বরিশাল
পাথরবোঝাই ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি সেতু
বরিশাল বানারীপাড়া সড়কে পাথরবোঝাই ট্রাকের ভারে একটি বেইলি সেতু ভেঙে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার ভোরে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সড়কের পাথরবোঝাই ট্রাকটি পিরোজপুর থেকে বরিশালে আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পোয়াপাড়া বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে
স্থানীয়রা জানায়, বরিশাল সদরের সাথে বানারীপাড়া ও পিরোজপুরের নেছারাবাদসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। এক দশক আগে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ওইসময় সড়কের পাশে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ওই সেতু দিয়ে এতদিন গাড়ি চলাচল করছিল। তবে অস্থায়ী বেইলি সেতুটি ভেঙে পড়ায় বরিশালের সঙ্গে নেছারাবাদ ও বানারীপাড়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক নদীতে, নিহত ৩
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে রয়েছে। ট্রাক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেতু সংস্কার না করা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে না।
চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ
বরিশালে চাকরি দেয়ার কথা বলে কিশোরীকে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই সোমবার রাতে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।মামলায় অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন পাংশা এলাকার আ. ছালাম হাওলারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাঅভিযোগ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোবহান পাড়া গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে (১৭)। বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে রবিবার বরিশালে আসে সে এবং চাকরির খোঁজে এক বান্ধবীর কাছে যায়। বান্ধবী ওই দিন সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারের ব্রিজের পাশে স্বপন মন্ডলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুম হাওলাদারের কাছে চাকরি দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীকে। ওই রাতে মাসুম কিশোরীকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। সোমবার সকালে মাসুমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমানা ধর্ষণের বিষয় জানতে পারেন এবং তিনি ওই কিশোরীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে তার বাড়ি বরগুনাতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তারকিশোরী বাড়িতে না গিয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি সেখান থেকে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদকে জানানো হয়। এরপর ওসির নির্দেশে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মাসুম হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।মামলার পরির্দশক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবনওসি আলী আর্শাদ জানান, মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি মাসুমকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, পিরোজপুরে নিরাপদ আশ্রয়ে মাছ ধরার ট্রলার
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্মচাপের সৃষ্টি হওয়ায় পুটয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে এখন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে করে রবিবার থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের পাশপাশি অকাশ মেঘলা এবং দমকা হাওয়া বইছে।
এদিকে, সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো মৎস্য বন্দরে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি চলাচল বন্ধ
পটুয়াখালীর মহিপুর আলিপুর মৎস্য বন্দরে বিশেষ করে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই পাড়ে এখন শত শত মাছ ধরার ট্রলার নোঙ্গর করে আছে। আবহাওয়া ভালো হলে তারা আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন:দেশে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন,‘আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উডিশা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সোমবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বরিশালের ২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
এসএসসির ফরম পূরণে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ থাকা ২২ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
ইতোমধ্যে একটি বিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে বাড়তি অর্থ ফেরত ও ধার্য টাকার রশিদ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, ‘সদর উপজেলার চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রশিদ ছাড়া ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত গিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অবস্থায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়নাল হোসেনকে আদায়কৃত বাড়তি অর্থ ফেরত ও ধার্য টাকার রশিদ পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসির উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ফরম পূরণের জন্য ১ হাজার ৯৭০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য ১ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আমরা অভিযোগ পাই কয়েকটি স্কুল নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি টাকা নিয়েছে। এর বাইরে রশিদবিহীন ফরম পূরণের জন্য অর্থ আদায় করেছে কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আমাদের কাছে প্রায় ২২টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত ও টেলিফোনে অভিযোগ এসেছে। আমরা সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, এটি মূলত নিয়মিত কাজের একটি অংশ। কারণ আমরা সতর্ক না করলে হয়তো কেউ অবৈধ সুবিধা নিতে পারে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাস্তায় ক্লাস করলো শিক্ষার্থীরা!
করোনা মহামারির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে বিদ্যালয় খোলা হলেও শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাদের পাঠদান হয়েছে রাস্তায় পাটি বিছিয়ে।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ১৩০নং দক্ষিণ ভুতেরদিয়া নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে থাকায় শিক্ষার্থীদের রবিবার এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রোমান্স আহমেদ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর কবির বলেন, দক্ষিণ ভুতের দিয়া এলাকাটি অত্যন্ত নিচু। পানিতে ডুবে থাকে। খবর পেয়ে আমি সেখানে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছি। আজ বিদ্যালয় চালুর দিনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে উঁচু একটি স্থানে ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয় ভবনটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে ভবন পুনরায় নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তাছাড়া ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, পরিবেশ প্রতিকূল হলে তারা আপতত বিদ্যালয় বন্ধ রাখবে।
আরও পড়ুন: প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরল শিক্ষার্থীরা
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান বলেন, অবহেলিত চর এলাকার শিশুদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। বিদ্যালয় ভবন নেই। শৌচাগার নেই। শিক্ষার্থীদের আসতে যেতে কষ্ট হয়। তারপরও আজ সরকার নির্ধারিত দিনে স্কুলে ক্লাস নিয়েছি। যেহেতু সন্ধ্যা নদী বিধৌত এলাকা; তাই অনেক অঞ্চলই পানিতে নিমজ্জিত। বাঁশ-কাঠের তৈরি আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি পানিতে ডুবে থাকায় পাটি বিছিয়ে রাস্তায় ক্লাস নিয়েছি। তারপরও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিমুখ করিনি।
সেলিম খান আরও বলেন, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শতাধিক শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নতুন চর এলাকায় সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে ৭৪ শতাংশ জমির ওপর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা বিদ্যালয়টি। ২০১৩ সালের ১ জুলাই ২য় ধাপে জাতীয় করণের পর বিদ্যালয়টির নাম দেয়া হয় ১৩০ নং দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু জাতীয় করণের আট বছর পার হলেও এখনও বিদ্যালয়টির পাকা কোন একাডেমিক ভবন নেই।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
বরিশালে ধর্ষণ মামলায় ইমদাদুল বেপারি নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রবিবার আসামির উপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইমদাদুল বেপারি বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর গ্রামের হানিফ বেপারির ছেলে বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ মে রাত সাড়ে ১১টায় মুলাদীর ষোলঘর এলাকায় বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে আসামি ইমদাদুল। এসময় বাদীর ১৮ বছরের ঘুমন্ত কিশোরী মেয়ের মুখে কাপড় (গামছা) গুঁজে জোর করে ধর্ষণ করে আসামি ইমদাদুল। এই ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুন কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইমদাদুলকে একমাত্র আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ২২ জুন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মুলাদী থানা মামলা রেকর্ড করে।
ওই বছরের ২৮ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুলাদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন ইমদাদুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
পাবনায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
শেবাচিমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ!
সরকারি হাসপাতালে অপারেশন করালে রোগী মারা যেতে পারে এমন কথা বলে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক এ কে এম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক অভিভাবক। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাধারণ রোগীদের শেবাচিম হাসপাতালে আসতে নিষেধাজ্ঞা
তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজমুল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত প্রধান করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিবেদন পেতে দেরি হচ্ছে। প্রতিবেদনে অভিযুক্ত চিকিৎসক দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ২২ আগস্ট। তবে গত শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী অভিভাবক রাসেল হোসেন বলেন, ১৬ আগস্ট (সোমবার) আমার ৯ বছরের অসুস্থ মেয়ে শুকরিয়াকে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। তাকে অপারেশনের জন্য শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালের শেবাচিমে দ্বিতীয় দিনে মতো ধর্মঘটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
সেখানে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা এ.কে.এম মিজানুর মেয়ের শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে বলেন-এই রিপোর্ট চলবে না। তিনি হাসপাতালের সামনের আবিদ ইসলামিয়া ডায়গনস্টিক ল্যাব ও ডা. নজরুল ইসলামের আলট্রাসান থেকে টেস্ট করিয়ে আনতে বলেন।
ডা: এ.কে.এম মিজানুর রহমানের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করানোর পর তিনি জানান শিশু শুকরিয়ার পেটের নাড়িতে প্যাচ লেগেছে। রোগীকে জরুরি অপারেশন করতে হবে।
তবে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক জানান, অপারেশন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে না। এখানে অপারেশন করার পর রোগী বাঁচবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। এজন্য হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিক হাসপাতালে অপারেশন করাতে বলেন। অপারেশনে ৩০ হাজার খরচ হবে। শেষে ডাক্তারের কথামত বাধ্য হয়ে হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিক হাসপাতালে মেয়ের অপারেশন করান ওই শিশুর বাবা।
শুকরিয়ার বাবা বলেন, ‘আর্থিক অনটনের কারণেই কম খরচে ভালো সেবা পাওয়ার আশায় সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে চিকিৎসক আমাকে আশ্বস্ত করার পরিবর্তে আমার সন্তান (রোগী) মারা যাওয়ার ভয় দেখানো ও বেসরকারি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো কতটা যৌক্তিক? আমার প্রশ্ন এই হাসপাতালে কি এমন রোগীর অপারেশন সম্ভব না?’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযোগের বিষয়ে ডা. এ.কে.এম. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আবিদ ইসলামিয়া ডায়গনস্টিক ল্যাবের রিপোর্ট ভালো তাই সেখানে পরীক্ষা করাতে বলেছিলাম। আমি নিজেও সেখানে পরীক্ষা করাই। ইমারজেন্সি রোগীর অপারেশন দরকার হলে অনেক সময় সিডিউল না থাকায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাইভেটে অপারেশন করার জন্য বলেছি। এতে আমার আলাদা কোনও লাভ নেই।’
বরিশালে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা
গ্রাহকের চেকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের বরিশাল ব্রাঞ্চ ইনচার্জসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে উপ-পরিদর্শক সমমর্যাদা সম্পন্ন কোনও গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনারকে আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা ও তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মনিরুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ২.৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ
মামলার বিবাদীরা হলো, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড বরিশালের ব্রাঞ্চ ইনচার্জ সাইফুর রহমান সরদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফয়সাল আলম ও সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. অসিউদ্দিন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর প্রিমিয়ার ব্যাংক বরিশাল শাখায় বাদী একাউন্টে ১৪ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পরবর্তীতে একাউন্টে ব্যালেন্স অনুসন্ধানে গিয়ে একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় বাদী বিবাদীদের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে তারা কোনও উত্তর না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এরপর চলতি বছরের ১৪ জুন বাদী নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যমে বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ করে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর ব্যাংকে জমা দেওয়া ১৪ লাখ টাকা একাউন্টে জমা না হওয়ার কারণ জানতে চায়।
পরে বিবাদীরা তাদের নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যেম জবাব দেয় যে, বাদীর নোটিশের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বাদীর ১৪ লাখ টাকা ভুলক্রমে ক্রেডিট হওয়ায় তা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে।
বিবাদীদের এই জবাবের পর বাদী ব্যাংক একাউন্টের হিসাব বিবরণী উত্তোলনের পর দেখা যায়, মনিরুল ইসলামের একাউন্টের চেকের বরাতে তার স্বাক্ষর, টাকার পরিমাণ ও বাহকের নাম জাল করে বাদীর একাউন্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের জামিন জালিয়াতির ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ১৬ জন কারাগারে
বিবাদীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীর হাতে রক্ষিত অক্ষত চেকের বরাতে চেকে বাদীর স্বাক্ষর টাকার পরিমাণ, তারিখ ও বাহকের নাম জাল করে ওই চেকটি ব্যবহার দেখিয়ে বাদীর টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করে অপরাধ সংগঠন করায় বাদী বাধ্য হয়ে মামলাটি দায়ের করে বলে জানায়।
বরিশালে ৯০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, আটক ৪
বরিশালে একটি প্রাইভেটকার চেক করে গাড়ির তেলের ট্যাংকি থেকে ৯০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এসময় চার জনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রামপট্টি এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ ওই চারজনকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ১ ‘জঙ্গি’ আটক
আটককৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর বিশ্বাসপাড়া ২নং ওয়ার্ডের পাঁকা ইউনিয়নের বেনজির বিশ্বাস (৪০), শিবগঞ্জ থানাধীন ৭নং ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলাম বাবু (৩৫), বরিশাল জেলার কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ১৬নং ওয়ার্ডের ব্রাউন্ড কম্পাউন্ডের বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সিকদার ওরফে মনু (৪৫) ও বানারীপাড়া থানার সলিয়াবাকপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মাইনুদ্দিন মিয়া (৪৫)।
বুধবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানার এসআই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রামপট্রি এলাকায় চেকপোস্ট বসায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে নারী-শিশুসহ ১৯ রোহিঙ্গা আটক
এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী একটি নীল রঙের প্রাইভেটকার চেকপোস্টের কাছে পৌঁছালে পুলিশের প্রশ্নের জবাবে প্রাইভেটকারের আরোহীরা অসংলগ্ন উত্তর দেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির একপর্যায়ে তেলের ট্যাংকি ভিতর থেকে বিশেষ কৌশলে রাখা ৯০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৬ হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার, আটক ৪
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা সীমান্তবর্তী এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেনসিডিল এনে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারি বিক্রয় করতো বলে স্বীকার করেছে। তাদের কাজে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বরিশালে ৬ হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার, আটক ৪
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছয়টি হরিণের চামড়াসহ ৩৭ কেজি মাংস পাচারকালে এক অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চারজনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে হরিণের খামার থেকে চামড়া ও মাংস জব্দ করা হয় এবং সেখান থেকেই চারজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- আগৈলঝাড়াস্থ একটি হরিণের খামার মালিক ও এনজিও আলোশিখা সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জেমস মৃদুল হালদার, খামারের অফিস সহকারী খোকন সরকার, খামারের নাইট গার্ড সুনীল চন্দ্র হালদার ও বিপ্লব সরকার।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও মাথাসহ শিকারি আটক
আটককৃতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি আগৈলঝাড়ার বিভিন্ন এলাকায় হলেও বিপ্লব সরকারের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার থানা এলাকায়। তার মাধ্যমেই হরিণের মাংস পাচার করার প্রক্রিয়া চলছিলো বলে ধারণা পুলিশের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজিহার ইউনিয়নের হরিণের খামারে অভিযান পরিচালনা করলে সেখানে পাচার ও স্থানীয়ভাবে বিক্রির উদ্দেশে রাখা ছয়টি হরিণের চামড়া ও ৩৭ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ওই খামারের মালিকসহ চারজনকে।
আরও পড়ুন: মনপুরায় জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা দুটি হরিণ শাবক অবমুক্ত
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশের এই কর্মকর্তা।