চট্টগ্রাম
জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাহাদি জে আকিব হোসেনের (২০) জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়েছে।সোমবার (১ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল নিউরো সার্জন ও নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এসএম নোমান খালেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ছেলেটার জ্ঞান ফিরেছে। কথাও বলেছে। অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘হাড় নেই চাপ দিবেন না’আইসিইউ’র বাইরে অপেক্ষমান আকিবের বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, নোংরা রাজনীতির বলি আমার ছেলে। রাজনীতির কারণে ছেলের এই অবস্থা। আমি চাই, কারও সন্তানের যেন এ অবস্থা না হয়। আল্লাহ’র কাছে এখন শুধুই একটাই প্রার্থনা, আমার ছেলে যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। শুধু বসে আছি ‘কখন বাবা ডাক শুনবো’।সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার বাদী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান বলেন, আকিবের অবস্থা উন্নতির দিকে। তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়েছে। তার জ্ঞানও ফিরেছে। আকিবকে কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারছে। তবে তার পুরোপুরি সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২উল্লেখ্য গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ও শনিবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আকিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ১৪ জেলে দগ্ধ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১৪ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। দগ্ধ হওয়া জেলেদের প্রথমে কুতুবদিয়া হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান জানিয়েছেন, দ্বীপের একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৪ জেলেকে চিকিৎসার জন্য আনার পর ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে।
গুরুতর আহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (২৪), ফরিদুল আলম (৪৩), নৌকার মাঝি মামুন (২৪), জিসাদ (২৪), মিনহাজ (১৭), সাদ্দাম (২০), নুরুল হোছাইন (৩৫), দিলশাদ (১৭)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নুল আবেদীন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সাইফুলের শরীরের ৮১ শতাংশ, ফরিদের ৬৪ শতাংশ, নুরুল হোসাইনের ৫৫ শতাংশ, মিনহাজের ৪৮ শতাংশ, দিলশাদের ৪৭ শতাংশ, জিশাদের ৪৭ শতাংশ, মামুনের ১৪ শতাংশ ও সাদ্দামের শরীরের ১১ ঝলসে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি: একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ১৫
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত দশটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নস্থ অলি পাড়ার আনছার মিস্ত্রির মালিকানাধীন এফ,বি মায়ের দোয়া নামের নৌকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটি বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে তীরে ফিরছিল। ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি নৌকায় মজুদ থাকা জ্বালানি তেলের ড্রামে লাগলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় জেলেরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আগুনের তাপে নৌকায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন ১৪ জন জেলে। বাকিরা সাগরে লাফ দিলে অন্য একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা নৌকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক দগ্ধ আট জেলের অবস্থা আশংকাজনক হলে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪৩ দস্যুর আত্মসমর্পণ
স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন দগ্ধদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ নূরের জামান চৌধুরী ও কুতুবদিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পাঠানোর জন্য স্হানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
বাঞ্ছারামপুরে স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ও ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মরিচাকান্দির এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নরসিংদীর সদরের সঙ্গীতা এলাকার জুলফু মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (৪৫) ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদের খুরশিদ মিয়ার ছেলে জুয়েল (৩৫)।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট ডুবি: বোট মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শনিবার রাতে ১২ যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি নরসিংদী থেকে মরিচাকান্দি নৌঘাটে যাচ্ছিল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সবাই নিরাপদে তীরে উঠতে পারলেও জুয়েল ও ফরিদ মিয়া গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে জুয়েলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া পথে ও ফরিদ মিয়াকে নরসিংদী নেয়ার পথে মার যান।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর পুলিশসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোট চালককে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
বিয়েতে মাংস না দেয়ায় বর-কনেপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত (তৃতীয়বার) মাংস না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কনের বাবা-মা ও বরসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, কনের বাবা জসিম উদ্দিন ফারুক (৪৮), কনের মা রাশেদা বেগম (৩৫), মামা বাবুল (৩০), বর মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮), মানিক (২৮), মো. রফিক (৩০) ও হুমায়ূন (২০)।
পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার ছদাহা পূর্ব কাজীর পাড়া (খামারপাড়া) কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে নোয়াখালীর সুবর্ণচর চরওয়াবদা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (বর্তমানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ে মুক্তা বেগমের বিয়ের খাবার দাবারের আয়োজন চলছিল। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে।
কনের চাচা আলাউদ্দিন জানান, বিয়েতে বরপক্ষের ৩০০ লোককে খাওয়ানোর কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাদের ৪০০ জনেরও বেশি লোককে খাওয়ানো হয়। এ সময় খাবার টেবিলে বরপক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেয়ায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। ঘটনা থামাতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন। এতে স্থানীয়সহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বরপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, বিয়েতে মারামারির ঘটনা মাংস নিয়ে নয়। এটা নাকি বিয়ে বানচালের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের ষড়যন্ত্র।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়েতে মাংস কম দেয়ার ব্যাপারে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
ফেনীতে মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের সময় সংঘর্ষে ‘পুলিশের গুলিতে’ গুরুতর আহত এনামুল হক কাউছারের (১৯) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ১৫ অক্টোবর মন্দির ও মসজিদে হামলা-ভাংচুরের সময় সংঘর্ষে ‘পুলিশের গুলিতে’ গুরুতর আহত হয় কাউসার।
তিনি সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামের ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের ছেলে।
নিহত কাউসারের চাচা আতাউল ইসলাম জানান, গত ১৫ অক্টোবর দোকানের মালামাল কিনতে কাউছার ফেনী শহরে যায়। এরপর বড় মসজিদের সামনে সংঘর্ষের সময় তার মাথা ও মুখে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী শহরের বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
পরে শুক্রবার রাতেই তার লাশ সোনাগাজী পৌর শহরের কাশ্মির বাজার সড়কের ভাই ভাই মঞ্জিলের বাসায় আনা হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা।
কাউছারের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ থেকে নিশ্চিত করেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নাটোরে জলাশয় নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
আহতরা হলেন- মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং আকিব হোসেন (২০)। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এবং শনিবার সকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষে লিপ্ত দুই গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আজম নাছিরের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে সকালে সংঘর্ষের পর চমেক একাডেমিক কাউন্সিলে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত মার্চে একই ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, রাতের ঘটনার জের ধরে সকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার পর হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওসি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান তিনি।
চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। আমরা সব শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছি। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ড. মতিউর রহমানকে।
আরও পড়ুন: চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চমেক হাসপাতালে আগুন: লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম: শিক্ষামন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার বেলা ১১টায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির আয়োজনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হাজার হাজার বছর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। এ ভূখণ্ডে বিভিন্ন সময়ে নানান ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ এসেছে এবং সকলেই তাদের নিজ নিজ ধর্ম নিজস্বভাবে পালন করেছে। এ সব কাজে একে অপরের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশে আমরা দেখেছি এক সময় ধর্মের নামে অত্যাচার ও নির্যাতন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
দীপু মনি আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানে যার যার ধর্ম ও উৎসব সে সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এখানে কেউ কাউকে ধর্ম প্রচার, উৎসব কিংবা ধর্ম পালনে বাধাগ্রস্ত করবে না।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সমন্বয়ক আখলাকুর রহমান মাইনুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, আমেনা নুর ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আহম্মদ আল জামান।
অনুষ্ঠান শেষে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমে গেলে ক্লাস বাড়ানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে শিখছে: শিক্ষামন্ত্রী
স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চিকিৎসক স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। এর আগে চলতি বছরের ২৬ আগস্ট মামলাটি করেন।
মামলার আসামি সার্জেন্ট ইকবাল হোসেন বর্তমানে খুলনায় কর্মরত। বাদী ডা. সোনিয়া সামাদ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: র্যাব অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নরসিংদীতে আটক ২
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন,তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সার্জেন্ট ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি সোনিয়া সামাদের সাথে ইকবাল হোসেনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে বাদীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন ইকবাল। বাদীর মা-বাবা ইতালিপ্রবাসী। অভিযুক্তের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে গত ৬ এপ্রিল যৌতুকের এক লাখ টাকা তাকে বুঝিয়ে দেন বাদী। এরপর ঢাকার সাভারে থাকা পাঁচ তলা বাড়ি, একটি প্রাইভেটকার ইকবালের নামে লিখে দিতে বাদীকে চাপ দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে ৩ যুবক আটক: র্যাব
ওই সময় বাদী উপজেলার জোরারগঞ্জে একটি ক্লিনিকে কমর্রত ছিলেন। গত ২৫ জুলাই বাদীর জোরারগঞ্জের বাসায় এসে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার সাভারে একটি বাড়ি ও একটি প্রাইভেটকার দখলে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন ইকবাল। তাছাড়া কিছু টাকা ও স্ত্রীর গহনা আত্মসাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অর্থসহ আটক ৫: র্যাব
গত ২৫ জুলাই যৌতুকের জন্য মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের বাসায় ইকবাল স্ত্রীকে মারধর করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে মীরসরাই উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে গত ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের ফাটলের (বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভার) ঘটনায় নির্মাণের ত্রুটি আছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমিতো প্রকৌশলী না। ফাটলের কারণ আমি বলতে পারব না। তবে সাধারণভাবে বলতে চাই, এটার নির্মাণে নিশ্চয় ত্রুটি আছে। যার ফলে এ ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এখানে প্রকৌশল দৃষ্টিকোণ থেকে কি হয়েছে না হয়েছে এটা আমার থেকে আমাদের প্রকৌশলীরা ভালো বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল, যানবাহন চলাচল বন্ধ
এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা রোড বন্ধ করে দিয়েছি। যেহেতু এ কাজ আমরা করিনি, এটা নির্মাণ করেছে সিডিএ।সেহেতু তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে আজকে আমরা সিডিএকে চিঠি দিব। যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেভাবে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে আমি নিজেও দেখে হতবাক হয়েছি। কারণ এ ফ্লাইওভারে আগেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। গার্ডার পড়ে অনেক লোক মারা গিয়েছিল।’রেজাউল করিম বলেন, ‘কি কারণে হয়েছে না হয়েছে তদন্তপূর্বক বের করা যাবে। সিডিএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে ফ্লাইওভারের নিচের জায়গা দখলমুক্ত করা হবে: মেয়র তাপসউল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাতে হঠাৎ বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের দুটি পিলারে বড় ধরণের ফাটল দেখা দিলে নিরাপত্তার কারণে রাতে ফ্লাইওভারে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।এ দিকে পাশাপাশি দুটি র্যাম্পের পিলারে ফাটলের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। আজ সকালে মেয়র এম রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এই চিঠি দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ফাটলে ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবুও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সিডিএকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্লাইওভারের নিচে ট্রাফিক পুলিশ বক্স স্থাপনের পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল, যানবাহন চলাচল বন্ধ
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের একটি পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
উদ্বোধনের চার বছরের মধ্যে ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটলের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযোজিত র্যাম্পে বড় ধরনের ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। মূল ফ্লাইওভার থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি দেবে ফাঁক হয়ে যায়।
স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল জানান, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ওই অংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিএমপির পক্ষ থেকে ব্যারিকেডের পাশাপাশি দু'জন ট্রাফিক সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুর রহমান জানান, মোহরার অংশে দিয়ে ওঠা ও নামা আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে ষোলকবহর অংশে যানবাহন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মামলার চার্জ গঠন ১০ নভেম্বর
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় ফ্লাইওভারের স্টিলের গার্ডার ধসে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়। হঠাৎ করে তিনটি গার্ডার নির্মাণের সময় ফ্লাইওভার (ওভারপাস) থেকে পড়ে যায়। এর আগে ওই বছরের ২৯ জুন বহদ্দারহাটের এই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে ১৩০ ফুট দীর্ঘ কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়েছিল।
জানা যায়, শহেরর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এম এ মান্নান ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরে এর নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত