%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
টিকটক নিষিদ্ধ করতে পারে এমন বিল পাস মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস করেছেন ওয়াশিংটনের আইন প্রণেতারা। এর ফলে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ হতে পারে টিকটক।
পাস করা এই বিলে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে যদি এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির চীনভিত্তিক মালিক বাইটড্যান্স তার অংশীদারিত্ব বিক্রি না করে, তাহলে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে।
বুধবার পাস হওয়া এই বিলে বাইটড্যান্সকে বলা হয় টিকটক বিক্রি করে দিতে হবে অথবা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে।
যদি বাইটড্যান্স তার অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেয় তাহলে টিকটক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ চালিয়ে যাবে। বলা হয়, যদি প্রেসিডেন্ট এটি নিশ্চিত হন যে টিকটক প্ল্যাটফর্মটি ‘আর কোনো বিদেশি প্রতিপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না, তাহলে এটি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।’
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, বাইটড্যান্সকে টিকটকের সুপরিচিত অ্যালগরিদমের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে, যা ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ভিত্তিতে কন্টেন্ট ফিড করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাইটড্যান্সের পক্ষে কয়েক মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করা কঠিন হবে।
যদি কোম্পানিটি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বিল অনুসারে টিকটক অ্যাপল ও গুগলসহ অন্যান্য অ্যাপ স্টোর থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক ব্যবহারকারী ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান নাগরিকের তথ্য দিতে চীনা কর্তৃপক্ষ বাইটড্যান্সকে বাধ্য করতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের উভয় পক্ষের আইনপ্রণেতাসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
তবে টিকটক এ দাবি অস্বীকার করে জানায়, সংস্থাটি কখনও চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করেনি এবং করবেও না। অন্যদিকে মার্কিন সরকারও এমন কোনো প্রমাণ পায়নি।
গত সোমবার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, চীন সরকার সাম্প্রতিক মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে টিকটক ব্যবহার করেছে।
আইন প্রণেতারা বিলটি পাস করলে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এর আগেও ২০২০ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দায় পরিণত হওয়ার সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ চলে এই মাসে। সেই সঙ্গে থাকে পুরোনো সব ভুল-ত্রুটি শুধরে এক নিষ্পাপ মানুষে পরিণত হওয়ার অফুরন্ত সুযোগ। তাই মাসের প্রত্যেকটি দিনের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই ধর্মীয় জীবনধারণকে সাবলীল করতে সহায়ক হতে পারে উন্নত প্রযুক্তি। কেননা রোজার মাসটিকে সঠিকভাবে ইবাদতপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে সেরা ১০টি রমজান মোবাইল অ্যাপ্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স
আল কুরআন (তাফসির এ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স আল কুরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) কুরআন বোঝা এবং মুখস্থের জন্য একটি নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৬-এর ২৬ অগাস্ট এই অ্যাপটি তৈরি করে গ্রিনটেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশন। এতে রয়েছে বাংলাসহ ৩৫টিরও বেশি ভাষায় প্রতিটি শব্দের অনুবাদ এবং ৭০টিরও বেশি তাফসির। কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য রয়েছে ৩০ টিরও বেশি তেলাওয়াতকারীর অডিও।
রোজার মাসে কুরআন খতমের জন্য এটি হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট অ্যাপ। কেননা এখানে প্রতিবার তেলাওয়াতের সময় আগে শেষ করা আয়াতগুলোর একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। আয়াত বুকমার্কের সুযোগটির কারণে এর স্বয়ংসম্পূর্ণ লাইব্রেরিটি কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজেশনের উপায়সহ এই যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে একদম ফ্রিতে। এমনকি অ্যাপ চালানোর সময় কোনও বিজ্ঞাপন দেখার বিড়ম্বনাও নেই।
২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ আপডেটকৃত এই অ্যাপের বর্তমান সংস্করণ ১ দশমিক ২৬ দশমিক ১। অ্যাপ চালানোর জন্য স্মার্টফোনের ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) হতে হবে নূন্যতম অ্যান্ড্রয়েড ৫। ২১ এমবি (মেগাবাইট)-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০ লক্ষাধিকবার।
২ লাখ ৮৪ হাজার রিভিউ দাতাদের কাছ থেকে এটি গড়পড়তায় ৪ দশমিক ৮ তারকা রেটিং পেয়েছে।
অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ২ এমবির আইওএসের অ্যাপটি ৩৪৮ জনের কাছ থেকে পেয়েছে ৪ দশমিক ৯ তারকা। আইওএস ১৪ দশমিক ২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে অ্যাপটি চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
তার্তীলঃ কুরআন মেমোরাইজেশন
সরাসরি কুরআন শরীফ দেখে তেলাওয়াতের থেকেও দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে তার্তীল। অ্যাপটি এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তেলাওয়াতকারির ভয়েস ট্র্যাক করে। প্রতিবার তেলাওয়াত শোনার সময় স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয় সংশ্লিষ্ট আয়াতটি। এটি বিনামূল্যে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। তবে এর প্রিমিয়াম সংস্করণ আছে, যেখানে তেলাওয়াতে ত্রুটি সংশোধনের মতো নানা ধরনের অ্যাডভান্সড ফিচার আছে।
২০১৬-এর ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়া তার্তীল অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তার্তীল ইনকরপোরেশন। অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ফোন ভেদে এর জন্য স্টোরেজ প্রয়োজন ১০৮ থেকে ১২০ এমবি। ওএস থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা তার বেশি। ২০২৪-এর ৬ মার্চ আপডেটের পর এর সর্বশেষ সংস্করণ ৫ দশমিক ৩৮ দশমিক ১। এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষাধিকবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপটির ৩৮ হাজার রিভিউ থেকে প্রাপ্ত রেটিং ৪ দশমিক ৭ তারকা।
আর আইওএসের জন্য বানানো অ্যাপটির সাইজ ১৯৮ দশমিক ৭ এমবি। ওএস হিসেবে কমপক্ষে আইওএস ১৩ দশমিক ৪ থাকা প্রয়োজন। আড়াই হাজারেরও বেশি রেটিং দাতা অ্যাপটিকে ৪ দশমিক ৭ তারকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
কুরআন মাজিদ - রমজান ২০২৪
পাকডাটা নির্মিত এই অ্যাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে এর ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। এখানে কুরআন পড়া বা মুখস্ত করার সময় বিনামূল্যে আয়াতের পুনরাবৃত্তি, বিরতি এবং গতি কমবেশি করা যায়। অ্যাপটির আরও একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এর কিবলার দিক নির্ণয়ের কম্পাস। এছাড়া মক্কা ও মদিনা থেকে লাইভ স্ট্রিমিং, হিজরি ক্যালেন্ডার, এবং কুরআনিক এনগেজমেন্ট মিটার অ্যাপটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে।
২০১৪-এর ১৮ আগস্ট নির্মিত অ্যাপটি সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে ২০২৪ সালের ৮ মার্চ। সংস্করণ ৭ দশমিক ৩ দশমিক ২ সংস্করণটি চালাতে ওএস প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড ৫ কিংবা তার বেশি। ৫৪ এমবি থেকে ১২০ এমবি স্টোরেজ ক্ষমতার অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ কোটিরও বেশিবার। ৭ লাখ ৯৩ হাজার রিভিউ থেকে রেটিং এসেছে ৪ দশমিক ৭ তারকা।
অন্যদিকে আইওসের অ্যাপে ২ লাখেরও বেশি রেটিং থেকে এসেছে ৪ দশমিক ৮ তারকা। ১৩৭ দশমিক ৫ এমবি সাইজের অ্যাপটি আইওএস ১২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে চলবে।
আরও পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
কারিগরি দিক থেকে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন কেনার সময় সিদ্ধান্তে গ্রাহকের ব্যক্তিগত পছন্দ যুগপৎ ভূমিকা রাখে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে ব্র্যান্ডের নিজস্বতা এবং মূল্য সংযোজন পরিষেবার ভিত্তিতে বিশেষায়িত হয় ফোনের নির্ভরযোগ্যতা। আর এখানেই প্রশ্ন আসে গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার। ব্যয়কৃত অর্থের বিনিময়ে সঠিক সেবাটি মিলছে কিনা, এখানে সেটিই মুখ্য বিষয়। হোক সেটা দামি ফ্ল্যাগশিপ অথবা মিডরেঞ্জার; সবক্ষেত্রেই মূল্যের ন্যায্যতা যাচাই আবশ্যক। তবে প্রথম সারির ব্র্যান্ডের ফোনগুলো স্বভাবতই একটু সংবেদনশীল। কেননা এর সঙ্গে জড়িত থাকে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে চলুন ফ্ল্যগশিপ ফোনগুলো কেনার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা
অনন্য গুণগত গঠন
শক্তিশালী ও টেকসই গঠন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি। গ্লাস এবং ধাতুর মতো মানসম্পন্ন অনেক উপকরণ এগুলোকে মসৃণ ও আকর্ষণীয় লুক দেয়। এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত যে কোনও ধাক্কায় প্রতিরোধী হওয়ায় এগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। এমনকি এই গুণাগুণের ধারা বজায় রেখে ফোনের নতুন মডেলগুলোকে আরও উন্নত করা হয়।
নিয়মিত হালনাগাদকৃত সফটওয়্যার
যুগোপযোগী প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটা যে কোনও স্মার্টফোনের প্রদামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধাতি গ্রাহকের নির্ভরতা ও আগ্রহ বাড়ায়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেমসহ এর সঙ্গে সম্পর্কিত ডিফল্ট সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপগ্রেড ফোনকে উন্নত প্রযুক্তির জন্য সহায়ক করে তোলে। এতে ফোনের ব্যবহার আরও সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে অটুট থাকে ফোনের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলোও।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো চালুর পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সফটওয়্যার আপগ্রেড সরবরাহ করে।
ভাল হার্ডওয়্যার
হার্ডওয়্যারের দিক থেকে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো বিশ্ব জুড়ে সর্বস্বীকৃত। প্রসেসর, স্ক্রিন, র্যাম, ক্যামেরা, এবং স্টোরেজ-এর বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ ফোন খোঁজা হলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর নামই আসবে। ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই হার্ডওয়্যারগুলোর সন্নিবেশ ঘটিয়ে থাকে।
গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি
শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়; প্রথম সারির ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিক্রি-পরবর্তী পরিষেবার প্রতিও বেশ যত্নশীল। এই গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টির জন্যই মূলত নির্ভরতার জায়গাটি তৈরি হয়। এতে হঠাৎ কোনও সমস্যা হলে তার সমাধান নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না। কেননা তারা জানেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে দক্ষ কর্মীরা নিবেদিত রয়েছেন।
যারা ঘন ঘন মোবাইল ফোন পরিবর্তনের বিড়ম্বনায় পড়তে চান না তাদের জন্য এই ব্র্যান্ডগুলো এক বিশাল কমফোর্ট জোন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
রিসেলিং বা এক্সচেঞ্জের সময় ভালো দাম পাওয়া
দীর্ঘ দিন ধরে বাজার ধরে রাখা ও মৌলিকতা এই ফোনগুলোতে কিছুটা অ্যান্টিক আবহ সংযোজন করে। ফলে অন্যান্য স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় এগুলোর ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট বা অবচয় খরচ অনেক কম থাকে। তাই অনেক দিন ব্যবহারের পরেও বিক্রি বা বিনিময় করে অন্য ফোন কেনার সময় বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। এই রিসেলিং মূল্যের কারণে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে দামি ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হন।
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার অসুবিধা
গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার অন্তরায়
উচ্চ-মানের ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগকারীদের এই পরিধিটা বেশ সংকীর্ণ। স্বভাবতই এগুলোর দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকাশচুম্বী হতে থাকে। তাই সেই সীমিত শ্রেণীর বাইরে পড়ে যান বাজেট ফোন ক্রেতা থেকে শুরু করে নতুন প্রযুক্তি উৎসাহীরা। প্রায়ই দেখা যায় নতুন কোনও সিরিজ চালু করার সময় তাতে নতুন প্রযুক্তির ফিচার যোগ করা হয়। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ গতিশীল হয়ে ওঠায় প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুন ফাংশনের আগমন ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এগুলোর সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যস্ত হওয়া মানেই বিশাল খরচের ধাক্কা।
একই ফিচারের উৎকৃষ্ট বিকল্প
নিজস্বতা এবং মৌলিকতাকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র ব্যবহারের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বেশ বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয় ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো। অপারেটিং সিস্টেম, ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারসহ যাবতীয় উন্নত সুবিধা এখন কম দামের ফোনেই পাওয়া যাচ্ছে। পছন্দমতো উচ্চ রেজুলেশনের সেলফি থেকে শুরু করে প্যানোরামা শট সবকিছু নেয়া যায়। শুধু তাই নয়, ইচ্ছেমতো সম্পাদনা করে তা তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট করা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
স্ট্যান্ডার্ডের নিচে ক্যামেরা-সম্বলিত মোবাইল ফোন এখন বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে। বিগত ৫ বছরে মিডরেঞ্জের ফোনগুলোতে ক্যামেরা এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা দিয়ে যে কোনও পেশাদার ভিডিও কন্টেন্ট বানানো সম্ভব। বর্তমানে ফটোগ্রাফি উৎসাহীদের এই সেরা পছন্দগুলো ফ্ল্যাগশিপ সেটগুলোর মতোই কাজ করতে পারে। ফলশ্রুতিতে, দামি ব্র্যান্ডের ফোন কেনা আসলেই লাভজনক কিনা- তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক করে।
ব্যাটারি বিড়ম্বনা
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কল করা, বার্তা পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা, ভিডিও স্ট্রিমিং, ছবি তোলা, গান শোনা এবং গেম খেলা। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামের স্মার্টফোনটিতেও এর সবগুলোই সম্ভব। মিডরেঞ্জের ফোনগুলো এই অভিজ্ঞতার উদ্দীপনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
তবে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও রেকর্ড ও গেম খেলার মতো ভারী কাজগুলোর বেলায় সর্বাধিক চাপ পড়ে ব্যাটারির উপর। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাটারি তেমন বেশি সময় স্থায়ী হয় না।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
অন্যদিকে ফ্ল্যাগশিপের ফোনগুলোর ব্যাটারি অনেক ক্ষণ ব্যাক-আপ দেয়। কেননা এগুলোর ক্ষমতা থাকে বেশি, সেই সঙ্গে এগুলোর আকারও বেশ বড়। একারণে এগুলো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও থাকে। বিশেষ করে কোনও কাজে ফোন খুলে ব্যাটারি বের করায় দুর্ঘটনাজনিত আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা দূর করতেই অধিকাংশ ব্র্যান্ডগুলোতে এখন আর রিমুভেবল ব্যাটারি দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন দিক থেকে এটি সুবিধাজনক হলেও একটা বড় সমস্যা থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে ফোনগুলো আগের তুলনায় কম মেরামতযোগ্য হবে। অর্থাৎ একবার কোনও ত্রুটি ধরা পড়লেই পুরো ফোন পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়বে। আর যেগুলোতে রিমুভেবল ব্যাটারি রয়েছে সেগুলোতে নিরাপত্তার ঝুঁকি তো থাকছেই।
ফোনের সঙ্গে চার্জার সরবরাহ না করা
পণ্যকে পরিবেশবান্ধব করা এবং ফোনের বাক্সের আকার ছোট ও হাল্কা করা। মূলত এই দুই কারণে প্রথম সারির ফোন কোম্পানিগুলো পাওয়ার অ্যাডাপ্টার বাদ দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসায়িক কৌশলটি দীর্ঘ দিন ধরে অব্যাহত থাকা ফোনের স্ট্যান্ডার্ডকে বিনষ্ট করছে।
আরও পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
কেননা প্রথমত, কেনার সময় যে চার্জারটি দেওয়া হয় সেটি ফোনের জন্য নিক্ষুঁতভাবে সঙ্গতিপূর্ণ করা থাকে। এটি ছাড়া গ্রাহকরা বাইরে অন্য কোথাও থেকে নতুন কোনও চার্জার কিনলে তা ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। এখনকার ফোনগুলোতে সাধারণভাবেই ফাস্ট চার্জিং প্রয়োজন হয়। ধরা যাক, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং-এর কোনও ফোনে ১৫ ওয়াটের খুব ভালো কোনও চার্জার দিয়ে চার্জ করা হলো। এখানে চার্জার ভালো হওয়ায় কোন ত্রুটির আশঙ্কা না থাকলেও ফোন চার্জ হতে অনেক সময় লেগে যাবে।
দ্বিতীয়ত, আলাদাভাবে একটি ফাস্ট চার্জার কেনা হলে সেটিও একটি বাক্সেই আসবে। তাই কার্বন নির্গমন এবং বর্জ্য তৈরির সম্ভাবনা এখানেও থেকে যাচ্ছে।
মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট না থাকা
স্বনামধন্য স্মার্টফোনগুলোর স্ট্যান্ডার্ডগুলোর মধ্যে আরও একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। স্মার্টফোনের ভেতরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর জায়গা সংকুলানের জন্য এই স্লটটিও বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে দামি ফোনগুলোর কেনার পরে আলাদাভাবে এক্সটারনাল স্টোরেজ কিনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর জন্য ১২৮ জিবি (গিগাবাইট) বিল্ট-ইন বা ইন্টারনাল স্টোরেজই যথেষ্ট। কিন্তু গেম খেলা, সিনেমা ডাউনলোড করে দেখা, এবং ছবি ও ভিডিও সম্পাদনের জন্য আরও বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চালু থাকা অবস্থায় কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়া নিরবচ্ছিন্ন কাজের নিশ্চয়তা দেয় মাইক্রোএসডি কার্ড।
পরিশিষ্ট
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার এই সুবিধা ও অসুবিধাগুলো ফোনের মূল্যের ন্যায্যতা যাচাইয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। খুব সংকীর্ণ শ্রেণী হলেও ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর ক্লাসিক নকশায় গ্রাহকদের একরকম কমফোর্ট জোন থাকে। এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে- দীর্ঘ সময় ধরে ফোনটির ব্যবহার যোগ্যতা, যেটি প্রাধান্য পায় বাজেটনির্ভর ফোন ক্রেতাদের কাছেও।
অন্যদিকে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে ফ্যাশন সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত হয় উন্নত প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ ও মিডিরেঞ্জারগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ গন্তব্য থাকে ফোন ব্যবহারকারীদের ক্রয়ক্ষমতা। এখানে চূড়ান্ত ফলাফল গড়ে দিতে পারে ব্যবহার-পরবর্তী রিসেলিং ভ্যালু এবং কেনার মূহুর্তে ফোনের সঙ্গে থাকা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে
২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে
৭০ লাখ নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার(বিটিআরসি) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এই সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায়।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ১ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
