বরিশাল
বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৬২৪
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন করে মারা গেছেন। একই সময়ে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬২৪ জন।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৩৪ প্রাণহানি
মৃত ১৪ জনের মধ্যে বরিশালে পাঁচ জন, পটুয়াখালীর ও ভোলার চার জন করে ও ঝালকাঠির একজন রয়েছেন। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫২৮ জনে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৪ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৬২২ জনে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৪৮৯ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৮০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন করোনা ওয়ার্ডে ও ১৯৫ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩২
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় ১৫ ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১৯ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্ত ৪২ হাজার ছাড়াল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে ৮৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৩৩৫ জন , ভোলায় ১৮২, পটুয়াখালীর ১৭৬, পিরোজপুরে ৭৪, বরগুনায় ৬৪ ও ঝালকাঠি জেলাতে ২৭ জন রয়েছেন। বর্তামানে বরিশাল বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৯৯৮ জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১০ জনের
এদিকে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৪৩ জন ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ১২০ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৪১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত বরিশাল পুলিশ সুপার
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তিনি বর্তমানে তার সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে রয়েছেন।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১১ মৃত্যু
ইকবাল হোছাইন জানান, গত সোমবার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করলে সরকারি বাসভবনে সম্পূর্ণ আইসোলেশনে চলে যান। মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সদস্যরা তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। বুধবার পাওয়া রিপোর্টে তিনি করোনা পজিটিভ বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ শুধু করোনা চিকিৎসা মিলবে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে
বর্তমানে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জেলা পুলিশের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন।
শুধু করোনা চিকিৎসা মিলবে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. মনোয়ার হোসেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশে জেনারেল হাসপাতালকে সম্পূর্ণরূপে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরের প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চলে উদ্বেগজনক হারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয় জেনারেল হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে উন্নিতকরণে। আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এই অনুমতি মেলে।
আরও পড়ুন: করোনা: বরিশাল বিভাগে আরও ৩১ মৃত্যু
জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মলয় চন্দ্র দাস বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের সামলাতে অন্যান্য হাসপাতাল হিমশিম খাচ্ছিল যখন আমরা ২২ বেড স্থাপন করে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করি। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করে ৭০ বেড করা হয়েছিল। সর্বশেষ মন্ত্রণালয় থেকে পুরো হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালটি একশ শয্যার হলেও আমরা ৮০ জনকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা দিতে পারবো। জেনারেল হাসপাতালে আগে বহির্বিভাগেসহ অন্যান্য যেসব বিভাগ ছিল সেগুলো বন্ধ করা হবে। যেহেতু করোনা ডেডিকেটেড এজন্য অন্যন্য রোগের চিকিৎসা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হবে। এখানে শুধু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরতে বরিশাল বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড়
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ দক্ষিণাঞ্চলে বৃদ্ধি পাওয়ায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর জেনারেল হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করা হল। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেডের করোনা ইউনিট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাউথ এ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আম্বিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করার প্রস্তাব রয়েছে।
বরিশালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৬ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৬ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা মারা গেছেন উপসর্গে। এদিকে বরিশাল বিভাগে এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৭৭৩ জনের।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ১৯ কোটি ৯৫ লাখের বেশিমঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৬ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় রামেকে আরও ১৪ মৃত্যুবিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বুধবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ৩৩৭ জন, পটুয়াখালীতে ৯৭ জন, ভোলায় ১৮২ জন, পিরোজপুরে ৪৭ জন, বরগুনায় ৬৪ জন এবং ঝালকাঠিতে ৪৬ জন। বরিশাল বিভাগে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ১৪০ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ৭ মৃত্যুএদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩শ বেড বিশিষ্ট করোনা ইউনিটে বুধবার ৩৪৯ জন ভর্তি রয়েছেন, যার মধ্যে ১২৪ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ইউনিটে আরও ৫৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বমোট ১১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গে ১৮ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় সাতজন ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৪০ জন।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১১ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাত জনের মধ্যে বরিশালের তিন জন,পটুয়াখালী ও বরগুনার দুজন করে রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৪ জনে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪০ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৩৬৭ জনে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৭১১ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় ২৬ মৃত্যু
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতাল কার্যালয় সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ২০ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩২৭ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ১২৩ জন করোনা ওয়ার্ডে ও ২০৪ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯০ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ।
করোনা: বরিশাল বিভাগে আরও ৩১ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৮ জনের।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে খুলনা বিভাগে করোনায় ১৩১৮ মৃত্যু
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৮৭ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৬২৭। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৭৯৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭৯৪ জনের মধ্যে ৪০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে ৯ মৃত্যু
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ৩১১ জন চিকিৎসাধীন।
ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছে তিনটি লঞ্চ
ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে তিনটি যাত্রীবাহী লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। দেরিতে হলেও লঞ্চে যাত্রা করার সুযোগ পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে যাত্রীরা। তবে লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ছিলো উপেক্ষিত।
এদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছেন তারা। আর বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তারা কাজ করেছেন।
রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এডভেঞ্চার ৯, কুয়াকাটা ২ ও কীর্তণখোলা ২ ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। প্রত্যেকটি লঞ্চ ছিল যাত্রীতে ঠাসা। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি মানা হয়নি। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই লঞ্চে উঠেছে। প্রত্যেকটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা এক হাজারের বেশি। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে আড়াইগুণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে গেছে। তবে দেরি করে হলেও লঞ্চের যাত্রী হয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস খোলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এডভেঞ্চার ৯ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির জানান, আমরা লঞ্চ যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য মাইকিং করেছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি বলে স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে আলাপকালে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে অনেকাংশে সেটাও সম্ভব হয়নি। বাড়তি ভাড়া নেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি
করোনা: বরিশাল বিভাগে ১৮ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এই নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭৪ জনে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে নতুন ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালে ১৮ জনের মৃত্যু
এছাড়া বিভাগে একই সময়ে নতুন করে ৬৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার সকালে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, নতুন শনাক্তের মধ্যে বরিশালের ২৫৩ জন, পটুয়াখালীতে ১৩৭, ভোলার ৮৭, পিরোজপুরে ৪৫, বরগুনায় ৮৬ ও ঝালকাঠির ৭৭ জন। বরিশাল বিভাগে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৮২৯ জন।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় ১৮ মৃত্যু
এদিকে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩শ’ বেড বিশিষ্ট করোনা ইউনিটে রবিবার পর্যন্ত ৩৫৩ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪৭ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ইউনিটে ৫১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
নদীতে পড়ে নিখোঁজ চা দোকানির লাশ উদ্ধার
খেয়ার অপেক্ষায় ঘুমঘুম ভাব নিয়ে বরিশাল বেলতলা ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে কীর্তণখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ চা দোকানির লাশ একদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে নগরীর ভাটারখাল সংলগ্ন কীর্তণখোলা নদী থেকে নিখোঁজ শাহিন খলিফার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে তিনি নদীতে পরে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ নিখোঁজের দুইদিন পর সাগরে ভেসে উঠলো জেলের লাশ
নিহত শাহিন খলিফা (৩৫) বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইন ইউনিয়নের বিশ্বাসের হাট এলাকার মৃত আছমত আলী খলিফার ছেলে এবং ওই এলাকারই চায়ের দোকানদার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বরিশালে দোকানের মালামাল কিনতে যায় শাহিন।
আরও পড়ুনঃ নৌবাহিনীর অভিযানে নিখোঁজ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার
ফেরিঘাটের জনতার কাছ থেকে জানা যায়, বেলতলা ফেরীঘাটের পন্টুনের মাথায় খেয়ার অপেক্ষায় ঘুমঘুম ভাব নিয়ে বসে থাকেন তিনি। বসা অবস্থায় হঠাৎ করে পন্টুন থেকে পড়ে যান। এরপর কাউনিয়া থানা পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কীর্তণখোলা নদীতে খোঁজাখুঁজি করলেও তার লাশ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিসের নৌ স্টেশন অফিসার শারাফাত বলেন, ‘শুক্রবার খোঁজাখুজি করে না পাওয়া গেলেও আজ সকালে একটি লাশ ভাসতে দেখে ভাটারখাল এলাকার লোকজন। এরপর খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হলে শাহিন খলিফার মৃতদেহ বলে নিশ্চিত হয়েছি আমরা।’