���������������-������������������������
অ্যানির তৃতীয় একক প্রদর্শনী ‘কনটেম্পরারি ন্যারেটিভস’ এএফডিতে শুরু
শিল্পী আতিয়া ইসলাম অ্যানির তৃতীয় একক শিল্প প্রদর্শনী ‘কনটেম্পরারি ন্যারেটিভস’ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ধানমন্ডির অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকায় (এএফডি) উদ্বোধন করা হয়েছে।
এএফডির লা গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
অ্যানির শৈল্পিক প্রচেষ্টা সামাজিক সমালোচনার সারমর্মকে আবদ্ধ করেছে। তার চিত্রকর্ম সমসাময়িক সমাজে নারীর অবস্থাকে নিখুঁতভাবে চিত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে নিয়ে আয়োজিত শিল্প প্রদর্শনীর প্রশংসা ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের
অ্যানির স্বতন্ত্র শৈলী সামাজিক চেতনার সূক্ষ্মতাকে ধারণ করে। তার শৈল্পিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে, তিনি শোষণ এবং মানুষের আবেগ লঙ্ঘনের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকে তুলে করেন, শ্রোতাদের প্রতিফলিত করতে প্ররোচিত করেন।
শিল্পী সামাজিক দুর্নীতি, দ্বন্দ্ব এবং বেঁচে থাকার লড়াইয়ের চিহ্নগুলো চিত্রিত করেছেন, তার শিল্পকর্মে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিত্রিত করেছেন এবং এই বিষয়গুলোর প্রতি তার অঙ্গীকারের উপর জোর দিয়েছেন। এবং এটি করার জন্য, তার অভিব্যক্তিগুলো এমন একটি ভাষায় কথা বলে যা রূপক, উপমা, চিহ্ন এবং প্রতীকগুলোর সঙ্গে একীভূত।
এই প্রদর্শনীটিতে ২২টি নির্বাচিত আক্রাইলিক পেইন্টিংয়ের সংগ্রহ প্রদর্শন করে, যা ২০১২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে করা হয়েছিল৷
শিল্পী হিসেবে শিল্পী আতিয়া ইসলাম অ্যানির যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে। এই ইনস্টিটিউট থেকে তিনি ১৯৮৩ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৬ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০২ সালে গ্যালারী-২১ -এ 'নারী ও সমাজ' শিরোনামে তার প্রথম একক শিল্প প্রদর্শনী হয়েছিল। ২০০৯ সালে অ্যানির বেঙ্গল শিল্পালয়ে 'কালবেলা' তার দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী হয়েছিল।
এছাড়াও তিনি ২০১৮ সালে ১৮তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ-এ ৬৮টি দেশের অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সম্মানসূচক গ্র্যান্ড প্রাইজ অর্জন করেছিলেন।
এএফডি-এ অ্যানির সর্বশেষ প্রদর্শনীটি ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনীটি সোমবার থেকে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে (রবিবার বন্ধ থাকে)।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্টের ভয়াবহতার উপর শিল্পকলায় স্থাপনা শিল্প প্রদর্শনী
গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের স্মরণে গ্যালারি কসমস দুই দিনব্যাপী বিশেষ ওয়াটাকালার আর্ট ক্যাম্প আয়োজন করেছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর কসমস সেন্টারে ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই আর্ট ক্যাম্পটি শুরু হয়েছে।
বৃষ্টিস্নাত দিনে সকাল ১০টায় শুরু হয় আর্ট ক্যাম্পটির আনুষ্ঠানিকতা।
এতে যোগ দেন-আব্দুল্লাহ আল বশির, আজমল হোসেন, কামরুজ্জোহা, সাদেক আহমেদ, শাহনূর মামুন ও সৌভি আক্তার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কসমস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এনায়েতউল্লাহ খান, ডিএমডি মাসুদ জামিল খান, গ্যালারি কসমসের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ও চিত্রশিল্পী সৌরভ চৌধুরী।
আর্টক্যাম্পটির তত্ত্বাবধানে থাকা সৌরভ চৌধুরী এই আয়োজন নিয়ে ইউএনবিকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে আমাদের এই আর্টক্যাম্পের আয়োজন। দুই দিনব্যাপী এই আর্টক্যাম্পে প্রথমদিন অংশগ্রহণকারীরা তাদের ক্যানভাসের বিষয় বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয় দিন আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলো আঁকবেন।’
আরও পড়ুন: উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হোম অফিস যেভাবে সাজাবেন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের ‘কাঁচাগোল্লা’
দেশের ১৭ তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি 'কাঁচাগোল্লা'।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞাঁ জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রায় আড়াইশ' বছরের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লার বিকৃতি ঠেকাতে এবং এর ভৌগলিক উদ্ভাবন স্থানের স্বীকৃতি চেয়ে চলতি বছরের ৩০ মার্চ মাসে আবেদন করেছিলো নাটোরের জেলা প্রশাসন।
বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে ১৭তম ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ছানার তৈরি নাটোরের কাঁচাগোল্লাকে।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা
জিআই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম
জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর ফজলি আম
‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে চলছে ‘রানা প্লাজার দশ বছর পর’ শীর্ষক ৯ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
রানা প্লাজা ভবন ধসে যারা বেঁচে গেছেন এবং তাদের পরিবারের ছবি নিয়ে ২১ জুলাই এই প্রদর্শনী শুরু হয় চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত।
ফটোসাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ইসমাইল ফেরদৌস মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন।
একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক মহিলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন হেরিটেজ ফান্ড এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি সহযোগিতায় প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
ছবি, ভিডিও, আখ্যান এবং পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শনীটি রানা প্লাজা দুর্ঘটনার স্মৃতি মানুষের স্মরণে রেখে বাংলাদেশি গার্মেন্টস শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়।
ইসমাইল তার ‘আফটার রানা প্লাজা’ শিরোনামের ছবিতে এবং ‘দ্য কস্ট অফ ফ্যাশন’ ডকুমেন্টারি ফিল্মটিতে বেঁচে থাকা এবং নিহতদের পরিবারের অকথিত গল্পগুলো ধারণ করেছেন।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে: বাংলাদেশে ২৯ জুন ঈদুল আজহা
বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামী ২৯ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে মোট ৪ দিন
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন
ঈদে স্বস্তির ট্রেন যাত্রায় মন্ত্রীর সন্তুষ্টি
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা শনিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে ‘ফেত দো লা মিউজিক ২০২৩’
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা শনিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে ‘ফেত দো লা মিউজিক ২০২৩’।
এই উপলক্ষ্যে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যলারিতে ১৭ জুন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আয়োজন করা হবে বিশেষ সঙ্গীত উৎসবের।
বাংলা, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় পরিবেশিত একক ও দলীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি পিয়ানো, গিটার আর বাঁশির মূর্ছনায় সংগীতানুষ্ঠানটি সবার কাছে দারুণ উপভোগ্য ও আনন্দময় হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।
নানারকম সঙ্গীত সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, সংগীতের মাধ্যমে মানববন্ধন সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্মুক্ত পরিবেশে একের পর এক সঙ্গীত পরিবেশনই হচ্ছে ফেত দো লা মিউজিকের মূল ধারণা।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
এ দিনের অনুষ্ঠানগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে বলে অর্কেস্ট্রা, অপেরা, কয়্যারের মতো সঙ্গীত ইনস্টিটিউটগুলো রাস্তা, পার্কসহ জাদুঘর, রেল স্টেশন ও ঐতিহাসিক দুর্গের সামনে খোলা জায়গায় সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে।
এভাবেই সঙ্গীত ছড়িয়ে পড়ে শহর আর আশেপাশের এলাকাগুলোতে, বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে ওঠে নতুন আর দক্ষ শিল্পীদের মধ্যে।
১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ফেত দো লা মিউজিক প্রথম উদযাপন শুরু হয়। ১৯৮১ সালে তৎকালীন ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী দিনটি পালনের উদ্যোগ নেন।
পরবর্তী সময়ে প্রতি বছর ২১ জুন বিশ্বের শতাধিক দেশে বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এ উপলক্ষ্যে আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা আগামী ১৭ জুন উদযাপন করতে যাচ্ছে বিশেষ সংগীত উৎসব ফেত দো লা মিউজিক।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ডি-ফ্যাক্টো স্বাধীনতা হয়ে গিয়েছিলো’
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রি
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন।
রবিবার (৪মে) সকালে শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনার চত্বরে শতাধিক বৃক্ষপ্রেমী ১০ টাকায় গাছ বিক্রি শুরু করা হয়।
পরিবেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
সেগুন, আকাশমনি, আমলকি, হরতকি, বহেরা, বাসক, শতমূলী, কাঁঠাল, পেয়ারা, জলপাই, কদবেল, আতা, চালতা, লটকন, ড্রাগন ফলসহ ২৪ প্রজাতির দেড় শতাধিক গাছ ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৩০ গাছ বিক্রি
১০ টাকায় গাছ কিনতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী জান্নাতুর রহমান বলেন, ‘আমি পেয়ারা গাছ কিনেছি, এত কম দামে গাছ পাবো ভাবিনি।’
গৃহিনী রোকেয়া সুলতানা বলেন,‘মাত্র একটি গাছ কিনতে পেরেছি, আরও কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আয়োজকরা জানিয়েছেন একজন একটির বেশি গাছ কিনতে পারবেন না।’
শিক্ষার্থী রাইয়ান সম্রাট বলেন, ‘ড্রাগন ফল গাছ মাত্র ১০ টাকায় কিনতে পেরেছি, এমন আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।’
সংগঠনের উপদেষ্টা সংস্কৃতিকর্মী সাম্য রহমান বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ গাছ কাটছি তার অর্ধেক গাছও রোপণ হচ্ছে না। মানুষের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে আমাদের এ আয়োজন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমূল্যে গাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
১০ টাকায় গাছ কর্মসূচির উদ্যোক্তা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান,‘এ আয়োজনে দেড় শতাধিক ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি গাছ রোপণে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
তিনি আরও জানান,‘অন্তত মাসে একবার আমরা ১০ টাকায় গাছ বিক্রি করবো। বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে চাই আমরা।’
এ সময় কর্মসূচিতে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মির্জা তৌহিদুল ইসলাম সুলভ, সমন্বয়কারী রাদিত আহমেদ, সামি খান, আহসান খান মিলন, রকিবুল রায়হান ও সামিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাছ কাটার প্রতিবাদ: পুলিশের বাধায় পণ্ড হলো নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি
কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেড়শো’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে শতশত পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মেলায় আসেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধনীরাম ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকার শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দক্ষিণ তীরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, দেড়শো বছর আগে মেলার নামে মৃত শরৎ চন্দ্র রায় এক একর জমি দান করেন। শুরুতে নিজস্ব জমিতে পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হতো। পরে ধরলা নদীর ভাঙ্গন ও গতিপথ বারবার পরিবর্তন হওয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে উপজেলার দুই স্থানে প্রতিবছরই গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় এসে ধরলা নদীতে স্নান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল- দা, বটি, কাঠারি ও সব ধরনের হাতিয়ারসহ গৃহকর্মে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এছাড়াও উড়ুন, গাইন, লাঙ্গল, জোয়াল, ঝাপি, ডালি, কুলা, ডুলি, ঝাড়ু, হাতপাখাসহ সস্তায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও মৃৎপাত্রের বিভিন্ন বাহারি তৈজষপত্র, বর্ষার বিভিন্ন ফল, বড়মাছের শুঁটকিসহ বিভিন্ন জাতের বড় মাছ, বাতাসা, মুড়ি, মিষ্টি-জিলাপি, বেলুনসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী।
