���������������������-���������-���������������������
ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ উদ্বোধন করলেন পলক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কিশোর ও কিশোরীদের জন্য প্রথম বাংলাদেশি ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ (www.hasinaandfriends.gov.bd) এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস.বিডি ডোমেইন থেকে খেলতে খেলতে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ডিজিটাল সংযোগ নিয়ে জানতে পারবেন। খেলতে খেলতে তারা পুরস্কারও পাবেন। এর আগে শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য শতভাগ বাংলাদেশি কোনো লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ছিল না।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
প্রতি বছরই ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ ফেস্টিভ্যাল হবে বলে তিনি জানান।
‘আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, একজন ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ ও দেশপ্রেমিক একজন নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জানতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তার রাজনৈতিক দর্শনকে জানতে হবে এবং অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মন নিয়ে বড় হতে হবে। কারণ দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উন্নত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলতেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।
শেখ হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস গেমিং প্ল্যাটফর্ম টি অনন্য সাধারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৃজনশীল, উদার, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ২০২১ সালের 'ডন্ট লুক আপ' সিনেমাটি দেখেছেন? যেখানে দু'জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধুমকেতুর বিষয়ে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করে!
সিনেমাটি না দেখে থাকলেও সমস্যা নেই। একটু ভাবুনতো, গ্রহাণু বা ধুমকেতু প্রবল বেগে ধেয়ে এসে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে! ভাবতেই গায়ে কাটা দেয় তাই না! মার্কিন মহাকাশ সংস্থাও (নাসা) বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করেছে এবং অনেক আগে থেকেই তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মহাকাশে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে বহুকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছিল একটি গ্রহাণু। এটিকে লক্ষ্য করেই নাসার এক মহাকাশযান প্রতি ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল বেগে তেড়ে যায়। লক্ষ্যবস্তুর সাথে বাঁধে সংঘর্ষ। বলে রাখা ভালো, এই সংঘর্ষ কিন্তু সুপরিকল্পিত।
নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান ও ডিমরফোস নামক ৫২৫ ফুট চওড়া গ্রহাণুর মধ্যে সোমবার পূর্ব সময় (ইটি) সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মতো মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহাকাশীয় বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তু ধেয়ে আসলে তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলকে কাজে লাগিয়ে ধ্বংস করে সজীব এই গ্রহকে রক্ষা করা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১০০ বছরে বড় আকারের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করছে না। তাছাড়া অনায়াসে অন্যান্য গ্রহ, গ্রহাণু বা মকাশীয় বস্তুর গতিপথ মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে ছোটখাটো কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
ডার্ট মিশনকে পরিচালনাকারী মেরিল্যান্ডের লরেলে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারের (এপিএল) একজন হচ্ছেন ন্যান্সি চ্যাবট। তিনি বলেন, ‘গ্রহাণু দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বিষয়ে আমি সত্যিই ঘুম হারাচ্ছি না, তবে আমি এমন একটি বিশ্বে বাস করার বিষয়ে উত্তেজিত যেখানে আমরা ভবিষ্যতে এটিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু এটা কি উত্তেজনাপূর্ণ নয় যে আমরা কল্পবিজ্ঞান থেকে বাস্তবতায় যাচ্ছি?’
