���������������������������
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন: জাহাজের মালিকপক্ষ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিককে ঈদের আগে মুক্ত করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ঈদের আগে জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর বের হলেও তা সঠিক নয় বলে জানান এমভি আবদুল্লাহ’র মালিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে কেএসআরএম মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, ঈদের আগে জিম্মিদের মুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে তাদের প্রতিদিনই কথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। তবে ঈদের আগে মুক্ত হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পূর্ব অভিজ্ঞাতায় আমরা বলতে পারি- ঈদের আগে জিম্মিরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না।’
কারণ হিসেবে কেএসআরএমের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে ফিরিয়ে আনার বেশ কিছু কাজ রয়েছে। সে কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে তাদের ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।’
আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনবল নিতে চায় রাশিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
এদিকে, সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে জিম্মি থাকা জাহাজটিতে মজুদ খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। জিম্মি হওয়ার আগে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল জাহাজে। এখন নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
মালিকপক্ষ থেকে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল। তবে শুকনা খাবার অনেক দিনের জন্য মজুদ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে সামরিক অভিযান চান না মালিকপক্ষ
সরাইলে ছুরিকাঘাতে মোটরসাইকেল মেকানিকের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে লাল খা নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া কুমারপাড়াসংলগ্ন সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বোমা সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ২
নিহত লাল খা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং তিনি মোটরসাইকেল মেকানিক।
আটক দুইজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নরসিংসার গ্রামের মৃত নূর মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন ও জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন।
আল আমিন নামে অটোরিকশাচালকের সঙ্গে লাল খাঁর টাকা লেনদেন ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এরই জেরে জসিমকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিন ছুরি দিয়ে লাল খাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর দুজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডের কাজে ব্যবহৃত ছুরিটি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, জসিম ও আল আমিন নামে দুইজনকেই আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে গাঁজাসহ আটক ২ : র্যাব
চট্টগ্রামে হ্যাং আউটে পুলিশের অভিযান, মালিকপুত্রসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে উপজেলার বিরাসার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে জনকে আটক করে।
জানা যায়, জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বড় গোষ্ঠীর আলামিন একই গ্রামের মিজান আনসারি গোষ্ঠীর মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে, এর জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় জমি বন্ধক নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মুছা মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণ খার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবকের ছুরিকাঘাতে কর্মচারী নিহত
নিহত মুছা ওই গ্রামের জুজু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ধানি জমি বন্ধক নিয়ে মুছার সঙ্গে দক্ষিণ খার গ্রামের রুহুলের পরিবারের লেনদেন ছিল। এর জেরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রুহুল আমিন ছুরি দিয়ে মুছাকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ২৫০ কেজি ইলিশ (১০৬.২৫ মণ), ৩০০ কেজি জাটকা ও ৬০০ কেজি পোয়া মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা খন্দকার মুনিফ ত্বকি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে চাঁদপুরের কোস্টগার্ড স্টেশন ও মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালায় মেঘনা নদীর হাইমচরের ইশানবালায়। সেখান থেকে ৪ হাজার ২৫০ কেজি ইলিশ, ৩০০ কেজি জাটকা ও ৬০০ কেজি পোয়া মাছ জব্দ করে। একই সঙ্গে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে।
মুনিফ ত্বকি আরও বলেন, জড়িতরা পালিয়ে গেছে। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দ করা মাছগুলো স্থানীয় মাদরাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জব্দ করা ট্রলার চাঁদপুর মৎস্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার টেক্সটাইল মোড় এলাকায় একটি জুতার সোল কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিম’স ফ্যাশনের একটি ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: ২২ ঘণ্টা পর মুন্সিগঞ্জের সুপার বোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম জানায়, কোরিয়ান গার্মেন্টসে আগুনের খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর বায়েজিদ, আগ্রাবাদ ও চন্দনপুরার তিনটি স্টেশনের ৬টি ইউনিটের আগুন নির্বাপণে কাজ শুরু করেছে।
ফায়ার সার্ভিস বায়েজিদ স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শিবলি সাদিক বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে বায়েজিদ স্টেশনের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
এরপর আগ্রাবাদ ও চন্দনপুরা স্টেশনেরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে আগুনে পুড়ল দিনমজুরের স্বপ্ন
কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে পুকুরের পানিতে ডুবে সামিউল (৪) ও সামিয়া (৩) নামে আপন দুই ভাই ও বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফরিদকান্দি গ্রামের বেপারী বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। সামিউল ও সামিয়া ওই বাড়ির মো. পারভেজ হাসানের সন্তান।
শিশু দুইটির স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজ বিকালে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলছিল তারা। এক সময় তাদের খোঁজ না পাওয়া গেলে সবাই তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করে। পরে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে বাড়ির লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডা. রিত্তিকা মজুমদার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ২ শিুশুর মৃত্যু হয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ২ শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার নৌকায় ইঞ্জিন বিস্ফোরণে আগুন লেগে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন- জামাল উদ্দিন, মাহমুদুল করিম, মফিজুর রহমান, এমরাম ও মাসুদ আকাশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কোস্টারের জাহাজ 'প্রমত্ত' আগুন নিভিয়েছে।
এর মধ্যে মাসুদকে প্রাথমিক চিৎিসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জামাল উদ্দিন, মাহমুদুল করিম, মফিজুর রহমান ও এমরামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আলম আশিক জানান, দুপুরে কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চাঁদপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজির ২ জন নিহত, আহত ৩
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকায় মুরগি বহনকারী পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আবুল কাশেম ও আব্দুর রব নামে ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালকসহ আরও ৩ জন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে কালিয়াপাড়া-কচুয়া সড়কের বশিরউল্লাহ হাসপাতালের (প্রাইভেট) সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত আবুল কাশেম (৪৫) একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও আব্দুর রব (৫৫) কৃষক। উভয়ই শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের স্বর্ণকারপাড়ার বাসিন্দা।
গুরুতর আহতরা হলেন- আব্দুর রশিদ ও আশেক আলী। উভয়ই কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ও মাসনীগাছার বাসিন্দা। চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি প্রবাসী নিহত
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শিশির জানান, ইফতারের পর বৃষ্টি নামে। ওই মুহূর্তে কচুয়াগামী মুরগি বহনকারী পিকআপ উল্টো দিক থেকে অর্থাৎ কালিয়াপাড়ার দিকে আসা এ অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশার এক যাত্রী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরেকজন আব্দুর রবকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে মারা যান। অটোরিকশাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পিকআপের চালক পালিয়ে যান।
শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাতহতের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, নিহতদের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলিযুক্ত ৯ মণ চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরে অটোরিকশা-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন গুরুতর আহত
গোবর ফেলা নিয়ে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা থেকে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার(২৭ মার্চ) চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে হানিফ বড় ও অভিযুক্ত আনিছ মিয়া দ্বিতীয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হিমেল জানান, দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশে অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে গরুর গোবর ফেলে আসছে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে বাবার হাতে ছেলে খুনের অভিযোগ
বুধবার দুপুরে গোবর ফেলা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মেজ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে। এক পর্যায়ে কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করলে টুকরোটি বাম চোখের ভেতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়।
আহতাবস্থায় হানিফ মিয়াকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিষ্কের আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।
চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