চট্টগ্রাম
রবিবার থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলবে বাস
চট্টগ্রাম মহানগরীতে রবিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে বাস চলাচল করবে। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির নেতারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘আমরা মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের সমিতির অধীন যে বাসগুলো আছে তা রবিবার সকাল থেকে আবারও চলাচল করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। আমরা দাবি দিয়েছিলাম জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর জন্য অথবা আমাদের গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর জন্য। গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি বন্ধ রেখেছি। আজকেও আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী রাস্তায় পিকিটিং করছে। শ্রমিক নাম দিয়ে তাদের সাথে কিছু অবাঞ্চিত লোক গিয়ে রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেবে এটা হতে পারে না। তারা বিভিন্ন মিল কারখানার গাড়িও বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা মানুষকে বিপর্যস্ত আবস্থায় ফেলতে চাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা আগমীকাল সকাল থেকে গাড়ি চালাবো।’
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহ বন্ধ
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি কোনো ধরনের পিকিটিংয়ে যাব না। আমাদের পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটের কারণে সরকার বা জনগণের যেন কোনো ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, আমরা তা চাই। সেকারণে আগামীকাল সকাল থেকে আমরা গাড়ি চালাবো।’
এর আগে শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাইগারপাস এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি আটকে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর সব ধরনের গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বর্ধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপরেই বৃহস্পতিবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান মালিকরা।
পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহ বন্ধ
দেশব্যাপী চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দু’দিন ধরে সারাদেশে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে জেটিতে জাহাজ থেকে খোলাপণ্য ও কনটেইনার লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সারাদেশে বাস ট্রাকসহ সকল ধরনের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে বন্দরে পণ্য খালাসের কোনো গাড়ি ঢুকতে বা বের হতে দেখা যায়নি। শনিবার দ্বিতীয় দিনের মত বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের প্রধান জেটিতে ছয়টি কনটেইনার জাহাজ, তিনটি সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ, একটি খাদ্যশস্যবাহী ও দুটি সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী জাহাজ ছিল। এ সময় বহির্নোঙরে ৬৫টি জাহাজের মধ্যে আনলোড হয়েছে খাদ্যশস্যবাহী ৯টি, সাধারণ পণ্যের আটটি, সারের দুটি, ক্লিংকারের ২০টি, চিনির দুটি ও তেলের তিনটি জাহাজ। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের মধ্যে কনটেইনারবাহী ছিল তিনটি। ওই দিন ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) ৪৯ হাজার ১৮টি কনটেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে বন্দরে কনটেইনার ছিল ৩৭ হাজার ৭৩৮টি। ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি হয়েছিল চার হাজার ৩৪টি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
সূত্র আরও জানান, বন্দর অফডকগুলোতে এখন ৯ হাজার রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার, আট হাজার আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার এবং ৩৩ হাজার খালি কনটেইনার রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে রপ্তানিপণ্য কিংবা খালি কনটেইনার জাহাজীকরণে সমস্যা হয়েছে কিনা কয়েকদিনের মধ্যে জানা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের ভেতরে সব কাজ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। তবে বাইরের কোনো গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে আসছে না। বন্দর থেকে পণ্য নিয়েও কোনো গাড়ি বের হচ্ছে না। তবে ধর্মঘট চলমান থাকলে বন্দরের ওপর এর প্রভাব পড়বে। নগরী ও আশপাশের এলাকায় ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও ফাঁকা।বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হলে নেতিবাচক প্রভাব তো পড়বে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন ১৯টি অফডক থেকে যে সাড়ে চার হাজার কনটেইনারবাহী গাড়ি বন্দরে চলাচল করত তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। আবার বিভিন্ন কারখানা থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে যেসব ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অফডকে আসত তাও আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। এ ধর্মঘট যত দ্রুত প্রত্যাহার হবে ততই বন্দর, অফডক তথা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
বন্দরের এনসিটি, সিসিটি’র অপারেশনের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা জানান, জেটি, ইয়ার্ড ও টার্মিনালের অভ্যন্তরীণ কর্মযজ্ঞ স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। জেটির জাহাজগুলোর লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আমদানি পণ্য ডেলিভারি ৫ শতাংশে ঠেকেছে। অনেক ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি পণ্য বা কনটেইনার বোঝাই করে অপেক্ষা করেছে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেই বন্দর ছাড়ার আশায়।
বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুর আহমদ বলেন, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বন্দরে ঢুকে। জাহাজ বেশি ভিড়লে আরও বেশি পণ্যবাহী গাড়ির প্রয়োজন হয়। ধর্মঘটের কারণে ট্রাকগুলো অলস বসে আছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বলেন, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড, শেড, টার্মিনাল ও ডিপোতে শুল্ক পরিশোধ, কায়িক পরীক্ষাসহ খালাসের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও হাজার হাজার গাড়ি অলস বসে আছে ধর্মঘটের কারণে। ধর্মঘট দীর্ঘায়িত হলে আমদানি-রপ্তানিকারক, বন্দর ব্যবহারকারী, শিল্পোদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর কোনো আলটিমেটাম ছাড়াই পরিবহন ধর্মঘট কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা মনে করি, করোনার দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থার পর যখন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর মুহূর্তে এটা মেনে নেয়া যায় না। আলোচনার মাধ্যমে আজই যৌক্তিক সমাধান আশা করি। নয়তো আমাদের আমদানি, রপ্তানিতে সংকট, দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টসহ বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হবে। শিল্পকারখানার কাঁচামাল সংকট দেখা দেবে। দেশে নিত্যপণ্যের সরবরাহ চেনে বিঘ্ন ঘটাবে। এদিকে তেল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও প্রায় অচল চট্টগ্রাম। গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে কর্মজীবীদের।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ধান ক্ষেতে এক কৃষকের দেয়া বিদ্যুৎফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে একটি বন্যহাতি। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের একটি ধানক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সের বিশালাকৃতির একটি বন্যহাতি ধান ক্ষেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে এলাকার লোকজন সেখানে ভিড় করে।সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজল করিম এ বিষয়ে বলেন,‘আমি মৃত হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা গেছে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদেরবন বিভাগের সাতকানিয়া মার্দাশা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন,‘হাতির আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারিদিকে বিদ্যুতায়ন করে রাখেন। আর খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা যায়।’সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআ ই)রমজান আলী বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোনাকানিয়া ইউনিয়নে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। সকাল আটটার দিকে থানায় খবর আসে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের হামলায় শুক্রবার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও তার ভাই ইউপি নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তারা হলেন, ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কুদরত উল্লাহ সিকদার ও তার ভাই জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: স্কুল কমিটি নিয়ে জগন্নাথপুরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০, গ্রেপ্তার ১৪
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে লিংকরোডস্থ কুদুরতের অফিসে হামলাকারিরা মোটরসাইকেলযোগে এসে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় তারা দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ দুই সহোদরের ভাষ্য, প্রতিদ্বন্দ্বি মেম্বার প্রার্থী (মোরগ মার্কা) লিয়াকত তাদের গুলি করে।
এদিকে, এলাকায় হামলার ঘটনা কথা ছড়িয়ে পড়লে ফুটবল মার্কার মেম্বারপ্রার্থী কুদরত উল্লাহর সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে টেকনাফ-কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লিংক রোড এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার শহরসহ নির্বাচনী এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল হয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, ভারপ্রাপ্ত) বিপুল চন্দ্র জানান, মেম্বার প্রার্থী কুদরত উল্লাহ তার ভাই জহিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন খবরে পাওয়া গেছে। তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
মীরসরাইয়ে প্রাইভেটকার-সিএনজি অটো রিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে এলাকায় প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের নয়টিলা মাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আরও এক জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, সিএনজি অটোরিকশার চালক শাহাদাত হোসেন (৪৫) মীরসরাই জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে ও যাত্রী হানিফ (২৭) ফটিকছড়ি থানাধীন দাঁতমারা গজারিয়া এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মাইক্রোবাস- লরির সংঘর্ষে নিহত ২
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, কয়লা এলাকার প্রাইভেটকার চালক নুর আলম গাড়িটা চালিয়ে করেরহাটের দিকে আসছিলেন। এসময় নয়টিলা মাজার এলাকায় পাহাড়ি উঁচু সড়ক অতিক্রমকালে রামগড়মুখী একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেটকারের চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে কার-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
ওসি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মেঘনায় নৌকাডুবি: নিহত ১, নারী নিখোঁজ
চাঁদপুর শহরের কাছে মেঘনা-ডাকাতিয়ার মোহনায় শুক্রবার দুপুরে লঞ্চের ধাক্কায় একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন দুই শিশুসহ পাঁচজন। আর নিখোঁজ রয়েছেন নৌকার এক নারী যাত্রী। এ ঘটনায় চালকসহ লঞ্চটি আটক করা হয়েছে।
নিহতের নাম রেজিয়া বেগম (৫০)।
নিখোঁজ নাসিমা বেগমের (৩৫) বাড়ি পাশের জেলা শরিয়তপুরের সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়া।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীরচরে নৌকাডুবিতে শিশুসহ ২ লাশ উদ্ধার
বিয়ের নামে প্রতারণা: চট্টগ্রামে এসআই’র বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর মামলা
বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে পুলিশের উপ পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক কলেজছাত্রী।অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদুল ইসলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। বর্তমানে তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই হিসাবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়োজিদ বোস্তামী থানার এসআই হিসেবে কর্মরত।বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী তরুণী (১৮)। তিনি নগরীর একটি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: প্রতারণা মামলায় আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৩ জন রিমান্ডেআদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।বাদীর আইনজীবী রুবেল পাল বলেন, এসআই তাওহিদুল ইসলাম বিয়ে হয়েছে বলে ‘মিথ্যা কাবিননামা’ দেখিয়ে আমার মক্কেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও প্রতারণার করেছে। এ অভিযোগ আদালতে মামলা হয়েছে।ওই তরুণী আদালতকে জানায়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার বাসায় গৃহশিক্ষক ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তরুণীকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় নিয়ে গিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৫২৬২/১৮ ও ৫২৬৩/১৮ নম্বর হলফনামা সম্পাদন করেন তাওহিদুল।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ৩বিয়ের যৌথ হলফনামা সম্পাদনের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস তৈরি করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাওহিদুল। এক পর্যায়ে তাওহিদুল পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সারদা পুলিশ একাডেমিতে বহিরাগত ক্যাডেট এসআই’র প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলাফেরা করেন। সারদায় প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর এক বছর তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ৯ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে এসআই হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিয়ের হলফনামা সম্পাদন থেকে শুরু করে সব সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন তিনি।’
মিতু হত্যা: বাবুলের করা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ
চট্টগ্রামে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার দায়ে প্রথম মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। একই সাথে বাদী বাবুল আক্তারের নারাজির আবেদনও খারিজ এবং মামলাটি ফের অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম বেগম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আমরা নারাজির আবেদন করি। ২৭ অক্টোবর মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে আবেদনটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে বুধবার (৩ নভেম্বর) আদেশের নির্ধারিত দিনে আদালত নারাজি আবেদন খারিজ করেন এবং পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।’
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদনের আদেশ ৩ নভেম্বর
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে আবেদনটি করেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তখন তিনি বলেছিলেন, আদালত ২৭ অক্টোবর বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।
নারাজি আবেদনে বলা হয়, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী বলেন, ‘প্রথম মামলার কেস ডকেটে বেশ কয়েকজন সাক্ষীর কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি। কিন্তু আদৌ তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এবং তারা কি বলেছেন, তার কিছুই কেস ডকেটে নেই। ওই নথি তলবের জন্য ২৭ অক্টোবর আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটি খারিজ করেছেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো।’
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদী তার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। ওই মামলায় গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি। ওইদিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাবুল আক্তারকে। তিনি ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
২০১৬ সালে ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু, ভবন মালিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর কাট্টলীর এলাকায় গ্যাস লাইনের লিকেজ হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাজেদা বেগম (৪৯) নামে এক নারীর মৃত্যু ও আরও ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ভবন মালিক মমতাজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকা থেকে পুলিশ ওই ভবন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।এদিকে এর আগে গতকাল রাতে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জামাল শেখ বাদি হয়ে আকবরশাহ থানায় ভবন মালিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার অপর আসামি ভবনটির ইনচার্জ বখতিয়ার।পুলিশ আরও জানায়, এক বছরের ব্যবধানে একই ভবনে দুদফা বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটেছে। উত্তর কাট্টলী এলাকার মরিয়ম ভিলার ষষ্ঠ তলায় একটি ফ্ল্যাটে গত বছরের ৮ নভেম্বর গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হন সাতজন। তাঁদের মধ্যে তিনজন মারা যান। ওই ভবনের একই ফ্ল্যাটে সোমবার (১ নভেম্বর) গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে আগুন ধরে গেলে একই পরিবারের নারী শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে গতকাল রাতে এক নারী মারা যান। এরপরই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য আটক
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীর এলাকায় গ্যাস লাইেনর লিকেজ হয়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সাজেদা বেগম (৪৯) নামে এ নারী মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে সোমবার রাতে কাট্টলীর ‘মরিয়ম ভিলা’ নামে ভবনের একটি বাসায় অগ্নিদগ্ধ হন তিনিসহ একই পরিবারের ছয়জন।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ সাজেদা বেগম মারা যান। আগুনে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ ৬
এর আগে, সোমবার (১ নভেম্বর) রাত দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ‘মরিয়ম ভিলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। তারা হলেন, সাজেদা বেগম (৪৯) শাহজাহান শেখ (২৫), দিলরুবা বেগম (১৮), মাহিয়া আকতার (৯), জীবন শেখ (১৪) ও স্বাধীন শেখ (১৭)।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাতে ওই ভবনের একটি বাসায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে একটি গাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসকে অগ্নিনির্বাপণ কাজ করতে হয়নি। স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানো হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানাবে ফায়ার সার্ভিস।
গৃহকর্তা জামাল শেখ জানান, মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটের সুইচ অন করতেই ঘরে জমে থাকা গ্যাস ধপ করে জ্বলে ওঠে। এতে পরিবারে ছয় সদস্য অগ্নিদগ্ধ হয়।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ ৫