সেই বাস্তবতাকে রূপ দেয়ার অনুশীলন হিসেবেই নাসা ডার্টকে গ্রহাণুটি ধ্বংস করার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। এই প্রথম প্রচেষ্টার মিশনটির জন্য খরচ করতে হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং কখনও কখনও এর জন্য কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর তাই সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে গবেষকরা একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনের কৌশল তৈরি করছেন।
প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) কৌশলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রোটিন ও ওষুধের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে তারা এটি তৈরির চেষ্টা করছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তারা প্রায় ৯৭ শতাংশ সফলতা পাওয়ার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিফিংস ইন বায়োইনফরমেটিক্স জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ ও প্রোটিনের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ার ফলে প্রতিটি প্রোটিন মিশ্রনকে ভাষায় প্রকাশ করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে হওয়া এই জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এএনআই জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ও এই গবেষণার একজন সহ-লেখক ওজলেম গারিবে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের কিছু কাজ এআই এর দ্বারা করা যাবে। আপনি প্রোটিন ও ওষুধের মিথস্ক্রিয়াগুলোর মধ্যকার বৈচিত্র্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন এবং খুঁজে বের করতে পারেন যে কোনটিকে এক করা সম্ভব আর কোনটি সম্ভব না।’
আরও পড়ুন: ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
তারা যে মডেলটি তৈরি করেছে তা অ্যাটেনশনডিটিআই নামে পরিচিত। প্রোটিন মিশ্রনের ভাষা ব্যবহার করে ব্যাখ্যাযোগ্য হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ পদ্ধতিটি ওষুধ গবেষকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে কার্যকরী বৈশিষ্ট্যসহ জটিল প্রোটিন বন্ধন শনাক্ত করা যায়। যার মাধ্যমে একটি ওষুধ কাজ করবে কি না তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) শনিবারের পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান রকেট উৎক্ষেপণ বিপজ্জনক জ্বালানি ত্রুটির কারণে আবারও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ট্যাংকের জ্বালানি নির্গতজনিত সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রকদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যা মাস পর্যন্তও গড়াতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
৩২২ ফুট উঁচু স্পেস লঞ্চ সিস্টেম নাসার এ পর্যন্ত নির্মিত শক্তিশালী রকেটটির সোমবারের চেষ্টাতেও হাইড্রোজেন জ্বালানি ত্রুটি দেখা দেয়। তবে তা তুলনামূলক কম ছিল। তবে একই সমস্যা এ বছরের শুরুর দিকে পরীক্ষামূলক চেষ্টাটি বড় আকারের ছিল।
নাসার কর্মকর্তাদের মতে, আরও মেরামত ও সিস্টেম আপডেটের জন্য মিশন ব্যবস্থাপকরা রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডে রেখেছে। যেখানে নানা পরীক্ষা চালিয়ে দেখা হবে। এ কাজ করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দুই সপ্তাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চেষ্টা সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরে করা হতে পারে। নাসা আপাতত অক্টোবরের শুরুতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি বেশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত স্পেসএক্স মহাকাশচারী ফ্লাইট নিয়ে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জোর দিয়ে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। কারণ পরীক্ষামূলক এই চেষ্টার ওপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে নভোচারীদের সশরীরে চাঁদে পা রাখার সফলতা।
তিনি বলেন, ‘শুধু মনে রাখবেন যে এটি সঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা উৎক্ষেপণ করছি না।’
উৎক্ষেপণ পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন ও তার দল ভোরবেলায় স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটে প্রায় ১০ লাখ গ্যালন জ্বালানি ঢালা শুরু করতেই নিচের দিকে ইঞ্জিন অংশে জ্বালানি নির্গতজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা পূর্বে ছোট ছিদ্রগুলো যেভাবে বন্ধ করেছিল সেভাবে চেষ্টা করে দেখে। সরবরাহ লাইনের একটি সীলের চারপাশে ফাঁক বন্ধ করার আশায় অতি ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেনের প্রবাহ বন্ধ করে পুনরায় চালু করে দেখেছেন তারা। তারা দুবার চেষ্টা করেছিল এবং লাইনের মধ্য দিয়ে হিলিয়ামও প্রবাহিত করেছিল। তবুও সমাধা হয়নি।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে থামিয়ে দেয়।
মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঠিক কি কারণে সমস্যাটি হয়েছে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে সকালে হাইড্রোজেন লাইনের অসাবধানতাবশত অত্যধিক চাপের কারণে কেউ একজন ভুল ভাল ঘুড়ানোর কারণে হতে পারে।
সারাফিন বলেন, ‘এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিদ্র ছিল না। নির্গত হাইড্রোজেন দুই বা তিনবার দাহ্য সীমা অতিক্রম করেছে।’
চাঁদে নভোচারীদের ক্যাপসুল পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যেই নাসা অনেক বছর অপেক্ষা করেছে। ছয় সপ্তাহের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হলেই ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথ দিয়ে রকেট প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে নভোচারী চাঁদে পা রাখতে পারবে। এর আগে মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল ৫০ বছর আগে।
হাজার হাজার দর্শনার্থী যারা ফ্লোরিডার উপকূলে ভিড় জমিয়েছিল তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
উল্লেখ্য, গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) আজ (শনিবার) পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জন্য নতুন চন্দ্রযান রকেটটি উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। সোমবারের প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইঞ্জিন ট্যাংকের ছিদ্রজনিত সমস্যা ও ইঞ্জিনের একটি খারাপ সেন্সর ঠিক করা হয়েছে।
৩২২ ফুট উচ্চতার নাসার এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারের স্টেশনেই নভোচারীবিহীন দাঁড়িয়ে আছে। নাসার ব্যবস্থাপকরা তাদের পরিকল্পনায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং অনুকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছেন। তাই কেনেডি স্পেস সেন্টারে রকেটটির উৎক্ষেপণের ঘড়ি আবার শুরু করা হয়েছে।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানিয়েছেন, তিনি এই দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ চেষ্টায় যেতে আগের চেয়েও আত্মবিশ্বাসী। কারণ প্রকৌশলীরা প্রথম চেষ্টা থেকে সবকিছু জেনে নিয়েছে।
নভোচারী জেসিকা মেয়ারও তাই মনে করেন। নাসার প্রাথমিক চন্দ্রাভিযানের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জেসিকার নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
শুক্রবার জেসিকা এপিকে বলেছেন, ‘এই যাত্রার জন্য আমরা সবাই উত্তেজিত। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা তখনই যাব যখন আমরা প্রস্তুত এবং আমরা এটিকে ঠিকভাবে পাব। কারণ পরের মিশনে মানুষ থাকবে। আমিও থাকতে পারি, অথবা আমার বন্ধুদের মধ্যে কেউ।’
রকেটটিতে যে চারটি ইঞ্জিন রয়েছে তার একটি উৎক্ষেপণের আগে ইঞ্জিন চালু করার সময় পর্যাপ্ত ঠান্ডা হচ্ছিল না। হানিকাটের মতে হাইড্রোজেন জ্বালানির তাপমাত্রা প্রয়োজন ছিল মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু তার চেয়েও পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল। তবে অন্য ইঞ্জিনগুলো ঠিক ছিল।
রকেটটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার জন হানিকাট বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে নিশ্চিত করতে পেরেছি যে ইঞ্জিনগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ভালো মানের তরল হাইড্রোজেন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
হানিকাট আরও বলেন, শনিবার সকালে ইঞ্জিন জ্বালানি দিয়ে ভর্তি করা হলে উৎক্ষেপণ দল সময়ের আগেই ইঞ্জিন পরখ করে দেখবে। সমস্যা তৈরি করা সেন্সরটি যদি আবারও অতিরিক্ত তাপমাত্রার পাঠ দেয় তবুও অন্যান্য সেন্সর থেকে ইঞ্জিনের তাপ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে এবং এর ফলে সমস্যা হলে উৎক্ষেপণ বন্ধ করতে হবে কি-না তা জানা যাবে।
নেলসন বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত জটিল মেশিন ও সিস্টেম, সেখানে রয়েছে লাখ লাখ যন্ত্রাংশ। প্রকৃতপক্ষে এখানে ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু এই ঝুঁকিগুলো কি গ্রহণযোগ্য নয়? আমি বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার ভূমিকা হচ্ছে তাদের মনে করিয়ে দেয়া যে আপনি এমন কোনো সুযোগ গ্রহণ করবেন না যা গ্রহণযোগ্য ঝুঁকি নয়।’
গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস। যার সফলতার ওপর নির্ভর করছে নভোচারীদের ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ এবং ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জন্য শনিবার আবারও নতুন চন্দ্রযান রকেটটির উৎক্ষেপণ করবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা)। সোমবার উৎক্ষেপণের প্রথম চেষ্টা ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়।
রকেটটির ইঞ্জিনের জ্বালানি ট্যাংক ও সেন্সরের ত্রুটির জন্যই সমস্যায় পড়তে হয় নাসাকে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, সমস্যাটির সমাধানে মঙ্গলবার জ্বালানি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
৩২২ ফুট উচ্চতার নাসার এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারের স্টেশনেই নভোচারীবিহীন দাঁড়িয়ে আছে।
স্পেস লঞ্চ সিস্টেম নভোচারীবিহীন ক্যাপসুলটিকে (কক্ষ) চাঁদের কক্ষপথে পাঠানোর চেষ্টা করবে। ক্যাপসুলে নভোচারী না থাকলেও থাকবে মানব আকৃতির তিনটি ডামি। এই উৎক্ষেপণ যদি সফল হয় তাহলে নাসার ‘অ্যাপোলো’ প্রোগ্রামের ৫০ বছর পর চাঁদের চারিদিকে প্রদক্ষিণের সফলতা আসবে।
নাসার রকেট প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক জন হানিকাট বলেন, ‘আমাদের টেকনিকাল টিমের কাছ থেকে যা জানতে পারলাম, তাতে আমাদের কাছে যা ডেটা আছে সেগুলোতে বারবার চোখ বুলাতে হবে এবং আমাদের পরিকল্পনাকে ঘষামাজা করে উৎক্ষেপণের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে হবে।’
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
রকেটটিতে যে চারটি ইঞ্জিন রয়েছে তার একটি উৎক্ষেপণের আগে ইঞ্জিন চালু করার সময় পর্যাপ্ত ঠান্ডা হচ্ছিল না। হানিকাটের মতে হাইড্রোজেন জ্বালানির তাপমাত্রা প্রয়োজন ছিল মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু তারচেয়েও পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল। তবে অন্য ইঞ্জিনগুলো ঠিক ছিল।
হানিকাট বলেন, শনিবারের চেষ্টায় সকালের দিকে জ্বালানি ভরা হলে উৎক্ষেপণের আধা ঘণ্টা আগেই শীতলীকরণ প্রক্রিয়া চালানো হবে। গতবছরের সফল পরীক্ষায় শীতলীকরণের বিষয়টি পূর্বেই করা হয়েছিল। তাই এবার সেটা তাড়াতাড়ি প্রয়োগ করতে হবে।
হানিকাট একটি ইঞ্জিনের সেন্সর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে সেন্সরটি যথাযথ ডেটা দিতে পারেনি।
গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস। যার সফলতার ওপর নির্ভর করছে নভোচারীদের ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ এবং ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
জ্বালানি ট্যাংকে ছিদ্র থাকার কারণে সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযানের রকেট উৎক্ষেপণ বাধাগ্রস্ত হয়।
ত্রুটি টের পেয়ে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকটি বন্ধ করে দেন।
উপকূলে বজ্রপাতের কারণে ইতোমধ্যে তাদের ঘণ্টাখানেক দেরি হয়ে যায়। এরপর ফের পুরো প্রক্রিয়া চালু করলে অ্যালার্ম বেজে ওঠায় আবারও তাদের থামতে হয়।
মহাকাশ সংস্থাটির দাবি ৩২২ ফুট এই রকেটটি এপর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। এমনকি ‘স্যাটার্ন ভি’ নামের যে রকেটটিতে করে অর্ধ শতাব্দী আগে নভোচারীরা চাঁদে গিয়েছিল সেটির চেয়েও শক্তিশালী।
এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ যদি সফল হয় তাহলে রকেটে নভোচারী বিশিষ্ট ক্যাপসুল (কক্ষ) স্থাপন করা হবে। যা ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার চাঁদের কক্ষপথ (লুনার অরবিট) প্রদক্ষিণ করবে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণ প্রস্তুতিতে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে অবস্থিত রকেটটির ক্যাপসুলে কোনো নভোচারী ছিল না। এর পরিবর্তে মানব আকৃতির তিনটি ডামি রাখা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে সেগুলো ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে।
এখনও কোনো উৎক্ষেপণ না করা হলেও স্পেস লঞ্চ সিস্টেম দেখতে হাজার হাজার মানুষ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে ভিড় করছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার স্বামীর সঙ্গে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে এসেছিলেন নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। কিন্তু উৎক্ষেপণে বাধা পড়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করতে হয়।
জানা যায়, আগামী শুক্রবারের আগে পরবর্তী উৎক্ষেপণ চেষ্টা করা হবে না।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
শুক্রাণু ও ডিম্বানু ছাড়াই ‘স্টেম সেল’ থেকে ইঁদুরের কৃত্রিম (সিন্থেটিক) ভ্রূণ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবারে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপতত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যার গবেষক হচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ম্যাগডালেনা জের্নিকা-গোয়েটজ ও তার সহকর্মীরা।
স্টেম সেল হচ্ছে প্রাণীদেহের আদি কোষ। যা ব্যবহার করে নতুন কোষ তৈরি করা যায়।
পরীক্ষাগারে তৈরি করা এই ভ্রূণ নিষিক্তকরণের সাড়ে আটদিন পর্যন্ত একটি প্রাকৃতিক ইঁদুর ভ্রুণের মতো কাঠামো বহন করে যা অনেকটা স্পন্দিত হৃদয়ের মতো।
বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক বিকাশ পর্ব ও বিস্তার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা এই কৃত্রিম ভ্রুণ ব্যবহার করবেন বলে আশা করছেন। এতে জীবিত প্রাণী হত্যার প্রয়োজন পরবে না। তাছাড়া এটি ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরির ভিত্তি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
স্পেনের ন্যাশনাল বায়োটেকনোলজি সেন্টারের একজন গবেষক অধ্যাপক লুইস মন্টোলিউ বলেন,‘নিঃসন্দেহে আমরা একটি নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মুখোমুখি হচ্ছি,যদিও এখন তা অপ্রতুল। তবে রয়েছে অবারিত সম্ভাবনা।’
গবেষণাপত্রটিতে কৃত্রিক ইঁদুর ভ্রুণ সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দেয়া আছে।
ইসরায়েলের উইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের জ্যাকব হানা ও তার সহকর্মীদের অনুরূপ একটি গবেষণাপত্র সেল জার্নালে মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়। নেচারে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের একজন সহলেখক হচ্ছেন হানা।
আরও পড়ুন: মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
আগামী সপ্তাহে নতুন চন্দ্রাভিযান রকেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, যা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেবে। তবে আপাতত রকেটটিতে কোনো নভোচারী থাকবে না।
৩২২ ফুট উঁচু রকেটটি প্রাথমিকভাবে খালি ক্যাপসুল (নভোচারীদের জন্য) নিয়ে দূরবর্তী চন্দ্র কক্ষপথ দিয়ে প্রদক্ষিণের চেষ্টা করবে। নাসার বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো’-এর ৫০ বছর পর এই চেষ্টা করা হবে। পুরো পরিকল্পনায় বড় আকারের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সাল নাগাদ নভোচারীরা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হবে।
সোমবার সকালে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বিষয়টি জানানো হয়। নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, ছয় সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষামূলক এই উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো বিষয় ব্যর্থ হলে সময় কমিয়ে আনতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
বুধবার নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এপিকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিবো এবং পরীক্ষা চালাবো। আমরা যতটা পারি নিরাপদ করার জন্য কোনো নভোচারীকে রাখছি না।’
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা (অবসরপ্রাপ্ত) জন লংসডন বলেন, যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ক্রম বর্ধমান খরচ ও দুটি উড্ডয়নের মাঝে দীর্ঘ বিরতি পুরো প্রক্রিয়া কঠিন করে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদ, মঙ্গল ও এর চেয়েও বড় কোনো অভিযানের টেকসই পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। তবে বড়ধরনের ত্রুটির সম্মুখীন হলে যুক্তরাষ্ট্র কি চালিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে?
একক অভিযানের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এক দশক আগে নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের প্রথম কোভিভ-১৯ শনাক্তকরণ কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
রবিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব বিসিএসআইআর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ বাংলাদেশের প্রথম কিট উদ্ভাবনের এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিসিএসআইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ কিট উদ্ভাবন করেছে। ‘বিসিএসআইআর কোভিড’ কিট নামে এ কিটটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য সহজ ও দশগুণ সাশ্রয়ী পদ্ধতি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকাতরে টাকা দেন। বিজ্ঞানীদের গবেষণায়ও প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন ও ল্যাব প্রতিষ্ঠা করছে সর্বোচ্চ মানের।
আরও পড়ুন: শিশুদের করোনার পরীক্ষামূলক টিকাদান শুরু ১১ আগস্টবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরাও পারি, বাঙালি পারে। বাঙালির মেধা ভিন্ন দেশে আগে কাজ করতো, এখন থেকে নিজ দেশেও বাঙালিরা অনুপ্রেরণা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণটাই আমদানি করতে হয়, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। এছাড়া করোনাভাইরাস ঘন ঘন তার জিনগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক কিটগুলোর শনাক্তকরণে সেনসিটিভি ও স্পেসিফিকেশনে হ্রাস পাচ্ছে, যা অনেক ক্ষেত্রে ভুল ফলাফল দিতে পারে। সার্স কোভ-২ শনাক্তকরণে কিউআরটি-পিসিআর টেস্টকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। বর্তমানে যে কিউআরটি-পিসিআর কিট ব্যবহৃত হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ, প্রতিটি পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কিন্তু বিসিএসআইআর উদ্ভাবিত এই কিটে মাত্র ২৫০ টাকা খরচ হবে।ফলে বিপুল আমদানি খরচ থেকে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল হাসান ও বিসিএসআইআরের প্রধান বিজ্ঞানী সেলিম খান।
আরও পড়ুন: করোনায় বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন আরও ১৫ দিন স্থগিত