������������������������
ঢাকায় কোরিয়ান লাইভ মিউজিক কনসার্ট ১ অক্টোবর
দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস ঢাকার হাতিরঝিলে অবস্থিত অ্যাম্ফিথিয়েটারে ১ অক্টোবর লাইভ কোরিয়ান মিউজিক কনসার্টের আয়োজন করবে।
সাত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কোরীয় ফিউশন মিউজিক ব্যান্ড ‘ই-সাং’ আধুনিক ফিউশন শৈলীতে কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকগানের লাইভ কনসার্ট পরিবেশন করবে।
ঐতিহ্যবাহী কোরীয় মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট যেমন গায়াজিয়াম, জাংগু (ড্রাম) এবং তেপিয়ংসো (বাঁশি), পাশাপাশি বেস গিটার, কীবোর্ড পিয়ানো ও ড্রামের মতো পশ্চিমা ইন্সট্রুমেন্টগুলো তাদের পরিবেশনার সময় বাজানো হবে।
আরটিভির সহযোগিতায় দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা রনি সুস্থ হয়ে উঠছেন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনিসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
২০২০ সালে কোভিড মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এটিই প্রথম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, যেহেতু এটি একটি উন্মুক্ত ও বিনামূল্যের কনসার্ট তাই যে কেউ আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট ছাড়াই কনসার্ট উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে শিরোনামহীন!
আসিফের ‘মন ফোঁড়ন’ এ সাজ্জাদুর
নতুন গান নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। ‘মন ফোঁড়ন’ শিরোনামে এ গানের কথা লিখেছেন পলিন কাউসার। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শেখ মোহাম্মদ রেজওয়ান।
এ গান নিয়ে নির্মিত হয়েছে মিউজিক ভিডিও। ম‚ল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাজ্জাদুর রহমান শুভ ও মুন।
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, ‘মন ফোঁড়ন’ অদ্ভুত টাইটেলের একটি গান। পলিন কাউসারের লেখা ও সুরে প্রথমবারের মতো গাইলাম। অন্যরকম অনুভ‚তির গান এটি। আশা করছি, গানটি সবার ভালো লাগবে।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাজ্জাদুর রহমান শুভ বলেন, কাজটি অনেকটা শখের বসে করেছি। তবে শুটিংয়ের পুরো সময়টা খুব উপভোগ করেছি। পলিন ভাই খুব গুণী একজন নির্মাতা।
আরও পড়ুন: দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা রনি সুস্থ হয়ে উঠছেন
আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত। কারণ ক্যারিয়ারের শুরুটা আসিফ আকবর ভাইয়ের মতো একজন লিজেন্ডারি মানুষের গান দিয়ে শুরু করতে পেরেছি।
মিউজিক ভিডিওটির নির্দেশনায় ছিলেন গীতিকার পলিন কাউসার।
তিনি বলেন, আমার সব গানের ভেতরই ভিজ্যুয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স রেখে লিরিক ও টিউন প্ল্যান করি। কারণ আমার গানের স্ক্রিনপ্লে আর ভিজ্যুয়াল ডিরেকশন আমিই দিই।
‘মন ফোঁড়ন’ সেই সেন্সে তেমনই একটি টাইটেল।
আসিফ ভাইয়ের গায়কী নিয়ে কোনো কথা বলবার ধৃষ্টতা নেই। বরাবরই গানে তিনি অসাধারণ। গান, সুর আর চিত্রনাট্যের সঙ্গে গল্প খুঁজতে গেলে একে রিলেট করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯.৪৫ মিনিটে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছবিঘরের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলসহ বেশ কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তি পাবে গানটি।
আরও পড়ুন: ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে শিরোনামহীন!
এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা রনি সুস্থ হয়ে উঠছেন
গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো এবং অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা জামিল হোসেন।
জামিল ইউএনবিকে বলেন, ‘রনি আমাদের প্রিয় সহকর্মী। আমরা তার পাশে আছি। দুই দিন ধরে তার খাওয়া ও কথা বলা স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু বার্ন চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ তাই রনির পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। তার এক্সরে রিপোর্ট সবগুলোই ভালো। সবাই দোয়া করবেন।’
আরও পড়ুন: ফের আলেচনায় ব্রিটিশ রাজা চার্লসকে পদ্মিনীর চুমু
জানা যায় আবু হেনা রনির খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ। এছাড়া জামিলসহ আরও অনেক সহকর্মী হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আসছেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হয়। এতে কৌতুক অভিনেতা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ ও আহত হন।
এ ঘটনায় দগ্ধসহ আহত ব্যক্তিদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় ওই দিনেই সন্ধ্যায় ঢাকায় পাঠানো হয় রনি ও জিল্লুর রহমানকে।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ২ জন দগ্ধ
ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে শিরোনামহীন!
ঢাকায় শিরোনামহীনের জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশনায় সঙ্গীত অনুরাগীরা আরও একবার মুগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রিয় বাংলাদেশি এই ব্যান্ড মুম্বাইভিত্তিক সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার সঙ্গে একের পর এক জনপ্রিয় গান গেয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
একতার ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে (আইসিসিবি) শিরোনামহীন তাদের বছরব্যাপী রজত জয়ন্তী উদযাপনের চূড়ান্ত কনসার্ট পরিবেশন করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত একটি বিপণন যোগাযোগ সংস্থা ব্র্যান্ডমিথ এক্সপেরিয়েনশিয়ালের সহযোগিতায় বিশেষ এ কনসার্টটি আয়োজিত হয়।
কনসার্টটিতে দলছুট থেকে বাপ্পা মজুমদার, আর্টসেল থেকে জর্জ লিংকন ডি’কস্তা, এভোয়েডরাফা থেকে রায়েফ আল হাসান রাফা, জলের গানের রাহুল আনন্দ, সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য এবং মাইলসের ইকবাল আসিফ জুয়েলসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন আইকনিক রকস্টার শিরোনামহীনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বছরব্যাপী রজত জয়ন্তী উদযাপন করবে শিরোনামহীন
শিরোনামহীমের সঙ্গে অন্যান্য ব্যান্ডের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান যারা গেয়েছিলেন- ওয়ারফেজ থেকে পলাশ নূর, বে অব বেঙ্গল থেকে বখতিয়ার হোসেন, সোনার বাংলা সার্কাস থেকে প্রবর রিপন, ঘাসফড়িং কয়ার দল।
১৯৯৬ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘জাহাজি' দিয়ে যাত্রা শুরু করা শিরোনামহীনের রয়েছে ‘ভালোবাসা মেঘ’, ‘ক্যাফেটেরিয়া’, ‘পাখি’, ‘বন্ধ জানালা’, ‘আবার হাসিমুখ’, ‘ইচ্ছে ঘুরি’, ‘বুলেট কিংবা কবিতা’, ‘নিশ্চুপ আঁধার’, ‘এই অবেলায়’, ‘বাংলাদেশ’এর মতো আইকনিক গান। এসব গানের মাধ্যমে ব্যান্ডটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি তারা তাদের শ্রদ্ধা জানায় ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ গানটির মাধ্যমে।
