���������������������������
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় ২টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বুধবার জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন আজিজ মিসির নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। আমরা তা গ্রহণ করেছি। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ডাকসু ভিপি নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষণ মামলা
মামলার এজাহারে বাদী আজিজ মিসির নিজেকে চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অর্থ উপ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
আজিজ মিসির অভিযোগ করেছেন, নুর ব্যক্তিগত আইডি থেকে ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ নেতাকর্মীদের ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে উসকানি প্রদান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোসহ মুসলমান নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য প্রকাশ, আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
গত ১৪ এপ্রিল বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে নূর বলেন, ‘কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা এই আওয়ামী লীগ করে তারা চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার-বাটপার এই ধরনের মুসলমান।’
আরও পড়ুন:ধর্ষণ মামলায় নূরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাবির সেই শিক্ষার্থীর অনশন
এর আগে একই অভিযোগে সোমবার বিকালে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কিশোর জাহান সৌরভ। এছাড়াও নুরের বিরুদ্ধে রবিবার ঢাকায়ও দুটি মামলা হয়েছে।
কক্সবাজারে পাহাড় থেকে পড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে পাহাড় থেকে পড়ে একটি বয়স্ক মাদি (নারী) হাতির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জ এর পানেরছড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদগাঁও রেঞ্জ'র পানেরছড়া নামক ঢালায় গতকাল রাতে হাতির একটি পাল আসে।
তার মধ্যে এটি বয়স্ক মাদি হাতি পাহাড়ের উচু থেকে পা পিছলে নিচে সড়কে পড়ে গেলে মাথা আঘাত পাওয়ায় তখনি হাতিটি মারা যায়।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসেন খান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঙ্গলবার সকালে পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
স্থানীয় বাসিন্দা ছিদ্দিক জানান, রাতে বেশ কয়েকটি হাতি পানেরছড়া এলাকায় এসেছিল। এই হাতির পাল প্রায় সময় এই দিকে আসে। খুব সম্ভবত বয়স্ক মাদি হাতি হওয়াতে পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেছে।
ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসেন খাঁন জানান, রাত ১টার দিকে পানেরছড়া এলাকায় পাহাড় থেকে পা পিছলে হাতি পড়ে গেছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বয়স্ক হাতিটি মারা গেছে। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম জানান, একটি বয়স্ক হাতি ঈদগাঁও পানেরছড়া এলাকায় পড়ে আছে খবর পেয়ে ঈদগাঁও রেঞ্জ ও কক্সবাজার অফিস থেকে একটি বিশেষ টহলটিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে হাতিটি মারা গেছে।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে।’
‘প্রাথমিকভাবে ধারণা কার হচ্ছে বয়স্ক মাদি হাতি হওয়াতে পাহাড়ে চলাচলের সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে,’ বলেন তহিদুল ইসলাম।
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ গেল ৮ জনের
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭২ জন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সোমবার নগরীতে ৭ জন ও উপজেলায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবসহ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ১ হাজার ৫৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪৭ জনের। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরীর ২৬৩ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৮৪ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ হাজার ৫৭৪ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় মোট ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে লোহাগাড়া ৪, সাতকানিয়া ৪, বাঁশখালী ২, চন্দনাইশ ২, পটিয়া ৯, বোয়ালখালী ৬, রাঙ্গুনিয়া ৭, রাউজান ১২, ফটিকছড়ি ১০, হাটহাজারী ২১, সীতাকুণ্ডে ৩, মিরসরাই ৩, সন্দ্বীপ এক জনের করোনা শনাক্ত হয়। আনোয়ারায় এদিন কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
সোমবার চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে একটি মাত্র নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তা নেগেটিভ আসে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ৬১ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় একদিনে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৮১
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৩ জন ও বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ১৬৬ নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন এবং শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৬২ জনের নমুনায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৫০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৩১ জনের।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৭১ নমুনা পরীক্ষায় ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
এ সকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
করোনার টিকা নেয়া ব্যক্তিরা আক্রান্ত হলেও তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক কম বলে এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) এক গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা নেয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়নি। টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাদের মধ্যে কোনো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি পরিলক্ষিত হয়নি।
টিকা নেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়া ২০০ রোগীর ওপর চালানো গবেষণায় দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৮৮ শতাংশের বেশি রোগীর শ্বাসকষ্ট ছিল না। ৯২ শতাংশ রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়নি।
বয়স্ক ও কো-মরবিডিটির কারণে কিছুসংখ্যক রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ নেয়া পর আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র একজন রোগীর।
গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্তদের অধিকাংশ টিকা নেয়ার অন্তত ৩২ দিন পর আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের শরীরের গড় তাপমাত্রা ছিল ১০১ ডিগ্রি। লিঙ্গ ও বয়সভেদে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯৯ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার ২য় ডোজ নিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেয়া করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে করা একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষক দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. সিরাজুল ইসলাম এবং ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই গবেষণা চালানো হয়। যাদের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়, তারা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছিলেন।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হলো শ্বাসকষ্ট। এই শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে অধিকাংশ রোগীর মৃত্যু ঘটে। তবে এই গবেষণায় দেখা যায়, করোনা টিকা নেওয়াদের মধ্যে ১৭৭ জনের কোনও শ্বাসকষ্ট পরিলক্ষিত হয়নি। তবে বয়সের তারতম্য, বার্ধক্যজনিত কারণ ও বিভিন্ন কো-মরবিডিটির কারণে মাত্র ৮ শতাংশ রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
করোনা আক্রান্তদের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, হাঁচি ও কাশি। গবেষণায় দেখা যায়, প্রথম ডোজ নেয়া রোগীদের ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর লিঙ্গভেদে পুরুষ ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৯১ শতাংশ নারীর মধ্যে কোনো ধরনের কাশি ও হাঁচি পরিলক্ষিত হয়নি। একই সাথে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫৫ দশমিক ৫ জন নারী রোগীর যথাক্রমে স্বাদ ও ঘ্রাণে কোনও পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি।
গবেষণার ইতিবাচক দিক হচ্ছে প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত ২০০ রোগীর মধ্যে মাত্র একজনকে আইসিইউতে ভর্তির প্রয়োজন হয়। তবে ছয় দিন পর ওই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত ওই ব্যক্তির দুই বছর আগে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল বলে জানা যায়।
গবেষক দলের প্রধান সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে টিকা নেয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলেও মৃত্যুঝুঁকি কমে আসে। টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর আক্রান্ত ২০০ জনের মধ্যে মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। মৃত ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার বিভিন্ন রোগ ছিল। আক্রান্ত হওয়ার পর তার আইসিইউর প্রয়োজন হয়েছিল। তবে টিকার প্রথম ডোজ নেয়া অন্যরা ভালো আছেন।
কুমিল্লায় আরও ৭৮ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ২
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার বিকালে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে প্রথম শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ২৩.৩৬ শতাংশ
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ৭৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩ জন, আদর্শ সদরে সাতজন সদর দক্ষিণ উপজেলায় ১ জন, বুড়িচং উপজেলায় ২ জন, ব্রাহ্মণপাড়ার ১ জন, চান্দিনার ৪ জন, চৌদ্দগ্রামের ৩ জন, লাকসামের ৪ জন, বরুড়ার ৮ জন, দাউদকান্দির ২ জন, হোমনার ১ জন, লালমাই ১ জন ও মুরাদনগর উপজেলার ১ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জন পুরুষ করোনায় মারা গেছেন। নিহতরা চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। উভয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লায় দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। সোমবার পর্যন্ত কুমিল্লায় ১১ হাজার ৩৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৩৪৬ জন।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
এতে বলা হয়, উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার বিচার দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ প্রকল্পে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ফরিদপুর জেলা শাখা।
সোমবার দুপুরে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সেখান থেকে নেতারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনের মুজিব সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নেতারা।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
এ সময় বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি জানান।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা শাখার সভাপতি রফিকুজ্জামান লায়েক, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার শীল, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি আড়াই হাজার
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের মালিকানাধীন বেসরকারি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শনিবার শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। নিহতরা হলেন- রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), আহমদ রেজা (১৮), মো. রাহাত (২৪) ও মো. রায়হান (২৫)।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনা: চট্টগ্রামের ৩ প্রবাসী নিহত
মধ্য প্রাচ্যের দেশ ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার তিন প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
সালালাহ থেকে মাস্কাটগামী সড়কের আল তামরিত এলাকায় রবিবার সকাল ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাবাসী। তাদের মধ্যে জাহেদ (৪২) পোমরা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের সরফভাটা ইউনিয়নের আসকার আলী রোড এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও নিহত সালাউদ্দিন (৪০) ও আবছারের (৪৫) বাড়ি বেতাগী ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামে।
নিহতরা সবাই ওমানের গোবরায় পর্দার দোকানে চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত
দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশি মালিক মো. রেজাউল করিম জানান, তারা মাস্কাট থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে সালালাহ শহরে পর্দার কাজ করতে এক সপ্তাহ আগে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে তারা সকালে মাস্কাটে ফিরছিলেন। পথে তামরিত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: ইতালি প্রবাসীকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা
নিহতদের মধ্যে গাড়ির চালক মো. জাহেদ তার আপন ভাগিনা বলে রেজাউল করিম জানান। রয়েল ওমান পুলিশ তিন বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করে সালালাহর একটি হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। সোমবার লাশ মাস্কাটে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে লাশগুলো দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।