রভাব সীমিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত সিস্টেমের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা চাপ অব্যাহত থাকলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়তে পারে: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বুধবার সম্পাদিত সমস্ত ট্রেজারি ট্রেড এবং বৃহস্পতিবার রেপো ফাইন্যান্সিং ট্রেডগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। আইসিবিসির ব্যাংকিং, ইমেইল ও অন্যান্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ ভাষাভাষী র্যানসমওয়্যার সিন্ডিকেট লকবিট এই হামলা চালিয়েছে, যা সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে টার্গেট করে না। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম এমসিসফটের মতে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর র্যানসমওয়্যার ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় হয়ে এটি হাজার হাজার সংগঠনকে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোটের হাতে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সবজি প্যাকেজিং কারখানায় একটি রোবোটের হাতে এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মেশিনটি ঝুঁকিপূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কি না- এ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
গোসেওং এর দক্ষিণ কাউন্টির পুলিশ জানায়, সোমবার ওই কারখানার একটি মেশিনের রোবোটিক হাত ওই কর্মীকে একটি কনভেয়ের বেল্টের সঙ্গে চেপে ধরে। এতে ওই ব্যক্তির মাথা ও বুকে গুরুতর ক্ষত হয়ে তিনি মারা যান।
পুলিশ নিহতের নাম প্রকাশ করেনি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কোম্পানিতে কাজের সুবিধার্থে শিল্প রোবট ব্যবহার করে এবং মেশিনটি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্ল্যান্টে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বারান্দা ধসে নিহত ২, আহত ৮ খেলোয়াড়
মেশিনটি ছিল দুটি পিক-অ্যান্ড-প্লেস রোবটের মধ্যে একটি। এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা বেল মরিচ ও অন্যান্য শাকসবজি প্যাকেজ করে এটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষিখাতে এই জাতীয় মেশিনের ব্যবহার খুবই সাধারণ।
গোসেওং থানার তদন্ত বিভাগের প্রধান কাং জিন-গি বলেছেন, ‘এটি কোনো উন্নত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট নয়। এটি শুধু বাক্সগুলো তুলে প্যালেটগুলোতে রাখে।’
তিনি বলেন, মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে কি না- তা নির্ণয় করতে পুলিশ তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোবটের সেন্সরগুলো বাক্স শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পুলিশ মানবিক ত্রুটির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় লোকটি তার হাতে একটি বাক্স নিয়ে রোবটের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সম্ভবত তাই মেশিন প্রতিক্রিয়া শুরু করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্প রোবটের হাতে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত মার্চ মাসে একটি উৎপাদনকারী রোবট গুনসানের একটি অটো পার্টস কারখানায় মেশিন পরীক্ষা করছিলেন এমন একজন শ্রমিককে পিষ্ট করে গুরুতর আহত করেছিল।
গত বছর একটি পরিবাহক বেল্টের কাছে ইনস্টল করা একটি রোবট পিয়ংটেকের একটি দুধের কারখানায় একজন শ্রমিককে মারাত্মকভাবে পিষ্ট করেছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় বনে আগুন, নিহত ২
বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গেছে নয়াদিল্লির বাতাস, স্কুল বন্ধ ঘোষণা
বিষাক্ত ধূসর ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির আকাশ। গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ এবং নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মানুষ মাস্ক পড়ে রাস্তায় বের হতে বাধ্য হচ্ছে।
বছরের এই সময়ে শহরটির বাতাসের মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়।
কর্তৃপক্ষ গুরুতর বায়ু দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সংগ্রাম করছে। যার ফলে প্রতি বছর শহরের ২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
ভারতের প্রধান পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসএএফএআর -এর মতে, মঙ্গলবার বায়ুর গুণমান সূচকে দিল্লির বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তুকণা ৪০০ চিহ্নের কাছাকাছি চলে গেছে। এই স্তরটি বিপজ্জনক এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা সীমার ১০ গুণেরও বেশি। টানা পঞ্চম দিন এই অঞ্চলে বাতাসের মান বিপজ্জনক।
ইন্ডিয়া গেট স্মৃতিস্তম্ভের কাছে মাস্ক পড়ে বেড়াতে আসা অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা শ্রীনিবাস রাও নামের একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘বাতাসে অনেক ধোঁয়াশা আছে। আমি বায়ুর মানের সূচকটি দেখছি এবং এই জলবায়ু সম্পর্কে ভয় পাচ্ছি।’
