������������������
হাজংদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে ডকুফিল্ম
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধসহ নানা সময়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হাজং জনগোষ্ঠীর ভূমিকা ইতিহাসে বিশেষ জায়গা করে আছে। গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এরা খুব দাপটের সঙ্গে বসবাস করেছে। ঐতিহাসিক 'হাজং বিদ্রোহ', 'তেভাগা আন্দোলন', 'টঙ্ক আন্দোলন' ইত্যাদির নেতৃত্বের সারিতে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
সংস্কৃতিজন সুজন হাজংয়ের 'হাজংদের জীবন সংগ্রাম' কবিতা অবলম্বনে নির্মাণ হলো ডকুফিল্ম 'হাজংদের জীবন সংগ্রাম'। এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল রানা বয়াতি।
আরও পড়ুন: লাভ মকটেল ছবির সফলতার পর এবার আসছে লাভ মকটেল-২
সেন্সর পেল সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘শান’
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত পুলিশি অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘শান’ সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শনের পর সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ‘শান’ মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
‘শান’ পরিচালনা করেছেন নির্মাতা এম রাহিম। সেন্সরের খবর জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার দারুণ লাগছে। সেন্সরে জমা দেযার পুর ক’দিন কেমন যেন একটা চাপা উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম। একটা সেনসিটিভ কাহিনী, বোর্ড কীভাবে দেখে সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। বোর্ড বিনা কর্তনে সেন্সর দিয়েছে। তাই সেন্সর বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘শান’-এর কাহিনী সাজিয়েছেন আজাদ খান। তিনি বলেন, ’শানের মতো পুলিশ অ্যাকশন ছবি এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। যে ভাবনা নিয়ে শান নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম সেই ভাবনাকেও হার মানিয়েছে। ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ায় আনন্দ লাগছে। আশা করছি নির্ধারিত তারিখেই সিনেমা হলে মুক্তি দিতে পারবো ছবিটি।’
চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন যৌথভাবে আজাদ খান ও নাজিম উদ দৌলা। ফিলম্যান প্রডাকশনের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন ওয়াহিদুর রহমান এবং এম আতিকুর রহমান।
সিনেমাটির মূখ্য চরিত্রে আছেন সিয়াম আহমেদ। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পূজা চেরি। এছাড়াও অভিনয় করেছেন তাসকিন রহমান, সৈয়দ হাসান ইমাম, চম্পা, অরুনা বিশ্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ডাকবাংলোর সামনে এবারের ইত্যাদি
সঞ্জীব চৌধুরীর কবিতা সমগ্র ‘তোমাকেই বলে দেব’ প্রকাশিত
১৫ ব্যান্ডের জমকালো আয়োজনে শেষ হলো ‘ঢাকা রক ফেস্ট ২.০’
চট্টগ্রামে ‘দামপাড়া’র শ্যুটিং শুরু আজ
১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হকের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা ‘দামপাড়া’। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে এ ছবিটির শ্যুটিং।
ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আনন জামান। পরিচালনা করবেন শুদ্ধমান চৈতন।
ছবিতে প্রয়াত পুলিশ শামসুল ইসলামের চরিত্রে অভিনয় করবেন ফেরদৌস আহমেদ। তার স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর ভূমিকায় আশনা হাবিব ভাবনা।
সিএমপি সূত্র জানায়, এম. শামসুল হক ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হককে হত্যা করা। অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। শহীদ হন তিনি, তবে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। জীবন বাজি রেখে তিনি চট্টগ্রামের জনগণের সঙ্গে পুলিশকে একাত্ম করে এক জনযুদ্ধের সূচনা করেন। ২৮ মার্চের পর চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর লালদিঘিতে পুলিশ সদর দপ্তরে স্থাপন করা হয় কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমে প্রতিনিয়ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে মিলিত হতেন। তারা পুলিশ সুপার শামসুল হকের দিক-নির্দেশনা নিতেন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম এলাকার সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ২০০ বাঙালি সদস্য পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় নিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও এসব বাঙালি সদস্যদের হাতে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দেয়া হয়।
২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়। পরে ২৯ মার্চ ভোর ৪টার সময় পুলিশ লাইন্সের দক্ষিণ-পূর্বদিক এবং উত্তর-পূর্বদিক থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একযোগে আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারি মেশিনগান এবং থ্রি ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করে। যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের ঢালে এবং ট্রেঞ্চে অবস্থান করায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথমদিকে বেশ বেগ পেতে হয়। পরবর্তীতে ভোর ৬টার দিকে গোলাবারুদের অভাবে যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে এবং পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ শাহাদাতবরণ করেন।
মূলত এই কাহিনী অবলম্বনে ‘দামপাড়া’ নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মিউজিক ভিডিওতে টলিউডের মিমি
লাভ মকটেল ছবির সফলতার পর এবার আসছে লাভ মকটেল-২
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে ছবির গল্প, চিত্রনাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর বিজয় অর্জনের পর চট্টগ্রামে হিন্দু নির্যাতন শুরু হলে বঙ্গবন্ধু এই এসপি শামসুল ইসলামকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। যখন যুদ্ধ শুরু হয় পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল কি করে এসপি শামসুল ইসলামকে খুন করা যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে খুনও করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না। স্বামীহারা স্ত্রীর বর্ণনায় গল্পটি বড়পর্দায় দেখতে পাবো আমরা।’
তিনি বলেন, ‘চরিত্র নির্বাচনে ফেরদৌসকে আমরা বেছে নেই এ কারণে যে, তার যে পরিণত লুকটা এসেছে তা আমাদের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া পর্যাপ্ত সময় তার হাতে থাকায় চরিত্রটির জন্য তাকে তৈরি করতেও সুবিধা হবে। তাকে সচরাচর যে রোমান্টিক হিরো হিসেবে দেখা যায়, তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে অন্য এক ফেরদৌস ধরা দেবেন এখানে। অন্যদিকে ভাবনাকে বরাবরই দেখে এসেছি নায়িকা হওয়ার চেয়ে অভিনয়শিল্পী হওয়ার প্রতি তার মনোযোগ ছিল। মূলত এ কারণেই তাকে চলচ্চিত্রটিতে নেয়া হয়েছে।’
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক সিএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, ২৩ ডিসেম্বর (আজ) থেকে চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই একটি মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
লাভ মকটেল ছবির সফলতার পর এবার আসছে লাভ মকটেল-২
প্রথম নির্দেশনা দিয়েই পুরো দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ডার্লিং কৃষ্ণা। ছবির নাম লাভ মকটেল। চলতি বছরেই ব্লকবাস্টার কন্নড় ছবিটির জন্য সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেতা বিভাগে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন কৃষ্ণা। এই সফলতার রেশ ধরেই এবার তিনি মুভিটির আরও একটি সংস্করণ নিয়ে ভক্তদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন। নতুন এই কন্নড় পরিচালক ও তার মুভির আসন্ন সিকুয়ালের ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক ।
নতুন বছরে লাভ মকটেল-২
২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে আসছে রোমান্টিক-ড্রামা চলচ্চিত্র লাভ মকটেল-২। ভক্তদের কাছে করা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, গত ১৮ ডিসেম্বর এমনটিই ঘোষণা করলেন অভিনেতা-কাম-চলচ্চিত্র নির্মাতা ডার্লিং কৃষ্ণা। প্রথম ছবিটি প্রকাশ পেয়েছিল ২০২০’র ৩১ জানুয়ারি। তারই দুই বছর পর ভক্তদের ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ সার্থক করতে আরও একটি নাটকীয় ভালোবাসার দৃশ্যায়ন ঘটাবে লাভ মকটেল-২।