বন্ধুদের নিয়ে এই আয়োজনে আসা ব্যাংকার সাইফুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘শিরোনামহীন এমন একটি নাম যা আমার ও আমার বন্ধুদের জন্য নস্টালজিয়া তৈরি করে। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে এই গানগুলো গাইতাম এবং আজ আমরা সত্যিই খুশি যে ব্যান্ডটি সফলভাবে এতদূর পৌঁছেছে।’
শিরোনামহীনের প্রতিষ্ঠাতা ও বেস গিটারিস্ট জিয়াউর রহমান জিয়া এতবছর ধরে ব্যান্ডটিকে প্রচুর ভালবাসা ও সমর্থন দেয়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
কনসার্টে শ্রোতাদের উদ্দেশে জিয়া বলেন, ‘আপনারা শিরোনামহীনকে বাংলাদেশের কিংবদন্তী এক ব্যান্ডে পরিণত করেছেন এবং আমরা আজকে অনেক ভাগ্যবান ও গর্বিত যে আমাদের সঙ্গে আপনারা সবাই আছেন। আমরা নিশ্চিত করছি যে এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বহু বছর পরে আমরা যখন থাকব না তখনও ব্যান্ডটি থাকবে।’
মহামারির কারণে গত বছর শিরোনামহীন তাদের রজত জয়ন্তী উদযাপন করতে পারেনি। এ বছর ব্যান্ডটি তাদের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশ ও দেশের বাইরে কনসার্ট পরিবেশন করছে। বছরজুড়ে উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্যান্ডটি নতুন গান ও ভিডিও প্রকাশ করেছে।
উপস্থিত সকল গায়ক ও পরিবেশকদের সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ উপস্থাপনের মাধ্যমে কনসার্ট শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট’ এ শিরোনামহীন
চট্টগ্রামে কনসার্টে পদদলিত হয়ে আহত ৩
লালবাগ থানায় দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার
বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমছে। ভার্চুয়াল দুনিয়ার ব্যস্ততায় বইয়ের পাতার গন্ধের স্মৃতি এখন অনেকের কাছেই অতীত। তাই এই অভ্যাস যেন মানুষের মধ্যে আবারও ফিরে আসে সেই প্রয়াস থেকে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ বছর তৈরি করা হয়েছে গ্রন্থাগার।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ ইউএনবিকে জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ থানায় যারা আসেন তাদের অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টা যেন তারা বই পড়ার মাধ্যমে ব্যয় করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই গ্রন্থাগারটি করা।
আরও পড়ুন:হলিউডের মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসানের গল্প
শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীদের জন্যেও এই গ্রন্থাগার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বসে বই পড়ার সুযোগের পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসায় বই নিয়ে যেতে পারেন।
গ্রন্থাগার নিয়ে এম এম মুর্শেদ বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন এতো ব্যস্ত যে বই পড়ার অভ্যাস দূর হয়ে যাচ্ছে। সেই চিন্তা থেকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের সহযোগিতায় গ্রন্থাগারের উদ্যোগটি নেয়া। আমরা চেষ্টা করছি এখানে বইয়ের সংগ্রহ আরও বাড়াতে।’
রাজধানীর বেড়ি বাঁধ রাস্তার পাশেই লালবাগ থানার নতুন ভবন। দৃষ্টিনন্দন এই থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে গ্রন্থাগারটি তৈরি হয়েছে। সেখানে প্রবেশ করতেই বাম পাশে চোখে পড়বে পুরো দেয়ালজুড়ে বইয়ের সমাহার।
গ্রন্থাগারে সংগ্রহে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকগুলো বই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন উপন্যাস, ছোটগল্প, আইনবিষয়ক বই, গোয়েন্দা গল্পসহ নানা ধরনের সংগ্রহ। মূলত বিভিন্ন বয়সের পাঠকদের কথা চিন্তা করে গ্রন্থাগারটি সাজানো হয়েছে।
