ঢাকা
সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে:তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকে সেন্সর বোর্ড ছিলো। সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কিছু না করে সেটি আমি নজরে রাখি, তবে সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেগুলো আমরা দেখেছি। সেখানে আমরা যা পেয়েছি সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরে উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত শনিবার বিকেল সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা বছরের পর বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পরেও মুক্তি না পাওয়ায়-এ সময় সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিনেমা শিল্প, সেখানেও সেন্সর বোর্ড আছে প্রত্যেকটা রাজ্যের সিনেমার জন্য সেন্সর আছে এটা থাকতে হব। যারা বলে থাকার দরকার নাই, তারা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে সেটি আমার প্রশ্ন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি একটি সিনেমা বানায়, যেটি আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সেটা যদি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরির কথা বলে যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’
তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে, আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেয়া হতো, এখন ২০ কোটি দেয়া হয়। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তারা আমাকে বললেন, অনুদান যেগুলো দেয়া হয় সেগুলোর অনেকগুলো হলে মুক্তি পায় না। অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেয়া হয়, তারা সেগুলো বানায় না।’
আরও পড়ুন:মাজহারুল আনোয়ার তার কাজের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, তিনি দেখেছেন যে আসলেই অনেক ছবি (অনুদানপ্রাপ্ত) বানানো হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারপর বাণিজ্যিক ছবির ক্ষেত্রেও যেগুলো বানানো হয়েছে সেগুলো হলে রিলিজ দেয়া হয়নি, কাউকে স্বত্ব বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন নীতিমালা করেছি যে কমপক্ষে ১০ টি হলে মুক্তি দিতে হবে পরে এটি বাড়িয়ে ২০ টি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না, ভালো সিনেমা বানাতে মিনিমাম দুই কোটি লাগে। সেক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন শুধু বাণিজ্যিক ছবিতে না দেয়া হয়। আমরা এরপর থেকে বাণিজ্যিক ও আর্ট ছবিতে জোর দেই, ডকুমেন্টারিতেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টি টাতে নেমে এসেছিলো হল, সেখান থেকে ২১০ টা হয়েছে। আর এক বছরের মধ্যে আরও ১০০টা বাড়বে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেপ্লেক্স হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এক হাজার টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করেছেন, সেখান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে।
এটা অনুদান নয় ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যখন করোনা ছিলো তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি কারণ তখন হল বন্ধ ছিল, পরে করোনা কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করলো তারপরে ব্যাংক গুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিসপার্স হচ্ছে। এখন যেহতু ভালো সিনেমা হচ্ছে তাই দরখাস্ত বাড়ছে। এটা একটা রিভলভিং ফান্ড। এটা দিয়ে অনেক হল রেনোভেট করা যাবে। নতুন হল করা যাবে। প্রথমে ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিলো, আমরা দেখেছি এতে কোয়ালিটি হল হয়না এজন্য টাকার অংক বাড়িয়ে সেটা ১০ কোটি করা হয়েছে।
অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আর্ট ফিল্মে অনুদান দেবো আর মেইনষ্ট্রিমে দেবো না অনুদান তো এ জন্য নয়, অনুদান তো সব ধরনের সিনেমার জন্য। সব ধরনের মধ্যে মুলধারা তো হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি এটা তো সবাইকে স্বীকার করতে হবে।
যারা চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে নির্মান করেননি তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে নোটিশ দেয়া হয়, এরপর যখন কমপ্লাই করে না তখন মামলা করা হয়। এটার প্রেক্ষিতে অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছে এবং দিচ্ছে, আবার অনেকে বানাচ্ছে যারা করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:২ মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠিত হবে:তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ ইউজিসির
আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র কার্যক্রমের আইনি কোন ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে ইউজিসি এ পরামর্শ দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমে দেশের উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে বলে অভিমত ইউজিসি’র।
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন এবং সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য আইনের ধারা ৯ এর শর্তসমূহ পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমে আইনগত কোন ভিত্তি নেই। এজন্য জনস্বার্থে শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য আইনের ধারা ৯ এর শর্তসমূহ পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে।’বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০০৬ সালের পর থেকে চ্যান্সেলর বা মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত কোন ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল কারিকুলাম মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এসব একাডেমিক প্রোগ্রাম বৈধতা হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন:নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ১৭ এবং ১৯ অনুযায়ী বৈধ সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।’
উল্লেখ্য, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ১৯ আগস্ট ২০০২ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি পায়। সাময়িক অনুমতিপত্রের শর্তাবলী প্রতিপালন ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৬ সালে সরকার আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করে। এই আদেশের বিরুদ্ধে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করে স্থগিতাদেশ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দাবিদার তিনটি পক্ষ বিভিন্ন ঠিকানায় বেআইনি ভাবে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।ইউজিসি’র তদন্ত কমিটির মতে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কখনোই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্থক নয়। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ১৪(১) ধারা অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিত ৯টি কর্তৃপক্ষের মধ্যে ১টি মাত্র কর্তৃপক্ষ। অথচ আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি'র ৩টি গ্রুপ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্থক বানিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির এসকল কার্যক্রমে দেশের উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে।
এছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারায় কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে বা ক্ষেত্রমত, নবায়নকৃত সাময়িক অনুমতি পত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করিতে ব্যর্থ হইলে, অথবা সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য ধারা ৯ এর কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে, উক্ত সাময়িক অনুমতিপত্র বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকৃত সাময়িক অনুমতি পত্রের মেয়াদ অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ করিতে হইবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নারী আটক
নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপথ আরও আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন নির্বাচনী ইস্তেহারে দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিআইডব্লিউটিএ’র উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করা হবে। এ সক্ষমতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আছে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, এটা আমাদের প্রথম সাফল্য।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বিভাগীয় প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীবৈঠকে জানানো হয় যে বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধার হওয়া তীরভূমি/জায়গার পরিমাণ ৩৮৯.৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।বৈঠকে আরও জানানো হয় যে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াওয়ে ও জেটিসহ আনুসাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (পায়ে হাঁটার পথ) দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরও ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আমিন বাজার, পাগলাবাজার পূর্ব প্রান্ত, পাগলাবাজার পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদরাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরও আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরও দুটি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামি ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে টঙ্গী নদী বন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস এর উদ্বোধন করা হবে।চাঁদপুর নদী বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনা মুক্ত করার লক্ষ্যে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দুটি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
দেশের পর এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত 'হাওয়া'। বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে 'হাওয়া' মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ স্থান করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে সিনেমাটির পরিবেশক সংস্থা।
গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩টি ও কানাডার ১৩টি হলে মুক্তি পায় সিনেমাটি। বাংলাদেশের মতো সেখানেও আলোচিত 'হাওয়া'।
উওর আমেরিকায় সিনেমাটির পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র প্রেসিডেন্ট মো. অলিউল্লাহ সজীব বলেন, 'হাওয়া' হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা, যেটি মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'কানাডা ও আমেরিকার বাংলাদেশের সিনেমার দর্শকদের আগ্রহে বক্স অফিসে একটি ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত দেখেছিলাম আমরা। সে ঝড় যে এত বড় হবে তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে। এই আনন্দের ক্ষণে আমি প্রথমেই টিম ‘হাওয়া’ এবং টিম ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ’কে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার দর্শকদের জানাই কৃতজ্ঞতা।'
তিনি জানান, ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন দুই লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার। যার মধ্যে কানাডায় ৮৬ হাজার ৩১২ ডলার, আমেরিকায় আয় করেছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৪৯ ডলার।
আরও পড়ুন:মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এবার বিশেষ জুরি পুরস্কার পেল ‘আদিম’
‘হাওয়া’ হল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা উত্তর আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছে। চঞ্চল ও জয়া আহসান অভিনীত ২০১৮ সালের চলচ্চিত্র 'দেবী'র লাইফটাইম গ্রস বক্স অফিস আয় ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৪১৪ ডলার। 'দেবী'র এই সম্পূর্ণ আয়ের রেকর্ড 'হাওয়া' মাত্র তিন দিনেই অতিক্রম করেছে। 'হাওয়া'র তিন দিনের আয় এক লাখ ৫৯ হাজার ৭৫২ ডলার।’