শুটিংয়ের সমস্ত কাজ আগস্টেই শেষ হলে ছবির শুভমুক্তির পরিকল্পনা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু পরিশেষে নতুন বছরের ভালোবাসার সপ্তাহকেই চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
আরও পড়ুন: বজরঙ্গি ভাইজান-২: মুন্নিকে নিয়ে বলিউড মাতাতে আবারও আসছেন সালমান
লাভ মকটেল সিকুয়ালের নির্মাতাদের কথা
সিনেমাটির প্রযোজনা ও চিত্রনাট্যের সামগ্রিক কার্যাদি সম্পাদন করেছেন ডার্লিং কৃষ্ণা ও তার স্ত্রী মিলানা নাগরাজ। প্রথম ছবিটিও তাদের দুজনেরই প্রযোজনাতে নির্মিত হয়েছিল। ২০২১’র ভালোবাসা দিবসে সারা জীবনের জন্য জুটি বাঁধেন লাভ মকটেলের আদি ও নিধি খ্যাত কৃষ্ণা ও মিলানা। সে সময়েই অঙ্কুরে বেড়ে ওঠে সিকুয়াল নির্মাণের চিন্তাটা।
লকডাউনের ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও আগস্ট নাগাদ ছবির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ করা হয়। অতঃপর অক্টোবরে মিলে যায় ছবি মুক্তির ‘ইউ’ছাড়পত্র। এরপর থেকে পরবর্তী বছরের ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষার মূল কারণ হলো কৃষ্ণা-মিলানা দম্পতির বিয়ের দিনক্ষণের সাথে দ্বিতীয় ছবির মুক্তি মেলানো। তাছাড়া ডিসেম্বরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দক্ষিণ ভারতীয় মুভির মুক্তির তারিখ ঠিক হয়েছে। সে ব্যাপারটিকেও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে।
ডার্লিং কৃষ্ণা পরিচালিত এই ছবির সঙ্গীতের দায়িত্ব নেন নকুল অভ্যঙ্কর। চলচ্চিত্র সম্পাদনা এবং সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে আছেন শ্রী ক্রেজিমিঞ্জ।
আরও পড়ুন: চরকি অরিজিনাল ‘জাগো বাহে’: ঐতিহাসিক তিন গল্পের অমনিবাস চলচ্চিত্র
সম্ভাবনাময় নতুন তারকা নিয়ে লাভ মকটেল-২
লাভ মকটেল-২-এ প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নতুন অভিনেত্রী র্যাচেল ডেভিড। এ ছবিতে একটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে স্যান্ডালউডে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন সুস্মিতা। তার আরও একটি পরিচয় হচ্ছে- তিনি একজন উদ্যোক্তা ও একটি হেয়ার-অয়েল কোম্পানির মালিক।
বজরঙ্গি ভাইজান-২: মুন্নিকে নিয়ে বলিউড মাতাতে আবারও আসছেন সালমান
মহাবলী হনুমানের একনিষ্ঠ ভক্ত পবনের সাথে হঠাৎ একদিন ভারতে এসে পড়া ছয় বছর বয়সী এক বোবা পাকিস্তানি মেয়ের দেখা হয়। অতঃপর সে এই ছোট্ট মেয়েটিকে তার বাবা-মার কোলে ফিরিয়ে দিতে শুরু করে এক রোমাঞ্চকর যাত্রা। বলছি ২০১৫ সালের ভারতীয় ব্লকবাস্টার বজরঙ্গি ভাইজান-এর কথা। বলিউড মাতাতে এই ভাইজান খ্যাত সালমান খান মুন্নিকে সাথে করে আবারও আসছেন বজরঙ্গি ভাইজান-২ নিয়ে। চলুন, এর অগ্রগতির ব্যাপারে কিছু জেনে নেয়া যাক।
বজরঙ্গি ভাইজান সিক্যুয়েলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
গত ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ এ মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত এস এস রাজামৌলি পরিচালিত আরআরআর ছবির প্রি-রিলিজ ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। সেখানে তিনি আরআরআর সিনেমার প্রোমোর পাশাপাশি রাজামৌলির বাবা কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ-এরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিজয়েন্দ প্রসাদ বজরঙ্গি ভাইজানের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। সালমান খান অকপটে স্বীকার করেন যে এটি ছিল তার মুভি ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ ছবিগুলোর একটি।
এরই ধারাবাহিকতায় মুভিটির সিক্যুয়েল নিয়ে কারান জোহারের প্রশ্নে ইতিবাচক সাড়া দেন বলিউড হিরো। প্রচন্ড উচ্ছ্বাসের সাথে নিশ্চিত করেন বজরঙ্গি ভাইজানের নতুন সংস্করণের কথা।
এ সময় আরআরআর-এর পরিচালক ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেলেগু নায়ক এনটিআর রমা রাও জুনিয়র, আলিয়া ভাট, রাম চরণ এবং কারান জোহার।
আরও পড়ুন: হয়ে গেল ‘মৃধা বনাম মৃধা’র প্রিমিয়ার শো