গ্রন্থাগারে আসা একজন পাঠক ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মূলত একটি জিডি করার জন্য থানায় এসেছি। কিছুক্ষণ যেহেতু অপেক্ষা করতে হবে তাই লাইব্রেরিতে আসা। বেশ নান্দনিক উদ্যোগ লেগেছে আমার কাছে। কয়েকটি পছন্দের বই পেলাম এখানে সেগুলোর একটি পড়ে সময় কেটে গেল। এমন উদ্যোগ দেশের প্রতিটি থানায় করা গেলে আরও ভালো হবে মনে করি।’
থানার কর্মকর্তাদের অনেকেরই রয়েছে বই পড়ার অভ্যাস। কিন্তু কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার অভ্যাসটা হয় না অনেকের। তাই সুযোগ হলে পছন্দের বইটি বাসায় নিয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন:এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
এমটিভি বার্ষিক মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ডে এ বছর ‘বর্ষসেরা ভিডিও’র পুরষ্কার জিতেছেন মার্কিন গায়িকা টেইলর সুইফট। তার ‘অল টু ওয়েল: দ্য শর্ট ফিল্ম’ (১০ মিনিট সংস্করণ) এর জন্য বছরের সেরা ভিডিও’র পুরষ্কার জিতেছেন সুইফট।
রবিবার নিউ জার্সির নিউইয়র্কের প্রুডেনশিয়াল সেন্টারে আয়োজিত পুরষ্কার বিতরণীর মঞ্চেই সুইফট তার নতুন অ্যালবাম ‘মিডনাইটস’ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন।
সুইফট বলেন, ‘আমার নতুন অ্যালবাম আগামী ২১ অক্টোবর প্রকাশিত হবে।’
পুরষ্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানের পর রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে সুইফট জানান, ‘মিডনাইটস’ নামের আসন্ন ১০ম অ্যালবামটিতে তার ‘সারা জীবন জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৩টি ঘুমহীন রাতের গল্প’ আছে।
এর আগে সর্বশেষ দুই বছর আগে তিনি ‘ফোকলোর’ ও ‘এভারমোর’ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ‘ফোকলোর’ ২০২১ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে বছরের সেরা অ্যালবামের পুরষ্কার জেতে।
অনুষ্ঠানে সুইফট তার বক্তব্যে দোজা ক্যাট ও অলিভিয়া রদ্রিগোসহ অন্যান্য নারী পপ শিল্পীদের প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে র্যাপার জ্যাক হার্লো ও লিল নাস এক্স ইন্ডাস্ট্রি বেবির জন্য ‘সেরা সহযোগী’র পুরষ্কার জিতেছেন। হার্লো এদিন তার হিট গান ‘ফার্স্ট ক্লাস’ পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: বছরের সেরা শিল্পী টেইলর সুইফট
এদিকে সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে মানহানির মামলার রায়ের প্রায় তিন মাস পরে অভিনেতা জনি ডেপ শো চলাকালীন ‘মুন ম্যান’ হিসেবে উপস্থিত হন। ৫৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা তার মুখের সঙ্গে ডিজিটালভাবে কাস্টম হেলমেটে ঢোকানো আইকনিক মহাকাশচারীর পোশাক পরে পারফর্ম করেন।
এ বছর লিজোর ‘অ্যাবাউট ড্যাম টাইম’ বছরের সেরা গান হিসেবে পুরষ্কার জিতেছে এবং হ্যারি স্টাইলসের ‘হ্যারিস হাউস’ ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছে।
অনুষ্ঠানে লিজো তার নতুন সলো মিউজিক ‘টু বি লাভড (অ্যাম আই রেডি) পরিবেশন করেন।
অন্যদিকে, নিকি মিনাজ ও চিলি পেপারস যথাক্রমে সেরা হিপ-হপ এবং সেরা রকের জন্য পুরষ্কার জিতেছেন।
এছাড়াও নিকি মিনাজ ‘ভিডিও ভ্যানগার্ড অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার পেয়েছেন। কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের নামে এই পুরষ্কারের নামকরণ করা হয়েছে।
তার বক্তব্যের সময় মিনাজ অন্যান্য সঙ্গীত আইকন যেমন জ্যাকসন, হুইটনি হিউস্টন, লিল ওয়েন ও কানি ওয়েস্টকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, ‘গ্রুপ অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছে জনপ্রিয় কোরিয়ান মিউজিক ব্যান্ড ‘বিটিএস’। এছাড়া ব্ল্যাকপিঙ্ক, সিটি গার্লস, ফু ফাইটারস, ইমাজিন ড্রাগনস, মানেস্কিন, রেড হট চিলি পিপারস ও সিল্ক সোনিক এর মত ব্যান্ডগুলোও এই ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছিল।
‘লালিসা’র জন্য সেরা ‘কে-পপ’ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ব্ল্যাকপিঙ্কের লিসা।
অনুষ্ঠানে অ্যানিটা, ব্ল্যাকপিঙ্ক, লিজো, মানেস্কিন, জ্যাক হার্লো, জে বালভিন, মার্শমেলো এক্স খালিদ এবং প্যানিকের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
এছাড়া কেন ব্রাউন দেশের প্রথম পুরুষ গায়ক হিসেবে ভিএমএ’তে পারফর্ম করে ইতিহাস গড়েছেন।
`গ্লোবাল আইকন অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন রেড হট চিলি পিপারস।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
ফের বিয়ে উদযাপন করলেন লোপেজ-আফ্লেক
বেশি পারিশ্রমিকের চেয়ে ভালো কাজের গুরুত্ব সবসময় বেশি: সুনেরাহ
ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা দিয়েই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। পরবর্তীতে কাজের পরিধি খুব একটা না বাড়লেও তার প্রতি দর্শকদের প্রত্যাশা ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন সবসময়। ছোটপর্দায় তার বেশ কয়েকটি নাটক আলোচনায় এসেছে। পাশাপাশি ওটিটিতেও সরব তিনি।সম্প্রতি মুক্তি পেল সুনেরাহ’র প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘শুল্কপক্ষ’। ভিকি জায়েদের নির্মাণে ওয়েব ফিল্মটি বেশ প্রশংসিতও হয়েছে।
সুনেরাহ এ নিয়ে ইউএনবিকে বলেন, ‘কাজটি নিয়ে দর্শকদের সাড়া পেয়েছি তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এখন কনটেন্টের প্রতিযোগিতার মধ্যে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। শুল্কপক্ষ আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছি অনেক।’
আরও পড়ুন: ‘শুল্কপক্ষ’ শেষ পর্যন্ত দর্শককে আটকে রাখবে: সুনেরাহঅভিনয়ে প্রশংসিত হলেও কাজের সংখ্যাটা কম কেন? এমন প্রশ্নে সুনেরহা বলেন, ‘আমি কিন্তু শুরু থেকেই গল্প আর চরিত্রের ব্যাপারে খুবই সচেতন। আমি যেহেতু চাকরি করি তাই কাজের সংখ্যাটা কম। এরজন্য বাছাইয়ের সুযোগটাও বেশি থাকে। চেষ্টা থাকে যে কাজটি করব সেটি যে দর্শকের ভালো লাগে। তারা যেন নতুন কিছু পান। আর বেশি পারিশ্রমিকের চেয়ে ভালো কাজের গুরুত্ব সবসময় বেশি।’সম্প্রতি সুনেরহা অভিনীত ‘মশারি’ শর্টফিল্মটি বেশ আলোচনা তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, নূহাশ হুমায়ূন নির্মিত শর্টফিল্মটি দেশের বাইরে পেয়েছে কয়েকটি সম্মানজনক পুরস্কার। যার মধ্যে অস্কার কোয়ালিফাইং চলচ্চিত্র উৎসব হলিশর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘মশারি’ শ্রেষ্ঠ ভৌতিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে।‘মশারি’ নিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘২০১৯ সালে এটির কাজ শুরু করি। বেশ পরিশ্রম করে কাজটি করেছি। কিন্তু সেটির চেয়েও বড় বিষয় কাজের অভিজ্ঞতা। অনেককিছু শিখতে পেরেছি। দেশের বাইরের একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে বলব ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি কাজ।’
আরও পড়ুন: দর্শকদের অনুরোধে আসছে ‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর ৪র্থ সিজন
আমার জীবনটাই সিনেমা: রায়হান রাফী
দর্শকদের অনুরোধে আসছে ‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর ৪র্থ সিজন
গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ'র নিরিক্ষাধর্মী কাজগুলো বিভিন্ন সময় বেশ আলোচনা তৈরি করেছে। তার ‘বদমাইশ পোলাপাইন’ সিরিজটি এমন এক উদাহরণ।
একদল তরুণের সমসাময়িক ঘটনাকে পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা।
‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর তিনটি সিজন প্রচার হয় ইউটিউবে। খুব অল্প সময়ে বেশ সাড়া ফেলে। তাই দর্শকদেরও আগ্রহ ছিল চতুর্থ সিজন নিয়ে আসবেন বান্নাহ।
কিন্তু তিনি এই সিরিজের নতুন সিজন আনবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু দর্শকদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর চতুর্থ সিজনের ঘোষণা দিলেন বান্নাহ।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আসলে আমি চেয়েছিলাম সিরিজটি আর না আগাই। সিজন থ্রি পর্যন্ত দর্শকদের মধ্যে যে জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল সেটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিন্তু সবকিছুরই যেহেতু একটা জায়গায় শেষ আছে, তাই ভাবলাম সিরিজটি এই শেষ করি।’
আরও পড়ুন: চুড়ি-ফিতা বিক্রেতা মৌসুমী!
বান্নাহ আরও বলেন, ‘চতুর্থ সিজনের অনুরোধ আমি অনেকদিন ধরে পাচ্ছি। একসময় সিদ্ধান্ত নিলাম এটা নিয়ে আগাব। কারণ দর্শকদের ভালোবার জন্যই কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছি। আর কাজের মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সেই চিন্তা থেকেই চতুর্থ সিজনের পরিকল্পনা। অনেক চমক নিয়ে চতুর্থ সিজন আসছে। আশা করি দর্শককে হতাশ করব না।’
চতুর্থ সিজনের শুটিং শুরু হবে সেপ্টেম্বর থেকে। চিত্রনাট্যে কাজ চলছে এখন। এবার অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, প্রত্যয় হিরণ, মাখনুন সুলতানা মাহিমাসহ অনেকে। এছাড়াও দেখা যাবে কয়েকজন নতুন মুখ।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’ ও ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে শিল্পীদের প্রতিবাদ
‘হাওয়া’ ও ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে শিল্পীদের প্রতিবাদ
একদিকে বাংলা সিনেমায় যেমন সুদিন চলছে,অন্যদিকে সিনেমাকে মামলার বেড়াজালে আটকে দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগেই ‘হাওয়া’ সিনেমাটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মোস্তফার সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’কে সেন্সস বোর্ডে আটকে আছে গত তিন বছর।
সিনেমার এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছছেন অনেক তারকা। এমনকি অভিনয় শিল্পী ‘হোক প্রতিবাদ’ শিরোনামে একটি লিখিত প্রতিবাদ করেছে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চিলচ্চিত্রের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের ‘গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’- শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা ও শিল্পী কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা উপস্থাপনা করেন পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
এই সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন- মোরশেদুল ইসলাম, মেজবাউর রহমান সুমন, কামার আহমেদ সাইমন, অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, নুরুল আলম আতিক, তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, শম্পা রেজা, আফসানা মিমি, জয়া আহসান, আফরান নিশো, ইরেশ যাকের, আজমেরী হক বাঁধন ছাড়াও অনেকে।
চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, “বাংলা চলচ্চিত্র বিকাশের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক একটা পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। এমন সময় ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হলো। ‘শনিবার বিকেলে’ মুক্তি পাচ্ছে না দুই বছর ধরে। তরুণরা নতুন সহস্রাব্দের চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে।”
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
সংবাদ সম্মেলনে জয়া আহসান বলেন, “প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমার নিজের একটা খাঁটি আবেগ আছে। সেই জায়গা থেকে প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমি আরও বেশি কথা বলবো। তাই বলে কি চলচ্চিত্র বন্ধ করতে হবে! বন উজাড় হচ্ছে, দিনের পর দিন পশুপাখির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে এগুলোর বেলায় বনবিভাগ বা প্রশাসন কোথায়! চলচ্চিত্রের বেলায় প্রশাসনের এই চাপ কেনো? চলচ্চিত্রের উপর অদৃশ্য চাপ বন্ধ করতে হবে। সব চরিত্র যদি নিয়ম মেনে চলতে থাকে তাহলে তো কোনো ফিকশনই তৈরি হবে না। আমরা কি তাহলে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব না।”
দাবি আদায়ে প্রাথমিক কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বরে একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. ‘শনিবার বিকেলে’ চলচ্চিত্র কেন সেন্সর ছাড়পত্র পেল না তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই।
৩. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে ও প্রস্তাবিত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের ক্ষেত্রে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪. প্রস্তাবিত ওটিটি নীতিমালার ক্ষেত্রে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. চলচ্চিত্র বা কনটেন্টবিষয়ক কোনো মামলা দায়ের করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (যেমন- খসড়া ওটিটি নীতিমালায় প্ল্যাটফর্মগুলোতে আলাদা কমিশন বোর্ড তৈরির প্রস্তাব আছে এ জাতীয় কোনো কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই: ফারুকী
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
‘ক্যারম’ নিয়ে ফারুকীর স্ট্যাটাস মিথ্যাচার, দাবি কচি খন্দকারের
অভিনেতা মোশাররফ করিমের জন্মদিন উপলক্ষে ফেসবুকে ‘ক্যারম’ নাটক নিয়ে এক স্মৃতিচারণ করেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সেখানে তিনি আরও উল্লেখ করেন ‘ক্যারম’-এর স্ক্রিপ্টের জন্য অভিনেতা কচি খন্দকারকে ক্রেডিট দেয়ার কথা।
ফারুকী লেখেন, ‘শুটিংয়ের বাড়ির ক্যারম টুর্নামেন্ট। আমি আর আমরা সব ভাই-বেরাদর এক সাথে থাকতাম সেখানে- এটা সবাই জানেন। সেই আবাসিক ক্যাম্পে আমরা আবিষ্কার করি কচি খন্দকার মোটামুটি আমার ছোটবেলার বুড়ো ভার্সন। তখন আমরা প্রতি খেলায় হারার পর কচিকে অত্যাচার করার নানা সৃজনশীল উপায় আবিষ্কার করি। এবং কচি খেপেখুপে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। আমি ঠিক করলাম এই সব নিয়েই ক্যারম নামে একটা টেলিফিল্ম বানাবো এবং কচি খন্দকারের প্রতি অত্যাচারের প্রতিদান হিসাবে তাকে স্ক্রিপ্ট রাইটার ক্রেডিট দেই। যদিও স্ক্রিপ্ট লেখা সেশনের সাথে তার আদতে কোনো সংস্পর্শ ছিলো না।’
এমন স্ট্যাটাসে হতবাক হয়েছেন অভিনেতা কচি খন্দকার। পরবর্তী তিনি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে ঘটনাটি মিথ্যাচার দাবি করে লেখেন, ‘মিথ্যা ক্রেডিট নিয়ে আমি মরতে চাই না। এই ক্যারাম লেখায় আমার নাকি কোনো ভূমিকা নাই। কিন্তু ঘটনা হাজার বছর আগের না, এই মাত্র সেদিনের কথা। ভাইব্রাদার জীবিত সবাই প্রায় জানে, তাদের সামনেই আমি আমার ক্যারামের স্ক্রিপ্ট পড়ি। এটাই সত্য ইতিহাস, এর মধ্যে কোনো মিথ্যাচার নাই।’
আরও পড়ুন: ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই: ফারুকী
ভেসুলে দর্শক পছন্দে সেরা ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’