মেলায় আগত পুরোহিত বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, প্রতি বছর মহা দশমীতে এখানে গঙ্গা স্নান সেরে পূণ্যার্থীরা পাপ মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ৩ দিনব্যাপী শিবচতুর্দশী মেলা শুরু আজ
ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
মোটরগাড়ি কিংবা হেলিকপ্টারে নয়, এবার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া গরু ও মহিষের ১০ টি গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গেলেন নিরব নামে এক যুবক। আর এ বিয়ে দেখতে ভিড় জমান শত শত নারী-পুরুষ।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে এমনই এক ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন করা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে।
স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে নিরব হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের দুর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আকতারের।
নিরবের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে বরবেশে গরুর গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে। ছেলের বউও আসবে গরু গাড়িতেই।
বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে গরু ও মহিষের ১০ গাড়ি সংগ্রহ করে নিরবের বাবা। আর এই গরু-মহিষের গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে বরবেশে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যান নিরব।
গ্রাম বাংলার হরিয়ে যাওয়া টাপুর যুক্ত গরু-মহিষের গাড়ি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান বর ও কনের বাড়িতে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রার দৃশ্য অবলোকন করেন। ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন অনেকেই।
এমন আয়োজনে খুশি বর-কনের পরিবারসহ এলাকাবাসী। গ্রাম বাংলার এ পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ সংগীতের দল বিটিএসের আদ্যোপান্ত নিয়ে ‘বিটিএস: সিউল টু সোল’- শিরোনামে নিবন্ধধর্মী একটি বই লিখেছেন চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদ। শুক্রবার (১৯ মে) থেকে বইটি বাজারে পাওয়া যাবে।
বিটিএসের সাত তারকার জীবনবৃত্তান্ত, বিটিএসের সংকট-সংগ্রাম, শো, অ্যালবাম এবং পুরস্কারেরও একটি তালিকা রয়েছে এই বইতে।
কোরিয়ার ‘কালচারাল ওয়েভ’ এবং সফট পাওয়ার চর্চা বিষয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে এই বইয়ে।
বইয়ের লেখক অনার্য মুর্শিদ বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি বিটিএস ভক্তের সাংস্কৃতিক সংকটকে কেন্দ্র করে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন করতে গিয়ে কে-পপ বিষয়ে একটি বইয়ের খুব প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। এর মধ্যে প্রকাশক একদিন বললেন যে তিনিও এই ধরনের কিছু কালচারল ডিপ্লোমেটিক বই প্রকাশ করতে চান। ইতোপূর্বে তার প্রকাশনী এই ধরনের বই প্রকাশও করেছে। আমি আশা করি দীর্ঘদিন থেকে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক সেতু নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও বইটি একটি ভূমিকা পালন করবে। বইটির মাধ্যমে প্রবীণরাও এই প্রজন্মকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন।
প্রায় দেড়শ পৃষ্ঠার পেপার ব্যাকের এই বইটি প্রকাশ করেছে উজান। প্রচ্ছদ করছেন লায়লা ফেরদৌসী। মুদ্রিত মূল্য রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। ৩০% কমিশনে বইটি বিক্রি করছে বিটিএস আর্মি পেইজ (FB/BTSARMYFILM)।
এছাড়াও উজানের পেইজ, রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিবঙ্গের বিটিএস ভক্তরা বইটি ‘তবুও প্রয়াস’, ‘লালন’ ও ‘চন্ডাল বুকস’ থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্রথম সোলো অ্যালবাম 'ইন্ডিগো' নিয়ে আসছে বিটিএসের আরএম
কে-পপ আইডল ভি’র জন্মদিন: ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের আর্মিরা কিভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করছে