এদিকে ২০২৩ সালে ১ কোটি ৬১ লাখ নতুন মোবাইল ব্যবহারকারীসহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ কোটি ৮১ লাখে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি মোবাইল কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে তিনটি বিদেশি সমর্থনপুষ্ট সেলফোন অপারেটর।
তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর শেষে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ৮ কোটি ২২ লাখ, রবি আজিয়াটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনসের ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং টেলিটক বাংলাদেশের গ্রাহক সংখ্যা ৬৪ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর ২০ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা
ভারতে এআই প্রযুক্তি নিয়ে মাইক্রোসফটের নতুন কৌশল
ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ ও এটি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের ক্ষমতায়ন এবং দেশটিতে শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অংশীদার হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করার জন্য বিস্তৃত কৌশল ঘোষণা করেছে মাইক্রোসফট।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এআই ব্যবহারের সুযোগকে গণতান্ত্রিক অধিকারে পরিণত করার মিশনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলা। বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পড়ার সময় তিনি এ রূপরেখা তুলে ধরেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবার জন্য এবং এ বিষয়ে আমরা ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার হতে চাই।’ এআই ডোমেইনে অন্তর্ভুক্তি ও প্রবেশাধিকার বাড়ানো নিয়ে মাইক্রোসফটের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয় এই উদ্যোগ।
প্রতিশ্রুতির অংশ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ২০ লাখ মানুষকে এআই প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট। এই উদ্যোগ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরের মানুষের উপর এবং বিশেষ করে দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রচারের জন্য গ্রহণ করা হবে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে এআই বিধিবিধান ও আইন প্রতিষ্ঠায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন সত্য নাদেলা।
জিপিটির মতো চ্যাটভিত্তিক এআই প্রযুক্তিগুলোর বিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে নাদেলা কমপিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রগতি উদযাপন করেছেন। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের (মানব) প্রয়োজন বুঝে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ‘স্বাভাবিক কথোপকথন’ চালিয়ে যেতে পারে এমন মেশিন তৈরির লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেছেন।
বিপুল পরিমাণে তথ্য বিশ্লেষণ ও প্যাটার্ন শনাক্ত করে তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি নিউরাল ইঞ্জিন ব্যবহারের কথা মাইক্রোসফটের এই কৌশলে তুলে ধরা হয়েছে। মাইক্রোসফট কোপাইলটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে এআই প্রযুক্তি দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করে সংস্থাটি। এআই ল্যান্ডস্কেপে মাইক্রোসফটের ভূমিকা তুলে ধরার লক্ষ্যে এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে বিশাল আকারে বিপণন ও প্রচার চালানো হবে।
যাই হোক, মডেল প্রশিক্ষণ ও অনুমান ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ এআই অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। জিপিটির বৈচিত্র্য এবং বেশকিছু উন্নত বড় মডেলের অধিকারী হওয়া নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে নাদেলা সংস্থাটির এআই প্রযুক্তিগত ক্ষমতা সম্প্রসারণের বিষয়ে উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন।
আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
দেশে ব্যবহৃত আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। ২১ জানুয়ারি রবিবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শুধুমাত্র অফিসিয়াল ফোনগুলোকে দেশের বাজারে রাখার এই পদক্ষেপটি বিটিআরসি প্রণীত এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) ব্যবস্থার একটি উদ্যোগ। মূলত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করতে এবং অবৈধভাবে তৈরি বা আমদানিকৃত ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতেই এই কার্যক্রমের অবতারণা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জুলাই থেকে দেশজুড়ে অনিবন্ধিত ফোন নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমতাবস্থায় ফোন ব্যবহারকারীদের সর্বপ্রথম যে কাজটি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হচ্ছে- তাদের ফোনটি অফিসিয়াল কি না তা জেনে নেওয়া। এবারের আয়োজনে চলুন অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কী
যে ফোনগুলো দেশে প্রবেশকালে যথাযথ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন নিয়ে থাকে, সেগুলোই অফিসিয়াল ফোন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিটি ফোনের বডিতে তাদের স্ব স্ব নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ অঙ্কের একটি অনন্য সংখ্যা লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়, যাকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) বলা হয়।
আইনগতভাবে দেশে প্রবেশের সময় এই সংখ্যাটি সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। তাই এগুলোকে একইসঙ্গে অরিজিনাল এবং নিবন্ধিত ফোন বলা হয়ে থাকে। দেশের ভেতরে সরকারি নিয়ম মেনে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স এবং অভিবাসনের নানাবিধ খরচের কারণে স্বভাবতই এই ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি বা দেশের ভেতরেই উৎপাদন করার সময় ভ্যাট বা ট্যাক্সের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। অবিকল অরিজিনাল ফোনের মতো দেখতে হলেও নকল এই ফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম থাকে। সরকারি ডাটাবেসে কোনো তথ্য না থাকায় অনিবন্ধিত এই ফোনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধে ব্যবহারকারী কি কি বিড়ম্বনায় পড়বেন
অনিবন্ধিত বা আনঅফিসিয়াল ফোনগুলোকে নেটওয়ার্ক বহির্ভূত করা হলে ইতোমধ্যে সেই ফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হবে। যেমন-
- এই ফোনে কোনো সিম ভরে তার মাধ্যমে কোনো অপারেটর থেকে কল গ্রহণ বা কল প্রদান করা যাবে না
- কোনো ধরনের ম্যাসেজ লেনদেন করা যাবে না
- ডাটা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না
- সরকারি বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কোনো ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, ও টাকা লেনদেনসহ কোনো ধরনের অ্যাপই ব্যবহার করা যাবে না।
এগুলো বাদে নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত নয়, যেমন ছবি তোলা, অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করা, গান বা মুভি দেখাতে কোনো রূপ সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
এক্সে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড থেকেও
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) অডিও ও ভিডিও কলিং সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধা আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে গত বছরের অক্টোবরে চালু করা হয়।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাধ্যমটির একজন ডেভেলপার এনরিক ব্যারাগান তার ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে জানান, আজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য অ্যাপ হালনাগাদ করে নিতে হবে। তবে শুধু প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররাই কল করতে পারবেন। আর সাধারণ ব্যবহারকারীরা শুধু কল রিসিভ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জে এসব তথ্য জানানো হয়।
যেভাবে সুবিধাটি চালু করবেন
সব অ্যান্ড্রয়েড ওএস চালিত মুঠোফোনে কবে থেকে সুবিধাটি চালু করা হবে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। তবে নিজের মুঠোফোনে এক্স অ্যাপ হালনাগাদ করে সুবিধাটি পেয়ে গেছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউএনবির এই প্রতিবেদক।
আরও পড়ুন: 'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে প্রোফাইল আইকন থেকে 'সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি' অপশনে যেতে হবে। এরপর 'প্রাইভেসি অ্যান্ড সেফটি' নির্বাচন করতে হবে। 'ডিরেক্ট মেসেজ' অপশন থেকে পেয়ে যাবেন 'এনেইবল অডিও অ্যান্ড ভিডিও কলিং' সুবিধা। এই অপশন থেকেই ঠিক কাদের থেকে কল পেতে চাচ্ছেন তাও নির্বাচন করা যাবে।
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনটির খরচ প্রতি মাসে ৩ ডলার থেকে শুরু।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
ক্রোম ব্রাউজারে 'ইনকগনিটো' মোড এবং অন্যান্য ব্রাউজারে একই ধরনের 'প্রাইভেট' মোড ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারে নজর রাখার অভিযোগে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ‘প্রাইভেসি’ মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে গুগল।
২০২০ সালে দায়ের করা ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ মামলায় বলা হয়েছে, গুগল ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। কারণ, ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করার সময় বলাই আছে- ইন্টারনেট ক্রিয়াকলাপে নজর রাখা হবে না।
এক্ষেত্রে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে- গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য কৌশল ‘প্রাইভেট’ ব্রাউজিং করা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ একত্রিত করা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে গুগলের ‘বার্ড’!
বাদীরা আরও অভিযোগ করেন, যারা মূলত মনে করেছিলেন তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে গুগলের এই কর্মকাণ্ড ‘জবাবদিহিহীন তথ্য’ সংরক্ষণের নামান্তর।
বৃহস্পতিবার যে সমঝোতা হয়েছে, তা অবশ্যই ফেডারেল বিচারক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
যদিও এক্ষেত্রে শর্তাবলী প্রকাশ করা হয়নি, তবে মামলাটিতে ব্যবহারকারীদের পক্ষে ৫০০ কোটি ডলার দাবি করা হয়।বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তারা ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চুক্তি নিয়ে আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করছেন।
নিষ্পত্তির বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে গুগল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
জনাকীর্ণ শহর ঢাকায় সাঁড়াশির মতো ছড়ানো সরকারি ও বেসরকারি পরিবহনের রুটগুলো। বাসা থেকে বের হওয়ার পর মেলে না গন্তব্যের কাঙ্ক্ষিত পরিবহনটি। বিশেষ করে মেগাসিটির অধিবাসীদের বিরাট অংশকেই যাত্রার জন্য নির্ভর করতে হয় বাসের ওপর। নগরীজুড়ে বিভিন্ন রুটে বাসের চলাচল থাকলেও জ্যাম এড়িয়ে সময়মতো সঠিক বাসটি খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। কোন বাস কোথায় যাচ্ছে এবং একই গন্তব্যে যাওয়ার বিকল্প পথে কোন বাসটি আছে; এগুলো আগে থেকে জানা সম্ভব হলে অনেকটাই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। আর এই ধকলটিই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে এখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে।
যে মোবাইল অ্যাপগুলোতে জানা যাবে ঢাকার বাসরুট
বাস রুট: ঢাকা সিটি
১১ এমবি’র (মেগাবাইট) এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি একদমই নতুন। ২০২৩-এর ৩ অক্টোবর সমস্ত বাসের গমন পথের তালিকা ও গুগল ম্যাপের ইন্টিগ্রেশনসহ এটি গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত হয়। পিওরসফট সল্যুশন নির্মিত পরিষেবাটির সর্বশেষ হালনাগাদ হয় ১৬ অক্টোবর।
এতে আছে যাত্রা শুরুর স্থান ও গন্তব্য নির্বাচনের সুবিধা। এ সময় যাত্রী তার বর্তমান অবস্থানের কাছাকাছি স্টেশনগুলোও দেখে নিতে পারেন। ফলে স্টেশনের নাম জানা না থাকলেও কাছাকাছি যে কোনো অবস্থান থেকে তার কাঙ্ক্ষিত বাসটি ধরতে পারবেন।
গুগল ম্যাপে সরাসরি পাওয়া যায় সকল স্টেশন এবং বাস চলাচলের তথ্য। এগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে দেখার পাশাপাশি আছে ইন্টারফেসের মুড পরিবর্তনের উপায়।
অ্যাপের এই ১.১.১ ভার্সনটি অ্যান্ড্রয়েড ৫ ও তার উপরের সব স্তরে ব্যবহার করা যাবে।
গত দুই মাসের মধ্যে অ্যাপটি ৫ হাজারেরও অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ৫৪টি রিভিউ থেকে এখন পর্যন্ত অ্যাপটির অর্জিত তারকা পয়েন্ট ৪.৪।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
ঢাকা সিটি বাস রুট
২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল চালু করা এই অ্যাপের বিশেষ দিক হলো এর সাবলিল সার্চ অপশন। অর্থাৎ এখানে সীমিত অপশন থেকে নির্বাচনের সীমাবদ্ধতা নেই।
তবে ৪.২ এমবি সাইজের অ্যাপটির অতিরিক্ত গুণগত মানগুলোও বেশ আকর্ষণীয়। এগুলো হলো- ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার পথ এবং আইনি সহায়তাসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ফোন নম্বর। এছাড়াও শহরের কোন মার্কেট কবে বন্ধ থাকে তা এখানে তালিকাবদ্ধও করা আছে।
২০২৩ এর ২৮ নভেম্বর হালনাগাদ করা অ্যাপটির বর্তমান সংস্করণ ১৫। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ ও তারও বেশি অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারযোগ্য অ্যাপটি ইতোমধ্যে ৫০ হাজারেরও অধিক সংখ্যকবার ডাউনলোড করা হয়েছে। সেভেনটি ওয়ান ল্যাব নির্মিত অ্যাপটি ২৭০টি রিভিউ থেকে রেটিং পেয়েছে ৩.৭।
আরও পড়ুন: ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ঢাকা বাস রুট
কোডারকো নির্মিত এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে আসে ২০২৩ এর ২৪ আগস্ট। শহরের লোকাল বাসগুলোর পাশাপাশি সিটিং বা কাউন্টার বাসগুলোর তালিকা থাকায় এটি একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।
৫.৮ এমবির এই অ্যাপে রয়েছে বাস কোম্পানি ও বিভিন্ন স্থানের নাম দিয়ে রুট দেখার সুবিধা। ২০২৩ এর ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ আপডেট হওয়ার পর থেকে এর ২.২ সংস্করণটি চালু রয়েছে। এরই মধ্যে অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ হাজারেরও বেশিবার এবং ৩৬টি রিভিউ থেকে রেটিং পেয়েছে ৪.৩। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ এবং তার উপরের স্তরের অপারেটিং সিস্টেম।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
ঢাকা সিটি বাস রুটস
নাম অনেকটা একই হলেও এনকোসিঙ্কের এই অ্যাপটি বেশ বড় এবং সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কিছু সুবিধা সম্বলিত। ১৪ এমবির এই অ্যাপে রয়েছে ১৫৬-এরও বেশি বাস, ২৮৭-এরও বেশি রুট তালিকা। এরই সঙ্গে কার্যকরি সার্চ অপশন আর বাসের ছবিগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে আলাদাভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে।
২০২৩-এর ২৬ মে থেকে চালু হওয়ার পর অ্যাপটির শেষ আপডেট দেয়া হয় ২৬ আগস্ট। এর মাঝেই ১১.০.০ সংস্করণটির ডাউনলোড সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকলেই যে কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নির্দ্বিধায় অ্যাপটি চালাতে পারবেন। ১৫টি রিভিউ থেকে অ্যাপটির অর্জিত তারকা পয়েন্ট ৩.৫।
বিডি বাস রুট
৬.১ এমবির এই অ্যাপটিতে ব্যবহারকারিরা পাচ্ছেন ১৫০-এর অধিক বাসের গমন পথ দেখার সুবিধা। ১০ হাজারের অধিক ডাউনলোড সংখ্যার নেপথ্যে রয়েছে এর সহজবোধ্য ইন্টারফেস। পরিবহনগুলোর ছবি থাকার কারণে ঢাকা শহরে একদম নবাগতরাও এর মাধ্যমে পেয়ে যান সরাসরি বাস চেনার অভিজ্ঞতা।
নিউএইজডেভস বিডি বাস রুট অ্যাপ প্রকাশ করে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর। ২৭ জন রিভিউদাতার কাছ থেকে ৩.৬ তারকা রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপটি ২০২৩-এর ৬ নভেম্বরে সর্বশেষ হালনাগাদ হয়। অতঃপর এটি উন্নীত হয় ১.১.২ সংস্করণে। কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকলে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানো যাবে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির অ্যাপে মিলবে দাফন ও পুরোনো কবরের তথ্য
কোন বাস কোথায় যায় (ঢাকা সিটি)
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে গুগল প্লে স্টোরে আসা অ্যাপটির আরেক নাম বাসরুট ইনফো (ঢাকা সিটি)। ৬.২ এমবি সাইজের এই অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ডিজিটাল অ্যাপস। প্রত্যেকটি বাস কোম্পানির জন্য এখানে মিলবে স্বতন্ত্র রোডম্যাপ।
এর বিশেষ দিক হচ্ছে এটি পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার ভিত্তিতে যে কোনো দূরত্বের ন্যায্য ভাড়া বলে দিতে পারে। এর জন্য এটি সরাসরি সংযুক্ত হয় ‘ভাড়া কত? বাস ভাড়ার তালিকা’ নামক অ্যাপের সঙ্গে, যেটি মূলত গ্লোবাল ডিজিটাল অ্যাপেরই আরেকটি ডিজিটাল পরিষেবা।
২৮ জন রিভিউদাতাদের কাছ থেকে ৩.৬ তারকা রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৫ হাজারেরও অধিক সংখ্যকবার। সর্বশেষ ২০২৩ এর ১৪ আগস্ট আপডেটের পর এর বর্তমান ভার্সন ২.২। অ্যাপটি চালানোর জন্য স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকতে হবে।
শেষাংশ
ঢাকার বাসরুট জানার এই প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর মধ্যে রেটিংয়ের দিক থেকে এগিয়ে আছে পিওরসফৎ সল্যুশনের পরিষেবাটি। তবে সেভেনটি ওয়ান ল্যাবের অ্যাপটি তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছে। নতুনগুলোর মধ্যে ব্যবহারযোগ্যতায় কোডারকো’র বাস গমন পথের তথ্যভান্ডারটি এগিয়ে। এখানে প্রতিযোগিতায় বেশ পিছিয়ে থাকছে নিউএইজডেভসের অ্যাপটি।
বেশি স্টোরেজ ক্ষমতা এনকোসিঙ্কের সেবার জন্য একটি বড় অসুবিধা হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। তবে ভাড়ার তথ্য জানার ফিচারের জন্য সবগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে ‘কোন বাস কোথায় যায়’ অ্যাপটি।
সর্বোপরি, ঢাকার বাসরুট খোঁজার মোবাইল অ্যাপগুলো সামগ্রিকভাবে পরিবহন ব্যবস্থার ডিজিটালকরণের অভিমুখে এক বিশাল পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'