���������������
ইউক্রেনের ২ শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
ইউক্রেনের দুটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এপি।
শহর দুটি হলো- ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বের কৌশলগত বন্দর মারিউপোল ও পূর্বাঞ্চলের ভলনোভাখার।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি ও তাস জানিয়েছে, শহর দুটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে অপসারণ রুটের বিষয়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।
তবে তাৎক্ষনিকভাবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এটি নিশ্চিত করা যায়নি এবং এ অপসারণ রুট কতদিন খোলা থাকবে তাও স্পষ্ট না।
আরও পড়ুন:পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটিতে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর দমনমূলক ব্যবস্থা তীব্রতর করেছেন। এছাড়া দেশটিতে ‘ভুয়া’ প্রতিবেদন ছড়ানোকে অপরাধ গণ্য করে একটি আইন পাস করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার; ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি, জার্মান ডয়েসে ভেলে, লাটভিয়া ভিত্তিক ওয়েবসাইট মেডুজাকে রাশিয়ায় নিষদ্ধ করা হয়েছে।
রুশ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসকোমনাডজোর জানায়, তারা প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করেছেন। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা রুশ সরকারের নিষিদ্ধ করা আধেয় মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল চায় ইউক্রেন
শুক্রবার বিকালে টুইটার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়ায় তাদের প্লাটফর্ম বন্ধের বিষয়ে জ্ঞাত রয়েছে। তবে বিষয় সেটা কি না তারা এখনও নিশ্চিত নয়।
রুশ সংসদের উভয় কক্ষে পাস হওয়া আইনে বলা হয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর দায়ে তিন বছর পর্যন্ত সাজা বা জরিমানা এবং ‘গুরুতর পরিণতি’ রয়েছে এমন ক্ষেত্রে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
রুশ সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোডিন বলেছেন, এই ব্যবস্থা ‘যারা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করে এমন বিবৃতি দিয়েছে এবং তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করবে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিভল
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে তারা রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। এদের মধ্যে সিএনএন ও ব্লুমবার্গও রয়েছে। এছাড়া বিবিসি রাশিয়ায় কর্মরত তাদের সাংবাদিক কাজ সাময়িক স্থগিত করেছে।
ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিভল
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে দেশটির জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে লাগা আগুন নেভানো হয়েছে। শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। তবে রুশ বাহিনী ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বলেও জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার ভোরে রুশ হামলায় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এ প্লান্ট থেকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ আসে।
দেশটির এনেরহোদার শহরের মেয়র দিমিত্রো অরলভ শুক্রবার সকালে বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নেভানো হয়েছে।
ইউক্রেনের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লির এক নম্বর বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এর পাওয়ার ইউনিট সুরক্ষার কোনো ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপারেশনাল কর্মীরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। এছাড়া ওই এলাকায় বিকিরণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল না। তবে এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ হামলার পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতা ফোনালাপ করেছেন। এছাড়া মার্কিন জ্বালানি বিভাগ সতর্কতা হিসাবে এর নিউক্লিয়ার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে সক্রিয় করেছে।
এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, গোলা সরাসরি জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়ছিল এবং এর ছয়টি চুল্লির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওই চুল্লিটি কাজ করছে না এবং সংস্কার করা হচ্ছে। তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।
জাপোরিঝিয়ার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় করা পরিমাপে দেখা যায় এই অঞ্চলে বিকিরণের মাত্রা ‘অপরিবর্তিত এবং জনসংখ্যার জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে না’।
এদিকে এ হামলার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করবেন বলে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জনসন শুক্রবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটেন অবিলম্বে রাশিয়া ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান।
মধ্যরাতে একটি আবেগঘন বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি একটি বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছিলেন যা ‘সবাইকে শেষ করে দেবে। ইউরোপকে শেষ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপের জরুরি পদক্ষেপই রুশ সেনাদের থামাতে পারে। একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপর্যয় থেকে ইউরোপ ধ্বংসের অনুমতি দেবেন না।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করবেন বলে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়। শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় সেটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর এমন ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জনসন শুক্রবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটেন অবিলম্বে রাশিয়া ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান।
জনসনের কার্যালয় বলছে, তিনি ও জেলেনস্কি একমত যে রাশিয়াকে অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রে জরুরি পরিষেবার নিরবচ্ছিন্ন প্রবশের অনুমতি দিতে হবে। এ সময় তারা যুদ্ধবিরতি অপরিহার্য বলেও সম্মত হন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আরও এক ভারতীয় শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ এখন সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তিনি বলেছেন (যুক্তরাজ্য) পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করবে।’
এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার বিষয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এ প্লান্ট থেকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ আসে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, গোলা সরাসরি জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়ছিল এবং এর ছয়টি চুল্লির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওই চুল্লিটি কাজ করছে না এবং সংস্কার করা হচ্ছে। তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের ভারী অস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধের দাবি জনাই। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরমাণু বিপদের সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে।’
দমকলকর্মীদের গুলি করা হচ্ছে বলে তারা আগুন নেভাতে এর কাছে যেতে পারেছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানায়, ইউক্রেনীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে রুশ সেনাদের হামলার শিকার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকিরণের মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের মহাপরিচালক মারিয়ানো গ্রসি ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল ও দেশটির নিয়ন্ত্রক ও অপারেটরের সঙ্গে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে যোগাযোগ করছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চুল্লিগুলো এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
রাশিয়ার হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে শুক্রবার ভোরে দেশটির জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে গেছে। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এ প্লান্ট থেকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ আসে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, গোলা সরাসরি জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়ছিল এবং এর ছয়টি চুল্লির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওই চুল্লিটি কাজ করছে না এবং সংস্কার করা হচ্ছে। তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের ভারী অস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধের দাবি জনাই। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরমাণু বিপদের সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে।’
দমকলকর্মীদের গুলি করা হচ্ছে বলে তারা আগুন নেভাতে এর কাছে যেতে পারেছেন না বলেও জানান তিনি।
এদিকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানায়, ইউক্রেনীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে রুশ সেনাদের হামলার শিকার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকিরণের মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের মহাপরিচালক মারিয়ানো গ্রসি ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল ও দেশটির নিয়ন্ত্রক ও অপারেটরের সঙ্গে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে যোগাযোগ করছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চুল্লিগুলো এখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা বেলারুশে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তিনি ও অন্যান্য ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বেলারুশে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
তিনি আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন-
১। তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি;
২। অস্ত্রবিরতি;
৩। ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্রমাগত হামলার শিকার গ্রাম ও শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য মানবিক করিডোর।
এর আগে রবিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অষ্টম দিন: যা যা জানতে হবে
যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অষ্টম দিন: যা যা জানতে হবে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বেলারুশে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। আট দিন আগে দেশটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। হামলা চালানোর পর দু’দেশ দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনায় বসছে।বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রুশ সেনারা দেশটির কোনো শহর দখল করেছে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।রুশ সেনাদের ‘বিভ্রান্ত শিশু’ উল্লেখ করে তাদের ‘দেশে ফিরে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা এখানে কোনো শান্তি পাবে না।’ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য এমন সময়ে করলেন যখন রাশিয়া হামলার শুরুর পর থেকে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে তাদের ৫০০ জনের মতো সেনা নিহত এবং প্রায় এক হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে। তবে কতজন ইউক্রেনীয় সেনা হতাহত হয়েছে এমন কোনো তথ্য দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জটিলতার মুখেজাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসনের শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে কমপক্ষে ২২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫২৫ জন আহত হয়েছেন। তবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। তবে তাদের এমন দাবি যাচাই করা অসম্ভব।এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে হামলার পর থেকে ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন ১০ লাখ মানুষ। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান করেছে।সহিংসতা নিয়ে যে সব প্রধান বিষয় জানতে হবে:সম্ভাব্য আলোচনাবুধবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা করতে তাদের প্রতিনিধি দল পথে রয়েছে। তবে প্রতিনিধি দল কখন পৌঁছাবে সেটি জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করল নরওয়ে ও জার্মানিপ্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ও রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি সাংবাদিকদের বলেছেন, পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী বেলারুশের ব্রেস্ট অঞ্চলে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।ইউক্রেনে সহিংসতাজেলেনস্কির কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবার রাতে কিয়েভের দক্ষিণ রেলওয়ে স্টেশন ও ইবিস হোটেলের মধ্যে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে। আর এর পাশেই রয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।ইউক্রেনীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআইএএন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভের প্রধান স্বাস্থ্য প্রশাসক সেরহি পিভোভারকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শহরটির একটি হাসপাতালে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।তিনি বলেন, হাসপাতালের মূল ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করছে।মারিউপোলে রুশ বোমা হামলায় কমপক্ষে এক কিশোর মারা গেছে এবং দুজন আহত হয়েছে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তারা একটি বিদ্যালয়ের কাছে ফুটবল খেলছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যানবাহনসহ ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি রুশ সেনাবহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থান করছে।রাশিয়া বলছে, রুশ সেনারা ইউক্রেনের বন্দর শহর খেরসন দখল করেছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তা অস্বীকার করেছে। এছাড়া রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বোমা হামলা করছে এবং দুটি কৌশলগত সমুদ্রবন্দর অবরোধ করেছে।মানবিক পরিস্থিতিজাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি টুইটারে লিখেছেন, ইউক্রেন থেকে গত সাতদিনে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ১০ লাখ মানুষ গিয়েছেন। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার দুই শতাংশ। তবে তাদের মধ্যে অন্য দেশের কিছু নাগরিকও রয়েছেন।জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলছে, ৪০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করতে পারেন। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালে ইউক্রেনে চার কোটি ৪০ লাখ মানুষ ছিল।জাতিসংঘের নিন্দা ও যুদ্ধাপরাধের তদন্তবুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ এবং সব সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেয়। জাতিসংঘের ১৪১টি দেশ পক্ষে এবং পাঁচটি দেশ বিপক্ষে এবং ৩৫টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই ভোট ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ‘বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের মাত্রা প্রদর্শন করে।’আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর বুধবার ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রসিকিউটর করিম খান বলেছেন, এ আদালতের ৩৯টি সদস্য রাষ্ট্র এ বিষয়ে তদন্তের অনুরোধ করার পর তিনি তা করেছেন।তবে রাশিয়া বা ইউক্রেন, কোনো দেশই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়।নিষেধাজ্ঞা কী রাশিয়াকে আঘাত করছে?হোয়াইট হাউস রাশিয়া ও বেলারুশের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রুশ তেল পরিশোধন এবং উভয় দেশের সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করা প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো।ইউরোপ ও কানাডার মতো যুক্তরাষ্ট্রও রুশ এয়ারলাইন্সের জন্য তাদের দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।এছাড়া এয়ারবাস ও বোয়িং জানিয়েছে, তারা রুশ বিমান সংস্থার জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বন্ধ করবে। ফরাসি ভিত্তিক এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বোয়িং অধিকাংশ রুশ যাত্রীবাহী বিমান সরবরাহ করে থাকে।এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার অতি উচ্চ বিত্তবানদেরও আনা হয়েছে যারা ইউরোপজুড়ে সম্পত্তির মালিক এবং তাদের সন্তানদের অভিজাত ইউরোপীয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠান।এছাড়া সাধারণ রুশ নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছেন।
পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনের
ইউক্রেনে হামলার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে রাশিয়াকে ‘মূল্য দিতে না হলে’ এ হামলা এক দেশে থামবে না।
জো বাইডেন তাঁর প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে পুনরুজ্জীবিত পশ্চিমা জোটের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জোটটি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে পুনরায় সজ্জিত করতে এবং (রাশিয়ার ওপর) কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কাজ করছে। এর ফলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বিশ্বে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছেন’ বলে দাবি করেছেন বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসের পাঠ থেকে এটা শিখেছি যখন স্বৈরশাসকরা তাদের আগ্রাসনের মূল্য দেয় না তখন তারা আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা চলতে থাকে। আমেরিকা ও বিশ্বের জন্য খরচ ও হুমকি ক্রমাগত বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
এদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের খারকিভের সেন্ট্রাল স্কোয়ারের রক্তপাত এবং রাজধানীর একটি টিভি টাওয়ারে মারাত্মক বোমা হামলার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জনবহুল শহরগুলোতে রুশ হামলা বৃদ্ধিকে নির্লজ্জ সন্ত্রাসী অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ ক্ষমা করবে না। কেউ ভুলবে না।’ এছাড়া সেন্ট্রাল স্কোয়ারে হামলাকে তিনি যুদ্ধাপরাধ বলেও অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে খারকিভে বুধবারেও হামলা চলছে। যদিও রাশিয়া সন্ধ্যায় আলোচনার কথা বলেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা জানায়, দেশটির আঞ্চলিক পুলিশ ও গোয়েন্দা সদরদপ্তরের রুশ হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য মতে, বুধবার হামলায় চারজন নিহত, ৯ জন আহত এবং উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১০ জনকে উদ্ধার করেছেন।
শত শত রুশ ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানবাহন নিয়ে ৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ার সেনাবহর কিয়েভের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া রুশ বাহিনী ওডেসা ও মারিউপোলসহ অন্যান্য শহরে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: পুতিনকে সমর্থন করায় মিউনিখ ফিলহারমোনিক থেকে গারগিয়েভকে অব্যাহতি
যুদ্ধ চলতে থাকায় ইউক্রেনে মানবিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। প্রায় ছয় লাখ ৬০ হাজার নাগরিক দেশ ত্যাগ করেছেন এবং অসংখ্য মানুষ ভূগর্ভে আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও অস্পষ্ট। রাশিয়া বা ইউক্রেন- কোনো দেশই কতজন সেনা নিহত হয়েছে সে তথ্য প্রকাশ করছে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, তারা ১৩৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের বিষয় নিশ্চিত করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই আরও বেশি হবে।
যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
রাশিয়া ও ইউক্রেন তাদের যুদ্ধ নিয়ে পুনরায় আলোচনা করতে রাজি হয়েছে। তবে আলোচনার স্থান ও সময় এখনও জানা যায়নি। এছাড়া আলোচনার মাধ্যমে চলমান যুদ্ধের অগ্রগতি হবে এমন আশাও কম।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, দিনের দ্বিতীয় ভাগে, সন্ধ্যার কাছাকাছি সময়ে তাদের প্রতিনিধি দল ইউক্রেনের আলোচকদের জন্য অপেক্ষা করবেন।
ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, তাঁর দেশের কর্মকর্তারা নতুন আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে স্থানের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এছাড়া কিয়েভ রাশিয়ার কোনো আল্টিমেটাম মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুতিনকে সমর্থন করায় মিউনিখ ফিলহারমোনিক থেকে গারগিয়েভকে অব্যাহতি
কুলেবা বলেছেন, রাশিয়ার দাবি এখনও একই রয়েছে যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ শুরুর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেছেন, পুতিনের সংস্কৃতি উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডিনস্কিই রাশিয়ার প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে গত রবিবার বেলারুশ ও ইউক্রেন সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে প্রথম দফা আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত করবে আইসিসি
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর কারণে দেশটিতে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তদন্ত শুরু করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান।
তিনি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবেন। এ সময় তিনি ‘সংযত ও আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের প্রযোজ্য নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পরবর্তী শান্তি আলোচনা বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, তার কার্যালয় বৃহস্পতিবার থেকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে সাত শিশুসহ ১০২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩০৪ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য রাষ্ট্র নয় ইউক্রেন ও রাশিয়া। ইউক্রেন আদালতের এখতিয়ার মেনে নিয়েছে যা করিম খানকে তদন্তের ক্ষমতা দিয়েছে।
করিম খান তার দলকে অপরাধের প্রমাণ কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তা খুঁজতে বলেছেন এবং এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ হলো তদন্তের জন্য আদালতের বিচারকদের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া।
আরও পড়ুন: ৫৭১০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের