বরিশাল
পটুয়াখালীতে পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের জিয়া কলোনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত তিন ভাইবোন হলো-রুমান (৭), শারমিন (৫) ও মরিয়ম (৮)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
মৃত রুমান ও শারমিন ওই এলাকার সোহেল ফকিরের ছেলে ও মেয়ে। আর মরিয়ম সোহেল ফকিরের ছোট ভাই রুবেলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন ভাইবোন তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর পাড়ে খেলতে যায়। একপর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে পরে যায়।
পরে স্থানীয়রা ওই পুকুরে শারমিনের ভাসমান লাশ দেখতে পায় এবং রুমান ও মরিয়মকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা অয়েল ট্যাংকার এমটি ইবাদি-১ এর ইঞ্জিনরুমের বিস্ফোরণে নিখোঁজ আবুল কাশেমের সন্ধান মেলেনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বরিশালের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে বিস্ফোরণের পর থেকে কাশেম নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার সময় তিন কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তাই কাশেমকে উদ্ধারে নদীতে ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ইঞ্জিনরুমেও খোঁজ করেছি, কোথাও তাকে পাইনি। তার সন্ধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিনদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে জাহাজটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন জাহাজের কর্মচারীরা।
এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কর্মচারী কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেনকে। নিখোঁজ রয়েছেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা- জাহাজের ইঞ্জিনরুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা কী কারণে ঘটলো তা তদন্ত করে দেখবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছে এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহাজের ভেতরে ইঞ্জিন রুমে হওয়া এই বিস্ফোরণের ফলে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতেরা হলেন-চট্টগ্রামের বাবুল কান্তি দাস ও স্বাধীন হালদার।
আহতদের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইঞ্জিন রুম প্রচণ্ড উত্তপ্ত থাকায় সেখানে ঢুকে উদ্ধার কাজ চালাতে পারছেনা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, তিনদিন আগে জ্বালানি তেল নিয়ে এমটি এবাদ ১ নামের জাহাজটি বরিশালে পৌঁছে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙ্গর করে। আজ বিকালে এখনকার মেঘনা ডিপোতে তেল খালাস করার কথা ছিল তার। বিকাল ৫টার দিকে ইঞ্জিন রুমে থাকা এয়ার কমপ্রেসার মেশিন চালু করার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় ইঞ্জিন রুমে থাকা ছয়জনের মধ্যে তিনজন বেড়িয়ে এলেও দুইজনের মৃত্যু ঘটে এবং একজন নিখোঁজ হন।
তিনি আরও জানান, ইঞ্জিন রুমের ভেতর প্রচণ্ড উত্তপ্ত থাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে সমস্যা হচ্ছে। জাহাজটি বর্তমানে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরে রয়েছে। জাহাজে জলতে থাকা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
না.গঞ্জে স্টিল মিলে বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত জোড়া ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একই সময় অর্ধগলিত দুটি ডলফিন ভেসে এসেছে। ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন দু’টির দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৮ ও ৩ ফুট ছিল। ডলফিন দু’টির দেহের অধিকাংশ জায়গায় পঁচন ধরেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে এক কিলোমিটার পূর্বদিক কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সৈকতে ডলফিন দু’টি ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে এসে বালুতে আটকে যায়। এসময় পর্যটক এবং স্থানীয়দের নজরে এলে বনবিভাগকে খবর দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৪ মে কুয়াকাটা পর্যটন পার্ক সংলগ্ন সৈকতে ৯ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী জেলে চিনমতি ভানু বলেন, আমি এখানে মাছ ধরা অবস্থায় হঠাৎ পচা গন্ধ পাই। কতক্ষণ পর দেখি দুটি ডলফিন কূলে ভেসে এসেছে। পচা গন্ধ সহ্য করতে না পেরে আমি স্থান পরিবর্তন করে মাছ ধরছি। তিন ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো কেউ পচা ডলফিন দুটি অপসারণ করেনি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
স্থানীয় যুবক হাসান আলী জানান, দুপুরের দিকে সৈকত থেকে গঙ্গামতি যাওয়ার পথে ঢেউয়ের সঙ্গে ডলফিন দু’টিকে ভেসে আসতে দেখেছেন তিনি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিন দুটি ইরাবতী প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।
সৈকতে ডলফিন ভেসে আসা প্রসঙ্গে বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবাগান এলাকায় দু’টি মৃত ডলফিন ভেসে আসার খবর জেনেছি। এখন আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে চলতি বছরে ৪টি এবং ২০২২ সালে ১৯টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
বরিশালে স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে ফুটবলারের ‘আত্মহত্যা’
বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের নির্মিতব্য ড্রেসিংরুমে রবিবার ভোরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক ফুটবলার ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
নিহত সোহেল জমাদ্দার (২৩) ঝালকাঠির নলছিটির রায়াপুর বটতলা এলাকার হাফিজ জমাদ্দারের ছেলে এবং ঢাকার সাইফ স্পোটিং ক্লাবের অনুর্ধ্ব ১৭ দলের গোলরক্ষক।
রবিবার নির্ধারিত ম্যাচ থাকায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন তিনি।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে তারা সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: চবির হলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
সোহেলের বোন শান্তা জানান, একটি মেয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে শনিবার তার ভাইয়ের স্ত্রী তাদের আট মাসের শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়।
মেয়েটির সঙ্গে ইমোতে ভিডিও কলের সময় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেও তিনি জানান।
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এসআই শহীদুল আরও বলেন, আলামত হিসেবে তার মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঈদের জামা কেনার টাকা না দেওয়ায় কিশোরের ‘আত্মহত্যা’
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে কচুয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় এ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সাব্বির হোসেন নামের এক পর্যটক মহিপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই
গ্রেপ্তারেরা হলেন-মহিপুরের আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাইজিদ ও ফোরকান দফাদারের ছেলে তানভির ওরফে শান্ত।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা পৌর শহরের আনন্দবাড়ি গেস্ট হাউজের সামনে কয়েকজন নারী ও পুরুষ পর্যটকের পথরোধ করে তাদের মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা ১৩ হাজার সাতশ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ ওই গ্রুপের সদস্যদের বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা বিষয়টি মুঠোফোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযোগ কক্ষে জানালে তাৎক্ষণিক তারা অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানায় সোপর্দ করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার আবুল খায়ের বলেন, দুইজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (৬ মে) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ চক্রের পলাতক অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই আহত
রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে গভীর রাতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত শুশুক প্রজাতির ডলফিন। ৯ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর ডলফিনটির শরীরের অধিকাংশ চামড়া উঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে ডলফিনটি ভেসে এসেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, ‘রাত ১২ টার দিকে মৃত ডলফিনটি জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে আটকে পড়ে। এটির মাথায় ও লেজে জালে আটকানোর চিহ্ন রয়েছে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি শুশুক প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘আমি রাতে খবর পেয়ে ওখানকার বিট কর্মকর্তাকে মৃত ডলফিনটি বালুচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে জংশন বাজারের ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে একটি টিভি-ফ্রিজের শো-রুম থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় বাজারের মেশিনারি পার্টসের দোকান, ফাস্টফুডের দোকান, টিভি-ফ্রিজের দোকান, ওয়ার্কশপের দোকান, ফার্মেসি, সুতার দোকান, মেশিনারি মালামালের গোডাউন, ফার্নিচারের দোকানসহ ৯টি পুরোপুরি এবং দুইটি আংশিক, মোট ১১টি দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সুমন সাংবাদিকদের জানান, রাত আড়াইটার দিকে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ও কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মনপুরায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও ফরিদপুরে আশানুরূপ ক্রেতা নেই
ভোলায় ২ দিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী অভয়াশ্রমে র্দীঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষে হওয়ার পর গত ২ দিন নদীতে জেলেরা কাঙিক্ষত মাছ পাচ্ছে না। ফলে প্রায় খালি হাতেই ফিরছেন তারা।
তবে জেলেদের আশা আগামী পূর্ণিমার পর হয়তো তাদের জালে ধরা পড়বে প্রত্যাশিত পরিমাণের ইলিশ।
আরও পড়ুন: রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় দুই মাসের জন্য ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ৩০ এপ্রিল রবিবার মধ্যরাত থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে নদীতে নেমেছেন ভোলার সাত উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। তাদের আশা ছিল দুই মাসের অভিযান শেষে নদীতে প্রচুর মাছ পাবেন।
আর তাতে গত দুই মাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। ফিরে পাবেন স্বচ্ছলতা। কিন্তু জালে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছেনা।
ভোলার তুলাতুলি মাছ ঘাটের জেলেরা জানান, নদীতে সারাদিন জাল ফেলে দুই-চারটি যা মাছ ধরা পড়েছে তা আকারে ছোট। কোনো কোনো জেলে সামান্য মাছ পেলেও তা বিক্রি করে তেল খরচও উঠছেনা।
এতে তারা হতাশায় পড়েছেন। তবে মাছ কম পড়ায় দাম বেশ চড়া।
অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় লোকসান গুণতে হয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করলে জমজমাট হবে তাদের ব্যবসা।
এ ছাড়াও বিগত দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে নিবেন তারা। কিন্তু মাছ কম পাওয়ায় তারা হতাশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশা মাছ ঘাটের মৎস্য ব্যাপারী শাহাবুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মাছের পরিমাণ আরও কমে গেছে। এতে তারা বিপাকে রয়েছে। সামান্য মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেক বেশি।
এদিকে এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মাঝারি সাইজের সাত থেকে আট হাজার টাকা দরে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত দুই মাসে ভোলার সাত উপজেলায় ৪০৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৬২জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। ৪৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জন জেলেকে ছয় লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আটককৃত বাকিরা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, তাদের দুই মাসের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া ইলিশ মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে জেলেরা প্রচুর মাছ শিকার করে দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে আবার ঘুড়ে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
পটুয়াখালীর দশমিনায় ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বর ও বরের মাসহ মোট চার জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনও। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের জন্য উদ্ধার অভিযান শুরু কড়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে এ ঘটনা।
মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকালে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে ভোলার চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগম (৩০) মারা গেছেন। লিপি বেগম উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
তিনি আরও বলেন যে এছাড়া আরও চারজন আজ (শনিবার) সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ আছে। নিখোঁজরা হলেন- গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা সেলিনা আক্তার (৪০) এবং উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ (শনিবার) পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে আরও দু’টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট তল্লাশিতে কাজ করছে। এখনও অভিযান চলছে, নিখোঁজ চারজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