বজরঙ্গি ভাইজান-২ এর পরিকল্পনা
বজরঙ্গি ভাইজান-এর দ্বিতীয় অধ্যায়েরও চিত্রনাট্য লিখেছেন কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। একটি একক সাক্ষাৎকারে এই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক জানান যে, তিনি সিকুয়ালটির জন্য একটি দারুণ গল্প তৈরি করার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সালমান খানের সাথে আইডিয়াটা শেয়ার করেছেন। পুরো গল্প শুনে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন সালমান। এখন শুধু একটা ভালো নির্দেশনার অপেক্ষা।
বজরঙ্গি ভাইজান-এর পরিচালক কবির খান ইতোমধ্যে পার্ট-২ এর বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ব্যবসায়ীক কারণে যে কোন মুভির সিকুয়াল তৈরিতে তার দৃষ্টিভঙ্গি আগে থেকে গণযোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে।
তার মতে, একটি গল্পের দৃশ্যায়ন তখনই করা সম্ভব যখন একজন গল্পকার স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার গল্প নিয়ে প্রস্তুত থাকেন।
একজন গল্পকার হিসেবে একটি সিনেমা বানিয়ে শেষ করার পর তার চরিত্রগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে স্বভাবতই ভেতর থেকে একটা তাগাদা অনুভব করেন তিনি। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আবার প্রথম ঘটনার শেষ থেকে শুরু করাটায় তিনি নিরুৎসাহিত বোধ করেন।
পড়ুন: চরকি অরিজিনাল ‘জাগো বাহে’: ঐতিহাসিক তিন গল্পের অমনিবাস চলচ্চিত্র
হয়ে গেল ‘মৃধা বনাম মৃধা’র প্রিমিয়ার শো
২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘মৃধা বনাম মৃধা’। এর আগে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো হয়ে গেল যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসে।
রনি ভৌমিক পরিচালিত এই সিনেমার সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন রায়হান খান। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, সিয়াম আহমেদ, নোভা ফিরোজসহ অনেকে।
প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার সকল কলাকুশলিরা।
নির্মাতা রনি ভৌমিক বলেন, ‘সিনেমাটিকে সুনিপূণভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন মনে হয়েছে, সেটাই করেছ। পরিবার নিয়ে দেখার মতো গল্প মৃধা বনাম মৃধা। একজন শিল্পী হিসেবে সমাজ ও পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজটি করেছি।’
অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ বলেন, ‘আশা করি মৃধা বনাম মৃধা দর্শককে হলমুখী করবে। চলতি সময়ে আমাদের সিনেমার যে পরিবর্তন এসেছে তার আরও একটি উদাহরণ হতে যাচ্ছে এটি। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি হলে এসে সিনেমাটি দেখার জন্য।’
আরও পড়ুন: সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমার শুভমুক্তি
সিয়াম আহমেদ এই সিনেমা নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক গল্পের চলচ্চিত্র যে এতো সুন্দর হয় তা মৃধা বনাম মৃধা দেখলেই দর্শক জানতে পারবেন।’
২৪ ডিসেম্বর সারাদেশের ৪৪ সিনেমা হলে ‘মৃধা বনাম মৃধা' মুক্তি পাবে। পরবর্তীতে এটি টফিতে প্রকাশিত হবে। টফি ডিজিটাল সার্ভিসেস ডিরেক্টর আব্দুল মুকিত আহমেদ বলেন, ‘টফিকে বিনোদন মাধ্যমের ওয়ান-স্টপ-প্লেস হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আমরা নিয়মিত ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অনেক এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট নিয়ে আসছি। আমরা টফিকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে চাই যা আমাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে সবার কাছে তুলে ধরবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। শিগগিরই দেশি কন্টেন্ট নিয়ে আমরা আরও এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট রেঞ্জ নিয়ে আসবো।’
উল্লেখ্য, ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমার শুটিং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে আগস্টে শেষ হয়। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত (চেন্নাই ও কলকাতা) এবং যুক্তরাষ্ট্রে। আবহসংগীত করেছেন ইমন সাহা ও মিক্সিং করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেরিমি হাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘চরকি’তে দেখা যাবে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’
চরকি অরিজিনাল ‘জাগো বাহে’: ঐতিহাসিক তিন গল্পের অমনিবাস চলচ্চিত্র
একাধিক গল্প নিয়ে একটি সিনেমা; এক কথায় যাকে অমনিবাস চলচ্চিত্র বা ইংরেজিতে অ্যান্থলজি ফিল্ম বলা হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে এ ধরনের শিল্প সবেমাত্র ডানা মেলতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালের ‘ইতি তোমারই ঢাকা’র পর চলতি বছর চরকি অরিজিনাল ‘ঊনলৌকিক’ বেশ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বিজয়ের মাস জুড়ে চরকি মুক্তি দিচ্ছে তিন গল্পের অমনিবাস চলচ্চিত্র ‘জাগো বাহে’। চলুন, ওয়েব ফিল্মটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
জাগো বাহে: চিত্রনাট্যে বায়ান্ন, সত্তর ও একাত্তর
অমনিবাস চলচ্চিত্রটির তিনটি গল্পের প্রথমটির শিরোনাম ‘শব্দের খোয়াব’, যেটি নির্মিত হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন মুখর একটি দিনে অফিসগামী ইলিয়াস সাহেব অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন- অফিসে এখন থেকে উর্দু চলবে। বসের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়ে চাকরি বাঁচাতে তিনি উর্দু শেখা শুরু করেন।
অন্যদিকে তুচ্ছ কারণে অফিস থেকে বাঙালি কর্মচারিদের চাকরি চলে যাবার ঘটনা বাড়তেই থাকে। এ অবস্থায় মনে চাকরি হারাবার ভয় নিয়ে এক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন ইলিয়াস সাহেব।
আরও পড়ুন: সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমার শুভমুক্তি
দ্বিতীয় গল্পটির নাম ‘লাইট্স, ক্যামেরা.. অবজেকশন’, যার পুরোটিই সাম্প্রদায়িক চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং অসাম্প্রদায়িক চলচ্চিত্র নির্মাতার মধ্যকার সংলাপ নিয়ে বানানো হয়েছে। ১৯৭০ সালে শ্রেষ্ঠ ছবি ‘জীবন থেকে নেয়া’ সেন্সর বোর্ডে আটকে যাওয়ায় নিজের মুক্ত সৃজনশীলতা চর্চা নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সাথে যুক্তি তর্কে জড়িয়ে পড়েন কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান। সেই কথোপোকথোনটিই উঠে এসেছে এই গল্পে।
শেষ গল্পটি হলো ‘বাংকার বয়’। প্রেক্ষাপটটা ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার সময়। একজন পাকিস্তানি সৈন্য এবং ভারতের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এক আঠারো বছরের তরুণ-এর এক হৃদয়বিদারক গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে এই গল্প।
‘জাগো বাহে’ অমনিবাস চলচ্চিত্রের রূপকারদের কথা
‘শব্দের খোয়াব’-এর পরিচালক সিদ্দিক আহমেদ, ‘লাইটস, ক্যামেরা... অবজেকশন’-এর নির্দেশনায় ছিলেন সালেহ সোবহান অনীম এবং ‘বাংকার বয়’-এর পরিচালনা করেছেন সুকর্ণ শাহেদ ধীমান।
আরও পড়ুন: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘চরকি’তে দেখা যাবে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’
গত ৭ ডিসেম্বর একসাথে মুক্তি দেয়া হয় ‘জাগো বাহে’র তিনটি গল্পের আলাদা পোস্টার ও টিজার, ট্রেইলার। চরকি অরিজিনাল হিসেবে পর্ব তিনটির মুক্তির দিন ঠিক হয় ক্রমান্বয়ে ডিসেম্বরের ৯, ১৬ ও ২৩ তারিখ।
চরকির সাথে যৌথভাবে নগদের ব্যানারে প্রকাশিত হচ্ছে এই অমনিবাস চলচ্চিত্রটি।
মুভি সিরিজটির শ্যুটিংয়ের সময় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ৫২, ৭০ ও ৭১ এর সময়টাকে ফ্রেম বন্দি করা। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময়ে চারপাশের পুরো পরিবেশটাই পাল্টে গেছে। তাই প্রতিটি সেট নতুন করে সাজিয়ে নিতে হয়েছে।
সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমার শুভমুক্তি
আগামী ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার একসাথে দেশের ৪৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিয়াম আহমেদ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘মৃধা বনাম মৃধা’। সিনেমায় সিয়ামের সহশিল্পী হিসেবে প্রথমবারের মত চলচ্চিত্রে পদার্পণ করছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ। তারুণ্য নির্ভর কলাকুশলী দ্বারা নির্মিত সিনেমাটি দর্শকদের বহু প্রত্যাশিত সামাজিক ছবির খোরাক মেটাবে। বছরের শেষ লগ্নে নতুন এই চলচ্চিত্রটির সামনের ও পেছনের কিছু কথা নিয়ে আজকের বিনোদনধর্মী ফিচার।
‘মৃধা বনাম মৃধা’র পটভূমি
চলচ্চিত্রের শিরোনামটি ইতোমধ্যে সিনেমা পাড়ায় বেশ নাম কুড়িয়েছে। ছবিতে ‘মৃধা’ নামটি মূলত বংশীয় নাম। যে পরিবারটির গল্প এখানে দেখানো হয়েছে তার সদস্যদের বংশনাম মৃধা। এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ভেতর-বাহির, পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে দানা বাঁধতে থাকে আবহমান সামাজিক প্রেক্ষাপট। স্বভাবতই প্রতিটি দর্শক যেন নিজের জীবনের সাথে সাদৃশ্যতা খুঁজে পায় তেমনি উপাদানকে উপজীব্য করা হয়েছে চিত্রনাট্যে।
এমনি সামাজিক গল্প প্রিয় দর্শকদের জন্য ছবির পরতে পরতে অত্যন্ত সুক্ষ সংলাপ ও চিত্রনাট্যের কাজ করেছেন এ সময়ের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার রায়হান খান।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন-রাজীবের প্রেমের গুঞ্জন সত্যি হলো!
‘মৃধা বনাম মৃধা’ নির্মাণের নেপথ্যে
মৃধা বনাম মৃধা সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটছে বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রির সর্বকনিষ্ঠ নির্মাতা রনি ভৌমিক-এর। ২০১৫ সাল থেকে পরিচালনার যুক্ত থাকা রনি ভৌমিক-এর মূলক্ষেত্র ছিল বিজ্ঞাপন। দুই শতাধিকেরও বেশি বিজ্ঞাপনের এই নির্মাতা টোস্টার প্রোডাকশন নামে নিজেই একটি প্রোডাকশন হাউজ প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৮ সালে। দেশের নামকরা প্রোডাকশন হাউজ হাফ স্টপ ডাউনে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে তার।
বিজ্ঞাপনের জন্য কান লায়ন্সে নমিনেশন প্রাপ্ত রনি ভৌমিক-এর প্রথম চলচ্চিত্রের কাজ দেখে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড-এর সদস্য বেশ প্রশংসা করেন। কোন সম্পাদনা ছাড়াই গত ১২ ডিসেম্বর মুক্তির জন্য ছাড়পত্রও পেয়ে যায় ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমাটি।
রনি ভৌমিকের টোস্টার প্রোডাকশন ছাড়াও ছবিটির প্রযোজনায় আছে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম টফি। এমনকি সিনেমার প্রধান অভিনেত্রী নোভা ফিরোজও আছেন প্রযোজক হিসেবে।
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর প্রথম টফি অরিজিনাল ওয়েব ফিল্ম হিসেবেও প্রকাশিত হবে ২১ শতকের নতুন ধারার এই সামাজিক সিনেমাটি।
আরও পড়ুন: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘চরকি’তে দেখা যাবে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’
করোনার কারণে লকডাউনের কঠিন সময়ের মধ্যেই ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় ছবিটির শ্যুটিং। সিনেমাটির জন্য নিবেদিত প্রাণ এক ঝাঁক কলাকুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সিনেমাটির শ্যুটিং-এর সার্বিক কাজ সমাধা হয় আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের কলকাতা ও চেন্নাই এবং যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন হয় ছবিটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। অডিও ও গ্রাফিক্সের অংশটুকু ঢাকায় করা হলেও কালার কারেকশনের কাজ করা হয় কলকাতায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে চলচ্চিত্রের আবহসংগীত পরিচালনায় ছিলেন দেশের প্রখ্যাত মিউজিক কম্পোজার ইমন সাহা। তার সাথে সাউন্ড মিক্সিং-এ অবদান রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেরেমি হাওয়ার্ড।
অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে পরিবেশিত ছবিটির শৈল্পিক পোস্টার প্রকাশিত হয় গত ১৫ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: সংকটের মধ্যেও ২০২১ সালে সরগম ঢালিউড
৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘চরকি’তে দেখা যাবে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’
চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ ৩০ ডিসেম্বর থেকে দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে উন্মুক্ত করা হবে। রবিবার রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
‘চরকি’র প্রধান পরিচালক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘শুরু থেকে আমাদের চাওয়া “চরকি” হবে বাংলা কনটেন্টের রাজধানী। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। এবার আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলো “রেহেনা মরিয়ম নূর”। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ সিনেমা হলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রত্যাশা করি আমাদের প্ল্যাটফর্মেও এটি ভালো সাড়া ফেলবে।
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর মধ্য দিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের কোনো সিনেমা। শুধু তাই নয় বিদেশের একাধিক উৎসবে সিনেমাটি দেখানো হয়। এছাড়া ২০২২ সালের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অস্কারের ৯৪তম আসরের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ঢাকার সিনেমায় নাসিরুদ্দিন শাহ
সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু বলেন, ‘আমরাও চেয়েছিলাম সিনেমাটি দেশের কোনো প্ল্যাটফর্মে দেখা যাক। সেই চিন্তা থেকে “চরকি”র সঙ্গে যুক্ত হওয়া। যারা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে পারেননি তারা এবার ঘরে বসে দেখে নিতে পারবেন।’
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ এর নায়িকা আজমেরি হক বাঁধন বলেন, ‘মাঝে যখন ঘরবন্দি ছিলাম এবং ওটিটিতে বিভিন্ন কনটেন্ট দেখতাম, তখন মনে হতো আমাদের দেশে এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই কেন। “চরকি” সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে। তাদের প্রতিটি কনটেন্ট দেখার মতো। তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে, সেটি প্রথম থেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। আমাদের উচিত দেশীয় প্ল্যাটফর্মগুলো ও কনটেন্টগুলোকে সাপোর্ট করা।’
এর আগে ১২ নভেম্বর সারাদেশে মুক্তি পায় ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন: সংকটের মধ্যেও ২০২১ সালে সরগম ঢালিউড
নতুন বছরে ঢাকার সিনেমায় নাসিরুদ্দিন শাহ
ঢালিউডের সিনেমায় এবার দেখা যাবে বলিউডের নক্ষত্র অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহকে।
অমিত আশরাফ পরিচালিত সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটির শিরোনাম ‘প্রজেক্ট অমি’। আর প্রযোজনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাজী প্রোডাকশনস হাউস ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ প্রযোজক জেনি ওয়াকার সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জেনি বিবিসি, চ্যানেল ফোরের জন্য প্রামাণ্যচিত্রসহ বিভিন্ন প্রযোজনা তৈরি করেছেন।
এরই মধ্যে নাসিরউদ্দিন শাহ সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেঙ্গল শিল্পালয়ে ৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব
সিনেমাটির বিষয়ে অমিত আশরাফ বলেন, ‘সিনেমার গল্প ও চরিত্র দেখে নাসিরউদ্দিন সাহেবের বেশ পছন্দ হয়েছে। শুটিংয়েরও শিডিউল দিয়েছেন। আশা করছি নতুন বছরে শুটিং শুরু করব। এর মধ্যে বাকি শিল্পীদের চূড়ান্ত করা হবে। বর্তমানে শিল্পী নির্বাচনের জন্য অডিশন চলছে।’
২০৫০ সালকে ঘিরে ‘প্রজেক্ট অমি’ সিনেমার গল্প। একজন হ্যাকার ও একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট একটি ভার্চুয়াল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রোবট তৈরি করেন। যার নাম অমি। অমি ডার্ক ওয়েবের ভার্চুয়াল সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করেন। এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন-রাজীবের প্রেমের গুঞ্জন সত্যি হলো!
বাংলাদেশি প্রযোজক হিমেল তারিক বলেন, ‘প্রজেক্ট অমি’ সিনেমার জন্য ওপেন কাস্টিংয়ের সুযোগ রয়েছে। কেউ সিনেমাটিতে অভিনয় করতে চাইলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অথবা প্রধান সহকারী পরিচালক শেখ আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই হবে।