কর্তৃপক্ষ ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য পানির স্প্রিঙ্কলার এবং অ্যান্টি-মগ বন্দুক মোতায়েন করেছে। এছাড়া ধোঁয়া সৃষ্টিকারী পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি, বাস ও ট্রাক ব্যবহারকারী চালকদের জন্য ২০ হাজার টাকা (২৪০ ডলার) জরিমানা ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসকেরা বাসিন্দাদের মাস্ক পরার এবং যথাসম্ভব বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ বাতাসে মিশে থাকা ধোঁয়াশা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ফ্লু ও হাঁপানির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: দিল্লির বাতাস বিপজ্জনক, ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে সপ্তাহান্তে নয়াদিল্লিতে তাদের প্রশিক্ষণ সেশন বাতিল করতে হয়। দূষণের ফলে ভারতে আয়োজিত চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপ ব্যাহত করারও হুমকি দেখা দেয়।
গত সপ্তাহে এয়ার পিউরিফায়ারের চাহিদা বেড়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
রেনু আগরওয়াল (৫৫) নামের এক নারী বলেন, বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন এই সপ্তাহান্তে দীপাবলি (হিন্দুদের আলোত প্রজ্বলনের উৎসব, যাতে আতশবাজি জ্বালানো হয়) উৎসবের ফলে ধোঁয়াশার অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। তার মেয়ের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, দূষণের ফলে তার শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘সে শ্বাস নিতে পারে না। যদিও আমরা আমাদের বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখি, তবুও দূষণের ফলে তার অবস্থা এমনটাই খারাপ যে এমনকি ওয়াশরুমে যাওয়াও তার পক্ষে কঠিন। তার শ্বাসকষ্ট হয়।’
প্রায় প্রতি বছরই ভারতের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে থাকে নয়াদিল্লী। বিশেষ করে শীতকালে, যখন প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর সময় এবং শীতল তাপমাত্রার একসঙ্গে মিলে যায়; যা বিপজ্জনক ধোঁয়াকে আটকে রাখে।
শীতকালীন গম-বপনের মরসুমের শুরুতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা উত্তর ভারতে দূষণের একটি প্রধান কারণ।
কর্তৃপক্ষ কাজ করার জন্য মেশিন কেনার জন্য নগদ প্রণোদনা দিয়ে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজি অনুসারে, এখনও নয়াদিল্লির দূষণের ২৫ শতাংশের জন্য দায়ী ফসল পোড়ানোর ধোঁয়া।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশি, ভারতীয়, নেপালি ও পাকিস্তানিদের গড় আয়ু ৫ বছর কমবে: একিউএলআই
রেসপাইয়ার লিভিং সায়েন্সেস এর তথ্যমতে, নয়াদিল্লিতে ২০১৯ ও ২০২০ সালের মধ্যে বাতাসে ক্ষুদ্র কণার তীব্রতা ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০২১ সালে তা ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পায় এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মারাত্মক বায়ু দূষণ সংকট শহরের প্রতিটি বাসিন্দাকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু বাইরে কাজ করা লাখ লাখ মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
অটোরিকশা চালক গুলশান কুমার জানান, তার নাক, গলা ও চোখ নিয়মিত বাতাসের ময়লায় ভরে যায়। তার সন্তানরা তাকে বিহার রাজ্যে তার নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে কেন আমি এই দূষিত ও অসুস্থ শহরে কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি বাড়িতে আমার কোনো চাকরি থাকত, আমি দিল্লিতে কাজ করতে আসতাম না।’
বিমানে করে গাজার হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জর্ডান
জর্ডানের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি বিমান সোমবার (৬ নভেম্বর) গাজা উপত্যকায় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সরবরাহ করেছে।
জর্ডানের রাষ্ট্র পরিচালিত পেট্রা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় হাসপাতালটিতে সরবরাহ শেষের পথে ছিল। গাজার জনগণকে সহায়তা করতে জর্ডানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ এটি।
সোমবার ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তার এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘আমাদের নির্ভীক বিমানবাহিনীর কর্মীরা মধ্যরাতে গাজার জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব ধরনের চ্যালেঞ্জ ও অসুবিধা সত্ত্বেও জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতাল গাজা থেকে আহতদের চিকিৎসা করছে এবং ফিলিস্তিনের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মানবিক ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল সহায়তা বহনকারী তৃতীয় চালান, ২ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি হামাসের
মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১২৮
শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক আগে নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহতদের সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার এবং স্থল সেনারা ছুটে যান। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১২৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অনেক জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র কুবের কাদায়াত বলেন, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারগুলো সাহায্যের জন্য ওই অঞ্চলে উড়ে যায় এবং মাটিতে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত এবং মৃতদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাজধানীর নিকটবর্তী জেলায় ৩টি ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ রাস্তা ও পাহাড়ি পথও পরিষ্কার করছে সেনারা। হেলিকপ্টারগুলো সেখানকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাকর্মী এবং ওষুধ নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালও চিকিৎসকদের একটি দল নিয়ে হেলিকপ্টারে যান।
কাদায়াত বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল জাজারকোট জেলায় ৯২ জন নিহত এবং আরও ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে পার্শ্ববর্তী রুকুম জেলায় কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছে, যেখানে অসংখ্য ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং কমপক্ষে ৮৫ জন আহত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সারা রাত অন্ধকারে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কাজ করে মৃত ও আহতদের পড়ে থাকা বাড়ি থেকে বের করে আনেন।
৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দূরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ এবং এটি ভূপৃষ্ঠের ১১ মাইল গভীরে আঘাত হানে। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫০ মাইল উত্তর-পূর্বে জাজারকোটে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার জুজুই প্রদেশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত
ভারতের নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের বিদ্যুৎ ও নতুন ও নবায়নযোগ্য শক্তিমন্ত্রী শ্রী রাজ কুমার সিং। আইএসএর ১১৬টি সদস্য ও স্বাক্ষরকারী দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অধিবেশনে অংশ নেন।
এই উপলক্ষে শ্রী রাজ কুমার সিং বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা এমন দেশে বাস করে যেগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানির উপর নির্ভর করে। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৬৫ শতাংশ সরবরাহ করতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ৯০ শতাংশ কার্বনমুক্ত করতে পারে। আন্তর্জাতিক সৌর জোট সদস্য দেশগুলিকে সৌরকে শক্তির উৎস হিসেবে বেছে নিতে, বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এবং বাড়ন্ত বিশ্ব চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আইএসএ তার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে প্রতি প্রকল্পে ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রকল্পের ব্যয়ের ১০ শতাংশ (যেটিই কম) অনুদান প্রদান করে। অধিবেশনে প্রকল্পের ধারণা এবং দেশগুলোর প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে প্রকল্পের ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
অধিবেশনের সহসভাপতি ফ্রান্সের উন্নয়ন, ফ্র্যাঙ্কোফোনি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিমন্ত্রী হেলেন জাকারোপুলো বলেন, ‘ফ্রান্সের জন্য আইএসএ ক্লিন এনার্জির উন্নয়ন এবং জলবায়ু বিঘ্ন মোকাবিলা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমাদের জোটকে নিয়মিত এবং ক্রমবর্ধমান সমর্থনসহ আমরা এই প্রকল্পে আমাদের পূর্ণ ভূমিকা পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার (এএফডি) মাধ্যমে আমরা ২০১৬ সাল থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি মূল্যের সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন করেছি। ফ্রান্স পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আমরা তা ত্বরান্বিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গত বছর, আমরা আমাদের অংশীদারদের জলবায়ু অর্থায়নে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ সরবরাহ করেছি। এগুলো কেবলমাত্র সংখ্যা নয়, বরং বাস্তব প্রকল্প। যেমন বেনিনের ওনিগবোলো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; যা আমরা এই বছর সম্পন্ন করেছি। যা বেনিনের জনগণের কাছে ২৫ মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জি নিয়ে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারদের ন্যায্য শক্তি রূপান্তর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থায়নেও সহায়তা করি। এটি আমাদের সমস্ত আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠাতা নীতি: জাতীয় কর্মসূচি ও অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে। সৌর বিপ্লবকে শক্তির অভিগম্যতার একটি বিস্তৃত কৌশল দ্বারা সমর্থিত হতে হবে। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে এই জোটের বিশ্বের বৃহৎ চ্যালেঞ্জগুলোর একটির সমাধান প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে, বিশ্বের অসঙ্গতি সত্ত্বেও।’
আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মহাপরিচালক ড. অজয় মথুর বলেন, ‘বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি না পাওয়াদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে এমন প্রয়োগে সৌর শক্তির বিকাশ ত্বরান্বিত করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। যেমন- সৌর মিনি-গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া, কৃষি পাম্পে শক্তি জোগানো, কোল্ড স্টোরেজ পরিচালনা ইত্যাদি।’
তিনি বলেন, ‘আইএসএ এলডিসি ও এসআইডিসহ ৫৫টি উন্নয়নশীল দেশে ৯ দশমিক ৫ গিগাওয়াটেরও বেশি সৌর অ্যাপ্লিকেশন সুবিধা প্রদান করছে এবং সৌর শক্তিকে সমর্থন করে জীবিকা নির্বাহের উপায়গুলোর উপর উন্নয়নশীল বিশ্বজুড়ে প্রায় চার হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমরা আমাদের সদস্য দেশগুলোতে সৌর শক্তি বিষয়ে প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দক্ষতার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এমন স্টার কেন্দ্রগুলো গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
ড. অজয় মথুর বলেন, ‘এছাড়াও, আইএসএ সৌর মিনি-গ্রিডগুলোকে বিশ্বব্যাপী শক্তির অভিগম্যতা প্রদান করতে সক্ষম করছে, বিশেষ করে যেখানে গ্রিড সম্প্রসারণ খুব ব্যয়বহুল। গ্যারান্টিগুলো বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে এবং আইএসএ আফ্রিকার সদস্য দেশগুলোতে তার গ্লোবাল সোলার সুবিধার মাধ্যমে গ্যারান্টি প্রদানের জন্য এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেছে। আমরা এই দেশগুরোর উদ্যোক্তাদেরকেও সক্ষম করছি, যারা সাহায্যে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলজুড়ে সৌর শক্তির প্রধান সরবরাহকারী হতে পারে।’
২০২০ সালের মে মাসে এলডিসি ও এসআইডির চাহিদা পূরণের জন্য আইএসএ নমুনা প্রকল্প শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল সৌর প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রদর্শন করা, যা স্কেল আপ করা যেতে পারে এবং উপকারী সদস্য দেশগুলোর ক্ষমতা গড়ে তোলা। আইএসএ-র সহায়তায় স্থাপিত চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শ্রী আর কে সিং।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
মালয় প্রজাতন্ত্রের সংসদ ভবনের সৌরায়ণ, ফিজি প্রজাতন্ত্রের দুটি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সৌরায়ণ, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ৮ কিলোওয়াট সৌর পিভি সিস্টেম এবং ২০ কিলোওয়াট ব্যাটারি স্টোরেজ ক্ষমতাসহ সেইচেল প্রজাতন্ত্রের লা দিগ দ্বীপে কৃষি অংশীদারদের সুবিধার্থে ৫ মেট্রিক টন ক্ষমতার একটি সৌর চালিত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন। এছাড়া, কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের নওয়াই জুনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল (জেএসএস)-এ ২৪ কিলোওয়াট বিএসএসের সঙ্গে জুড়ি ৭ কিলোওয়াট সৌর পিভি ছাদ সিস্টেমসহ সৌরায়ণ।
প্রকল্পগুলো আইএসএর সদস্য দেশগুলোকে সৌর শক্তি উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। আইএসএ সৌর শক্তির সুবিধাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করে চলবে, যাতে আমরা একটি টেকসই ও স্বচ্ছ শক্তি ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় টেক্সাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৮.০ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শ্রী সিং বলেন, ‘আইএসএ অনুদান উদ্যোগের আওতায় আইএসএ’র প্রদত্ত ৫০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে মালয় প্রজাতন্ত্র, ফিজি প্রজাতন্ত্র, সেইচেল প্রজাতন্ত্র এবং কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করা আমার সম্মান ও সৌভাগ্যের। আইএসএ আমাদের সদস্য দেশগুলোর অর্জনকে স্বীকৃতি দেয় এবং সৌর শক্তির মাধ্যমে শক্তি রূপান্তরের কারণে তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে। আমাদের সম্মিলিতভাবে একে অপরের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ থেকে শিখতে হবে।’
অধিবেশনটিতে আইএসএ’র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার প্রতিটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করা হয়।
এই সংস্থা আইএসএর ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গ্রহণযোগ্য সমন্বিত পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অধিবেশনটি বার্ষিকভাবে মন্ত্রী পর্যায়ে আইএসএর সদর দপ্তরে বসে।
এটি সৌর শক্তি স্থাপন, কর্মক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা, খরচ ও অর্থায়নের স্কেলের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সামগ্রিক প্রভাব মূল্যায়ন করে।
আইএসএর ষষ্ঠ অধিবেশনে শক্তি অভিগম্যতা, জ্বালানি সুরক্ষা এবং শক্তি রূপান্তরের তিনটি জটিল বিষয়ের উপর আইএসএর মূল উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) ১১৬টি সদস্য এবং স্বাক্ষরকারী দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি সরকারগুলোকে সৌর শক্তির ব্যবহার সহজ করতে এবং কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যতে টেকসই রূপান্তর হিসেবে সৌর শক্তির প্রচারে সহায়তা করে।
আইএসএর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর শক্তিতে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং প্রযুক্তি ও এর অর্থায়ন খরচ কমানো। এটি কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সৌর শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।
আইএসএ সদস্য দেশগুলো নীতি ও বিধিমালা প্রণয়ন, সেরা অনুশীলন শেয়ারিং, সাধারণ মানদণ্ডে সম্মত হওয়া এবং বিনিয়োগ সংগঠনের মাধ্যমে পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
এই কাজের মাধ্যমে আইএসএ সৌর প্রকল্পের জন্য নতুন ব্যবসায়ী মডেল শনাক্ত, নকশা এবং পরীক্ষা করেছে; সরকারগুলোকে সহজে সৌর বিশ্লেষণ এবং পরামর্শের মাধ্যমে তাদের শক্তি বিধিমালা এবং নীতিগুলোকে সৌরবান্ধব করতে সহায়তা করেছে; বিভিন্ন দেশ থেকে সৌর প্রযুক্তির জন্য চাহিদা পূরণ করেছে এবং খরচ কমিয়েছে; ঝুঁকি কমিয়ে এবং খাতটিকে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলে অর্থায়নে অভিগম্যতা উন্নত করেছে; সৌর প্রকৌশলী এবং জ্বালানি নীতি নির্ধারকদের জন্য সৌর প্রশিক্ষণ, ডেটা এবং অন্তর্দৃষ্টির অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করেছে।
আইএসএ ভারতে সদর দপ্তর সহকারে প্রথম আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। এটি বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি), উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ডিএফআই), বেসরকারি ও সরকারি খাতের সংগঠন, নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে যাতে বিশেষ করে অনুন্নত দেশ (এলডিসি) এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে (এসআইডি) সৌর শক্তির মাধ্যমে ব্যয়বহুল ও রূপান্তরমূলক সমাধান স্থাপন করা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় যুব উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের বিজয়নগরম জেলায় একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত তিনটি রেলগাড়ি লাইনচ্যুত হয়।
ভারতের রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সৌরভ প্রসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একাধিক উদ্ধারকারী দল এবং বাসিন্দারা ধ্বংসস্তুপ থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনাস্থলে যতবেশি সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য প্রায়শই মানুষের ত্রুটি বা পুরানো সংকেত সরঞ্জামকে দায়ী করা হয়।
চলতি বছরের জুনে ভারতের পূর্বঞ্চলে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘনা।
এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন ভারত জুড়ে ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) রেলপথ ভ্রমণ করে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘনা: ময়মনসিংহের একই পরিবারের ৪ জন নিহত
রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল সহায়তা বহনকারী তৃতীয় চালান, ২ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি হামাসের
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) সোমবার গাজায় জিম্মি থাকা দুই বয়স্ক ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে।
সোমবার সর্বশেষ দুই ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির পর রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তার তৃতীয় চালান ঢুকেছে।
অন্যদিকে, মানবিক সহায়তা বহনকারী আরও বেশ কয়েকটি বিমান মিশরের উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পাঠানোর অপেক্ষা করছে।
এছাড়া, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা এবং ফিলিস্তিনে সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকায়, লেবাননের শিয়া সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল সীমান্তে আরও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। যা বিরোধের আঞ্চলিক বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘মিশর-কাতারের মধ্যস্থতার’ মাধ্যমে ‘মানবিক কারণে’ আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
৭ অক্টোবর আটক করার পর গত শুক্রবার দুই আমেরিকান জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এবার দ্বিতীয়বারের মতো হামাস দুই ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে।
একজন ইসরায়েলি সরকারি কর্মকর্তা গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিংয়ে এসে পৌঁছানো দুই ইসরায়েলির মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, একটি ইসরায়েলি দল তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ দেখা করতে যাচ্ছিল।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কান টিভির খবরে ওই দুই নারীকে ইয়োচেভেড লিফশিটজ (৮৫) এবং নুরিট কুপার (৭৯) হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
ইয়োচেভের স্বামী ৮৩ বছর বয়সী সাংবাদিক ওডেদ লিফশিটজকে তার স্ত্রীর সঙ্গে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তিনি এখনও হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন।