%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2
তলা ফেটে মেঘনায় সিমেন্টের কাঁচামালবাহী জাহাজ, ১২ স্টাফ উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে তলা ফেটে সিমেন্টের কাঁচামালবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবতে বসেছে। রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ থেকে ১২জন স্টাফকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কেএম শফিউল কিঞ্জল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিমেন্ট তৈরির কাচামাল নিয়ে ঢাকা থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিলো প্রিমিয়াম-৫ নামের একটি মালবাহী কার্গো জাহাজ।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বেলা ১১ টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া জমিদার বাড়ি খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পৌঁছালে এটির পেছনের অংশের তলা ফেটে যায় এবং ভেতরে পানি উঠতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ড দক্ষিণজোনের কালিগঞ্জ স্টেশানের একটি টহল টিম কাছাকাছি নদীতে টহল দিচ্ছিলো। তারা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জাহাজের নাবিক-ক্রুসহ ১২ জনকে উদ্ধার করে। ফলে কেউ নিঁখোজ নেই।
তিনি বলেন, বর্তমানে জাহাজটি ওই স্থানের ডুবোচরে আটকে গিয়ে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে আমাদের কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
নৌপুলিশের মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল আল গালিব বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঢাকা থেকে খুলনার মোংলাগামী জাহাজটির তলা ফেটে গেছে।
আর জাহাজটির তলার পেছনের অংশ ফেঁটে যাওয়ায় ধীরে ধীরে এটির ভেতরে পানি প্রবেশ করতে থাকায় বর্তমানে সেই অংশ আগে নিমজ্জিত হয়।
বর্তমানে জোয়ারের পানি ঢুকে জাহাজটির সামনের অংশ দেখা দেখা গেলেও পেছনের অংশ নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে।
কি পরিমাণ সিমেন্টের কাঁচামাল ছিলো তা নিশ্চিত হতে না পারলেও, জাহাজটির সকল স্টাফ নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে।
জাহাজ কোম্পানিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে আসছেন। তারা এসে পৌঁছালে জাহাজটি ও এর মালামাল উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা-মেঘনায় ৫০টি বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ, আটক শতাধিক
মেঘনায় বালুবাহী বলগেট ডুবে ১ শ্রমিকের মৃত্যু
বরিশালে বাস-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৩
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাসচাপায় তিনজন নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে বরিশাল বিমানবন্দর থানার ছয়মাইল মল্লিক বাড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড রাজমাতা কলস গ্রামের আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে এমদাদুল হক (৩৮), এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম রহমতপুর বাদামতলা ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার মো. সেন্টু হাওলাদারের ছেলে নাদিম হাওলাদার (১২) এবং এয়ারপোর্ট থানার উওর রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা সিনবাদ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২
তিনি বলেন,ঢাকা থেকে বরিশাল আসার পথে ছয়মাইল মল্লিক বাড়ির সামনে গুনগুন পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যায়। বাকিদের উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সেখানে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, হতাহতেরা সকলেই ট্রলির আরোহী।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর বাসের চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছে; তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে ৫৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৬
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বরগুনার তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে সৈকতের লঞ্চঘাট থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
আসাদুল নামে স্থানীয় এক জেলে জানান, প্রায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২ ফুট চওড়া মৃত ডলফিনটির লেজ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে জেলেদের জালে আটকে এটির মৃত্যু হয়েছে।
তালতলী উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিম পাঠিয়েছি। ডলফিনটিকে নিরাপদ স্থানে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হালিমা সর্দার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মৃত ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত জোড়া ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
নবনির্বাচিত সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বরিশালে ফিরে জেলার কাশীপুর ইউনিয়নে ছাত্র ও যুবলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে কাশীপুরের পেট্রোল পাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সকলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান মোল্লা জানান, টুঙ্গীপাড়ায় খাবার দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। তারা কাশীপুর পেট্টোল পাম্পে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কে কোন পক্ষের তিনি জানেন না।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিয়াজ ভুইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুইটি পক্ষ হয়ে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষের আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে কোন অনুসারী তা বিষয় নয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন যে এখন পর্যন্ত ১৫ জন হাসপাতালের সার্জারি ও অর্থোপেডিক্স ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
ভোলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের বৈদ্দের পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মানিক চন্দ্র শীল (৪৩) লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকার সদানন্দ শীলের ছেলে। তিনি একটি মোটরসাইকেল শোরুমের মেনেজার ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানান, শ্যালকের বৌভাতের বাজার করতে মানিক তজুমদ্দিনে শ্বশুর বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে লালমোহনের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।
পথে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বৈদ্দের পুল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লাগে। এতে মানিক গুরুতর আহত হন।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা ভাগিনা তন্ময় আহত হয়েছেন। তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মানিকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর বসিলায় সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বরিশালে কুপিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন, যুবক গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীতে প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহম্মেদ আকন রাধোর (২৬) একটি হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। সোমবার (০৩ জুলাই) রাতে বরিশাল জিলা স্কুলের পিছনের গেটে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার জুনায়েদ আল মামুন (২৪) নামে একজন নামধারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা জয়নাল। মামলার প্রেক্ষিতে তানভীর হাওলাদার নবীন (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নবীন নগরীর ভাটিখানা সুন্নিয়া মসজিদ এলাকার লিটন হাওলাদারের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি মামুন নগরীর বেলতলা এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুর ছেলে।
আহত রেদোয়ান আমানতগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জয়নাল আবেদীন জানান, তার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও নির্দিষ্ট কারও অনুসারী নয়।
তবে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান জানিয়েছেন রেদোয়ান তার অনুসারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নামধারী আসামি মামুন (৩০) আহত রেদোয়ানের পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মামুন ফোন করে রেদেয়ানকে জিলা স্কুলের পিছনের গেটে নিয়ে যায়।
রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মামুনসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন রেদোয়ানকে মারধর করে। পরে অজ্ঞাতরা রেদোয়ানের বাঁ হাত টেনে ধরে। তখন মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভূক্তভোগীর বাবা জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতাল থেকে রাত ১২টার দিকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা পৌঁছালেও নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় হাতটি জোড়া লাগানো যায়নি। তার হাত থেকে রক্তপাত চলমান থাকায় অবস্থা ভালো নয়। রেদোয়ান অচেতন হওয়ার আগে মামুনসহ বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছিলো।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নবীন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি রেদোয়ানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত করা হবে। এছাড়া হাত বিচ্ছিন্ন করায় ব্যবহৃত ধারালো রামদাটি উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩জন গ্রেপ্তার
ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণ, আহত ১১
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সোমবার সন্ধ্যায় ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল বহনকারী সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ট্যাংকারের এক কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আমাদের ঝালকাঠি সংবাদদাতার অনুসারে, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জাহাজ থেকে ৭ লাখ লিটার ডিজেল সরানো হয় এবং বড় ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়া এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু গতকালকের (সোমবার) বিস্ফোরণের পরে কিছু পেট্রোল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া, জেলার বাসিন্দারা এর প্রভাব এবং নিজেদের সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অপর একটি জাহাজ সাগর নন্দিনী-৪ ট্যাংকার থেকে অবশিষ্ট ৪ লাখ লিটার পেট্রোল খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন আগুনের সূত্রপাত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজটি সারাদিন উদ্ধার অভিযান শেষ করে নদীতে অপেক্ষা করছিল।
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আগুন লাগার পর সাগর নন্দিনী-৪ এর কর্মীরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
তবে এ ঘটনায় পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
সর্বশেষ প্রতিবেদকের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, জেলা, উপজেলা ও নৌ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে এবং বরিশাল থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ‘ডলফিন’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে আগের ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত দল তদন্ত শুরু করেছে এবং আজ জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোণে ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার ব্রিজের ভেতর থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল (৩৫), ড্রাইভার রুহুল আমিন (৩২) ও মাস্টার সরোয়ার খান (৪০)। ড্রাইভার রুহুল আমিনের বাড়ি বাকেরগঞ্জ ও মাসুদুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর এবং মাস্টার সরোয়ারের বাড়ি পিরোজপুর।
এই ঘটনায় এপর্যন্ত নিখোঁজ চার জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ডিজেলের পরে পেট্টোল অপসারণের কাজ চলছে। সোমবার সকাল থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ এভি নির্ভিক কাজ শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া মাস্টার ব্রিজ ও স্টাফ কেভিন থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং জাহাজের অবকাঠামো তীরের দিকে নিয়ে আসে।
এর আগে, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে জাহাজের ২য় ইঞ্জিনরুমের কর্নার থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আব্দুস সালম হৃদয় (২৭) জাহাজের গ্রিজারম্যান (ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী)।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
দুঘর্টনাকবলিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর কর্তৃপক্ষ মাহাবুবুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ১৩জন স্টাফ কর্মরত ছিল। এই ঘটনার পর এক পর্যায়ে জাহাজে ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ করে ১১ লাখ লিটার পেট্টোল ও ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়।
সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৩ ঘন্টা পর ৪ জনের মধ্যে ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বাকি ৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি। রবিবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে জাহাজের ২য় ইঞ্জিনরুমের কর্নার থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আব্দুস সালম হৃদয় (২৭) জাহাজের গ্রিজারম্যান (ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গা উপকূলে ৮৫০ টন ডালসহ জাহাজ দুর্ঘটনা
দুঘর্টনাকবলিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর কর্তৃপক্ষ মাহাবুবুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ১৩জন স্টাফ কর্মরত ছিল। ঈদের কারণে কয়েকজন ছুটিতে ছিলো। ছুটির দিন থাকার কারণে জানা সম্ভব হয়নি কে কে ছুটিতে ছিল।
তিনি জানান, এই ঘটনার পর থেকে এক পর্যায়ে জাহাজে ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ করে ১১ লাখ লিটার পেট্টোল ও ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। পদ্মা পেট্টোলিয়াম করপোরেশন অন্য দুটো জ্বালানিবাহী জাহাজ দিয়ে জ্বালানি অপসারণ করে ডিপোতে নিয়ে আসে এবং জ্বালানির কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা তদন্তে জিএম আব্দুস সোবাহানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাফায়েত আরবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিখোঁজদের সন্ধ্যানে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সার্বিক সহযোগীতা করছে।
তিনি আরও জানান, ইঞ্জিনরুম থেকে এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় তিনি ইঞ্জিন রুমের দায়িত্বে ছিলেন।
বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচএম রাশেদুল জানান, শঙ্কা থাকলেও জাহাজ থেকে কোনো তেল নির্গত হয় নি। সে কারণে এক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য কোনো হুমকি নেই।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল এই ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষনিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় বিষয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি: বাংলাদেশে ভারতীয় সহযোগিতা 'দৃশ্যমান', বললেন নসরুল
ভোলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের কাছে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ, কনেসহ আহত ১৫
ভোলায় বিয়ে বাড়িতে গেটে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে বরযাত্রীদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনে, তার বাবা ও শ্বশুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটির ফলে পন্ড হয়ে গেছে আয়োজনটি।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মুসলিম পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরিফের সঙ্গে জামিরালতা এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ে নুপুরের দু’মাস আগে বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরে জামিরালতায় মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরকে অভ্যর্থনা জানাতে গেটে লাল ফিতা কেটে ভেতরে বরসহ অতিথিদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় বরের কাছে ৫ হাজার টাকা চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ হট্টগোল বাধে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ, মারধরসহ চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অতিথি আপ্যায়নের জন্য দুপুরের খাবার ফেলে দেয়া হয়। এতে করে নুপুর, তার বাবা হারুন, বরের বাবা জাকির হোসেনসহ দুই পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে কনেসহ গুরুতর ৯ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, বিয়ে বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান রোপন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