%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
সিডনিতে শপিং সেন্টারে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত, পুলিশের গুলিতে ঘাতকের মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি শপিং সেন্টারে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
শনিবার শহরের পূর্বাঞ্চলে বন্ডি জংশনের ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের অবস্থা সম্পর্কে পুলিশ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী পুলিশ কমিশনার অ্যান্থনি কুক জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারী শহরের পূর্ব শহরতলীর বন্ডি জংশনের ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে ৯ জনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর পুলিশ তাকে গুলি করে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ৬ জন ও সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
কুক আরও বলেন, নিহত সন্দেহভাজন একাই এ কাজ করেছে। আর কোনো হুমকির সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এমন কিছু নেই যা কোনো উদ্দেশ্য বা কোনো মতাদর্শের ইঙ্গিত দেয়। তবে আমরা কোনো কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
কুক বলেন, ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ পরিদর্শক সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে ‘অনেক লোকের জীবন বাঁচিয়েছিলেন’।
ভিডিওতে দেখা যায়, শপিং সেন্টারের আশপাশে অনেক অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং লোকজন বের হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘটনাস্থলে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টিভির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রোই হুবারম্যান বলেন, ঘটনার সময় তিনি একটি দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমরা সম্ভবত দুটি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং আমরা কী করব তা বুঝতে পারছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দোকানের একজন আমাদের পেছনে নিয়ে গিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। তিনি আমাদের পেছন দিয়ে যেতে দেন এবং তারপর আমরা বাইরে চলে এসেছি।’
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
পাপুয়া নিউগিনিতে উপজাতিদের সহিংসতায় ৫৩ জন নিহত
পাপুয়া নিউগিনিতে উপজাতিদের সহিংসতায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষে এই হতাহত হয় বলে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।
রয়্যাল পাপুয়া নিউ গিনির কনস্টাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট জর্জ কাকাস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, একটি উপজাতি, তাদের মিত্র ও ভাড়াটে সৈন্যরা রবিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের এনগা প্রদেশে প্রতিবেশী একটি উপজাতির ওপর হামলা চালায়।
জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়া আহতদের মধ্যে আরও লাশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এবিসিকে কাকাস বলেন, 'এই উপজাতিদের হত্যা করা হয়েছে সারা গ্রামাঞ্চলে এমনকি ঝোপঝাড় জুড়েও।’
যুদ্ধক্ষেত্র, রাস্তা ও নদীর পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ট্রাকে বোঝাই করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাকাস বলেন, কর্তৃপক্ষ এখনও 'গুলিবিদ্ধ, আহত এবং ঝোপের মধ্যে পালিয়ে যাওয়াদের' গণনা করছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ধারণা করছি এ সংখ্যা ৬০ বা ৬৫ পর্যন্ত হতে পারে।’
কাকাস বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে এ ধরনের সহিংসতায় এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা হতে পারে। কারণ এই এলাকায় খুব কম রাস্তা রয়েছে এবং বেশিরভাগ বাসিন্দাই জীবীকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
গণহত্যার বিষয়ে রাজধানী পোর্ট মোর্সবির পুলিশের কাছে অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
পাপুয়া নিউ গিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশে ৮০০ ভাষাসহ ১ কোটি মানুষের একটি বৈচিত্র্যময়, উন্নয়নশীল দেশ।
চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক চাইছে বলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা তার সরকারের জন্য ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, তার সরকার পাপুয়া নিউ গিনিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। দেশটি অস্ট্রেলিয়ার নিকটতম প্রতিবেশী এবং অস্ট্রেলিয়ার একক বৃহত্তম বৈদেশিক সহায়তা গ্রহীতা।
আলবানিজ বলেন, 'পাপুয়া নিউগিনি থেকে যে খবর এসেছে তা খুবই বিরক্তিকর।’
আরও পড়ুন: সুপার টুয়েলভে খেলার আশায় পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পিএনজিতে আমাদের বন্ধুদের সহায়তা করার জন্য বাস্তবিক অর্থে যে কোনও সহায়তা সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে পাপুয়া নিউ গিনির জন্য ‘যথেষ্ট সমর্থন’ দিয়েছে এবং দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করছে।
প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের প্রশাসন টিকিয়ে রাখায় ২০২২ সালের নির্বাচনের পর থেকে এনগা অঞ্চলে উপজাতি সহিংসতা তীব্র হয়েছে। নির্বাচন এবং তার সাথে জালিয়াতি এবং প্রক্রিয়াগত অসঙ্গতির অভিযোগ সর্বদা সারা দেশে সহিংসতার সূত্রপাত করেছে।
এনগার গভর্নর পিটার ইপাটাস বলেছেন, উপজাতিদের লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
ইপাটাস এবিসিকে বলেন, ‘প্রাদেশিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা জানতাম যে এই লড়াই হতে চলেছে এবং আমরা গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম যাতে এটি না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য তারা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।’
ইপাতাস এই সহিংসতাকে ‘প্রদেশে আমাদের জন্য খুব, খুব দুঃখজনক এবং এটি দেশের জন্য একটি খারাপ জিনিস’হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: পাপুয়ার স্বাধীনতাকামীদের সাথে ইন্দোনেশিয়ার আর্মিদের সংঘর্ষে নিহত ৪
পাপুয়া নিউ গিনির দুই বড় শহরে দাঙ্গা, নিহত ১৫
পাপুয়া নিউ গিনির দুই বৃহত্তম শহরে দাঙ্গা ও লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও (১১ জানুয়ারি) এই দাঙ্গা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করেছে দেশটির প্রশাসন।
এর আগে বুধবার(১০ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা, সৈন্য, কারাকর্মী ও সরকারি কর্মচারীরা বেতন বিরোধের প্রতিবাদে তাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর এই দাঙ্গা শুরু হয়।
পাপুয়া নিউ গিনি সরকার বেতন কমানোর জন্য প্রশাসনিক ত্রুটিকে দায়ী করেছে।
একই ধরনের দাঙ্গায় দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লায়েও দাঙ্গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন জানিয়েছে, পোর্ট মোরেসবি ও লে-তে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আরও ১৮০ জন প্রতিরক্ষাকর্মী পোর্ট মোরেসবি থেকে পালিয়ে যান। উচ্চ বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশটিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে বলেছেন, পোর্ট মোরেসবি 'চাপ ও অস্থিরতার মধ্যে' ছিল, তবে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় নিহত ৬৮
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মারাপে বলেন, ‘গতকাল শহরে পুলিশ কাজ না করায় মানুষ অরাজকতা শুরু করে। তবে সবাই নয়, আমাদের শহরের কিছু অংশের লোকজন। আজ সকাল পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, শহরে উত্তেজনা কমেছে।’
ব্যবসায়ীরা ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ মেরামত করার কারণে বৃহস্পতিবার অনেক দোকানপাট ও ব্যাংকিং সেবা বন্ধ ছিল।
পাপুয়া নিউ গিনি একটি বৈচিত্র্যময়, উন্নয়নশীল দেশ। এখানে বেশিরভাগ জীবিকা নির্বাহকারী কৃষক। দেশটিতে প্রায় ৮০০টি ভাষায় কথা বলা হয়। এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে অবস্থিত। ১ কোটি মানুষ নিয়ে এটি অস্ট্রেলিয়ার পরে সবচেয়ে জনবহুল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ। অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার সরকার তার নিকটতম প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহায্যের জন্য কোনো অনুরোধ পায়নি।
আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
গত মাসে পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়া একটি দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে।
আলবানিজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোর্ট মোরেসবিতে কী ঘটছে সেখানকার আমাদের হাইকমিশন তার উপর খুব নিবিড় নজর রাখছে এবং অস্ট্রেলিয়ানরা পর্যবেক্ষণে আছে।’
পাপুয়া নিউ গিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উপজাতীয় সহিংসতা এবং নাগরিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে এবং এর পুলিশের সংখ্যা ৬ হাজার কর্মকর্তা থেকে বাড়িয়ে ২৬ হাজার করার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে কমপক্ষে ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, কয়েক ডজন মানুষ এখনও বাড়ির ছাদে আটকে আছে। বন্যার কারণে সোমবার কেয়ার্নস বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, শহরের ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ খাবার পানির সংকটে রয়েছে।
সোমবার কেয়ার্নে বৃষ্টি কমলেও পাশ্ববর্তী পোর্ট ডগলাস, ডেনট্রি, কুকটাউন, উজাল উজাল ও হোপ ভ্যালে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসসহ জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল এবারের বন্যাকে ‘একেবারে ধ্বংসাত্মক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র তীর থেকে সরানো হলো ৩৮০ তিমির মৃতদেহ
ক্যারল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত রাতে আমরা ভয়াবহ চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছি। রাতে আমরা কমপক্ষে ৩০০ জনকে উদ্ধার করেছি।’
তিনি বলেন, তবে কারো মৃত্যু বা গুরুতর আহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০০ বাসিন্দাকে উজাল উজালের আদিবাসী এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হবে। উদ্ধারদের মধ্যে ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি ৭ বছর বয়সী শিশু হাসপাতালের ছাদে রাত কাটিয়েছে।
একটি ক্যাটাগরি ২ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বুধবার উজাল উজালের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছে। শক্তিশালী বাতাসে ওই এলাকার সামান্য ক্ষতি হলেও ভারী বৃষ্টিপাতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানির তোড়ে রাস্তা ও রেললাইন ভেঙে যায় এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
প্রায় ১৪ হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোমবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় গুলিতে কমপক্ষে ৪ জন নিহত
অস্ট্রেলিয়ায় নারীর মস্তিষ্ক থেকে বের হলো জীবন্ত কৃমি
বিশ্বে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা এক নারীর মস্তিষ্কে জীবন্ত পরজীবী কৃমি খুঁজে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) এবং ক্যানবেরা হাসপাতালের গবেষকরা পরজীবী রাউন্ডওয়ার্মের আবিষ্কারের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
আট সেন্টিমিটার ওফিডাসকারিস রবার্টসি রাউন্ডওয়ার্ম, যা সাধারণত অজগরের শরীরে পাওয়া যায়।
রোগী একজন ৬৪ বছর বয়সী নারী। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে এখনও তিনি জীবিত এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এএনইউ ও ক্যানবেরা হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় সেনানায়েকে একটি মিডিয়া রিলিজে বলেছেন, মস্তিস্কে পরজীবী পাওয়ার ঘটনা বিশ্বে প্রথম।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে যুগান্তকারী আবিস্কার অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের
সমীক্ষা অনুসারে, রোগীকে ২০২১ সালে দক্ষিণ-পূর্ব নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডব্লিউ) একটি স্থানীয় হাসপাতালে তিন সপ্তাহ পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ার নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিলেন।
২০২২ সালে তিনি ভুলে যাওয়া ও বিষণ্ণতা অনুভব করা শুরু করার জেরে ক্যানবেরা হাসপাতালের একজন নিউরোসার্জন একটি এমআরআই স্ক্যান করে। রিপোর্টে মস্তিষ্কের ডান ফ্রন্টাল লোবে একটি অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করেছিলেন ডাক্তার। পরে অস্ত্রোপচার করে একটি রাউন্ডওয়ার্ম বের করেছিল।
গবেষণাটিতে অনুমান করা হয়েছে, রোগী সম্ভবত স্থানীয় ঘাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা খেয়েছিলেন। যার মাধ্যমে তার শরীরে একটি কার্পেট পাইথন পরজীবীর সংক্রমণ ঘটেছিল।
তিনি সংক্রামক রোগ এবং মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
অস্ট্রেলিয়ানদের এক-তৃতীয়াংশ একাকীত্বে ভুগছে: জরিপ
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ একাকীত্ব বোধ করেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংগঠনগুলির একটি জাতীয় জোট ‘এন্ডিং লোনলিনেস টুগেদার’ সোমবার সামাজিক সংযোগের বিষয়ে প্রথম 'স্টেট অব দ্য নেশন' প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
১৮ থেকে ৯২ বছর বয়সী ৪ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ৩২ শতাংশ নারী এবং ৩১ শতাংশ পুরুষ একাকীত্ব বোধ করেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৪ বছরের মানুষ অধিকাংশ সময় একাকীত্ব অনুভব করেন। সময়ের হিসাবে ৭৫ বছর বয়সীদের তুলনায় তা ৪ গুণ।
মহানগর এলাকার তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে একাকী হওয়ার প্রবণতা কিছুটা বেশি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক মেডিটেশন ছড়িয়ে যাক সর্বত্র
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ানরা যারা একাকীবোধ করেন তারা সাধারণত শারীরিক ক্রিয়াকলাপে কম যুক্ত, কর্মক্ষেত্রে কম উৎপাদনশীল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
একাকী অস্ট্রেলিয়ানদের বাকিদের তুলনায় হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা ৪ দশমিক ৬ গুণ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেশি।
'এন্ডিং লোনলিনেস টুগেদার' এর চেয়ারম্যান মিশেল লিম প্রতিবেদনে বলেন, ‘একাকীত্ব আমাদের সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং বিশ্বের অনেক দেশে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃত। যদিও একাকীত্বের ক্ষতিকারক স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত; তবে সম্প্রদায়ে সচেতনতা এবং এর জন্য ক্রিয়াকলাপ কম।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ‘লোনলিনেস অ্যাওয়ারনেস উইক’ শুরু হওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে টোটাল ফিটনেস ডে
লিম বলেন, ‘একাকীত্বকে দুর্বলতা বা দোষের লক্ষণ হিসেবে দেখা উচিত নয়। একাকীত্ব বোধ করা আমাদের জন্য একটি সহজাত সংকেত, যা যোগাযোগ বা সংযোগের জন্য আমাদের মৌলিক মানবিক চাহিদাকে মেনে নেওয়া ও এর সমাধানের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি বুঝতে পারাই হচ্ছে একটি সংযুক্ত অস্ট্রেলিয়া তৈরি করার প্রথম পদক্ষেপ।’
একাকীত্বের কথা জানানো ৩৯ শতাংশ মানুষ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় বাস করেন। এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তারা একাকী হওয়ার জন্য লজ্জা অনুভব করেন এবং ৫৮ শতাংশ বলেছেন, তারা এট সম্পর্কে কথা বলা এড়িয়ে চলেন।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার প্রবণতা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ
নিউজিল্যান্ডে হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজিল্যান্ডের রাজধানীতে একটি হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটনায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এসময় অন্য আরও অনেকে চারতলা ওই ভবন ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। মঙ্গলবার ওয়েলিংটন হাসপাতালের কাছে চারতলা একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান এটিকে সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন বলে অভিহিত করেছেন।
ওয়েলিংটন ফায়ার প্রধান নিক পিয়াট বলেছেন, ৫২ জন লোক ভবনটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে দমকলকর্মীরা এখনও অন্যদের জন্য হিসাব করার চেষ্টা করছেন।
লোফার্স লজের বাসিন্দা তালা সিলি নিউজ আউটলেট আরএনজেডকে বলেছেন যে তিনি তার দরজার নীচে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন। এরপর দরজা খুলে দেখেন সিঁড়িতে কালো ধোয়া।
আরও পড়ুন: ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
সিলি বলেন, ‘আমি উপরের তলায় ছিলাম এবং আমি সিঁড়ি দিয়ে যেতে পারিনি কারণ সেখানে খুব বেশি ধোঁয়া ছিল, তাই আমি জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, তিনি দোতলায় একটি ছাদে পড়ে যান।
সিলি আরএনজেকে বলেছেন, ‘এটি কেবল ভীতিকর ছিল, এটি সত্যিই ভীতিকর ছিল, কিন্তু আমি জানতাম যে আমাকে জানালা দিয়ে লাফ দিতে হবে, আর না হলে ভবনের ভিতরে জ্বলতে হবে।’
তিনি বলেছিলেন যে তাকে প্যারামেডিকরা ছাদ থেকে উদ্ধার করে এবং একটি মচকে যাওয়া গোড়ালির জন্য চিকিৎসা দেন।
লোফার্স লজ বিভিন্ন বয়সের লোকেদের জন্য শেয়ার্ড লাউঞ্জ, রান্নাঘর এবং লন্ড্রি সুবিধা সহ মৌলিক, সাশ্রয়ী মূল্যের কক্ষের সুবিধা দেয়। কিছু সরকারি সংস্থার দ্বারা সেখানে রাখা হয়েছিল এবং তাদের কাছে সম্পদ বা সহায়তা নেটওয়ার্কের পথে খুব কম ছিল বলে দুর্বল হিসেবে বিবেচিত।
হোস্টেলটি একটি শিল্প এলাকায় এবং একদিকে বিলবোর্ড রয়েছে। গাঢ় ধোঁয়ার দাগ বিল্ডিংয়ের উপরের তলায় বাইরের দেয়াল পর্যন্ত ছড়িয়েছে।
পিয়াট বলেন, প্রায় রাত সাড়ে ১২টায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের হোস্টেলে ডাকা হয়েছিল। জরুরি কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে ভবনটিতে কোনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছিলেন যে পুরানো বিল্ডিংগুলোর জন্য নিউজিল্যান্ডের বিল্ডিং কোডের প্রয়োজন নেই, যেগুলোকে পুনঃনির্মাণ করতে হবে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাসিন্দারা সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ভবনে ফায়ার অ্যালার্ম নিয়মিত বাজবে, সম্ভবত ধূমপানকারী বা অত্যধিক সংবেদনশীল ধুমপান পর্যবেক্ষণ করার জন্য। তাই অনেকেই প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন অ্যালার্মটি অন্যদের জন্য।
হিপকিন্স বলেছেন যে ভবনটি বর্তমানে পুলিশের প্রবেশের জন্য নিরাপদ নয় এবং নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের কিছুটা সময় লাগতে পারে। তিনি এএম মর্নিং নিউজ প্রোগ্রামকে বলেছেন যে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ছয়জন মারা গেছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
পুলিশ বলেছে যে তাদের সঠিক গণনা নেই, যদিও তারা বিশ্বাস করে যে মৃতের সংখ্যা ১০ এর কম।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন ‘এটি একটি পরম ট্র্যাজেডি। এটি একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।’ ‘সময়ের সাপেক্ষে অবশ্যই কী ঘটেছে এবং কেন এটি ঘটেছে সে সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তদন্ত হবে। তবে আপাতত, পরিস্থিতি মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। ’
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভবনটিতে থাকা দু’জন লোককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং দুজনের অবস্থাই স্থিতিশীল। অন্য তিনজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যখন ষষ্ঠ রোগী চিকিৎসা পাওয়ার আগে চলে যেতে চেয়েছিল।
দমকল বাহিনীর প্রধান পিয়াট বলেছেন, তার চিন্তাভাবনা তাদের পরিবারের সঙ্গে যারা নিহত হয়েছে এবং ক্রুদের সঙ্গে যারা উদ্ধার হতে পেরেছিল তারা এখনো যাদের উদ্ধার করা যায়নি তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
পিয়াট বলেন, ‘এটি আমাদের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন।’ ‘এটি এর চেয়ে খারাপ হয় না।’
ওয়েলিংটন সিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র রিচার্ড ম্যাকলিন বলেছেন, শহর এবং সরকারি কর্মকর্তারা প্রায় ৫০ জনকে সাহায্য করছেন যারা আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং একটি জরুরি কেন্দ্রে কাউন্সিলের একটি চলমান ট্র্যাকে স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ঝরনা এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি তাদের পরা পায়জামা নিয়ে ভবন থেকে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়ে অনেকেই স্পষ্টভাবে আতঙ্কিত এবং হতবাক।’
ওয়েলিংটন আঞ্চলিক হাসপাতালের কাছে লোফার্স লজ -এ ৯২টি কক্ষ রয়েছে।
ম্যাকলিন বলেন, হোস্টেল স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভাড়ার সংমিশ্রণ প্রদান করে। তার কাছে সমস্ত বিবরণ ছিল না। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় আবাসন সরবরাহ করতে ব্যবহার করেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে তিনি হিপকিন্সের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ান সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আলবেনিজ বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়ঙ্কর মানবিক ট্র্যাজেডি।’ ‘এই কঠিন সময়ে নিউজিল্যান্ডে আমাদের বন্ধুদের কাছে আমি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আমার সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৩টি বাড়ি ও ৮টি গরু
নিউজিল্যান্ডে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জ সোমবার ৭ দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এক টুইটে এই তথ্য জানিয়েছে।
এনসিএস-এর বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছিল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি টুইটে জানায়, ৭ দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্পটি ২৪ এপ্রিল নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জে সকাল ৬টা ১১ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীর সংঘটিত হয়।
এনসিএস-এর অনুসারে, নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জের অক্ষাংশ-২৯.৯৫, দ্রাঘিমাংশ-১৭৮.০২ এলাকা জুড়ে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
নেপালে ফের ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প
আদিবাসীদের সমর্থন করতে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ান আইন প্রণেতা
সংসদে তথাকথিত আদিবাসী ভয়েস তৈরির সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করতে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলের নেতৃত্ব থেকে একজন সিনিয়র আইনপ্রণেতা বিভক্ত হয়েছেন।
ভয়েস তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
একটি নির্বাচিত দল যাকে সংসদে আদিবাসীদের স্বার্থের ওকালতি করার জন্য অভিযুক্ত করা হবে কিন্তু আইনে ভোট দেওয়া হবে না।
রক্ষণশীল লিবারেল পার্টির শ্যাডো অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জুলিয়ান লিজার, যাতে তিনি ভয়েস তৈরির পক্ষে ওকালতি করতে পারেন। ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে লিজার সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে বাধ্য ছিলেন।
লিজার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভয়েসের সময় এসেছে।’ ‘আমি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলো থেকে টানা একটি জাতীয় কণ্ঠে বিশ্বাস করি এবং আমি এই বছর যে গণভোট করা হচ্ছে তাকে সমর্থন করব।’
সিনিয়র আইন প্রণেতারা ভয়েস-এ পার্টি লাইন অনুসরণ করার জন্য বিরোধী দলের নেতা পিটার ডাটনের সমালোচনা করা হয়েছিল।
আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী কেন ওয়াট, ভূমিকাটি পূরণ করার জন্য প্রথম আদিবাসী আইন প্রণেতা ভয়েসের বিষয়ে তার অবস্থানের জন্য গত সপ্তাহে লিবারেল পার্টি র সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার আসন হারান ওয়াট।
লিজার বলেছিলেন যে তিনি নেতা হিসাবে ডাটনের সমর্থক রয়েছেন।
লিজার বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্বেষ বা তিক্ততা ছাড়াই পদত্যাগ করছি। আমি একজন অনুগত লিবারেল রয়েছি। পিটার ডাটনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
লিজার আরও বলেন, ‘ফ্রন্ট বেঞ্চার হিসাবে আজ আমার পদত্যাগ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নয়। এটি বিশ্বাসের দড়ি দিয়ে বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করা এবং আমি যা তার অংশ।’
উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে টোরেস স্ট্রেট দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা মূল ভূখণ্ডের আদিবাসী জনসংখ্যা থেকে সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা। দুটি আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান জনসংখ্যার তিন দশমিক দুই শতাংশ এবং তারা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জাতিগোষ্ঠী।
ভয়েস মূলত ২০১৭ সালে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীর আইনজীবীদের একটি গ্রুপ দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ
অস্ট্রেলিয়ায় তাপদাহে ভেসে আসছে লাখ লাখ মরা মাছ
দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক মিলিয়ন মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে উঠেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন যে সাম্প্রতিক বন্যা এবং গরম আবহাওয়ার পরে নদীতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মেনিন্ডি শহরের আউটব্যাক শহরের বাসিন্দারা মৃত মাছের ভয়ানক গন্ধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় প্রকৃতির ফটোগ্রাফার জিওফ লুনি বলেছেন, ‘গন্ধ ভয়ানক ছিল, আমাকেও প্রায় একটি মুখোশ পরতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। উপরের দিকের সেই পানিশহরের জন্য আমাদের পাম্পিং স্টেশনে নেমে আসে। মেনিন্ডির উত্তরের বাসিন্দারা বলছে যে নদীর সর্বত্র কড এবং পার্চ ভাসছে।
প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে, বন্যা কমে যাওয়ার কারণে সম্ভবত অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে মাছের মৃত্যু হয়েছে। উষ্ণ আবহাওয়ায় মাছের আরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
পুলিশ এই সপ্তাহে একটি ব্যাপক পরিচ্ছন্নতার সমন্বয় করতে মেনিন্দিতে একটি জরুরি অপারেশন সেন্টার চালু করেছে।
স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন কন্ট্রোলার পিটার থারটেল বলেছেন, অবিলম্বে বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ওপর গুরুত্ব ছিল।
তিনি বলেন, ‘বাসিন্দাদের উদ্বেগের কোন প্রয়োজন নেই কারণ প্রাথমিক মূল্যায়নে মেনিন্দি টাউনশিপ এবং তার চারপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ বজায় রাখতে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাকার মাছ নিষিদ্ধ করেছে সরকার
রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোও এলাকায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য যেখানে সম্ভব উচ্চ-মানের পানি ছেড়ে দেয়া শুরু করেছে।
মেনিন্ডির বাসিন্দা জ্যান ডেনিং বলেছেন, ‘আমরা সবেমাত্র পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। তারপরে এটি ঘটেছে। এটি এমন যে আপনি একটি শুকনো জগাখিচুড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তারপরে আপনি এই গন্ধের গন্ধ পাচ্ছেন। এটি একটি ভয়ানক গন্ধ এবং এই সমস্ত মৃত মাছ দেখতে ভয়ঙ্কর।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহে ডার্লিং-বাকা নদীতে ব্যাপক মাছ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে একই স্থানে কয়েক হাজার মাছ পাওয়া গিয়েছিল, যখন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সীমান্তের কাছে পুনকারি এলাকায় মৃত মাছের অনেকগুলো খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৯ সালের শুরুর দিকে তীব্র খরা পরিস্থিতির সময় মেনিন্দিতে নদীতে প্রচুর মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা অনুমান করেছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন মাছের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!