এক বেদে (জিপসি) নারীকে অনুসরণ করে, যাকে একটি মাছ ধরার নৌকায় উদ্ধার করা হয় এবং আশ্রয় দেয়া হয়, জাদু বাস্তবতার স্টাইলে ‘হাওয়া‘র গল্প এগিয়ে যায়।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সোহেল মণ্ডল, সুমন আনোয়ারসহ অনেকেই।
আরও পড়ুন:এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘পরাণ’
‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর
আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার নয়: মেয়র তাপস
আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আর হকার বসতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসকে নিয়ে অবমাননাকর ফেসবুক পোস্ট: ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপনী বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ ঘোষণা দেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন পদক্ষেপে যাচ্ছি, নতুন কার্যক্রমে যাচ্ছি। যেমনি ১০ তলা মার্কেটে আমরা (তাদেরকে) পুনর্বাসন করব, তার সঙ্গে সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের নির্দিষ্ট রাস্তায় নির্দিষ্ট সড়ক আমরা চিহ্নিত করব। কেবল অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো লাল চিহ্নিত করা হবে। হলুদ ও সবুজ চিহ্নিতও করা হবে। লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে আমরা আর হকার বসতে দেবো না। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো থেকে হকার সরানোর অভিযান শুরু করব।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আধুনিক ১০তলা বিপণি বিতান নির্মাণ কাজ হকারদের প্রতীক্ষা পূরণের আশাবাদ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ছিল। অত্র এলাকার হকার ভাই-বোনদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেট। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দীর্ঘদিন এটা করা হয়নি। আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটার কাজ শুরু করতে পেরেছি। আমরা আশা করব আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। হকার ভাই-বোনদের জন্য এটি একটি বড় মার্কেট হবে। তারা তাদের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।’
এছাড়াও ডিএসসিসি মেয়র মুগদাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নিমতলী মোড়ে সড়ক সম্প্রসারণ এবং বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
বহুল প্রতীক্ষিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটির চূড়ান্ত সংস্করণ এ বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রদর্শিত হবে। ভারতীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমি মনে করি শ্যাম বেনেগাল এবং তার দল ছবিটির শুটিং, সম্পাদনা এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে।’
গত রাতে নয়াদিল্লিতে বাগচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বছরের শেষের দিকে একটি তারিখ দেখছি। এটি ঠিক করার পর আমরা আপনাদের জানাব।’
আরও পড়ুন:অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
প্রবীণ ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমাটির ট্রেলার ১৯ মে কান ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এর ট্রেলারটি এনএফডিসি ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে।
উভয় দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অডিও ভিজ্যুয়াল সহ-প্রযোজনা চুক্তির আওতায় ছবিটি নির্মিত হচ্ছে।
সিনেমাটির যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন:খুলনা রেল স্টেশনে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর, দর্শনার্থীদের ভিড়
বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধু সবকিছু করেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশনের ওপর সাধারণ পরিষদের বার্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করেছেন।
ফোরামটি বিপুল সংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তঃসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বছরের ইভেন্টটির থিম হচ্ছে ‘শান্তি সংস্কৃতি: শান্তি বিনির্মাণে অগ্রসর হওয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের সহকারি মহাসচিব, যুব বিষয়ের জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ইউনিভার্সিটি অব পিসের রেক্টর।
ফোরামটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে একটি প্লেনারি পর্ব রাখা হয়। এছাড়া জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। একটি প্যানেল আলোচনা যেখানে জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন প্রবর্তন, সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসাবে আমাদের জন্মের মুহূর্ত থেকেই আমরা এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সমস্ত মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে। এই প্রতিশ্রুতিই আমাদেরকে ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও কর্মসূচি বিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির একটি রূপ আমরা দিতে পেরেছি।’
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বর্তমান শান্তিবিনির্মাণ কাঠামো ইতিবাচক শান্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর উপায় তুলে ধরতে পেরেছে। এটি সংঘাতের প্রাদুর্ভাব, ভয়াবহতা, ধারাবাহিকতা ও পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর মূল কারণগুলোকে সমাধান করে শত্রুতার অবসান ঘটানোর পথ দেখায়। এজন্য মনোভাবের পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ এবং বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার যা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে ধাবিত করে।’
প্লেনারি এবং প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তির সংস্কৃতির ধারণার প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা কোভিড-১৯ অতিমারি এবং চলমান সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেয়ার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি এ কথা জানান।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সংলাপ পরিচালনা করেন বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে পাইলট নিয়োগের বিষয়ে। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হয়েছে, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরাও তদন্ত করেছি, বিমানের নিজস্ব তদন্তও হয়েছে। এর মধ্যে ইনিশিয়ালি যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সম্ভবত ৯ জন, তারা সিলেক্ট করেছিল। এই ৯ জনই বাদ পড়েছে বা জয়েন করেনি।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত দাবি করে ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠায়।
আরও পড়ুন:ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
পর্যটনকেন্দ্র পর্যটক হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাবলিক অ্যাওয়ারনেস জরুরি। অন্যান্য দেশগুলোতে জনগণ সেটি জানে, সেদিকে নজর রাখে। কক্সবাজারসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের ডিসিকে আমরা বলেছি তারা যাতে নজর রাখেন। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মূল্য তালিকা দেখতে বলেছি। সবাইকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে পর্যটনে সফলতা আসবে না। পরিবেশ তৈরি হলে বিদেশি পর্যটক আসবে। সরকার আন্তরিক, একটা ক্যাম্পেইন দরকার পর্যটনকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।
স্বর্ণ চোরাকারবারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বর্ণ ধরা পড়ার ঘটনার সাতদিন আগে গিয়েছিলাম। সেখানে ভিতরের গেটটি দেখে আমার সন্দেহ হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম সমস্যা হতে পারে, তার চারদিন পরই ঘটনাটি ঘটেছে। এখন শক্তিশালী গেইট দেয়া হয়েছে, সিসি টিভি লাগানো হয়েছে। বিমানে যারা উঠবে নামার সঙ্গে সঙ্গে যাতে চেক করা হয় সেটি বলেছি। এটি দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য এয়ারপোর্টে বেরিকেড দেয়া হয়েছে। তবে যাত্রীরা ট্রলি নিয়ে যাতে রোড পর্যন্ত বের হতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ট্রলি পায় ঠিকমতো সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা আরও ট্রলি এনেছি, আশা করি ট্রলির সংকট হবে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারপোর্টে যাওয়ার বিষয়টি আমিও অনুধাবন করেছি। তৃতীয় টার্মিনালে যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীরা যেকোন পরিবহন নিয়ে যেতে পারে সেভাবে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যাত্রীরা কিন্তু যেকোন পরিবহন এয়ারপোর্টে গিয়ে আবার বের হয়ে আসতে পারবে কোন প্রকার ট্রাফিক সিগনাল ছাড়া।
আরও পড়ুন:ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রা শুরু
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী বিক্রান্তের আজ যাত্রা শুরু
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও জোরালোভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ভুটানের পারো শহরে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশনের (এসইএআরও ) আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পাঁচদিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সভায় সদস্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কৌশল অন্যদেশে কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
দেশগুলো ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ করবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সভার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
আরও পড়ুন:অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় এসইএআরও ভুক্ত ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আটটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় প্রথম দিনের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
সভায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
তারা হচ্ছেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেখালা সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আরাফাতুর রহমান।
আরও পড়ুন:দেশে প্রতিদিন যক্ষায় ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল-আটা বিক্রি: খাদ্যমন্ত্রী
বাজার স্থিতিশীল রাখতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে পাঁচ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখবো।’
চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) শুরু হয়েছে। ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবে সরকার। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল ও আটা কিনতে পারেন। এছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেয়া হবে ওএমএসের চাল।
একই সঙ্গে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।
আরও পড়ুন:১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু: খাদ্যমন্ত্রী
বোরোতে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টন সিদ্ধ চাল চাল সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আতপ চাল ৫০ হাজারের জায়গায় ৫৫ হাজার ২০৮ টন আমরা সংগ্রহ করেছি। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যতটুকু বেশি পেরেছি আমরা কিনেছি।
তিনি বলেন, ছয় লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল আমরা দুই লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন কিনতে পেরেছি। ধানটাও আমরা নিরাপত্তা মজুতের জন্য কিনে থাকি। ধানটা রাখা হয় এজন্য যে বাজারে যদি ধানের দাম কমে যায় কৃষকরা যেন বিপদে না পড়ে। সরকার যদি ধানের বাজারে থাকে তাহলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনতে পারবে না। তবে আমাদের রেটের চেয়েও কৃষকরা বাজারে বেশি দাম পেয়েছে। এজন্য ধানটা আমরা শতভাগ কিনতে পারিনি।
চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেই চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আরও পড়ুন:ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে সরকার কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
ওএমএস কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী